যে কারণে রাসুল (সা.) গুরুত্ব দিয়ে সোমবারে রোজা রাখতেন

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত হলো রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদারেরা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদারেরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এই দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৮৯৬)
প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (সহিহ্ আল জামে: ৬২২৪)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়ত দেওয়া হয়েছিল।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬২)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে-কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের বিভিন্ন দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিনে নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (জামে তিরমিজি: ১০২৭)। হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
সুতরাং, সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের এক অপার সুযোগ। আল্লাহ আমাদেরকে হাদিস অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন, আমীন।
আইএইচ/