Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

ঢাকার যানবাহনের ৪৯ শতাংশই মোটরসাইকেল ও অযান্ত্রিক

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৩

ঢাকার যানবাহনের ৪৯ শতাংশই মোটরসাইকেল ও অযান্ত্রিক

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘পুরোনো যান সরানোর উদ্যোগে এবারও সাড়া নেই মালিকদের’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক থেকে পুরোনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন সরিয়ে নিতে ছয় মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার। নতুন যানবাহন কেনার জন্য মালিকদের ঋণ পেতে সহায়তার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। সময়সীমা শেষ হবে মে মাসে। তবে মালিকদের কোনো গরজ দেখা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, ঢাকাসহ সারা দেশে চলাচলকারী ৭৫ হাজারের বেশি বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংকলরির আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরোনো এসব যানবাহন দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে এবং পরিবেশ দূষণ করছে।

পুরোনো যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও নেওয়া হয়েছিল। তবে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মালিকেরা। এবারও তাঁরা সাড়া দিচ্ছেন না। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কতটুকু সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান গতকাল রোববার বলেন, মে মাসের মধ্যে পুরোনো গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে।

সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গত শনিবার পর্যন্ত নতুন করে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। ইতোমধ্যে যৌথভাবে তাদের আঙুলের ছাপও নিয়েছে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)। এদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়াল অন্তত ১৩ লাখ ১৩ হাজারে। তবে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আইরিশের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের অনুমতি এখনও দেয়নি সরকার।

নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে ইউএনএইচসিআর। গত সপ্তাহে তারা শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়কে এ চিঠি দেয়। গতকাল রোববার রাতে সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করে। 

সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে শনিবার পর্যন্ত দেড় বছরে আসা রোহিঙ্গাদের নতুন হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে গত বছরের মে-জুনের পর। চলতি বছরের প্রায় প্রতিদিন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। 

শুধু গত সপ্তাহেই রাখাইন থেকে এসেছে ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার। এ ছাড়া আলাদাভাবে এসেছে আরও ৫ হাজার ৯৩০ জন। নতুনভাবে আসা রোহিঙ্গারা ২৯ হাজার ৬০৭ পরিবারের সদস্য। সীমান্তে বাংলাদেশের সতর্কতার মধ্যেও নতুন আসা ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে ৫৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ নারী, বাকিরা পুরুষ। 

কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘গ্যাসসংকটে শিল্প উৎপাদনে ধস’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাহিদা বাড়লেও দিনে দিনে কমছে গ্যাসের সরবরাহ। দুই বছর আগেও জাতীয় গ্রিডে দিনে গ্যাস সরবরাহ করা হতো প্রায় তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে দুই হাজার ৬৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় শিল্প-কারখানার উৎপাদন কমছে।

পাশাপাশি সিএনজি স্টেশন, আবাসিক খাতসহ সব ক্ষেত্রেই গ্যাসের সংকট চলছে। এর মধ্যে সিরামিক, ইস্পাত ও টেক্সটাইল খাতের উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই শিল্প-কারখানায় এবং ক্যাপটিভ পাওয়ারে (শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র) গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর ব্যবস্থা না করে নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোয় সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, গ্যাসসংকটে শিল্প খাতে বিপর্যয় নেমেছে। কয়েক শ কারখানা বন্ধ হয়েছে। রপ্তানি আয়ও কমেছে। বিনিয়োগ থমকে আছে। কর্মসংস্থানও বাড়ছে না। শিল্প খাত না বাঁচলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি থেমে যাবে। তাই শিল্পের গ্যাস-বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে। জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েক বছর ধরে দেশীয় কূপগুলোয় গ্যাসের উৎপাদন কমছে। চাহিদা সামাল দিতে অন্তর্বর্তী সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়িয়েছে।

মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘নারীর আর্তচিৎকারে কাঁপলো সিদ্ধেশ্বরী’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ভোর পৌনে পাঁচটা। ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকার গ্রিনল্যান্ড টাওয়ারের সামনের সবকিছু তখনো ঠিকঠাক ছিল। মানুষের চলাফেরা, যানবাহন চলাচল সবকিছু স্বাভাবিক। রাস্তার পাশে শাড়ি পরা একজন নারী দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার হাতে ছিল একটি ভ্যানিটি ব্যাগ, পাশে একটি ট্রলি ব্যাগ। গাজীপুরে একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। হঠাৎ সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকার এসে থামে তার সামনে। মুহূর্তেই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর এক দৃশ্য।  যা ধরা পড়ে পাশের এক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে।

সাদা প্রাইভেট কারের জানালা খুলে এক ব্যক্তি ঝাঁপিয়ে পড়ে নারীর ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে। কিন্তু ব্যাগ না ছাড়ায় মুহূর্তেই রাস্তায় পড়ে যান ওই নারী। ব্যাগের সঙ্গে সঙ্গে তাকেও টেনে নিয়ে যেতে থাকে ছিনতাইকারীরা। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীদের গাড়ি চলে যায়। রাস্তায় পড়ে আর্তচিৎকার করছিলেন ওই নারী। তার চিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন ওই নারীকে উদ্ধারে ছুটে আসেন। ব্যস্ত সড়কে এই ছিনতাইয়ের ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

ভিডিওতে দেখা যায়, ছিনতাইয়ের মুহূর্তেই রাস্তায় পড়ে যান ওই নারী। টেনে-হিঁচড়ে তাকে নিয়ে চলে ছিনতাইকারীদের প্রাইভেটকারটি। পাশে থাকা ট্রলি ব্যাগটি যেখানে ছিল সেখানেই পড়ে থাকে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দৌড়ে ছুটে আসেন। একজন ট্রলি ব্যাগের সামনে দাঁড়িয়ে যান, আর বাকি দু’জন এগিয়ে যান আহত নারীর দিকে। ৫০ সেকেন্ডের মাথায় আবারো ক্যামেরায় দেখা যায়, ওই নারী ফিরে এসে দাঁড়িয়ে আছেন, ব্যথায় কুঁকড়ে যাওয়া মুখে সহায়তার আশায় কথা বলছেন উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে। নিজের কনুইয়ের আঘাতের চিহ্ন দেখাচ্ছেন। 

ইত্তেফাক প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বিপক্ষে বিএনপি, পক্ষে জামায়াত’
আনুপাতিক পদ্ধতি ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইস্যু

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা ও সংস্কারের পরিধি নিয়ে চলমান বিতর্কের পাশাপাশি দ্বিমত-ভিন্নমত দেখা দিয়েছে সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং আগে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন করা না করা নিয়েও। শুরু থেকেই বিএনপি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিপক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। আর জামায়াতে ইসলামী বাইরে হরেক কথা বললেও আনুষ্ঠানিক সংলাপে বরাবরই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছে।


সংবিধান সংস্কার কমিশন ৩০০ আসন বিশিষ্ট নিম্নকক্ষ (আইনসভা) ও সেখানে আরও ১০০টি সংরক্ষিত আসন (নারীদের জন্য) এবং ১০০ আসন বিশিষ্ট উচ্চ কক্ষ সংসদের সুপারিশ করেছে। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের বিষয়ে বিএনপি ও জামায়াত উভয়ই একমত। তবে, নিম্ন কক্ষের নির্বাচন বিদ্যমান পদ্ধতিতেই করার পক্ষে বিএনপি। অন্যদিকে, সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচনই পিআর পদ্ধতিতে চায় জামায়াত।

সর্বশেষ, শনিবার সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায়ও পিআর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচন ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত। এমনকি, সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার প্রস্তাব দিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—এজন্য প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে তিন দফায় আলোচনায় আগে সংসদ নির্বাচনের পক্ষে দলীয় অবস্থানের কথা জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে নিম্ন কক্ষের নির্বাচন বিদ্যমান পদ্ধতিতেই করার পক্ষে জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করেছে দলটি।

বণিকবার্তা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ঢাকার যানবাহনের ৪৯ শতাংশই মোটরসাইকেল ও অযান্ত্রিক’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ঢাকায় এমন কোনো মোড় নেই, যেখানে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা মোটরসাইকেল চালকের দেখা মিলবে না। অন্যদিকে ঢাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বাদে সব রাস্তা আর মোড়ে দেখা মিলবে পায়ে নয়তো ব্যাটারিচালিত রিকশার। ছোট ছোট এসব যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহনের কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। 

এসব বাহনের চালকরা জোটবদ্ধ হয়ে মাঝেমধ্যেই নানা দাবি-দাওয়া আদায়ে সড়কে বিক্ষোভ-অবরোধও করেন। ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় অংশজুড়ে রয়েছে এ ধরনের বাহন। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বর্তমানে ঢাকায় যত যানবাহন চলছে, তার ৪৯ শতাংশ মোটরসাইকেল এবং রিকশা-ভ্যানের মতো অযান্ত্রিক বাহন (সড়ক পরিবহন আইনে ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশার মতো বাহন ‘‌মোটরযান’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত নয়)।

ঢাকার জন্য সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে এ সমীক্ষা পরিচালিত হয়। ‘আপডেটিং দ্য রিভাইজড স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান ফর ঢাকা’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশ হিসেবে সমীক্ষাটি পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে সমীক্ষাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। সমীক্ষার তথ্য বলছে, ঢাকার রাস্তায় চলাচলরত মোট যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের হিস্যা ২৭ শতাংশ। রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ির মতো অযান্ত্রিক বাহনের পরিমাণ ২২ শতাংশ। ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার) ২০ শতাংশ। থ্রি-হুইলার ১৪ শতাংশ। মাইক্রোবাস, পিকআপের মতো মোটরযান আছে ৭ শতাংশ। ট্রাকের পরিমাণ ৬ শতাংশ। ঢাকায় চলাচলরত মোট যানবাহনের মাত্র ৩ শতাংশ বাস। অন্যান্য যানবাহন রয়েছে আরো ১ শতাংশ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে ঢাকায় নিবন্ধিত মোটরযানের সংখ্যা ২২ লাখ ৩৮ হাজার। যদিও এর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় এখন আর চলাচল করে না।

এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর