Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

নতুন করে দেশে ৩০ লাখ দরিদ্র হতে পারে- বিশ্বব্যাংক

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৯

নতুন করে দেশে ৩০ লাখ দরিদ্র হতে পারে- বিশ্বব্যাংক

শরিকরাও চান ধানের শীষ
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্দোলনের সঙ্গীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে বিএনপি ও জোটের শরিকদের মধ্যে। সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গী, যুগপৎ আন্দোলনের দল ও জোট শরিকদের নিয়ে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছে বিএনপি। 

এদিকে কয়েক দফা শরিকদের সঙ্গে বৈঠকের আলোচনায়, আন্দোলন সঙ্গীদের জন্য কিছু আসন ছেড়ে দেওয়ারও বার্তা দেওয়া হয়েছে দলটি থেকে।

ওদিকে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবিতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে মিত্রদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করছে বিএনপি। শরিকদের পাশাপাশি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে বাম দলসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে আনতে তাদের সঙ্গেও বৈঠক করছে দলটি।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

ভারত দাবি করছে, পাকিস্তান এই হামলার পেছনে আছে। এর পর ভারত পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ পাঁচটি কঠোর পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতও ছিল। জবাবে পাকিস্তানও ভারতীয়দের ভিসা বাতিল, আকাশসীমা বন্ধ এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিতসহ পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। ইসলামাবাদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পানির প্রবাহ থামানোর চেষ্টা যুদ্ধ হিসেবে ধরা হবে।

হামলার দায় স্বীকার করেছে টিআরএফ নামের একটি গোষ্ঠী, যাকে ভারত পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তাইয়েবার সংগঠন বলে দাবি করছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। ভারত ইতিমধ্যে কাশ্মীরে অভিযান শুরু করেছে। এক সেনা নিহতও হয়েছেন।

দুই দেশই পরস্পরের কূটনীতিকদের সংখ্যা কমিয়েছে এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। ভারতের ভিসা বাতিল, সীমান্ত বন্ধ, আকাশসীমা বন্ধ, এমনকি সার্ক ভিসা বাতিল—সব কিছুই দেখায় যে উত্তেজনা তীব্র আকার নিচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ২০১৯ সালের পর সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি করেছে।

কক্সবাজারে বিজিবি সিও'র ইয়াবা ভাগাভাগি
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, কক্সবাজারে ৩৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারুখ হোসেন খানের বিরুদ্ধে কারবারিদের সঙ্গে ইয়াবা ভাগাভাগির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া সীমান্তে চোরাচালান ও ব্যবসায়ীকে ধরে এনে নির্যাতনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন তিনি। লে. কর্নেল ফারুখ চুক্তিভিত্তিক সুবিধা দিয়ে মাদক কারবারিদের সীমান্ত পারাপারের সুযোগ দিয়েছেন। এমনকি সরকারি যানবাহন ব্যবহার করে ইয়াবার চালান নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার মতো ভয়ংকর অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সীমান্তে গরু ও অন্যান্য পণ্য চোরাচালানে তিনি সরাসরি সহায়তা করেছেন বলেও তথ্য এসেছে।

গোয়েন্দা সূত্র ও অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি একটি অভিযানে জব্দ হওয়া বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান তিনি ভাগ করে ফের কারবারিদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। যুগান্তরের হাতে আসা দুটি চাঞ্চল্যকর অডিও ক্লিপে ফারুখকে অভিযানের নামে মাদক ভাগাভাগি এবং নাটকীয় অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। অডিওগুলোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন। তবে তার ভাষ্য, এটি ছিল ‘অভিযানের কৌশল’ এবং তিনি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।

পাল্টে যাচ্ছে জামায়াতের কৌশল
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষপর্যায়ের নেতারা। যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করছেন তারা। তবে দলের চিরচরিত ভোটের কৌশল পাল্টে এবার নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াত। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের পাশাপাশি ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করছে দলটি। 

আসনভিত্তিক, জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয়ভাবে অন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছেন নেতারা। জামায়াতে ইসলামীর ব্যানারে আগামী নির্বাচন করার জন্য দলটির পক্ষ থেকে আহ্বানও জানানো হচ্ছে। ভোট ব্যাংক বাড়াতে জামায়াতের নতুন এ কৌশল ইতোমধ্যে সাড়াজাগিয়েছে। দলটি স্থানীয় পর্যায়ে দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের অভাব অভিযোগের সুরহা করছে। অন্যায় অত্যাচার নিপীড়নের শিকার অসহায় মানুষরা ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় ছুটে যাচ্ছে জামায়াতের নেতাদের কাছে। 

প্রত্যাশিত সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে তাদের অনেকেই ক্রমেই জামায়াতে ইসলামীর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভোটের মাঠে জামায়াতের সমর্থন অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী।

জামায়াতের শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় স্পষ্ট যে, দলটির মূল লক্ষ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইতিহাস সৃষ্টি করা। সেজন্য এখন থেকে মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমত তৈরির সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে দলটি। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় নানান দলীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। পাশাপাশি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্য ধর্মাবলম্বী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন দলটির নেতারা। করছেন মতবিনিময় সভা ও সমাবেশ। 

তাদের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। সম্প্রতি পটুয়াখালীর বাউফলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুরসহ আসনভিত্তিক, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও সমাবেশ করে আসছে দলটি।

নতুন করে দেশে ৩০ লাখ দরিদ্র হতে পারে- বিশ্বব্যাংক
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের হার বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য সীমা ব্যবহার করে সংস্থাটি এই পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক মনে করে, চলতি বছর নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়তে পারে বাংলাদেশ।

বুধবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করেছে। ‘ম্যাক্রো প্রভার্টি আউটলুক’- শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশ বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ নানাবিধ কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরে শ্রমবাজারের দুর্বল অবস্থা অব্যাহত থাকবে। 

এ ছাড়া সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের প্রকৃত আয় কমতে পারে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের শ্লথগতির কারণে ঝুঁকিতে থাকা গরিব মানুষের ওপর বেশি প্রভাব ফেলছে। এতে বৈষম্য আরও বাড়বে বলে বিশ্বব্যাংক মনে করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও কর্মসংস্থান কমে যাওয়া স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর জীবনে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৪ শতাংশ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। একই সময়ে স্বল্প দক্ষ কর্মীদের মজুরি ২ শতাংশ এবং উচ্চ দক্ষ কর্মীদের মজুরি ০.৫ শতাংশ কমেছে। এই বাস্তবতায় দেশের চরম দারিদ্র্যের হার বাড়বে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তাদের পূর্বাভাস, চলতি অর্থবছরে দেশে চরম দারিদ্র্যের হার বাড়তে পারে। 

চরম দারিদ্র্যের হার ৭.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯.৩ শতাংশে উঠবে। এতে আরও ৩০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা। সামগ্রিকভাবে দারিদ্র্যের হারও বাড়তে পারে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। জাতীয় দারিদ্র্য হার গত বছরে ছিল সাড়ে ২০ শতাংশ। ২০২৫ সালে তা বেড়ে ২২.৯ শতাংশ হবে। তবে এই বাস্তবতায় প্রবাসী আয় গ্রহণকারী পরিবারগুলো ভালো থাকবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবিলা করতে গিয়ে পাঁচটির মধ্যে তিনটি পরিবার তাদের সঞ্চয় ভেঙে জীবন নির্বাহ করতে বাধ্য হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

অতি দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, এ বছরও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা না আসার শঙ্কা
সংবাদের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা না আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও দেশি-বিদেশি গবেষণা সংস্থাগুলোর মতে, চলতি বছর দেশে আরও ৩০ লাখ মানুষ অতি দারিদ্র্যের মধ্যে পড়বে।

এতে অতি দারিদ্র্যের হার নয় দশমিক তিন শতাংশে পৌঁছাতে পারে। দুর্বল শ্রমবাজার, মূল্যস্ফীতির চাপ এবং মজুরি না বাড়ার কারণে গরিব মানুষের প্রকৃত আয় কমছে। যার ফলে অনেকেই অতি দরিদ্র হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছেন।

একটি পরিবারে যদি এক সপ্তাহ কাজ না থাকে, তাহলেই তারা দারিদ্র্যের নিচে চলে যাচ্ছে। ২০২২ সালের তুলনায় এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। দেশে বর্তমানে তিন কোটি ৯০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

একদিকে জীবনযাত্রার খরচ বাড়ছে, অন্যদিকে মজুরি বাড়ছে না—ফলে প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিনিয়োগ কম, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতি এবং রাজস্ব ঘাটতিও এই সংকটকে আরও বাড়াচ্ছে।

সমাধানে তারা বলছেন, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি জোরদার করতে হবে এবং আরও মানুষকে এই কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে এবং মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে উপরে উঠতে পারবে।

আস্থা সংকটে বিনিয়োগে মন্দা
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগে এক ধরনের স্থবিরতা চলছে। দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থার অভাবে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন।

এর পেছনে রয়েছে উচ্চ সুদের হার, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, ডলার সংকট, টাকার অবমূল্যায়ন, দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা।

বিদেশি সংস্থাগুলো বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দেওয়ায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আস্থার সংকট আরও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ২০ শতাংশের বেশি। বিনিয়োগ কমার কারণে কর্মসংস্থান হচ্ছে না, আয় বাড়ছে না—ফলে দারিদ্র্য বাড়ছে। বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৩০ লাখ মানুষ অতিদরিদ্র হবে।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকায় এবং অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নীতির ধারাবাহিকতা না থাকায় ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় রয়েছেন নির্বাচিত সরকার আসার জন্য। বিনিয়োগ না হওয়ায় গরিব মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এবং অর্থনীতির গতি কমে যাচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারের স্থিতিশীল নীতি, আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়ন, গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। না হলে বিনিয়োগ স্থবিরতা আরও দীর্ঘ হবে।

স্থলে প্রথম খনন হচ্ছে গভীর গ্যাসকূপ
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্থলভাগে পাঁচ হাজার ৭০০ মিটার গভীরে গ্যাস কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, প্রাথমিক জরিপে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই বছরই তিতাস-৩১ ও বাখরাবাদ-১১ নামের দুটি কূপ খনন শুরু হবে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি এই প্রকল্পে ৭৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে, যার বেশিরভাগ ব্যয়ভার সরকার বহন করবে। তিতাস কূপটি পাঁচ হাজার ৬০০- পাঁচ হাজার ৭০০ মিটার এবং বাখরাবাদ কূপটি চার হাজার ২৬০- চার হাজার ৪৬০ মিটার গভীরে খনন করা হবে। আশা করা হচ্ছে, এখান থেকে প্রতিদিন ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গভীর কূপ খননের ফলে দেশীয় গ্যাস উৎপাদন বাড়বে এবং বিদেশি এলএনজির উপর নির্ভরতা কমবে, যা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট, কিন্তু সরবরাহ মাত্র ২৭০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে ৮০-৮৫ কোটি ঘনফুট আসে আমদানি করা এলএনজি থেকে।

ফলে গ্যাস সংকট বাড়ছে, শিল্প-কারখানা ও ঘরোয়া ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এই নতুন গভীর কূপ খনন দেশের জ্বালানি খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

১০ বছরে বৈধ পথে বিদেশ গিয়ে অবৈধ হয়ে ফিরেছেন প্রায় ৭ লাখ বাংলাদেশি
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, গত দশ বছরে বৈধ পথে বিদেশ গেলেও প্রায় সাত লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক অবৈধ হয়ে দেশে ফিরেছেন।প্রতি জনের গড় ব্যয় পাঁচ লাখ টাকা ধরা হলে প্রবাসী পরিবারের মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এসব অর্থ মূলত দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্টদের পকেটে গেছে।

ইকরামুল হকের মতো অনেকেই ফ্রি ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে চাকরির আশায় প্রতারিত হয়েছেন, জেল খেটে শূন্য হাতে ফিরেছেন। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৮০ লাখের বেশি মানুষ বিদেশে গেছেন, কিন্তু প্রায় ছয় লাখ ৭৩ হাজার জন আউটপাস নিয়ে দেশে ফিরেছেন। প্রতিবছর এই সংখ্যা বাড়ছে।

সবচেয়ে বেশি ফেরত পাঠানো হয়েছে সৌদি আরব, এরপর রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ওমান ও কুয়েত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসন প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগী ও দুর্নীতিপরায়ণ রিক্রুটিং এজেন্সির কারণে শ্রমিকরা সমস্যায় পড়ছেন। অনেকেই কাজ না পেয়ে অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন, অনেকে ভিসা জটিলতায় পড়েন, আবার কেউ কেউ অপরাধ করায় ফেরত আসেন। সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি খরচ হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনও এই নিয়ে মামলা করেছে।

তবুও প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছেন। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে দেশে এসেছে প্রায় দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স।

ব্যয়বহুল চিকিৎসায় স্বাস্থ্যবিমা
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য খাতে বড় একটি পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন। তারা বলছে, ক্যানসার, ডায়ালাইসিস, কার্ডিয়াক সার্জারি ও পক্ষাঘাতের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য শুরুতে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিমা চালু করা দরকার।

কারণ এসব রোগের চিকিৎসা এত ব্যয়বহুল যে, অনেক মানুষ সবকিছু হারিয়ে ফেলছে, এমনকি দারিদ্র্যের মুখে পড়ছে। কমিশন মনে করে, সরকারের উচিত জাতীয় স্বাস্থ্য তহবিল গঠন করা, যেখান থেকে এই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা যাবে।

স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদরাও এই চিন্তাকে ইতিবাচক বললেও বলছেন, পরিকল্পনা স্পষ্ট হতে হবে—বিমার অর্থ আসবে কোথা থেকে, কোন প্রতিষ্ঠান সেবা দেবে, প্রিমিয়াম নেবে কীভাবে।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বর্তমানে মানুষ নিজের পকেট থেকেই ৭০ শতাংশের বেশি খরচ করে। এত ব্যয় বহন করা সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন। গবেষণা বলছে, শুধু ২০২২ সালেই চিকিৎসা খরচে পড়ে ৬১ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে।

দেশের মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ নিয়মিত আয়ের আওতায়, বাকিরা অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন, যেখান থেকে প্রিমিয়াম আদায় কঠিন। তাই বিশেষ কর আরোপ করে বা দৈনিক ছোট অঙ্কে অর্থ কেটে জাতীয় তহবিল গঠন করা উচিত বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শুরুতে সীমিত কয়েকটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা বিমার আওতায় এনে ধীরে ধীরে প্রসারিত করা যেতে পারে।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর