Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

ভোট নিয়ে চাপ বাড়াল বিএনপি

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৯:৩২

ভোট নিয়ে চাপ বাড়াল বিএনপি

বাংলাদেশের খবর
অবরোধে স্থবির ঢাকা
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, নানা দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন সংগঠন বা রাজনৈতিক দল আন্দোলন-বিক্ষোভ করছে। সড়কে তীব্র যানজটের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানী। এতে মানুষের দুর্ভোগের সীমা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে রাজধানীর শাহবাগ, সাইন্সল্যাব, কাকরাইল ও মৎস্য ভবন মোড়সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে গতকাল রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।

এতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। দুর্ভোগে পড়েন শত শত কর্মব্যস্ত মানুষ। অধিকাংশ যাত্রী গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে তাদের গন্তব্যে যান। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে মৎস্য ভবন মোড় বুধবার থেকে টানা অবরোধ করে রেখেছিলেন তার অনুসারীরা। গতকাল হাইকোর্টের রায়ের পর এই ইস্যু থেকে সরে দাঁড়ান বিক্ষোভকারীরা। তবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবিতে আবারও মৎস্য ভবন মোড় থেকে যমুনা অবরোধ করেন তারা। পরে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বিকালে সড়ক ছাড়েন ইশরাক সমর্থকরা। 

অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অবরোধ করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা মূল সড়কে বসে পড়েন। অসহনীয় এই যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। গতকাল বেলা পৌনে ১১টায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবরোধ করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর এসব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়ে ঢাকা শহর। সায়েন্সল্যাব, পান্থপথ, বাংলামোটর, কাওরানবাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণির সড়কে আটকে পড়ে শত শত যান। শাহবাগ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত বন্ধ থাকায় পাশপাশের অলিগলিও স্থবির হয়ে পড়ে। অবরোধকারীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। 

আজকের পত্রিকা
ভোট নিয়ে চাপ বাড়াল বিএনপি
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বিএনপির যে দাবি তা আরও জোরালো করেছে দলটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপির প্রস্তাব ও পরামর্শ উপেক্ষিত হলে অনিবার্যভাবেই বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।

সরকারের উদ্দেশে গতকাল বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে যে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়ে সনদ তৈরি করবেন। সুতরাং এটা নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি কিংবা টানাহেঁচড়া করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে।

মূলত, করিডর ইস্যু, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে দেওয়ার চেষ্টা, সরকারের ভেতরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হয়ে চাপ সৃষ্টি, ইশরাক হোসেনকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ দিতে গড়িমসিসহ নানা অভিযোগে সরকারকে শর্তহীন সহযোগিতার অবস্থান থেকে সরে আসার বিষয়টি বিবেচনা করছেন বিএনপির নেতারা।

বণিক বার্তা
প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের কথা ভাবছেন, দাবি নাহিদ ইসলামের
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চলমান পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন, এমনটা দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বিবিসি বাংলার বরাতে এই খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও।

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে পারেন, এমন গুঞ্জন উঠলে তার সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা করতে যান নাহিদ ইসলাম। এরপর তিনি এ তথ্য জানান। তবে প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানান এনসিপি আহ্বায়ক। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও দেখা করেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা থেকে বের হয়ে নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, 'স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি... যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে এনেছিলে একটা গণ-অভ্যুত্থানের পর। দেশের পরিবর্তন, সংস্কার...। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমি তো এভাবে কাজ করতে পারব না, যদি রাজনৈতিক দলগুলো তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।'

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বণিক বার্তাকে জানিয়েছে, গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এমনকি পদত্যাগের আগে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়ার জন্য ভাষণের একটি খসড়াও করা হয়েছিল।

দেশ রূপান্তর
বাইরে দূরত্ব ভেতরে ভেতরে যোগাযোগ
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বিএনপির কৌশলগত পদক্ষেপ দৃশ্যমান। নির্বাচনি রোডম্যাপ আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে 'চাপে' রাখা হচ্ছে।

আবার ভোট নিয়ে জামায়াতের তেমন তোড়জোড় নেই। নির্বাচন তাড়াতাড়ি করার বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দৃশ্যত কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

এছাড়া, বাইরে থেকে বিএনপির সঙ্গে এনসিপির একটা 'দূরত্ব'-ও দেখা যাচ্ছে। তবে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপির নেতারা বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছেন। কী বিষয়ে এনসিপির যোগাযোগ? এ নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা বলেন, এনসিপির যোগাযোগ বজায় রাখছে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখেই। নির্বাচনের আগে ও পরে এক ধরনের সমঝোতা চায় এনসিপি।

মানবজমিন
অস্বস্তি, কোণঠাসা এনসিপি
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, কয়েকদিন ধরেই দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়েছে এনসিপি। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে তরুণ নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ নিয়ে এনসিপি ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মুখোমুখি।

বিএনপি যখন এর জন্য সরকারকে দায়ী করছে তখন এনসিপি নেমে পড়েছে সরকারের হয়ে বিএনপির বিরোধিতা করার জন্য। এ প্রেক্ষাপটে তারা নির্বাচন কমিশন ভবনও ঘেরাও করেছেন। সেখানে গিয়ে সরকারের তিন উপদেষ্টাকে বিএনপিপন্থি দাবি করে পদত্যাগ দাবি করেছেন।

গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশের পর এনসিপি নতুন ধারার রাজনীতি তো হাজির করতে পারেনি বরং পুরনো পথেই হেঁটেছে। দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। অন্যদিকে, বর্তমানে সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টাও এনসিপির হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রাজনৈতিক দলগুলোর। এমনকি প্রকাশ্যে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। যা নিয়ে স্বস্তি নেই এনসিপির মধ্যেও। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে লেখালেখি হচ্ছে এনসিপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও।

জুলাইয়ের শক্তিগুলোর সঙ্গে ঐক্য পুনরুদ্ধারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সোচ্চার হয়েছেন তারা। একই সঙ্গে আত্মসমালোচনা চলছে এনসিপির নেতাদের মধ্যেও।

সমকাল
৬২৬ জনকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাখ্যা দিল সেনাবাহিনী
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, গত ৫ অগাস্টে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষায় আশ্রয় গ্রহণকারীদের ব্যাপারে সেনাবাহিনী তার অবস্থান জানিয়েছে।

গতকাল রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভ্যুত্থানের পর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। এ অবস্থায় ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার্থে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন।

তাতে আরও বলা হয়, উদ্ভূত আকস্মিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করার চেয়ে তাদের জীবন রক্ষা করা প্রাধান্য পেয়েছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার-পরিজনসহ (স্ত্রী ও শিশু) ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।

ওই সময় শুধু মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সেনানিবাসে আশ্রয় নেয়া রাজনীতিবিদদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী (পরিবারসহ), সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সাবেক সংসদ সদস্য সায়েদুল হক সুমন, সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম (পরিবারসহ), সাবেক সংসদ সদস্য ছোট মনির।

প্রথম আলো
১০৫ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
প্রথম আলোর শেষ পাতায় বলা হয়েছে, দেশের ছয় জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ অন্তত ১০৫ জন জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে (পুশ ইন) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কুমিল্লা, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি ও ফেনী জেলায় এসব ঘটনা ঘটে। পরে এই ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে আটক করেছে বিজিবি।

এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলার জয়ধরভাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ২১ জন, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত দিয়ে ২০ জন, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মুরইছড়া সীমান্ত দিয়ে ৭ জন, ফেনীর ফুলগাজীসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৩৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। এ ছাড়া, কুমিল্লার সীমান্ত দিয়ে ১৩ জন এবং খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ পাঁচজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ।

বিজিবি জানিয়েছে, ঠেলে পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। আর প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের অধিকাংশই আগে থেকেই ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন কাজ করছিলেন। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত প্রক্রিয়া নেওয়া হবে।

  • এটিআর
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর