
মানুষের জীবনচলার পথে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো সঠিক দিশা। এই দিশা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দিয়েছেন কোরআনুল কারিমে। পবিত্র কোরআনের শুরুতেই বলা হয়েছে- ‘আর যারা ঈমান আনে তাতে, যা তোমার প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যা তোমার পূর্বে নাযিল করা হয়েছে। আর আখিরাতের প্রতি তারা ইয়াকীন রাখে। তারাই তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়াতের উপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ৪-৫)
মূলত এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুত্তাকী ব্যক্তির চারটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরেছেন- ১. নবীজির প্রতি নাযিল হওয়া ওহীর ওপর ঈমান : মহানবী (সা.)-এর প্রতি অবতীর্ণ কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা গ্রহণ ছাড়া প্রকৃত ঈমান পূর্ণ হয় না। ২. পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহে ঈমান : তাওরাত, যাবুর, ইনজিলসহ আল্লাহর পূর্ববর্তী কিতাবগুলোও ছিল হিদায়াতের মাধ্যম। এগুলোর প্রতি সম্মান ও স্বীকৃতি দেওয়া ঈমানের অংশ। ৩. আখিরাতের প্রতি ইয়াকীন : মৃত্যুর পর পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ, জান্নাত-জাহান্নাম এসব বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস মানুষকে সৎপথে রাখে। ৪. হিদায়াত ও সফলতা : যারা উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যে নিজেদের জীবন গড়ে তোলে, তারাই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর পক্ষ থেকে হিদায়াত প্রাপ্ত হয় এবং পরিণামে সফলতার মর্যাদা লাভ করে।
আজকের দুনিয়ায় মানুষের যত অস্থিরতা, অন্যায় ও অবিচার- সবকিছুর সমাধান নিহিত আছে আল্লাহর বিধানে। যে ব্যক্তি আল্লাহর পাঠানো কিতাবসমূহে ঈমান আনে, আখিরাতের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখে এবং জীবনে কোরআনের আলোকে চলতে সচেষ্ট হয়, তার জন্যই রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের চূড়ান্ত সফলতা। এ শিক্ষা মেনে চললেই মানবসমাজ আলোকিত হবে সত্য, ন্যায় ও শান্তির আলোয়।
আইএইচ/