
পবিত্র কোরআনুল কারীম আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব। এতে মানবজাতির জন্য হিদায়াত, রহমতও উপদেশের পাশাপাশি রোগের শেফার জন্যও দোয়া রয়েছে। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা শেফার কথা উল্লেখ করেছেন। এ আয়াতগুলোকে বলা হয় ‘আয়াতে শেফা’। বিশেষত শারীরিক ও আত্মিক রোগের আরোগ্য লাভের উদ্দেশ্যে এগুলো পাঠ করা সুন্নত হিসেবে বর্ণিত হয়েছে।
আয়াতে শেফা কোনগুলো?
উলামায়ে কেরাম কুরআনের ছয়টি আয়াতকে আয়াতে শেফা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো-
১. সূরা তাওবা, আয়াত ১৪
وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ
উচ্চারণ : ওয়া ইয়াশফি সুদূরা কাওমিম মুমিনীন
অর্থ : ‘আর তিনি মুমিন সম্প্রদায়ের অন্তরকে আরোগ্য দান করবেন।’
২. সূরা ইউনুস, আয়াত ৫৭
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ
উচ্চারণ : ইয়া আাইয়ুহান্নাসু কদ্ জা-আত্কুম মাওইযাতুম মির্ রব্বিকুম ওয়াশিফা-উন্ লিমা ফিস্-সুদূর
অর্থ : ‘হে মানবজাতি! তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে উপদেশ এবং অন্তরে যা আছে তার জন্য শেফা।’
৩. সূরা নাহল, আয়াত ৬৯
يَخْرُجُ مِن بُطُونِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِّلنَّاسِ
উউচ্চারণ : ইয়াখরুজু মিন বুতুনিহা শারা-বুম মুখতালিলুন্ন আলওয়ানুহু ফি-হি শিফাউল্লিন নাসি
অর্থ : ‘তার পেট থেকে এমন পানীয় বের হয়, যার রং ভিন্ন ভিন্ন, যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগ নিরাময়।’
৪. সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত ৮২
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ
উচ্চারণ : ওয়া নুনাজ্জিলু মিনাল্ কুরআনি মা হুয়া শিফা-উন্ ওয়া রহমাতুল্ লিল্ মুমিনীন
অর্থ : ‘আমি কুরআনে যা নাযিল করি, তা মুমিনদের জন্য শেফা ও রহমত।’
৫. সূরা শু’আরা, আয়াত ৮০
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ
উচ্চারণ : ওয়া ইযা মারিদ্তু ফাহুয়া ইয়াশফীন
অর্থ : ‘আমি যখন অসুস্থ হই, তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন।’
৬. সূরা ফুসসিলাত, আয়াত ৪৪
قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاءٌ
উচ্চারণ : কুল্ হুয়া লিল্লাযীনা আমানূ হুদাওওয়াশিফা-আউ
অর্থ : ‘বলুন, এটি (কুরআন) ঈমানদারদের জন্য হিদায়াত ও শেফা।’
আয়াতে শেফা আল্লাহর বিশেষ দান, যা মানুষের দেহ ও আত্মার জন্য উপকারী। তবে মনে রাখতে হবে, আসল শেফা দাতা একমাত্র আল্লাহ। ওষুধ চিকিৎসার পাশাপাশি কোরআনের আয়াতে শেফার আমল করলে মানুষ দ্বিগুণ উপকার পায়। তাই মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত রোগ-বালাই বা মানসিক কষ্টে আল্লাহর দিকে ধাবিত হয়ে আয়াতে শেফা পাঠ করা এবং তাঁর রহমতের উপর পূর্ণ ভরসা রাখা।
আইএইচ/