Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

ঝটিকা মিছিলের আড়ালে কারা

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৭

ঝটিকা মিছিলের আড়ালে কারা

ঝটিকা মিছিলের আড়ালে কারা
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশের রাজনীতি থেকে অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতায় ভেঙে যেতে বসে গণঅভ্যুত্থানের সেই ইস্পাতকঠিন ঐক্যে। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক শক্তিগুলো ক্ষুদ্র স্বার্থে আওয়ামী লীগকে দেশের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দিচ্ছে। ফলে গত দুই মাস যাবৎ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল বের করার ঘটনা বেড়েই চলেছে।

রাষ্ট্রক্ষমতায় দীর্ঘ সময় থাকায়, গুম-খুন-দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ছিল নেতৃত্বের ভুল ও অহমিকা। ফলাফল জনরোষ। সবমিলিয়ে গত বছর ৫ আগস্ট ভয়াবহ পতন ও লজ্জাজনকভাবে বিদায় নিতে হয়েছে, টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতার মসনদে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারকে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর কেন্দ্র থেকে, জেলা, 

উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড-ইউনিটের নেতারাও আত্মগোপনে। কার্যত বন্ধ সব অফিসিয়াল কার্যক্রম। রাজপথ থেকে তৃণমূলের কোথাও দাঁড়াতে পারছিল না আওয়ামী লীগ।তবে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ন্যূনতম ঐক্য না থাকায়, ভোটের রাজনীতির মারপ্যাঁচ ও হিন্দুত্ববাদী ভারতের সহযোগিতায় খুব শিগগিরই দেশের রাজনীতিতে নতুনভাবে প্রত্যাবর্তন করতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ। যার ফলে গত এক সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অর্ধশত ঝটিকা মিছিল হয়েছে। সারা দেশে জেলা, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগসহ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলো বিচ্ছিন্নভাবে মিছিল বের করার সুযোগ পাচ্ছে। এমনকি দিনে দিনে ওই মিছিলগুলোতে নেতা-কর্মীর উপস্থিতিও বাড়ছে। এদিকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব মিছিল ঠেকাতে পুলিশকেও কঠোর নির্দেশনা দেন। অন্যথায় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 

ছিনতাই মামলায় গলদ, বেরিয়ে যান আসামিরা
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ঢাকার মিরপুরে এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ধরা পড়া যুবক মো. আকিবকে পুরোনো এক মামলার আসামি দেখিয়ে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ, কিন্তু নতুন ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়নি। আদালত এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে থানার ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। বিচারক বলেন, সম্প্রতি ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে, কিন্তু মামলায় আসামিদের বিস্তারিত তথ্য না থাকায় তারা সহজে জামিন পাচ্ছে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ছিনতাই-ডাকাতির মামলায় ৮৫২ জন গ্রেপ্তার হলেও অন্তত ১৫০ জন জামিনে ছাড়া পেয়েছে। এদের অনেকে আবার ছিনতাইয়ে জড়িয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, জামিন পেতে কেউ কেউ প্রভাব খাটাচ্ছে বা মামলায় দুর্বল ধারা ব্যবহার করা হচ্ছে।

রাজধানীতে সিসিটিভিতে ছিনতাইয়ের ছবি ছড়ানোয় মানুষ আতঙ্কিত। গত সোমবার তেজগাঁওয়ে ছিনতাইকারীর হাতে এক যুবক খুন হন। পুলিশের দাবি, অপরাধ কমাতে তারা নিয়মিত মামলা ও কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, আইনি ঘাটতির কারণেই অপরাধ বাড়ছে এবং অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।

ঝুঁকিতে এয়ারলাইনসের বিনিয়োগ
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বেসরকারি এয়ারলাইনস খাতে বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়েছে। গত ২৮ বছরে ১২টিরও বেশি দেশি এয়ারলাইনস বন্ধ হয়ে গেছে।

এখন নভোএয়ার বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ খাতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে উচ্চ জ্বালানি তেল মূল্য, অতিরিক্ত সারচার্জ, কঠিন নিয়ম-কানুন এবং সরকারি নীতিগত সহায়তার অভাবে।

অনেক এয়ারলাইনস দেনার চাপে পড়ে দেউলিয়া হয়েছে। দেশের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) মাসে ৬ শতাংশ হারে সারচার্জ নেয়, যা বছরে দাঁড়ায় ৭২ শতাংশ—বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।

বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো দেশের এভিয়েশন বাজারের প্রায় ৮০ শতাংশ দখল করে আছে, কারণ দেশি সংস্থাগুলো টিকে থাকতে পারছে না।

বর্তমানে ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও এয়ার অ্যাস্ট্রা ছাড়া আর কোনো বেসরকারি এয়ারলাইনস চালু নেই। নভোএয়ার বিক্রি করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে, অন্যথায় তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বেসরকারি সংস্থাগুলোর দাবি, সরকার সময়োপযোগী নীতিমালা করুক, সাশ্রয়ী জ্বালানি নিশ্চিত করুক এবং অতিরিক্ত কর ও সারচার্জ কমাক। বিশ্লেষকরা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নীতি ব্যবসাবান্ধব না হবে, ততক্ষণ দেশি এয়ারলাইনস টিকবে না, আর তাতে লাভবান হবে কেবল বিদেশি কোম্পানিগুলো।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনেও আপত্তি নেই বিএনপির
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিএনপি চায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হোক। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যদি নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানানো হয়, তাহলে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে হলেও তারা তেমন আপত্তি করবে না।

তারা মনে করে, নির্দিষ্ট সময় জানালে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কমবে এবং দলগুলো নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারবে। এই বিষয়ে বিএনপি তার রাজনৈতিক মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আলোচনায় আসে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও রাজনৈতিক সংস্কার ইস্যু। মঞ্চের নেতারা বলেন, সংস্কার নিয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট নয়, এতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। বিএনপি সম্মত হয় যে শুধু নির্বাচন নয়, সংস্কার নিয়েও তাদের আরও সক্রিয় হওয়া দরকার।

বৈঠকে কিছু নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও দলের অভ্যন্তরে নেতাদের আচরণ নিয়েও আলোচনা হয়। গণতন্ত্র মঞ্চ বিএনপিকে এসব বিষয়ে সঠিক বার্তা দেওয়ার পরামর্শ দেয়। বিএনপির সঙ্গে এনসিপির সম্পর্ক এখন দুর্বল, তাদের গুরুত্বও কমে গেছে বলে মনে করে দলটি।

এ ছাড়া বিএনপি আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং সব দলেরই একমত যে, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বিএনপি আরও ঐক্য গড়ে তুলতে চায়।

বিদেশিদের কর্মসংস্থানে লাগাম টানছে সরকার
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার এখন বিদেশিদের সাধারণ কর্মসংস্থানে নিয়ন্ত্রণ আনতে চাচ্ছে। বিদেশিদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা সীমিত করা হচ্ছে এবং সাধারণ কাজের সঙ্গে যুক্ত বিদেশিদের ওয়ার্ক পারমিট আর নবায়ন করা হবে না।

ক্রিকেটার ছাড়া অন্য কোনো খেলোয়াড়কে অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া হবে না। অনেক বিদেশি ভিসার নিয়ম লঙ্ঘন করে বছরের পর বছর অবৈধভাবে কাজ করছেন, এ জন্য তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ফেরত পাঠানো হবে। সরকার মনে করছে, বাংলাদেশিরা যে কাজ করতে পারেন সে কাজের জন্য বিদেশিদের প্রয়োজন নেই।

তাই এখন থেকে শুধু বিশেষায়িত কাজে বিদেশি কর্মী আনা হবে। ইতিমধ্যে অনেকে যারা ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ বাড়াতে চেয়েছিলেন, তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বিদেশিদের কাজ ও ভিসার তথ্য পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন অ্যাপ চালু হচ্ছে। করোনার সময় অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ ছিল, আর এখন সেটা সীমিতভাবে দেওয়া হবে।

গবেষকরা বলছেন, কৌশলগতভাবে বিদেশিদের কাজে লাগিয়ে দক্ষতা বাড়ানো যেতে পারে, তবে দেশের দক্ষ জনশক্তির ব্যবহারে জোর দিতে হবে। সরকার অবৈধ বিদেশিদের ধরতে একটি টাস্কফোর্সও গঠন করেছে, যারা এখন কঠোরভাবে নিয়ম প্রয়োগ করছে।

একের পর এক খুন আসামিরা অজ্ঞাত
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের রাউজানে গত আট মাসে একের পর এক ১২টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ।

অনেককে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে, আবার কারও লাশ উদ্ধার হয়েছে নিখোঁজের কয়েক দিন পর। বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডে মামলায় আসামিরা 'অজ্ঞাতনামা' হিসেবে উল্লেখ থাকলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মাত্র তিনটি মামলায় আসামিদের নাম দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলোর তদন্তে পুলিশের উদাসীনতা ও গড়িমসির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। হত্যাকাণ্ডের পর অনেক পরিবার এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ আসামিদের ধরতে উদ্যোগী নয়।

বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা গিয়াস কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা এদের অধিকাংশ হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ ওঠেছে।

থানায় প্রভাব খাটিয়ে তারা মামলা নিয়ন্ত্রণেরও চেষ্টা করে বলে জানা গেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নেতারা। রাউজানের ওসি দাবি করেছেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ঠেকানো কঠিন।

প্রশাসন ও রাজনীতির টানাপোড়েনে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদন্তের নির্দেশ দিলেও মাঠপর্যায়ে তেমন অগ্রগতি নেই। ফলে রাউজানের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

জটিল হচ্ছে কুয়েট পরিস্থিতি
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৭ জন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর শাস্তি প্রত্যাহার করেছে এবং সব আবাসিক হল খুলে দিয়েছে।

তবুও শিক্ষার্থীরা তাদের আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের একমাত্র দাবি এখন উপাচার্যের পদত্যাগ। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করলেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস বর্জন, অনশন ও বিক্ষোভ করছেন।

ঢাবির রাজু ভাস্কর্য, হাবিপ্রবির মূল ফটক ও অন্যান্য ক্যাম্পাসে আন্দোলন চলছে। এদিকে শিক্ষক সমিতি বলছে, দোষী প্রমাণ না হলে উপাচার্যকে অপসারণের দাবি তারা মানবে না। শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, উপাচার্যকে মারধর ও কিছু শিক্ষকের লাঞ্ছনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা পাঠদান কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।

শিক্ষার্থীরা বলছে, প্রশাসনের গাফিলতিই এই সংকটের জন্য দায়ী। যত দিন না উপাচার্য পদত্যাগ করছেন, ততদিন আন্দোলন চলবে।

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, তদবির বাণিজ্যে আয় শতকোটি টাকা
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দুই সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বড় ধরনের তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ তুহিন ফারাবি ও মাহমুদুল হাসান নানান নিয়োগ, বদলি ও ঠিকাদারি কাজের বদলে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতেন এবং চাকরি বা বদলির জন্য লাখ লাখ টাকা নিতেন।

এই অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পর মোয়াজ্জেম ও ফারাবিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মাহমুদুল হাসান বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন।

এ বিষয়ে মোয়াজ্জেম দাবি করেন, তিনি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন এবং কোনো দুর্নীতি করেননি। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

গণঅধিকার পরিষদ বলেছে, মোয়াজ্জেম হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার, আবার অপসারণও করেছে সরকার। গণঅধিকার পরিষদ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। সুতরাং সে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছে তা অসত্য এবং অপ্রাসঙ্গিক।

সাবেক সরকারি কর্মকর্তারা মনে করেন, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। কেউই একা এত দুর্নীতি করতে পারে না, পেছনে আরও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ভূমিকা থাকতে পারে বলে মত দেন তারা।

আলোচনায় সাংবিধানিক কাউন্সিল
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সংবিধান সংস্কারে জোরালোভাবে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলকে (এনসিসি) যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে কমিশনের। বিষয়টি নিয়ে দিনদিন বিভেদ বা মতপার্থক্য স্পষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা দলগুলোর মধ্যে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি সরাসরি সংবিধানে এনসিসি যুক্ত করার বিপক্ষে মত দিয়েছে। অন্যদিকে সময়ের আলোচিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর পক্ষে মত দিয়েছে। 

জামায়াতে ইসলামীও কিছুটা সংশোধনসাপেক্ষে এনসিসি সংবিধানে যুক্ত করার পক্ষে। এ ছাড়া মতামত দেওয়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এনসিসি যুক্ত করা নিয়ে রয়েছে নানা মত, নানা পথ। কোনো দল এটা একেবারেই চায় না। আবার কোনো দল সংশোধনসাপেক্ষে যুক্ত করার পক্ষে। আবার কয়েকটি দল আগামী সংসদের প্রতিনিধিদের ওপর এনসিসি যুক্ত করার ভার তুলে দিতে চায়। পাশাপাশি এ নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সুপারিশ ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কার‌্যাবলিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করতে এনসিসি গঠনের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, এনসিসি সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট কার‌্যাবলি, বিশেষ করে বিভিন্ন সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ সংস্থার প্রধানদের নিয়োগ সম্পাদন করবে।

এনসিসির সদস্য হবেন- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, নিম্নকক্ষের স্পিকার, উচ্চকক্ষের স্পিকার, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, বিরোধী দল মনোনীত নিম্নকক্ষের ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দল মনোনীত উচ্চকক্ষের ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতার প্রতিনিধিত্বকারী সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের উভয় কক্ষের সদস্যরা ব্যতীত, আইনসভার উভয় কক্ষের বাকি সব সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত একজন সদস্য। ওই ভোট আইনসভার উভয় কক্ষের গঠনের তারিখ থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। জোট সরকারের ক্ষেত্রে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল ব্যতীত জোটের অন্য দলের সদস্যরা ওই মনোনয়নে ভোট দেওয়ার যোগ্য হবেন।

দুদকে ৩ মাসে ৫৪৫১ অভিযোগ
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বেড়েই চলেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যা। গত বছরের ৫ই আগস্টের পর থেকে এই সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দুদক বলছে গত তিন মাসেই প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার অভিযোগ সংস্থাটিতে জমা পড়েছে। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, প্রধান কার্যালয় এবং দুদকের হটলাইনে (১০৬) এসব অভিযোগ আসছে প্রতিনিয়ত। দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, যাচাই-বাছাই শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থাও নিচ্ছে কমিশন। তবে অভিযোগ আমলের ক্ষেত্রে দুদকের আইন ও বিধি মেনেই নেয়া হচ্ছে। 

দুদক সূত্র বলছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৪৫১টি অভিযোগ আবেদন আকারে জমা হয়েছে। এর মধ্যে  জানুয়ারি মাসে ১ হাজার ৯২৩, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৬২৬, মার্চে ১ হাজার ৪০০ ও এপ্রিলে (১৫ তারিখ পর্যন্ত) ৫০২টি অভিযোগ জমা পড়ে। সংস্থাটির সূত্র আরও জানায়, এই সাড়ে পাঁচ হাজার অভিযোগের মধ্যে অন্তত এক হাজারটি অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেয়া হয়েছে। সেগুলোর কার্যক্রমও চলমান। 

দুদক জানায়, ২০১৮ সালের রাতের ভোট আয়োজনের সঙ্গে জড়িত শতাধিক ব্যক্তিকে অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদাসহ চার কমিশনারের বিরুদ্ধে চলছে অনুসন্ধান। 

বে-টার্মিনাল নির্মাণ
২৬৭ একর সংরক্ষিত বন চায় চট্টগ্রাম বন্দর, বন বিভাগের আপত্তি
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সমুদ্র উপকূলবর্তী সংরক্ষিত বনের ওই জমিটি বন্দর কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে সেখানে ম্যানগ্রোভ বনায়ন করতে চাইছে তারা। এ নিয়ে সরকারের দুই সংস্থার মধ্যে চলছে চিঠি চালাচালি।

জানা গেছে, বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের নকশায় মধ্যম হালিশহর মৌজায় ৫১ দশমিক শূন্য ৮৫ একর এবং দক্ষিণ কাট্টলী মৌজায় দুটি দাগে ৬৬ ও ১৫০ একরসহ মোট ২৬৭ দশমিক শূন্য ৮৫ একর জমিকেও ধরেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে গেজেটভুক্ত জমিটি নিজেদের করে নিতে তারা ২০১৯ সাল থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে বন বিভাগ উপকূলীয় এ সংরক্ষিত বন হাতছাড়া করতে চায় না। বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য বনের জমি না দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে বন বিভাগ।

এ-সংক্রান্ত নথিপত্র থেকে জানা গেছে, বে-টার্মিনালের জন্য চাওয়া বন বিভাগের এসব জমিতে ১৯৭৮-৭৯, ২০০৫-০৬ ও ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ম্যানগ্রোভ বন সৃজন করা হয়। সেগুলো ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, যা ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড়সহ বঙ্গোপসাগরের তীরে বালুচর জমে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বালি ভরাট করায় বাগানের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন বিভাগ ওই জমিটি নিজেদের হাতে রাখতে দ্রুত ম্যানগ্রোভ বন সৃজনের কাজ শুরু করতে চাইছে।

বনভূমির কিছু অংশে বন বিভাগের বাগান থাকলেও বালুচরের অংশে কোনো গাছপালা নেই। এ অংশে উপকূলীয় অঞ্চলের লোকজনের জানমাল রক্ষায় ম্যানগ্রোভ ও ঝাউবাগান সৃজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং-১৪৫৭ এবং ১৪৫৮ অনুযায়ীও এসব বনের শ্রেণী পরিবর্তনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

বন বিভাগ বলছে, দেশে প্রয়োজনের তুলনায় এমনিতেই বনভূমির পরিমাণ খুবই কম। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজের জন্য নিয়মিতভাবে বনভূমি ব্যবহার করা হলে বনের পরিমাণ আরো সংকুচিত হয়ে পড়বে। এতে পরিবেশ তার ভারসাম্য হারিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধিসহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর