বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
আরও পাঁচ হাজার নতুন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ০৯:৫১
-6816e427b9716.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
আরও পাঁচ হাজার নতুন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, কক্সবাজারে আরও ৫ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। এ নিয়ে নতুন রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ১ মে পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে ঢুকেছে। এদের ‘নতুন রোহিঙ্গা’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর আগে থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করছে আরও ১২ লাখ রোহিঙ্গা। সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সমকালকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শনিবার রাতে মিজানুর রহমান সমকালকে বলেন, নতুনভাবে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজারে দাঁড়িয়েছে। তারা কক্সবাজারে বিভিন্ন ক্যাম্পে আছে। কেউ আবার বিদ্যালয়সহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থাপনায় আশ্রয় নিয়েছে।
নতুন রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে সম্প্রতি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশ চিঠির জবাব দেয়নি বলে জানান মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলের ব্যবস্থার অনুরোধ জানিয়ে ইউএনএইচসিআরের চিঠির জবাব আমরা এখনও দিইনি। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে নতুনভাবে ঘর তৈরি করে দেওয়ার মতো অবস্থায় আমরা নেই। আমরা প্রত্যাবাসনে জোর দিচ্ছি।
এদিকে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু বুড়া শিকদাপাড়া এলাকায় রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। দেশটির রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির সদস্যরা এ নিপীড়ন চালাচ্ছে। এতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্বদিকে অবস্থিত শিকদারপাড়া থেকে অনেক রোহিঙ্গা কক্সবাজারে বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত তাদের স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কেউ কেউ পালিয়ে আসছেন।
পালিয়ে আসা এমনই একজন আমির হোসেন। টেকনাফের জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া আমির জানান, তার কিছু স্বজন এখনও শিকদাপাড়ায় বসবাস করছে। শনিবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। এদিন সকালে গ্রামে ঢুকে খোলা আকাশের দিকে গুলি চালায় আরাকান আর্মি। এর পর মাইকিং করে ঘর থেকে সবাইকে বের হতে বলে। এক পর্যায়ে একটি খালি মাঠে সবাইকে জড়ো করে। এ সময় আরসাকে কারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাদের নাম প্রকাশ করতে বলা হয়। এর ব্যত্যয় হলে সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তিন মাস আগে পালিয়ে আসা আমির আরও জানান, রাখাইনের লডাইং, উচিংজং, নাকমুড়া, কুলি পাড়াসহ বেশ কিছু এলাকায় এখনও রোহিঙ্গাদের বসতি রয়েছে। সেখানে আরাকান আর্মি অনেকের ঘরে গিয়ে আরসার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে। সাধারণ রোহিঙ্গাদের দিনভর রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখছে তারা। এতে সেখানকান রোহিঙ্গারা ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে চেষ্টা করছে।
আরাকান আর্মি নতুন করে মংডুতে হামলা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মো. জুবায়ের। তিনি বলেন, আরসাকে আশ্রয় দেওয়ার বাহানা করে কাল চার গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। মূলত সেখানে এখনও থাকা রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে এ ধরনের অজুহাতে নির্যাতন চালাচ্ছে আরাকার আর্মি।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা সৈকতের মুসলিমাবাদ বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে নারী-শিশুসহ ৩৫ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র্যাব। র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ আর এম মোজাফফর হোসেন বলেন, মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে বেশ কিছু রোহিঙ্গা পতেঙ্গা ঘাট দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে– এমন তথ্য পেয়ে অভিযান চালানো হয়। পরে নারী-শিশুসহ ৩৫ জনকে আটক করা হয়। তাদের চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা ভাসানচর থেকে নাকি মিয়ানমার থেকে এসেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আটক রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রতিজন দুই হাজার টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে দালালের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করে। তাদের চট্টগ্রামে পৌঁছে দেওয়ার চুক্তি ছিল। এখান থেকে তারা কোথায় যেতে চেয়েছিল, তা স্পষ্ট নয়। তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। নাফ নদ ও স্থলপথে সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। পাশাপাশি মাদক-মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
সীমান্তে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ওপর খোঁজ রাখেন– এমন এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, গত কয়েক দিনে মিয়ানমার জান্তার বাহিনীর কাছে রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে আরাকান আর্মি। এ নিয়ে সংঘাত চলছে। আর নতুন আসা রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ বর্তমানে কক্সবাজারে ২০টি ক্যাম্পে তাদের স্বজনের ঘরে রয়েছে।
এক যুগ পর রাজধানীতে হেফাজতের বড় সমাবেশ
বাংলাদেশের খবরের প্রথত পাতায় বলা হয়েছে, নারী সংস্কার কমিশন বাতিল, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১২ দফা ঘোষণাপত্র দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের সমাবেশের পর গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাধাহীন বৃহৎ সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। ওই সমাবেশে ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন সংগঠনটির নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক। এছাড়া নতুন দুটি কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক এই বৃহৎ সংগঠনটি। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন। নতুন কর্মসূচিগুলো হচ্ছে- নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং আগামী ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে সংগঠনটি।
এদিন সকাল ৯টার দিকে চার দফা দাবিতে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়। বেলা সোয়া ১টার দিকে হেফাজতের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরীর মোনাজাতের মাধ্যমে মহাসমাবেশ শেষ হয়।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, এবার পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, কাশ্মীরের পহেলগামে ২২শ এপ্রিল এক বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে।
ভারত দাবি করছে, ওই হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত আছে, যদিও পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে। এ ঘটনার পর ভারত পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি ও ডাক সেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
২৯শে এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি সেনাবাহিনীকে 'পূর্ণ স্বাধীনতা' দিয়ে পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। এরপরই পাকিস্তান 'আবদালি' নামের স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়, যা ৪৫০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
পাকিস্তান এই পরীক্ষা সেনা প্রস্তুতির অংশ বলে জানালেও বিশ্লেষকরা একে ভারতের প্রতি বার্তা হিসেবে দেখছেন। পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ দুই পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানালেও সীমান্তে গোলাগুলি, ভিসা বাতিল, কূটনীতিক বহিষ্কারের মতো পদক্ষেপ চলছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ভারত কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে এবং পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ ও সংযত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
কাশ্মীরের মানুষ, বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন, কারণ যেকোনো সময় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। পর্যটনশিল্পে ধস নেমেছে এবং স্থানীয়রা যুদ্ধ না যাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন।
কাশ্মীরে হামলার তথ্য আগেই ছিল
সংবাদের প্রথম পাতায় বলা হয়েছিল, কাশ্মীরের পহেলগামে সাম্প্রতিক পর্যটক নিহতের ঘটনায় জানা গেছে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আগেই সম্ভাব্য হামলার সতর্কবার্তা দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ১৯শে এপ্রিলের কাশ্মীর সফর উপলক্ষে শ্রীনগর ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল, তবে আবহাওয়ার কারণে সফর বাতিল হয়। এরপর ২২শে এপ্রিল পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। যদিও গোয়েন্দারা হামলার স্থান নির্দিষ্টভাবে বলেননি।
এখন জানা গেছে, হামলাকারীরা আগে থেকেই ওই এলাকায় ছিল। এতে স্থানীয় গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। এই ঘটনার পর নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়, যার ফলে সীমান্তবর্তী মানুষ আতঙ্কে বাংকার পরিষ্কার বা নির্মাণ শুরু করেন।
বহু পরিবার ভূগর্ভস্থ বাংকারে আশ্রয় নিচ্ছেন, বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সীমান্তবর্তী এলাকায় ২০১৭, ২০১৯ ও ২০০২ সালের মতো আগেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এদিকে পর্যটন নির্ভর অনেক এলাকাতেই গোলাগুলির কারণে পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়েছে।
যদিও ২০২১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়, পহেলগামের ঘটনার পর সেটি ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে দুই দেশের সীমান্ত উত্তেজনা চরমে।
জোরালো হচ্ছে দ্রুত ভোটের দাবি
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার নয় মাস পার হলেও জাতীয় নির্বাচনের সময় এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাজ ও নির্বাচন নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানালেও সরকার এখনো সময় নির্ধারণে দ্বিধায় আছে। বিএনপি, জামায়াত, সিপিবি, বাসদসহ অনেক দল বলছে—নির্বাচন ছাড়া সংস্কার হবে না, আর দেরি হলে সংকট বাড়বে। কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচন বিলম্বিত হলে সরকারের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হবে। তবে সরকার বলছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টার মন্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। কেউ বলছেন, তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত, কেউ বলছেন, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার দাবি শুনছেন। আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে। সরকারও জানাচ্ছে, নির্বাচন তার অগ্রাধিকার।
কিন্তু সময় নিয়ে তাদের বক্তব্যে দ্বিধা স্পষ্ট। নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট করতে চায়। সব মিলিয়ে, দ্রুত নির্বাচনের দাবি এখন জোরালো হলেও সময় নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
এত নতুন দল লক্ষ্য কী?
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রবণতা বেড়েছে। গত নয় মাসে ২৪টি নতুন দল আত্মপ্রকাশ করেছে এবং ৬৫টি দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
তবে, বেশিরভাগ দলই নামমাত্র এবং তাদের কার্যকরী কমিটি বা কেন্দ্রীয় অফিস নেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব দল বিভিন্ন আর্থসামাজিক উদ্দেশ্যে বা সমাজে ব্যক্তিগত প্রভাব বাড়ানোর জন্য গঠিত হচ্ছে। অনেকেই বড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমঝোতা করে এমপি পদ পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্দেশ্য হিসেবে অনেকেই জানিয়েছেন, জনগণের সেবা করার জন্য দল গঠন করেছেন। তবে কিছু দল এখনও নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করতে পারেনি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য একটি দলকে নিবন্ধন পেতে হলে, তাদের কমপক্ষে একটি আসনে জয়ী হতে হবে, অথবা পাঁচ শতাংশ ভোট পেতে হবে, বা তাদের কেন্দ্রীয় কমিটি ও অফিস থাকতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলেন, অনেক দল রাজনৈতিক পদবি বা সুবিধা পাওয়ার জন্যও দল গঠন করছে। আবার কিছু দল বড় দলের সঙ্গে আঁতাত করে তাদের প্রতীক ব্যবহার করতে চায়। তবে, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমন, যে ছোট দলগুলোর ক্ষমতা মানুষের কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা সীমিত থাকে, যা ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তিন ইস্যু ঘিরেই সংকট
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচন, সংস্কার এবং গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদের বিচার নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তিনটি দলই জাতীয় নির্বাচন চাইলেও সময় ও পদ্ধতি নিয়ে তাদের ভিন্ন মত রয়েছে। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ও কিছু জরুরি সংস্কার চায়, জামায়াত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন এবং আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়।
এনসিপি চায় মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন। তারা গণপরিষদ নির্বাচনেরও দাবি করছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়েও মতানৈক্য রয়েছে। বিএনপি বলছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের, জামায়াতও মনে করে নিষিদ্ধ করার দায়িত্ব সরকারের।
তবে এনসিপি সরাসরি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছে। তারা জুলাই সনদে স্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। আনুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়েও দলগুলোর ভিন্নমত আছে।
বিএনপি এর বিপক্ষে, আর জামায়াত ও এনসিপি এর পক্ষে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দলগুলো অবস্থান নিচ্ছে, যা স্বাভাবিক হলেও গণতন্ত্র ও সংকট উত্তরণে ন্যূনতম ঐকমত্য জরুরি।