Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

ইঞ্জিন-কোচ সংকটে দেশজুড়ে বন্ধ ৭০ ট্রেন

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৯:২৬

ইঞ্জিন-কোচ সংকটে দেশজুড়ে বন্ধ ৭০ ট্রেন

সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রয়োজন
ডিসেম্বরেই নির্বাচন সম্ভব
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ইতিহাস সেরা গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। তার আগে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে হওয়া হাজার হাজার খুন, গুম, অন্যায় অবিচারের বিচার এবং সংস্কার শেষ করতে চায় সরকার। এরই অংশ হিসেবে সরকার আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। 

তবে বিএনপিসহ কিছু দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। আর জামায়াতে ইসলামী চায়, ডিসেম্বর সম্ভব না হলেও যেন মার্চ পার না হয়। ফলে চাপে সরকার। 

এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন- পূর্ণ সংস্কার এবং পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার দোসরদের বিচার শেষ না করে কোনোভাবেই নির্বাচন হতে দেবেন না। এমন পরিস্থিতিতে বিশিষ্টজনরা বলছেন, সংস্কারসহ বেশ কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে আসতে পারলে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।

আগামী ডিসেম্বর থেকে পরের বছর জুনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে সরকার অবস্থান পরিষ্কার করলেও, নির্দিষ্ট তারিখ না দেওয়ায় সংশয়ে রাজনৈতিক দলগুলো। রোজা, স্কুল কলেজের পরীক্ষা কিংবা আবহাওয়ার দিক বিবেচনায় বিএনপির ডিসেম্বর বা জামায়াত রমজানের আগেই ভোটের ভালো সময় বলছেন রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা। 

সংস্কার প্রক্রিয়ায় জড়িত বিশিষ্টজনরাও বলছেন, ঘোষিত সময়েই মৌলিক সংস্কার করে নির্বাচন সম্ভব। আর এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে জোর দেন তারা। 

গণহত্যার বিচারে আরও একটি ট্রাইব্যুনাল হচ্ছে
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই মাসের গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আরও একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই ট্রাইব্যুনালটি বিদ্যমান ট্রাইব্যুনাল-১–এর পাশেই পুরোনো হাইকোর্ট ভবনে বসবে, যার সংস্কার কাজ প্রায় শেষ। নতুন ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধসহ বিভিন্ন সময়ের গুম, খুন এবং জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার এখন চলমান ট্রাইব্যুনালে চলছে। এসব মামলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ট্রাইব্যুনাল-২ গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল-১-এ শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে তিনটি বড় মামলা চলছে।

একটি মামলায় তাকে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে, অন্য দুটি মামলায় গুম-খুন ও হেফাজতের মিছিল দমনের ঘটনায় দায়ী করা হয়েছে। এসব মামলার তদন্ত এখন প্রক্রিয়াধীন এবং ২৪শে জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। শহীদ পরিবারের সদস্যরা ট্রাইব্যুনাল-২ গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা মনে করে, এতে বিচারের গতি বাড়বে, তবে যথাযথ তদন্ত ও দক্ষ প্রসিকিউশন জরুরি। বর্তমানে প্রসিকিউশন ও তদন্ত বিভাগে জনবল বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

বিএনপি সমঝোতা চায়, ক্ষমা ও আওতা ঠিক হবে পরে
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে প্রয়োজন জাতীয় সমঝোতা বা রিকনসিলিয়েশন।

এ জন্য 'ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন' গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, তবে কারা এর আওতায় আসবে তা পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে বলে তিনি জানান।

সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, সংবিধানের মূলনীতিতে 'আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস' রাখলেও ধর্মীয় সমতা ও স্বাধীনতা রক্ষা পাবে। আনুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনের বিরোধিতা করে বিএনপি বলছে, এতে রাষ্ট্র পরিচালনায় জটিলতা ও অনিশ্চয়তা বাড়বে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাবে বিএনপি বিকল্প চিন্তা করছে যাতে বিচার বিভাগ না জড়ায়, কারণ অতীতে এর কারণে বিচার বিভাগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি নয়, বরং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা উচিত।

তিনি মনে করেন, সংসদের বাইরে সংবিধান সংস্কার আইনানুগ হবে না, তাই আগামী সংসদের মাধ্যমেই তা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তা থাকলেও একে পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট বলা ঠিক নয়।

আওয়ামী লীগের বিচার আদালতের মাধ্যমেই হওয়া উচিত, কোনো নির্বাহী আদেশে নয়। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ ও আইন- তিনি বলেন।

নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘর্ষ বাড়ায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশও বেড়েছে।

প্রতি মাসে গড়ে ছয় হাজারের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। জীবন রক্ষায় পালিয়ে আসা এই মানুষদের আশ্রয় ও মানবিক করিডরের প্রস্তাব দিয়েছে জাতিসংঘ, যা বাংলাদেশে নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

ইতিমধ্যে নতুন আসা এক লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া আরো পাঁচ থেকে ১০ হাজার অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা সীমান্ত এলাকায় রয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্মহারও বাড়ছে—প্রতিদিন প্রায় ৯০ জন শিশু জন্ম নিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে এটি কেবল মানবিক নয়, বরং কৌশলগত নিরাপত্তার বড় হুমকি হয়ে উঠবে। রাখাইন এলাকা আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর স্বার্থে স্পর্শকাতর। এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্য ও সংসদের অনুমোদন ছাড়া সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হতে পারে।

বিজিবির সীমান্ত নজরদারিতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে আধুনিক প্রযুক্তি, আলো ও অতিরিক্ত ব্যাটালিয়নের আবেদন করা হয়েছে। বিজিবির মতে, শুধু তাদের পক্ষে অনুপ্রবেশ ঠেকানো সম্ভব নয়, স্থানীয়দেরও সহায়তা প্রয়োজন। আশ্রয় না পেলে রোহিঙ্গারা এত সহজে প্রবেশ করত না।

পাল্টাপাল্টি অভিযোগ হুমকি
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

হামলার পেছনে কারা, তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চলছে। ভারত দাবি করছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা এই হামলার সঙ্গে জড়িত।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতই এই হামলার পরিকল্পনা করে পাকিস্তানকে দোষারোপ করতে চায়। হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে টানা আট রাত ধরে গোলাগুলি হচ্ছে।

ভারত নিরাপত্তা জোরদার করে ব্যাপক তদন্ত চালাচ্ছে, ২৮০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং বহু এলাকায় অভিযান চলছে। এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় বড় সামরিক মহড়া চালিয়েছে এবং যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে আজাদ কাশ্মিরে দুই মাসের খাদ্য মজুদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বহু ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। দুই দেশের রাজনীতিবিদ ও সেনাপ্রধানরা একে অপরকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, যার ফলে এই অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করছেন কেউ কেউ।

গণমাধ্যমের জন্য আসছে নতুন অধ্যাদেশ
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার গণমাধ্যমের জন্য একটি নতুন সম্প্রচার আইন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।

২০১৮ সালের খসড়া আইনের ভিত্তিতে তৈরি এই অধ্যাদেশে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের আইনে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ কোটি টাকা জরিমানার কথা থাকলেও নতুন খসড়ায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

খসড়া অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে পারে এমন কোনো গোপন তথ্য প্রকাশ করলে কঠোর শাস্তি হতে পারে। তেমনি রাষ্ট্রবিরোধী বা জনস্বার্থবিরোধী কোনো সংবাদ বা বিজ্ঞাপন প্রচার করলেও জেল ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

লাইসেন্স ছাড়া সম্প্রচারে জড়িত হলে কিংবা নিষিদ্ধ পণ্য বা ধর্মীয় উসকানিমূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করলেও কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এই আইনের অধীনে 'সম্প্রচার ট্রাইব্যুনাল' গঠন করার কথাও বলা হয়েছে, যেখানে নির্দিষ্ট নিয়মে মামলা পরিচালিত হবে। তবে কেউ ব্যক্তিগতভাবে অভিযোগ করতে পারবে না, কমিশনের অনুমোদন ছাড়া।

খসড়া অনুযায়ী, মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের মালিকানা পরিবর্তনের ওপরেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে। আইন বাস্তবায়নে একটি কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে, যারা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত এবং সরকারের কাছে শাস্তির সুপারিশ করতে পারবে। তবে সরকার জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট মহলের মতামত নিয়ে আইনটি চূড়ান্ত করা হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ন্ত্রণহীন বিশৃঙ্খলা
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়—সবখানেই শিক্ষার্থীরা নানা কারণে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ছে। তুচ্ছ কারণেও সংঘর্ষ শুরু হচ্ছে এবং অনেক সময় প্রাণহানির মতো ভয়াবহ ঘটনাও ঘটছে।

যেমন ঢাকার বনানীতে হাসাহাসি নিয়ে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। নিরাপত্তার অভাব, প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং শিক্ষার্থীদের উসকানিমূলক আচরণ এসব ঘটনার মূল কারণ।

ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় একাধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে, যার ফলে সাধারণ মানুষও দুর্ভোগে পড়ছে। এছাড়া চাকরি ও উচ্চশিক্ষার দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা সারা দেশে আন্দোলনে নেমেছে।

একইভাবে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করা, রাজশাহীতে ট্রেন চলাচল বন্ধ—এসব আন্দোলনের ঢেউ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিশিষ্টজনেরা বলছেন, সমাজের অস্থিরতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুর্বল প্রশাসন এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। সরকার সমস্যাগুলোর সমাধানে উদ্যোগ নিলেও কার্যকর পরিবর্তন এখনো দৃশ্যমান নয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমেই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে।

ইঞ্জিন-কোচ সংকটে দেশজুড়ে বন্ধ ৭০ ট্রেন
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সারা দেশে এখন ৭০টি ট্রেন বন্ধ রয়েছে, যার মূল কারণ ইঞ্জিন ও কোচ সংকট। এসব ট্রেনের মধ্যে রয়েছে কমিউটার, লোকাল, মেইল, মিশ্র ও শাটল ট্রেন, যা সাধারণত স্বল্প ও মাঝারি দূরত্বে চলত এবং স্বল্প আয়ের মানুষদের যাতায়াতে বড় ভরসা ছিল। করোনা মহামারির সময় বন্ধ হওয়া অনেক ট্রেন এখনো চালু হয়নি। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ মেইল ট্রেন বন্ধ থাকায় সেখানকার মানুষের যাতায়াতে খরচ ও দুর্ভোগ বেড়েছে।

রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল দুই এলাকাতেই বহু ট্রেন বন্ধ রয়েছে, যার ফলে প্রতিদিনের যাত্রীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।অতিরিক্ত ভিড় ও ছাদে যাত্রী ওঠা এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, কোচ ও ইঞ্জিন সংকট ছাড়াও চালক ও জনবল কম থাকায় ট্রেনগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে। রেলের অনেক ইঞ্জিন পুরোনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় চালু করা যাচ্ছে না। রেলওয়ে নতুন ইঞ্জিন কেনার উদ্যোগ নিয়েছে এবং প্রথম ধাপে ৩০টি ইঞ্জিন কেনার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

যদিও কিছু নতুন ট্রেন চালু হয়েছে, কিন্তু পুরোনো ট্রেনগুলো আবার চালু করতে সময় লাগবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রেলের উন্নয়ন একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া এবং তাৎক্ষণিক সমাধান আশা করা ঠিক নয়।

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর