Logo

ধর্ম

বান্দার যে আমল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয়

Icon

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৫৪

বান্দার যে আমল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয়

ইসলামে ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। সেকারণেই আল্লাহ তাআলা কোরআনে নামাজের তাগিদ দিয়েছেন। আর রাসূলুল্লাহ (সা.) নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিস বর্ণনা করেছেন। মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হল নামাজ।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম- (হে আল্লাহর রাসুল!) আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল কোনটি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘নামাজ’। (বুখারি ও মুসলিম)

উল্লেখিত হাদিস বর্ণনা প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার আল্লামা মোল্লা আলি ক্বারী (রহ.) বলেন, ‘এ হাদিসের মাধ্যমেই আলেমগণ ঈমানের পর নামাজকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা মনোনীত সর্বোত্তম আমল হলো নামাজ। অতএব, যে বেশি বেশি নামাজ পড়তে সক্ষম, সে যেন বেশি বেশি নামাজ পড়ে। (তাবারানি)

এছাড়া প্রিয়নবি রাসূলুল্লাহ (সা.) নামাজের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে হাদিসের মাধ্যমে একটি উপমা প্রদান করেছেন। তাহলো- হজরত আবু যর গিফারি (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) এক সময় শীতকালে বাইরে কোথাও তাশরিফ আনলেন। তখন গাছের পাতা ঝরার মৌসুম ছিল। রাসূলুল্লাহ (সা.) গাছের একটি ডাল হাত দিয়ে ধরলেন। ফলে তার পাতা আরও বেশি ঝরতে লাগল। এরপর তিনি বললেন, হে আবু যর! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি উপস্থিত। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করলেন, ‘মুসলমান বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ আদায় করে, তখন তার থেকে পাপসমূহ এভাবে ঝরে পড়ে; যেমন এ গাছের পাতা ঝরে পড়ছে।(মুসনাদে আহমদ)

নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া একজন মুমিন মুসলমানের ঈমানের দাবি ও ফরজ ইবাদত। নামাজি ব্যক্তি দুনিয়া ও আখেরাতে সফল। যার সুস্পষ্ট বর্ণনা হাদিসে রয়েছে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে; কেয়ামতের দিন ওই নামাজ তার জন্য নূর হবে এবং হিসেবের সময় নামাজ তার জন্য দলিল এবং নামাজ তার জন্য নাজাতের কারণ হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি নামাজের প্রতি যত্নবান হবে না- কেয়ামতের দিন নামাজ তার জন্য নূর ও দলিল হবে না। তার জন্য নাজাতের কোনো সনদও থাকবে না। বরং ফেরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খালফের সাথে তার হাশর হবে।’ (সহীহ বোখারি)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সঠিক পদ্ধতিতে নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন, আমীন।

আইএইচ/

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

আল হাদিস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর