কোরআন-হাদিসে মুমিন বান্দার জন্য যে দিকনির্দেশনা রয়েছে

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০১

ইসলামের শিক্ষা হলো- একজন মুমিন অন্য মুমিনের জন্য আয়না হবে। কেননা, মুসলমান মুসলমানের ভাই। প্রত্যেক মুসলমান যেন তার মুসলিম ভাইয়ের কল্যাণ কামনা করে- এটাই ইসলামের নির্দেশ। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই। কাজেই তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে আপোষ- মীমাংসা করে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আশা করা যায় তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হবে।’ (সুরা হুজরাত : আয়াত ১০)
যেহেতু মুমিন মুসলমান ভাই ভাই, তাই এক মুমিনের প্রতি অন্য মুমিনের কিছু অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে। এগুলো পালন করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার কল্যাণের দায়িত্ব নিজে নেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব দুঃখ–কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তাআলা তার কেয়ামতের দুঃখ–কষ্ট দূর করবেন।’ আরেক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো সংকটাপন্ন ব্যক্তির সংকট নিরসন করবে, আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় সংকট নিরসন করবেন।’ অন্য বর্ণনায় পাওয়া যায় ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ–ত্রুটি গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ–ত্রুটি গোপন রাখবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর বান্দার সাহায্যে নিয়োজিত থাকবে, আল্লাহ তাআলাও তার সাহায্যে নিয়োজিত থাকবেন।’ (মুসলিম, মিশকাত)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিজ মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ–তাচ্ছিল্য করা ও ঘৃণা করা অন্যায়। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমের রক্ত, সম্পদ ও সম্মান হারাম।’ (মুসলিম, মিশকাত)
এছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি ততক্ষণ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেই জিনিস পছন্দ করে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)
একজন মুমিন সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য পরস্পরের কল্যাণ কামনা করবে। তাই দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্যের জন্য হাদিসে বর্ণিত এ নসিহতগুলোর ওপর আমল করাও জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ভাই ভাই হয়ে জীবনযাপনের তাওফিক দান করুন। একে অপরের কল্যাণে জীবন অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করে শান্তি ও নিরাপত্তার জীবন লাভ করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
আইএইচ/