বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
ইসিতে নিবন্ধন পেতে তৎপর নামসর্বস্ব ৬৫ রাজনৈতিক দল

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ১১:২৬

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘করিডর’ নিয়ে চুক্তি হয়নি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মানবিক করিডর’ কিংবা অন্য কিছু নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মানবিক করিডর নিয়ে কোনো আলোচনা করিনি। আমরা মানবিক করিডর কিংবা অন্য কিছু নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে এখনো কোনো চুক্তি করিনি।’
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহায়তা পৌঁছাতে মানবিক করিডর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এ কথা জানান। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) অডিটরিয়ামে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিষয়ক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত ২৭ এপ্রিল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাখাইনে মানবিক সহায়তার বিষয়ে সরকারের ‘নীতিগত সিদ্ধান্তের’ কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর ওই বক্তব্যের সপ্তাহ না পেরোতেই সরকারের ভিন্ন অবস্থানের কথা জানালেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ইসিতে নিবন্ধন পেতে তৎপর নামসর্বস্ব ৬৫ রাজনৈতিক দল’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছে নামসর্বস্ব অনেক রাজনৈতিক দল। এসব দলের কোনোটির নেই কার্যকরী কমিটি; কোনোটি আছে শুধুই কাগজ-কলমে। আবার কোনো দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তো দূরের কথা, সাইনবোর্ড পর্যন্ত নেই। আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এখন পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে ৬৫টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে অনেক রাজনৈতিক দলই গঠিত হয়েছে গত বছর ৫ আগস্টের পর। এসব দলের অফিস ও ঠিকানা, সাংগঠনিক কার্যক্রম খুঁজে বের করা এবং নথি-সংবলিত সব ধরনের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে মাঠে নেমেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।
গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইসির কাছে আবেদন করে নিবন্ধন পায়নি ৮৭টি দল। তারাও তাদের আবেদন পুনর্মূল্যায়নের জন্য ইসিকে অনুরোধ জানিয়েছে। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫৫টি।
অন্যদিকে, নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ৪৬টি দল নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ এপ্রিল আগামী ২২ জুন পর্যন্ত দুই মাস সময় বাড়ায় ইসি।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন নিয়ে পরিকল্পনা করবে ইসি।
কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বিশ্বমানের চিকিৎসাব্যবস্থা কত দূর’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থায় আস্থার সংকট এবং রোগীদের বিদেশমুখিতা দেশের স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। এই খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে পুঁজির বিনিয়োগ যথাযথ হয়নি; বিনিয়োগ হয়েছে শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক। তাই উন্নত ও বিশেষজ্ঞ সেবা পেতে ঢাকামুখী হচ্ছেন সারা দেশের মানুষ। অবস্থাসম্পন্ন অনেকেই যাচ্ছেন দেশের বাইরে।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে চিকিৎসাসেবার চাহিদা ক্রমবর্ধমান, তবে বাড়ছে না মান। মান নিশ্চিতের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাক্রেডিটেশনের বিষয়েও বেশ অনাগ্রহ এসব প্রতিষ্ঠানের। সম্ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও শাসন, জবাবদিহি ও নৈতিক মান এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবার মান, প্রযুক্তি ও আস্থা বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি এম এ মুবিন খান বলেন, ‘দেশের করপোরেট হাসপাতালগুলো ভালো সেবা দিচ্ছে। কিন্তু এগুলো শুধুই ঢাকায়। জেলা ও বিভাগীয় শহরে যদি করপোরেট হাসপাতাল গড়ে তোলা যায় তাহলে রোগীদের বিদেশমুখিতা অনেকটাই কমে যাবে।’
মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘কেন খালেদা জিয়া বিমানের ফ্লাইটে আসছেন না’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে বুকিংও নেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীদের। বিমানের এই নিয়মিত ফ্লাইটটি লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় আসার কথা। বিমান কর্তৃপক্ষ বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের দিক চিন্তা করে ফ্লাইটটি ঢাকা হয়ে সিলেটে নামানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু বেগম জিয়া এতে সায় দেননি।
যাত্রীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে তিনি সিলেট হয়ে ঢাকায় ফেরার সিদ্ধান্ত জানান। সে হিসেবে সিলেটে দলের চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতিও নিয়েছিল স্থানীয় বিএনপি। কিন্তু শনিবার রাতে খবর আসে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে নয় কাতারের আমীরের দেয়া বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সোমবার নয়, মঙ্গলবার সকালে তিনি ঢাকা পৌঁছাবেন।
কাতারের আমীরের পাঠানো বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সে করেই খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন চিকিৎসা নিতে। ফেরার জন্য এই এয়ার এম্বুলেন্সটি পেতে বিএনপি’র পক্ষ থেকে আগে থেকেই যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সম্ভাব্য তারিখে এর শিডিউল নিয়ে জটিলতা ছিল। এ কারণেই বিমানের ফ্লাইটে ফেরার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়। তবে এই ফ্লাইটের নিরাপত্তা নিয়ে শুরু থেকেই ছিল নানা শঙ্কা। যে কারণে প্রস্তুতি নিলেও বিকল্প নিয়ে ভাবছিলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি বিমানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি চলে। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা খোঁজ নিয়ে দেখতে পান- যে ফ্লাইটে খালেদা জিয়া ঢাকা ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেই ফ্লাইটের অন্তত ২ জন কেবিন ক্রু’র বিষয়ে সংশয় রয়েছে। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে তাদের সন্দেহের মধ্যে রাখা হয়। বিষয়টি বিবেচনায় নিতে শুক্রবার রাতে কেবিন ক্রু আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম বিপনকে ফ্লাইটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
নয়া দিগন্ত প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘মিয়ানমারের সাথে প্রক্সিযুদ্ধে জড়াবে না বাংলাদেশ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ও অন্যান্য অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান বলেছেন, মানবিক করিডোরের নামে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে মিয়ানমারের সাথে কোনো প্রক্সি যুদ্ধে বাংলাদেশ জড়াবে না। এটা নিয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা নিছকই অপতথ্য ও গুজব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশটিতে নতুন করে অস্থিতিশীলতা তৈরি হোক, এমন কিছুই বাংলাদেশ করবে না। এ ব্যাপারে মিয়ানমারকে আশ্বাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন : আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ও ভবিষ্যৎ’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
‘মানবিক করিডোর’ ইস্যুতে সাম্প্রতিক বিতর্ক প্রসঙ্গে খলিলুর রহমান বলেন, এটি কোনো করিডোর নয়। আমরা শুধু মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে একটি ‘চ্যানেল’ গঠন নিয়ে আলোচনা করেছি। করিডোর আর চ্যানেল এক বিষয় নয়। মানবিক চ্যানেল বাস্তবায়িত হলে তা জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে এবং শুধু ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে ব্যবহৃত হবে।
জনকণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘গণহত্যায় জড়িতরা এখনো অধরা’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বরে ১২ বছর আগে হেফাজতে ইসলামের অবস্থান কর্মসূচিতে রাতের অন্ধকারে চালানো হয়েছিল নির্মম ও নিষ্ঠুর গণহত্যা। ২০১৩ সালের ৫ মে’র মহাসমাবেশে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির তৎকালীন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রাতের অভিযান ‘অপারেশন সিকিউর শাপলা’য় কতজন নিরীহ সাধারণ মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্রকে হত্যা করা হয় তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান এখনও পাওয়া যায়নি। তবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ থেকে একটি খসড়া তালিকা করা হয়েছে যেখানে ৯৩ জনের মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয়েছে।
৫ই মে ২০১৩ ভোর পাঁচটায় ফজরের নামাযের পরই ঢাকার প্রবেশপথগুলো দখলে নিয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। ঢাকার উত্তরে গাবতলী বাস টার্মিনাল, টঙ্গী এবং দক্ষিণে সায়দাবাদের কাছে কাঁচপুর ব্রিজসহ রাজধানীকে ঘিরে ছয়টি প্রবেশমুখেই অবরোধ তৈরি করেছিলেন হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে সারাদেশ থেকে আসা বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসার হাজার হাজার ছাত্র-শিক্ষক।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে অবরোধকারীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। হেফাজতে ইসলামের একজন নেতা দাবি করেন, অনেকটা আকস্মিকভাবেই তারা ঢাকায় প্রবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর আগে হেফাজতে ইসলামের নেতারা শাপলা চত্বরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর অনুমতির জন্য পুলিশের সাথে আলোচনা শুরু করেন। সকালে দফায় দফায় তাদের আলোচনা চলে। সকাল সাড়ে ১১টায় অনুমতি মেলার আগেই কয়েকটি মিছিল ঢুকে পড়ে ঢাকায়।
এমবি