বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
কুমিল্লা-ফরিদপুরকে বিভাগ করার পক্ষে এনসিপি

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৯:৩৬

দেশে ফিরে ভালোবাসায় সিক্ত খালেদা জিয়া
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের দেওয়া একটি বিশেষ বিমানে দুই পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিশেষ বিমান। সেখান থেকে গাড়িতে ফিরোজায় আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা দেশ ও জাতির জন্য অনেকটা খুশির খবর। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা আরও সহায়ক হবে।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবনের দিকে রওনা হন। এ সময় খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন পর্যন্ত বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। দীর্ঘদিন পর দলনেত্রীর আগমনে আবেগাপ্লুত বিএনপি নেতাকর্মীরা হাত নেড়ে, স্লোগানে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান তারা। নেতা-কর্মীদের ঢল ঠেলে তার গাড়িবহর ফিরোজায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে লেগে যায় ২ ঘণ্টা।
মৌলিক সংস্কারে এনসিপির রূপরেখা, মূল লক্ষ্য তিনটি
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে 'মৌলিক সংস্কারের' রূপরেখা তুলে ধরেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলেছে, মৌলিক সংস্কারের মূল লক্ষ্য তিনটি—ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহি ও বিকেন্দ্রীকরণ।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বর্ধিত আলোচনায় এনসিপি তাদের রূপরেখা তুলে ধরে। এনসিপি মনে করে, নির্বাচন যেকোনো সময় অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু তার আগে অবশ্যই মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে হবে। এর পাশাপাশি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিচার দৃশ্যমান পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
সংস্কার প্রশ্নের ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা করছে কমিশন। এর অংশ হিসেবে এনসিপির সঙ্গে গতকাল আবার আলোচনা করেছে কমিশন।
উদ্ভট পরিসংখ্যানের পিঠে চড়েছে দেশের অর্থনীতি
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিদ্যুতের ভোগ ও মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির মধ্যে বেশ দৃঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান। উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলে বিদ্যুতের ভোগও বাড়ে, বিশেষ করে শিল্প ও কৃষি খাতে। এর কারণ হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়লে তা শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্য প্রয়োজনীয় সেবার ক্ষেত্রে বিদ্যুতের চাহিদাকেও বাড়িয়ে দেয়।
যদিও স্বতঃসিদ্ধ এ নিয়ম বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রেই উল্টো হয়। এখানে বিদ্যুতের ভোগ কমে গেলেও উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে দেখা গেছে।
২০১৮ সালে দেশে বিদ্যুতের ভোগ ছিল দশমিক ৪৪ শতাংশ ঋণাত্মক, যদিও এ সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাত দশমিক তিন শতাংশ। অন্যদিকে বিদ্যুতের ভোগ বাড়া সত্ত্বেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার নজির রয়েছে। ২০২৪ সালে দেশে বিদ্যুতের ভোগ বেড়েছে আট দশমিক ৮১ শতাংশ। বিপরীতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি চার দশমিক দুই শতাংশে নেমে এসেছে।
অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে এ উদ্ভট চিত্র দেশের তথ্য-উপাত্তের বিশ্বাসযোগ্যতা আরো প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।
৬৫৮ কোটি টাকায় কেনা নতুন কোচ-ইঞ্জিনে ত্রুটি
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৬৫৮ কোটি টাকায় কেনা ডিজেলচালিত ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) এবং ১৪৭টি যাত্রীবাহী কোচের বেশ কয়েকটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এগুলোর ডিসপ্লে কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
তাই, ঘোষণা শুনতে পাচ্ছে না যাত্রীরা। এ কারণে ডিসপ্লে, পিআইএস, কাপলার প্রতিস্থাপনের বিকল্প নেই। এছাড়া, অকেজো পড়ে আছে তিনটি পাওয়ার কার।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র বলছে, চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (ওয়ারেন্টির মেয়াদকালে) কোরীয় ঠিকাদারের ত্রুটি মেরামত করার কথা। কিন্তু প্রকল্প দপ্তর, কোরীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি ও কোরীয় প্রতিনিধিকে জানানো হলেও কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় সমস্যা জটিল হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী যন্ত্রাংশ, রক্ষণাবেক্ষণ ও অপারেশনের জন্য সার্কিট ডায়াগ্রাম, ম্যানুয়াল, প্রোডাক্ট ব্রুশিয়ারের হার্ড কপি এবং সফট কপি সরবরাহ করা হয়নি।
তবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বলছে, রেলওয়ে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না করায় সমস্যা হয়েছে। এর আগে কিছু ত্রুটি ঠিকাদারের কাছ থেকে ঠিক করিয়ে নেওয়া হয়। ঠিকাদারকে ঢালাও দায় দেওয়া যাবে না। এখনকার সমস্যাগুলো কারিগরি কমিটির মাধ্যমে যথাযথভাবে প্রকল্প দপ্তরে এলে এবং ওয়ারেন্টির মেয়াদ থাকলে ঠিকাদারের কাছ থেকে ঠিক করিয়ে নেওয়া যাবে।
ভালোবাসার জনস্রোত, হেঁটে ফিরোজায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, প্রায় চার মাস পর গতকাল মঙ্গলবার লন্ডনে চিকিৎসা নিয়ে হাসিমুখে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। হুইলচেয়ারে করে তার বাসভবন ফিরোজা থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে বের হওয়া খালেদা জিয়া ওই বাসায় প্রবেশ করেছেন পায়ে হেঁটে।
শারীরিক ও মানসিকভাবে আগের চেয়ে চাঙ্গা খালেদা জিয়াকে ঘিরে তাই আবেগ আর উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন দলের লাখো নেতাকর্মী। সড়কে দাঁড়িয়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়াও গাড়িতে বসে হাত নেড়ে অভিবাদনের জবাব দিয়েছেন হাসিমুখে। একই গাড়িতে ছিলেন খালেদা জিয়ার দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলের পর খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের এমন ছবি বহুদিন পর দেখতে পেয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানও গতকাল ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন।
শিল্পে টানা গ্যাস সংকট উৎপাদনে ভাটা
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চাহিদার তুলনায় গ্যাস মিলছে ৪০ শতাংশ কম। কলকারখানার চাকা ঘুরছে ধুঁকে ধুঁকে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ভালুকাসহ দেশের সব শিল্পাঞ্চলেই অভিন্ন পরিস্থিতি। সবচেয়ে বিপদে পড়েছে দেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাত।
গ্যাসের অভাবে ঝুঁকিতে পড়েছে এ খাতের ৭০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ। রাতে মিললেও দিনে গ্যাস যেন দুষ্প্রাপ্য। কাজ না থাকায় অনেক কারখানার শ্রমিক দিনে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
অনেক উদ্যোক্তা সিএনজি, এলপিজি বা ডিজেল দিয়ে উৎপাদন ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। বিকল্প জ্বালানি ও অতিরিক্ত মজুরির কারণে উৎপাদন খরচ হচ্ছে দ্বিগুণ। খরচ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিছু কিছু কারখানা। গত আট মাসে শুধু নারায়ণগঞ্জেই ১৯ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে রপ্তানি আয়েও।
মার্চের চেয়ে এপ্রিলে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ১২৩ কোটি ডলার। এর পরও আমদানিকারকদের অর্ডার সময়মতো পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা।
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে ইসির আইনি জটিলতা কাটলো
ইত্তেফাকের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত আইনে বিদ্যমান জটিলতা দূর করে সংশোধনী আনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
গতকাল মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে 'জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫'-এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে বলেন— এখন অধ্যাদেশ জারি হলে সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে, সেটি তারা ইচ্ছা করলে শুরু করতে পারবে।
তিনি বলেন, "বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এই সীমানা নির্ধারণ নিজেদের ইচ্ছামতো করা হতো। এগুলো নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ আছে। এখন আমাদের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত যে আইন আছে, সেখানে একটা ব্যাখ্যাগত ভুলের কারণে এটা নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করতে পারছিল না। নির্বাচন কমিশন এই আইন প্রস্তাব করেছে।"
"এখন আমরা এই সংশোধনী করে দিয়েছি। এখন সীমানা পুনর্নির্ধারণসংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে, সেটা তারা ইচ্ছা করলে এই অধ্যাদেশ গেজেট নোটিফিকেশন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা শুরু করতে পারবে দুই-চার দিনের মধ্যে।"
কুমিল্লা-ফরিদপুরকে বিভাগ করার পক্ষে এনসিপি
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৈঠকে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার প্রশ্নে তাদের তৈরি করা একটি 'রূপরেখা' কমিশনের কাছে হস্তান্তর করেছে দলটি।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরেন।
পরে সাংবাদিকদের আখতার হোসেন বলেন, মৌলিক সংস্কার বলতে নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার নয় বা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কারের মতো বিষয়গুলো মনে করি না। বরং ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহি ও বিকেন্দ্রীকরণ — মৌলিক সংস্কারের মূল ভিত্তি।
দেশে প্রাদেশিক সরকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে নতুন বিভাগ ঘোষণা করার পক্ষে মত দিয়েছে দলটি।
- এটিআর