Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

জামায়াতের পর বিএনপির সঙ্গেও বিবাদে এনসিপি

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ০৯:৩৫

জামায়াতের পর বিএনপির সঙ্গেও বিবাদে এনসিপি

বাংলাদেশের খবর
রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ার শঙ্কা, উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এক সময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা বিএনপি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখন মুখোমুখি অবস্থানে। তাদের মধ্যে তীব্র কথার লড়াই দেশের রাজনীতিতে বাড়তি উত্তাপ ছড়াচ্ছে। 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সহযোদ্ধা হওয়া দুদলের মধ্যে এই বিরোধ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। সাধারণ মানুষ এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, এটি আসলে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। বিএনপি ঐতিহ্যগত রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে চাইছে, অন্যদিকে এনসিপি নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জায়গা করে নিতে চেষ্টা করছে।

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আইনি জটিলতার কথা উল্লেখ করে ইশরাকের শপথ নেওয়ার সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে, ইশরাক শপথ নিতে অনড় এবং বিএনপি প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগের দাবিও উঠেছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি করছে। 

নির্বাচন বনাম সংস্কার, দুই দলের ভিন্ন মত: বিএনপি যখন গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে, তখন এনসিপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচনের বিরোধিতা করা হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর, বিএনপি এবং তৎকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেশ পরিচালনায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। শুরুর দিকে তারা একাধিক প্ল্যাটফরমে একই সুরে কথা বললেও, নির্বাচনের দাবি নিয়ে বিএনপির সরব হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।

সমকাল
জামায়াতের পর বিএনপির সঙ্গেও বিবাদে এনসিপি
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, একাত্তর প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বানের পর বিএনপির সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়েছে রাজনৈতিক ঐক্যের ডাক দেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিএনপির সঙ্গে দলটির বিরোধ তৈরি হয়েছে সরকারে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা নিয়ে। 

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে এনসিপি। সর্বশেষ তা রাজপথে গড়ানোয় বিএনপির সঙ্গে বিরোধ প্রকাশ্য হয়। 

সংস্কারের আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিরোধী ছিল এনসিপি। সার্চ কমিটিতে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য দলের দেওয়া নাম থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চার কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। গত এপ্রিল থেকেই বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে এনসিপি বলছে, ইসি একটি দলের প্রতি অনুগত। তাদের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। শুরুতে জামায়াতও একই সুরে কথা বলেছিল। 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে টানা তিন দিন জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের সময় মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় সংগীত ইস্যুতে চাপের মুখে পড়ে এনসিপি। নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে আন্দোলন শেষে হতে না হতেই একাত্তর বিষয়ে জামায়াতকে অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানায় নবগঠিত দলটি। এ নিয়ে অন্তত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা পরস্পরকে আক্রমণ শুরু করে। 

বিএনপির সঙ্গে বিরোধ যে কারণে
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে ওই বছরের ৩ এপ্রিল মামলা করেন ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক। গত ২৭ মার্চ এ মামলায় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। ২৭ এপ্রিল রাতে গেজেট প্রকাশ করে ইসি। কিন্তু মেয়র হিসেবে তাঁর শপথ আটকে থাকে।  

ইশরাককে শপথ পড়াতে এক সপ্তাহ ধরে ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে আন্দোলন করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। গতকাল বুধবার থেকে টানা অবস্থান নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার কাছে। বিএনপি

শুরুতে এ আন্দোলনের সঙ্গে দূরত্ব রাখলেও গত সোমবার থেকে ইশরাককে দলীয়ভাবেই সমর্থন দিচ্ছে। গত বুধবার এনসিপি সংবাদ সম্মেলন করে ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলায় ইশরাকের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে ইসি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের আগেই গেজেট প্রকাশ করায় সাংবিধানিক এই সংস্থাকে বিএনপির অনুগত আখ্যা দিয়ে গতকাল থেকে আন্দোলনে নেমেছে এনসিপি। ইসির পুনর্গঠন ছাড়া নির্বাচন হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। সরকারের তিন উপদেষ্টাকে বিএনপি মনোনীত আখ্যা দিয়ে তাদেরও পদত্যাগ দাবি করেছেন এনসিপি নেতারা। 

এদিকে বিএনপি নেতারাও সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন। এনসিপি সম্পর্কে বিএনপির মধ্যম সারির নেতারা ‘নাবালক’, ‘অর্বাচীন’সহ নানা মন্তব্য গত কয়েক দিনে করলেও দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

কালের কণ্ঠ
অসহযোগে অচল রাজস্ব খাত
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, কড়া নাড়ছে নতুন বাজেট। প্রায় সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। আরেকটি অর্থবছরের বড় তহবিল সংগ্রহের গুরুদায়িত্ব নিতে হবে রাজস্বকর্মীদের। অথচ বাজেট ঘিরে তাঁদের মধ্যে উচ্ছ্বাস-উদ্যমের বদলে এখন ক্ষোভ আর হতাশা।

পুরো রাজস্ব খাত এখন নির্বিকার, ভূমিকাহীন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দেশজুড়ে প্রতিটি অফিস স্থবির। থমকে রয়েছে সব কার্যক্রম। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি আদায়ে একাট্টা হয়ে মাঠে। সেবা পাচ্ছেন না করদাতা, ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। জমা হচ্ছে না রাজস্ব। বন্দরে কাজের ধীরগতি। দৈনন্দিন কাজে কারো মনোযোগ নেই।

দেশের অর্থনীতির রক্তপ্রবাহ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রাজস্ব খাত বলতে গেলে প্রায় অচল। এর মধ্যে রাজস্বকর্মীদের নতুন কর্মসূচি এনবিআর বিভক্তির অধ্যাদেশ বাতিল আর সংস্থার চেয়ারম্যানের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার ‘অসহযোগ’ আন্দোলন। কয়েক দিন ধরেই এনবিআর বিভক্তি নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন সংস্থার কর্মীরা। আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস খাতের মাঠকর্মী থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়েছেন। দেশের অর্থনীতির প্রাণ এই রাজস্ব খাতের বিভক্তি নিয়ে রাতের অন্ধকারে অধ্যাদেশ জারি করার বিপক্ষে তাঁদের অবস্থান।

এই নিয়ে গত মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক হলেও তাতে কোনো সন্তোষজনক সমাধান না হওয়ায় নতুন করে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংস্থার কর্মীরা।

তাঁদের ঘোষিত ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন করে রাজস্ব খাত বলতে গেলে প্রায় অচল করে দেওয়া হয়েছে। রাজস্ব আদায় প্রায় বন্ধ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার। কারণ প্রতিদিন অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা আছে।

এটি সময়মতো আদায় করা সম্ভব না হলে চলতি বাজেট বাস্তবায়নের জন্য কাঙ্ক্ষিত তহবিল পাবে না সরকার। ফলে সরকারের দৈনন্দিন রাষ্ট্রীয় খরচ মেটানো বা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিদেশি দাতা সংস্থা বা উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে হাত পাততে হবে। আর ব্যাংকব্যবস্থা থেকেও ধার করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
রাজনৈতিক সরকারের কাছে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তর প্রয়োজন
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, যথাশীঘ্র সম্ভব একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা প্রয়োজন। সার্বিকভাবে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিভিন্ন মহল থেকে সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানকে টার্গেট করা হচ্ছে। মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার বর্তমান সরকারের নেই। বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতিতে দেশ ও জনগণের কোনোরকম ক্ষতি হোক এমন কোনো কাজ সেনাবাহিনী করবে না। কাউকে করতে দেবে না।

গতকাল ঢাকা সেনানিবাসে সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান। বিভিন্ন সূত্রে এসব জানা গেছে। সূত্র জানান, সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে নিরলসভাবে কাজ করে দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনের জন্য সেনাবাহিনীর সব সদস্যকে অভিবাদন জানান। দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ও সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বেসামরিক প্রশাসনসহ সব সংস্থা ভেঙে পড়েছে এবং পুনর্গঠিত হতে পারছে না। 

শুধু সশস্ত্র বাহিনী এখন পর্যন্ত টিকে আছে এবং দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সেনাবাহিনীর অক্লান্ত ও নিঃস্বার্থ ভূমিকা সত্ত্বেও বিভিন্ন মহল থেকে সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানকে টার্গেট করা হচ্ছে, যা হতাশাজনক। দেশিবিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে যাচ্ছে যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করতে পারে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, জাতিসংঘ কর্তৃক জুলাই-আগস্ট বিষয়ে যে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে তাতে সেনাবাহিনীর কোনো বক্তব্য নেওয়া হয়নি। 

এ বিষয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানতে পারেন, জাতিসংঘ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও বর্তমান সরকার জাতিসংঘকে সে সুযোগ দেয়নি। সংস্কারসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বা কীভাবে নিচ্ছে সে বিষয়ে দেশবাসীর পাশাপাশি তিনি এবং সেনাবাহিনী অবগত নন বলে হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, প্রথম দিন থেকেই প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে তিনি বারবার সরকারকে অনুরোধ করেছেন। তবে সরকার অনুরূপ সংস্কারের বিষয়ে সত্যিকার অর্থে সিরিয়াস নয়। তিনি বলেন, মানবিক করিডরের মতো স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার বর্তমান সরকারের নেই। শুধু একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারই যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক এরূপ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। 

তিনি আরও বলেন, করিডর বিষয়ে সরকার কী ভাবছে অথবা জাতিকে একটি প্রক্সি ওয়ারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কি না, এ বিষয়ে সরকার স্পষ্টভাবে কিছুই জানাচ্ছে না। করিডর বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘দেয়ার উইল বি নো করিডর’। একইভাবে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার এ সরকারের নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। দেশের অর্থনীতি ও শিল্পকারখানা সম্পর্কে তিনি বলেন, একের পর এক গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়েও সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশ ও জনগণের কোনোরকম ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করবে না এবং কাউকেই এমন কোনো কাজ করতে দেবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

যুগান্তর
দাবি না মানা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দাবি না মানা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করবেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। তাকে মেয়রের শপথ পড়ানো এবং দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে টানা ৬ দিন ধরে আন্দোলন করছেন সমর্থকরা। নগরভবনে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন স্থানান্তর হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যুমনার সামনে। সমর্থকদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন ইশরাক হোসেনও। 

বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে হাজারো নেতাকর্মী ইশরাকের নেতৃত্বে ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান নেন। এর ফলে হেয়ার রোড, মৎস্য ভবনের মোড়, কাকরাইল ও সার্কিট হাউজ সড়কসহ আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পুরো এলাকা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাত দেড়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছিলেন। 

গত সপ্তাহের বুধবার প্রথমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয়ে তারা আন্দোলন শুরু করেন। সেই থেকে নগর সেবা কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। এ নগর সংস্থার প্রধান কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয় ও ওয়ার্ড কার্যালয় সবই তালাবদ্ধ। নগরবাসী সেবা পাচ্ছেন না। ভেঙে পড়েছে বর্জ্য অপসারণ, মশক নিয়ন্ত্রণ, সড়কবাতি প্রজ্বালন এবং সড়ক সংস্কারসহ অন্যান্য কার্যক্রম। 

বুধবার থেকে ইশরাক সমর্থকদের আন্দোলন নগরভবন থেকে স্থানান্তর হয়ে প্রেস ক্লাব, মৎস্যভবন, কাকরাইল এবং প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। নগরীর ব্যস্ততম সড়কে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান করার কারণে সংযোগ সড়কগুলোয় তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। অন্যান্য দিনের আন্দোলন সকালে শুরু হয়ে বিকালে শেষ হলেও বুধবার সকাল থেকে সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচি সন্ধ্যায় সমাপ্ত না করে তা বিরতিহীনভাবে চালানোর ঘোষণা দেন তারা। গতকাল সন্ধ্যায় সমর্থকদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনও রাজপথে অবস্থান শুরু করেছেন। তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আগ পর্যন্ত তারা মাঠ ছাড়বেন না বলে ঘোষণা করেছেন। 

এদিকে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসাবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিটের ওপর আদেশ ঘোষণা পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার (আজ) আদেশের জন্য দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। সরেজমিন আন্দোলনস্থল ঘুরে দেখা গেছে, ইশরাক সমর্থকদের দেওয়া আলটিমেটাম বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে বাস্তবায়ন না হওয়ার পর তারা আবারও সড়কে নেমে পড়েন।

গতকাল প্রথমে তারা নগরভবনের সামনে জড়ো হন; এরপর সেখান থেকে কাকরাইল ও মৎস্যভবন এলাকা অবরোধ করেন। সকাল ১০টা থেকে হাজারও সমর্থক মিছিল নিয়ে কাকরাইল ও মৎস্যভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৬টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাদের অবরোধ চালিয়ে যেতে দেখা যায়। এতে দিনভর ওই সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় শাহবাগ, মগবাজার ও পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যে বের হওয়া হাজারো মানুষ।

আমার দেশ
এনসিপিতে টানাপোড়েন
আমার দেশের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ছাত্রদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি গতি পাচ্ছে না। যদিও দলটির বয়স মাত্র আড়াই মাস। এ সময়ের মধ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত দলের মতো তাদের রাজনৈতিক দূরদর্শী হওয়ার কথা নয়, তবুও এ দল নিয়ে অনেকেরই ছিল প্রত্যাশা। 

দলটির যেভাবে আত্মপ্রকাশ এবং বর্তমান যে তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা নিয়ে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করছেন। নেতৃত্বের মধ্যে টানাপোড়েন ও সমন্বয়হীনতার কারণে রাজনীতিতে তারা কতটা ভূমিকা রাখতে পারবে এ নিয়ে সন্দেহ-সংশয় দেখা দিয়েছে। দিয়েছে। জনগণের সামনে এনসিপির বক্তব্য কী, তাও এতদিন স্পষ্ট ছিল না। তবে সোমবার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর দলটির প্রধান নাহিদ ইসলামের পক্ষ থেকে সাতটি বিষয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। সামনে আরো অনেক বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নেতারা। 

টানা সাড়ে ১৫ বছরের শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটানো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের সমন্বয়ে গঠিত হয় এনসিপি। বিদ্যমান কাঠামো ভেঙে নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতির মাঠে নামা দলটির ২১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি মাসে বেশকিছু উইং, সেল ও একটি লিয়াজো কমিটি গঠন করা হয়েছে, আরো কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এনসিপির নেতারা বলছেন, সব কমিটির প্রায় সব নেতার বয়সই ৩০-এর কাছাকাছি। ফলে দলের ভেতরে দেখা দিয়েছে নেতৃত্বের সংঘাত। 

নানা মত ও পথ-এর, বিভিন্ন মতাদর্শ থেকে আসা তরুণদের নিয়ে গঠিত মধ্যপন্থার সেই দল এনসিপিতে স্পষ্ট হচ্ছে আদর্শগত বিভাজনও। এ ছাড়া দলটিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণেও হচ্ছে বিলম্ব। শীর্ষ নেতাদের ছাড়া বড় বড় পদে আসীনদের সেভাবে ভূমিকা রাখতে দেখা যাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত দলটি জেলা-উপজেলায় কমিটি দিতে না পারলেও তারা সব ঢাকার বড় নেতা। সাংগঠনিক কাজে ধীরগতি দেখা গেলেও সামাজিকমাধ্যমে তারা সরব। ফলে এনসিপি টানাপোড়েন এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এনসিপির কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে দলটি এগুচ্ছে। 

বণিক বার্তা
জ্বালানি তেল আমদানিতে বিপিসির সাশ্রয় হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চলতি বাজেট প্রণয়নের সময় গত বছর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ফলে এর আমদানি বাবদ বাজেটে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জন্য বেশি অর্থ বরাদ্দ রাখতে হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে এসেছে। তাই সংশোধিত বাজেটে পণ্যটির আমদানি বাবদ বরাদ্দও সে হিসেবে কমেছে। এতে চলতি অর্থবছরে জ্বালানি তেল আমদানিতে বিপিসির সাশ্রয় হবে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

বিপিসির চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট সম্প্রতি অনুমোদন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে সংস্থাটির জন্য জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ মূল বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ কমিয়ে আনা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ বিপিসির জন্য বরাদ্দ ছিল ৯৯ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮২ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা পরিশোধিত ও ১৬ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) আমদানির জন্য বরাদ্দ ছিল। সংশোধিত বাজেটে সংস্থাটির জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ বরাদ্দ কমে ৭৫ হাজার ৯৮২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ৬১ হাজার ৭২৬ কোটি ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৪ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ বিপিসির বাজেট বরাদ্দ ২৩ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা কমেছে।

জ্বালানি তেল বাবদ বরাদ্দ কমার কারণ হিসেবে বিপিসির কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতে বাজেট করার সময় বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম বেশি ছিল। ফলে সে সময় বাড়তি অর্থ বরাদ্দ রাখতে হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সংশোধিত বাজেটে এ বাবদ বরাদ্দ কমে এসেছে।

বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মুহাম্মদ মোরশেদ হোসাইন আজাদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রিমিয়াম যখন কমে তখন আনুপাতিক হারে আমদানি ব্যয়ও কমে আসে। প্রথমে প্রতি ব্যারেলে প্রিমিয়াম ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ১৭ ডলার, যা পরবর্তী সময়ে কমে ৫ দশমিক ১৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আমরা দরকষাকষির মাধ্যমে এটি কমিয়ে নিয়ে এসেছি। এতে চলতি অর্থবছরে জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ব্যয় সাশ্রয় হবে।’

অয়েল প্রাইস ডটকমের তথ্যানুসারে, গত বছরের ৪ জুলাই আরব লাইট ক্রুড অয়েলের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৮৮ দশমিক ৫০ ডলার। সর্বশেষ গতকাল এর দাম কমে ৬৬ দশমিক ৩০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে মারবান ক্রুড অয়েলের দাম গত বছরের ৪ জুলাই ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ ডলার, যা কমে গতকাল ৬৪ দশমিক ৮৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে পরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামও নিম্নমুখী।

মানবজমিন
ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত, ‘মব ভায়োলেন্স’ সহ্য করা হবে না
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আসছে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গনে অফিসার্স অ্যাড্রেসে তিনি এই কথা বলেন। ঢাকায় অবস্থানরত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা এই সভায় অংশ নেন। এছাড়া ঢাকার বাইরে থেকেও ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কর্মকর্তারা অংশ নেন। সকাল সাড়ে ১০ টায় শুরু হওয়া এই বৈঠক চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। এর মধ্যে শুরুতে আধা ঘণ্টার ভাষণে সেনবাহিনী প্রধান পুরো পরিস্থিতি অবহিত করেন। এরপর সোয়া এক ঘণ্টা সময় ধরে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। 

বৈঠকে সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান চলমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী সদস্যরা সারাদেশে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তার প্রশংসা করেন এবং বলেন, তিনি চান যত দ্রুত সম্ভব সেনাবাহিনী যাতে এই দায়িত্ব শেষ করে ব্যারাকে ফিরে যেতে পারে। বৈঠকে প্রসঙ্গক্রমে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়টি আসলে সেনাবাহিনী প্রধান এ নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন এবং জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত।

জানুয়ারির শুরুতে নতুন নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি। মানবিক করিডোরের বিষয়ে যে আলোচনা আছে অফিসারদের প্রশ্নে এই প্রসঙ্গও আসে। এ বিষয়ে সেনাপ্রধান  বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারই যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এখানে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে।

জাতীয় ঐকমত্যেরও প্রয়োজন আছে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সেনা প্রধান ইংরেজিতে এক বাক্যে বলেন, ‘দেয়ার উইল বি নো করিডোর’। দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল থেকে পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হতে পারে এমনটা উল্লেখ করে সেনাবাহিনী প্রধান সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

  • এটিআর
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর