Logo

ধর্ম

যে ৪টি কাজের মাধ্যমে সমাজে ইসলামি বিধান বাস্তবায়িত হবে

Icon

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৮

আল্লাহ তাআলা মানুষের দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির জন্য ইসলামের বিধান প্রেরণ করেছেন। এই বিধান সমাজে বাস্তবায়ন করার জন্য চারটি কাজ করতে হবে। সেগুলো হচ্ছে-

দাওয়াত : মানুষকে কল্যাণের পথে আহ্বান জানানো। যেমন, মুয়াজ্জিন আজানের মাধ্যমে বলেন, ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ অর্থাৎ কল্যাণের জন্য আসো, সফলতার জন্য আসো। আর এর আগে বলে, ‘হাইয়া আলাস সালাহ’, সালাতের জন্য বা নামাজের জন্য আসো।

তাবলীগ : যারা আহ্বানে সাড়া দেয় না, তাদের কাছে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দেওয়া। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কল্যাণের বাণী শোনানো। যেমন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই- এই বার্তা প্রচার করা, যা মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি নিয়ে আসে। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল এবং সর্বোত্তম আদর্শ। এই আদর্শ আমরা মানলে আমাদের ব্যক্তি জীবনে উৎকর্ষ সাধন হবে, পরিবারে শৃঙ্খলা আসবে, সমাজে শান্তি বিরাজ করবে, রাষ্ট্রের সফলতা আসবে, জাতি উন্নত হবে।

তালিম : ইসলামের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বাইয়াত-ই-আকাবায় মদিনার সাহাবীরা বাইয়াত হলেন,  প্রথমবারে ছয়জন, এরপরে ৭২ জন যারা আকাবার বায়াত নিলেন, তাদের সাথে তিনি একজন মুআল্লিম বা প্রফেসর হিসেবে পাঠালেন হযরত মুসআব ইবনে উমায়ের (রা.)-কে। তিনি মদিনার ঘরে ঘরে তালিম দিলেন, শিক্ষা দিলেন। তারপরেই কিন্তু রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদিনায় পদার্পণ করলেন এবং সেখানে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা হলো।

সেখানে কিন্তু সকলে কালেমা পড়ে নাই তখনও, কিন্তু ইসলামের শান্তির বাণী, ম্যাসেজ সবার কাছে পৌঁছে গেছে যে, ইসলাম সকল মানুষের জীবন, সম্পদ, সম্মানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। যেই কথাটি বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কাবা শরীফ যেমন সম্মানিত এবং মক্কা মুকাররমা যেমন মর্যাদাপূর্ণ, হজ্জের দিন, আরাফাতের দিনটি যেমন সবচেয়ে মাহাত্ম্যপূর্ণ এবং আরাফাতের প্রান্তর যেমন সম্মানিত, সকল মানুষের জীবন, সম্পদ এবং সম্মান অনুরূপ সম্মানিত এবং নিরাপদ। তো মদিনায় হিজরতের পরে মুসআব ইবনে উমায়ের (রা.)-এর মাধ্যমে শিক্ষার বিপ্লবটি হয়েছে।   

তারবিয়াত : আত্মশুদ্ধি ও শৃঙ্খলার প্রশিক্ষণ। সাহাবায়ে কেরামকে নবী করিম (সা.) নিজ হাতে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। কেননা, নামাজ মানুষকে শৃঙ্খলা শেখায়, রোজা আত্মসংযম শেখায় এবং মানুষের চারিত্রিক উন্নতি ঘটায়। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন যে, তিনি মানুষের চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। মানুষের মধ্যে পশুত্বকে দমন করে মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করাই এর মূল উদ্দেশ্য।

আইএইচ/

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

আল হাদিস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর