মানুষের জীবন বিপদ-আপদ, সুখ-দুঃখ বা হাসি-কান্নার সমন্বয়েই গঠিত। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) সব বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ ও আল্লাহর কাছে উত্তম প্রতিদান লাভের আবেদন করতে বলেছেন। আর নবিপত্নী হজরত উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা এ আমলের বিনিময়েই পেয়েছেন জীবনের সর্বোত্তম প্রতিদান।
বিপদের সময় আল্লাহর প্রশংসা, তার সাহায্য ও উত্তম প্রতিদান চাইলে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে বিপদের ক্ষতির পরিমাণ থেকেও উত্তম প্রতিদান দান করেন। হাদিসে এসেছে- ‘কোনো বান্দার উপর যদি বিপদ আসে, তাহলে সে যদি ‘ইন্না লিল্লাহ’র আমল করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে তার বিপদের সওয়াব দান করবেন এবং বিনিময়ে তাকে ঐ বস্তুর চেয়েও উত্তম জিনিস দান করবেন। আমলটি হলো-
اِنَّا لِلّهِ وَ اِنَّا اِلَيْهِ رَاجِعْوْنَ - اَللَّهُمَّ أجُرْنِيْ فِيْ مُصِيْبَتِيْ وَ أَخْلِفْ لِيْ خَيْراً مِّنْهَا
উচ্চারণ : ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফলি খাইরামমিনহা।’
অর্থ : নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা তারই দিকে ফিরে যাব। হে আল্লাহ! আমাকে আমার এ বিপদে সওয়াব দান করুন এবং বিনিময়ে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করুন।
হজরত উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহার স্বামী (আবু সালামাহ) ইন্তেকাল করার পর রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে (উম্মে সালামাহকে) এ আমলের ফজিলত বর্ণনা করলেন এবং তা পড়তে বললেন।
উম্মে সালামাহ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশ অনুযায়ী এ আমল করলেন। ফলে আল্লাহ তাআলা উম্মে সালামাহকে (তার মৃত স্বামী আবু সালামাহর পরিবর্তে) উত্তম স্বামী হিসেবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দান করলেন।’ (মুসলিম)
অতএব, একজন মুমিন মুসলমান যখনই কোনো শারীরিক, মানসিক কিংবা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় তখনই তাঁর উচিত, বিপদের তুলনায় উত্তম বিনিময় লাভের আশায় হাদিসের শেখানো আমলটি করা এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।

