
পবিত্র কোরআনের ৫৬তম সুরা হলো সুরা আল-ওয়াকিয়া। এটি ২৭তম পারার শেষার্ধে রয়েছে এবং অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সুরা। এই সুরা পাঠের গুরুত্ব ও সওয়াবের কথা হাদিসেও এসেছে। আল ওয়াক্বিয়ার অর্থ নিশ্চিত ঘটনা। মুফাসসিরে কেরাম বলেন, ওয়াকিয়ার আরেক অর্থ কিয়ামত।
সুরা ওয়াকিয়ার ফজিলত অনেক বেশি। এই সুরা প্রতিদিন মাগরিবের পরে পাঠ করা হয়। এটি পাঠের মাধ্যমে অভাব দূর হয় এবং দরিদ্রতা কখনো গ্রাস করতে পারে না।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াকিয়াহ তেলাওয়াত করবে, তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না।’ (বাইহাকি, শুআবুল ঈমান; হাদিস, ২৪৯৮)
ইবনে কাসির ও ইবনে আসাকিরের বরাতে তাফসিরে মাআরিফুল কোরআনে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি যখন অন্তিম রোগশয্যায় শায়িত ছিলেন, তখন আমিরুল মুমিনীন হজরত উসমান গনী (রা.) তাকে দেখতে গেলেন।
উসমান গনী (রা.) তাকে বললেন, আমি আপনার জন্য সরকারি বায়তুলমাল থেকে কোনো উপঢৌকন পাঠিয়ে দেব কি? উত্তরে ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, এর কোনো প্রয়োজন নেই।
উসমান গনী (রা.) বলন উপঢৌকন গ্রহণ করুন। তা আপনার পর আপনার মেয়েদের উপকারে আসবে। ইবনে মাসউদ (রা.) উত্তরে বলেন, আপনি চিন্তা করছেন যে, আমার মেয়েরা দারিদ্র ও উপবাসে পতিত হবে। কিন্তু আমি এমনটা ভাবি না। কারণ, আমি আমার মেয়েদের জোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছি যে, তারা যেন প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করে। কারণ, আমি রাসূল (সা.)কে বলতে শুনেছি- ‘যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে, সে কখনো উপবাস করবে না। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন, ৮/২৬৫)
আল্লাহ আমাদেরকে নিয়মিত সুরা ওয়াকিয়ার আমল করার তৌফিক দান করুন, আমীন।