
ইসলাম ধর্মে জীবনের প্রতিটি কাজের শুরু করার জন্য নির্দিষ্ট দোয়া ও জিকির রয়েছে, যা একজন মুমিনকে আল্লাহর সঙ্গে সংযুক্ত রাখে এবং তাঁর সুরক্ষা প্রার্থনার সুযোগ করে দেয়। তেমনিভাবে যানবাহনে ওঠার দোয়া এমনই একটি ফজিলতপূর্ণ আমল, যা আপনার যাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
যানবাহনে ওঠার দোয়া
যানবাহনে উঠার সময় রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়া পড়া সুন্নত। এই দোয়া যাত্রার নিরাপত্তা ও আল্লাহর সুরক্ষা কামনা করে। দোয়াটি দেওয়া হলো:
হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো যানবাহনে (যেমন উট, ঘোড়া) উঠতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন:
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা হাজা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনকালিবুন।
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। পবিত্র তিনি, যিনি এই যানবাহনকে আমাদের জন্য বশীভূত করেছেন, যা আমরা নিজেরা বশ করতে পারতাম না। আর নিশ্চয়ই আমরা আমাদের প্রভুর কাছে ফিরে যাব। (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৪৬)
দোয়াটি পড়ার নিয়ম
যানবাহনে ওঠার সময় প্রথমে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা।
তারপর উপরের দোয়াটি পাঠ করা।
দোয়া পড়ার পর তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ এবং তিনবার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা।
দোয়া পড়ার সময় বিশ্বাস ও আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা।
ফজিলত
যানবাহনে ওঠার দোয়ার ফজিলত অপরিসীম। হাদিসেও এর গুরুত্ব ও পুরস্কার সম্পর্কে বর্ণনা পাওয়া যায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি যানবাহনে ওঠার সময় এই দোয়া পড়ে, আল্লাহ তাকে যাত্রার ক্ষতি থেকে রক্ষা করেন।’ (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ২৬০২)
আধুনিক জীবনে যানবাহনের ধরন বদলেছে- উট বা ঘোড়ার পরিবর্তে এখন গাড়ি, বাস, ট্রেন, বিমান বা জাহাজ ব্যবহৃত হয়। তবে যানবাহনে ওঠার দোয়া সব ধরনের যানবাহনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘তিনিই তিনি, যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে বশীভূত করেছেন।’ (সুরা জাসিয়া, আয়াত: ১৩)
এই দোয়ার মাধ্যমে একজন মুমিন আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে এবং তাঁর কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করে।
আইএইচ/