বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারছে না পিএসসি

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৩

বন্যা পরবর্তী প্রকল্পে ১৯০৯ কোটি টাকার দুর্নীতি
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক, বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভরি ইমার্জেন্সি অ্যান্ড রেসপন্স বা বি-স্ট্রং প্রকল্পে বড় ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান শেষে এ কথা জানিয়েছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।
এর আগে গতকাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি প্রধান কার্যালয়সহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৩৬টি কার্যালয়ে একযোগে অভিযান শুরু করে দুদক। সকাল ১০টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ঘুষ গ্রহণ, অনিয়ম, দুর্নীতি, গ্রাহকদের সেবা থেকে বঞ্চিত করা, অতিরিক্ত ফি আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে এ অভিযান চালানো হয়।
যেসব জায়গায় অভিযান পরিচালনা হয়েছে সেগুলো হলো, চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়, রাজশাহী, দিনাজপুর ও জামালপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়, ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়, বরিশালের মুলাদী, বগুড়ার শিবগঞ্জ, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর, কক্সবাজারের রামু, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, গাজীপুর সদর, গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া, যশোরের বাঘারপাড়া, মাগুরার শ্রীপুর, খুলনার বটিয়াঘাটা, কিশোরগঞ্জ সদর, কুড়িগ্রামের উলিপুর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, শরীয়তপুরের জাজিরা ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ল
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ভারতীয় বাহিনীকে পাকিস্তানে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা।
কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাত গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সেখানে ভারতের একটি 'নজরদারি ড্রোন' ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ভারতের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, গতকাল রাতে ওই বৈঠকে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতার ওপর পূর্ণ আস্থা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
তিনি বলেছেন, ভারতের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়ার সময়, লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং কোন প্রক্রিয়ায় জবাব দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর 'পূর্ণ স্বাধীনতা' রয়েছে।
আইএমএফ কিস্তি না দিলে নিজেদের মতো বাজেট
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "সেই দিন আর নেই, বাংলাদেশ এখন আর আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ কিস্তি না দিলে নিজেদের মতো করে বাজেট করব। আমরা তাদের কাছ থেকে ঋণ না নিলে ওদের অনেকের চাকরিই থাকবে না। তাই আমরা এখন একটি শক্ত পদক্ষেপ নেবো।"
তিনি বলেছেন, "ইন্দোনেশিয়ায় টাকা দিতে না পেরে অনেকের চাকরি চলে গেছে। মালয়েশিয়াতে মাহাথির মোহাম্মদ শক্ত পদক্ষেপ নেয়ায় অনেকের চাকরি চলে গেছে। আমরা যদি ঋণ না নেই, দেখবেন ওখানে কয়জনের চাকরি যায়...আমরা আইএমএফের সব শর্ত মেনে আর ঋণ নিতে চাই না। তাদের সহায়তা ছাড়াই অর্থনীতি ভালো আছে।"
পরিপাকতন্ত্রের ওষুধে যাচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে।
সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এ থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেজাল খাবার গ্রহণ ও সার্বিক খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনাচার ও অসংক্রামক রোগের বিস্তার বাড়ার কারণে পরিপাকতন্ত্রের রোগের ঘটনা বেড়েছে। নিজে নিজে ওষুধ সেবনের প্রবণতা বাড়াও এই রোগের ওষুধের বিক্রি বেড়ে চলার একটি কারণ।
সরকারের তথ্য বলছে, বছরে দেশের ওষুধের বাজারের আকার ৩৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর ৯৪ শতাংশই ব্যয় হয় ব্যক্তিখাতে। সরকারি ব্যয় মাত্র পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ।
যুদ্ধ-সংঘাতময় এলাকায় বহুলাংশে ব্যর্থ হয়েছে মানবিক করিডোর
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে,২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা অবরোধের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। সে সময় দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্ট বলেন, ‘আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি। বিদ্যুৎ থাকবে না, খাবার থাকবে না, জ্বালানি থাকবে না, সবকিছু বন্ধ।’
এমন পরিস্থিতিতে গাজায় মানবিক সহায়তায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় জরুরি পদক্ষেপ। উদ্যোগ নেয়া হয় ‘মানবিক করিডোর’-এর। যদিও সফলতার মুখ দেখেনি সে উদ্যোগ। একইভাবে ২০২২ সালের মার্চে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর পূর্ব ইউক্রেনের মারিউপোল ও ভলনাভাখা করিডোর দিয়ে প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার বাসিন্দাকে সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু ৫ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিরাপত্তা বিবেচনায় সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
মানবিক করিডোর নিয়ে সর্বশেষ আলোচনায় আসে বাংলাদেশের নাম। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যটি তীব্র দুর্ভিক্ষের আসন্ন হুমকির মুখোমুখি। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে একটি মানবিক করিডোর দিয়ে সেখানে ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর জাতিসংঘের পরিকল্পনায় সম্মতি জানিয়েছে ঢাকা।
মানবিক করিডোর নিয়ে বিতর্ক
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইনে খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে বাংলাদেশ থেকে 'মানবিক করিডোর' দেয়ার বিষয়ে যে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে, এই প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হয়েছে।
গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত ব্রিফিং-এ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন 'রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোর দিতে সরকার নীতিগত সম্মত হয়েছে' সিদ্ধান্ত জানানোর পর রাজনৈতিক দল ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এমন একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সব দলের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে।
দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক চলার মধ্যেই গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, "এ বিষয়ে কোনও সংস্থার সঙ্গে সরকারের আলাপ-আলোচনা হয়নি। সাহায্য প্রদানের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন।"
সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারছে না পিএসসি
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, নিজের সিদ্ধান্তে ঠিক থাকতে পারছে না সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। অন্তত তিনটি বিসিএসের প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেও তা পেছাতে হয়েছে। এই কমিশনের নিয়োগের ক্ষেত্রেও ছিল সিদ্ধান্তহীনতা।
কমিশনে ছয়জন সদস্যকে নিয়োগ দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সে নিয়োগ বাতিল করেছে। পরে নতুন করে অন্য ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পিএসসির সদস্য এখন ১৫ জন।
পুনর্গঠিত পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের লিখিত ও ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির তারিখ পিছিয়েছে। এর আগে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ দু'দফা পেছান তারা।
দফায় দফায় পরীক্ষার তারিখ পেছানোর পেছনে পিএসসির ওপর 'অদৃশ্য প্রভাব' কাজ করছে বলে আলোচনা আছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারের দু'জন উপদেষ্টা এবং একটি রাজনৈতিক দলের চাপের কারণে পিএসসি কোনো সিদ্ধান্তে স্থির থাকতে পারছে না।
- এটিআর