
প্রত্যেক মুসলমান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। নামাজের সময় স্থান ও পোষাকের পবিত্রতার গুরুত্ব কোরআন-হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে টুপি পরে বা মাথা ঢেকে নামাজে দাঁড়ানো লাগে। তো কেউ যদি টুপি না পরে নামাজ পড়ে ফেলে তাহলে কি নামাজের কোনো ক্ষতি হবে বা নামাজ আল্লাহর নিকট কবুল হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তোমরা নামাজের সময় তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট পোশাক পরিধান করো’। (সূরা আরাফ : ৩১)
এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে পোশাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা ঢেকে নামাজ আদায় করতেন, আমাদেরও তাই করা উচিত।
সাহাবায়ে কেরাম ও তাবিঈগণও এ বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতেন। যেমন- হাসান ইবনে আলী রা. সম্পর্কে এসেছে, তিনি নামাজের সময় সর্বোৎকৃষ্ট পোশাক পরতেন। একদিন কেউ তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা সুন্দর এবং তিনি সুন্দরকে পছন্দ করেন। তাই আমি আমার প্রভুর জন্য সুন্দর পোশাক পরি। (রুহুল মাআনি ৪/৩৪৯)
হাসান বসরি (রহ.) বলেন, তারা (সাহাবায়ে কেরাম গরমের কারণে) পাগড়ি বা টুপির ওপর সিজদা করতেন। (বোখারি ১/৮৬)
তাই ফুকাহায়ে কেরাম নামাজে টুপি পরা সুন্নত বলেছেন এবং অবহেলা করে টুপি না পরে নামাজ পড়াকে মাকরুহ বলেছেন, যদিও নামাজ আদায় হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া কাজিখান : ১/১৩৫)
আলেমরা এ ব্যাপারে একমত, টুপি পরা মুস্তাহাব এবং চার ইমামের সবাই বলেন, নামাজ আদায়ের সময় টুপি পরিধান করা মুস্তাহাব আর অবহেলা করে টুপি পরিধান না করে নামাজ পড়া মাকরুহ, যদিও নামাজ আদায় হয়ে যাবে (ফাতাওয়ায়ে কাজিখান : ১/১৩৫; রদ্দুল মুখতার : ১/৬৪০; ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া : ১/৫৬৫)
- জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া আল্লামা ইউসুফ বানুরি টাউনের ১৪৪৭০২১০০২৮৬ নম্বর ফতোয়া অবলম্বনে
আইএইচ/