হাদিসের শিক্ষা
বান্দার তওবায় আল্লাহ খুশি হন
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং-১৪২৬
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪২
প্রতীকী ছবি
আবুত তহির ও হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া (রহ.) আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাতে কিরআত শেষে তাকবির দিয়ে রুকুতে গিয়ে রুকু থেকে যখন মাথা উঠাতেন তখন বলতেন, ‘সামিআল্লা-হু লিমান হামিদাহ, রাব্বানা- ওয়ালাকাল হামদ’ (অর্থাৎ- যে আল্লাহর প্রশংসা করে আল্লাহ তার প্রশংসা শোনেন। হে আমাদের প্রভু! সকল প্রশংসা তোমারই জন্য নির্দিষ্ট)। এরপর তিনি দাঁড়িয়ে বলতেন, হে আল্লাহ! ওয়ালিদ ইবনু ওয়ালিদ, সালামাহ ইবনু হিশাম ও আইয়্যাশ ইবনু রবিআহ এবং দুর্বল ও নিপীড়িত মুমিনদের নাজাত দান করো। হে আল্লাহ! তুমি মুযার গোত্রকে কঠোর হস্তে পাকড়াও করো। আর ইউসুফ (আ.)-এর সময়ের দুর্ভিক্ষের মতো দুর্ভিক্ষ দিয়ে তাদের শায়েস্তা করো। হে আল্লাহ! তুমি লিহইয়ান, রিলান, যাকওয়ান ও উসাইয়্যাহ গোত্রের ওপর অভিসম্পাত বর্ষণ করো। কেননা তারা আল্লাহ এবং তার রাসুলের অবাধ্য হয়েছে। অতঃপর আমরা জানতে পারলাম যে, আয়াত- ‘হে নবী! এর ব্যাপারে তোমার কোনো করণীয় নেই। আল্লাহ তাদের তওবাহ কবুল করুন আর তাদের শাস্তি দান করুন এ ব্যাপারে তিনি পূর্ণ ইখতিয়ারের অধিকারী। কেননা তারা তো জালিম’ (সুরাহ আ-লি ইমরান ৩ঃ১২৮)। অবতীর্ণ হওয়ার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে কুনুত পড়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং-১৪২৬)
শিক্ষা : মানুষ মাত্রই ভুল। তাই ভুল বা অন্যায় হলেই তওবা করতে হবে। বান্দার তওবায় আল্লাহ খুশি হন। তবে তওবাহ কবুল করা আর শাস্তি দেওয়া আল্লাহর ইখতিয়ার।
বিকেপি/এমএইচএস

