একজন মানুষবের জীবনে তার শিশুকাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। যার শিশুকাল যত বেশি স্বযত্নে গড়ে উঠবে, তার জীবনের পরবর্তী ধাপগুলো ততই সুন্দর হবে। এজন্য ইসলামে শিশুদের ব্যাপারে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘ধন-সম্পদ, ঐশ্বর্য ও সন্তানসন্ততি পার্থিব জীবনের অলংকার।’ (সুরা কাহাফ : ৪৬)
প্রত্যেক মা-বাবা সর্বদা নিজ শিশু সন্তানের নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করে থাকেন। শিশুর সন্তানের সুখের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে চেষ্টা করেন তারা। তবে অনেক সময় পরিবেশ ও মানুষের বদনজরের প্রভাব এমনভাবে পড়ে যে শিশুকে আর সুস্থ করা যায় না। বদনজরের মন্দ ক্রিয়া আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়।
সেজন্য বদ নজর বাঁচতে ও এর থেকে উত্তরণের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত। এ বিষয়ে আম্মাজান হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস রয়েছে যে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা বদ নজরের প্রভাব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। কেননা নজরের প্রভাব সত্য।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৫০৮)
নবিজী (সা.) নিজের দুই প্রাণপ্রিয় নাতি হজরত হাসান-হুসাইনের জন্য নিরাপত্তার দোয়া করেছেন। এছাড়াও বদনজর থেকে বাঁচাতে নবীজি (সা.) ছোটদের কোলে নিয়ে দোয়া পড়ে ফুঁ দিতেন।
হাদিসের গ্রন্থগুলোতে বর্ণিত এমন একটি দোয়া হলো-
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ
উচ্চারণঃ আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিওঁ ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়ামিন কুল্লি আইনিল্লা-ম্মাহ্।
অর্থঃ আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ কথাসমূহের, সকল শয়তান থেকে, সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণী থেকে এবং সকল ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে। (বুখারি, হাদিস : ৩৩৭১)
সুতরাং, প্রতিদিন এই আমল করলে সকল প্রকার বদ নজর ও বিপদ-আপদ থেকে আপনার শিশু সন্তান বেঁচে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আইএইচ/
