Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

‘এন-সার্কেল’-এ বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলছে ভারত

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০৯:২৮

‘এন-সার্কেল’-এ বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলছে ভারত

বাংলাদেশের খবর
মাথাপিছু আয়ে রেকর্ড
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৮২০ মার্কিন ডলার। এই মাথাপিছু আয় এ যাবৎকালের রেকর্ড। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য দিয়েছে। গত অর্থবছরের চেয়ে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৮২ ডলার। গত অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২৭৩৮ ডলার।

গতকাল বিবিএস ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাথাপিছু আয়, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সাময়িক হিসাব দিয়েছে। সেখানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২৭৯৩ ডলার মাথাপিছু আয় হয়েছিল। এরপর ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাথাপিছু আয় ডলারের হিসাবে বাড়েনি। মাথাপিছু আয় ব্যক্তির একক আয় নয়। দেশের অভ্যন্তরীণ আয়ের পাশাপাশি প্রবাসী আয়সহ যত আয় হয়, তা একটি দেশের মোট জাতীয় আয়।

সেই জাতীয় আয়কে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে এই হিসাব করা হয়। বিবিএসের হিসাবে দেখা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবছরের মাথাপিছু আয় কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৪৯ ডলারে। গত অর্থবছরে তা আরও কমে ২৭৩৮ ডলার হয়। মূলত ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় বিবিএসের হিসাবে মাথাপিছু আয়ের পার্থক্য হয়। চলতি অর্থবছরের বিবিএসের মাথাপিছু আয় 

নয়া দিগন্ত
‘এন-সার্কেল’-এ বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলছে ভারত
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ করতে গিয়ে অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশের চার পাশ ঘিরে ফেলছে ভারত।

এ উন্নয়ন অবকাঠামোতে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বাকি তিন দিকে সড়ক ও রেলপথ থাকছে। পশ্চিমে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের ভেতর দিয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে কালাদান প্রকল্প। বাংলাদেশের উত্তরে চিকেন নেকে ভারতের মিসাইল ও জঙ্গি বিমান মোতায়েন ছাড়াও ফেনী চিকেন নেক বিচ্ছিন্ন করে ফেলার উসকানিমূলক বার্তা ভারতীয় মিডিয়াগুলো অব্যাহতভাবে দিয়ে যাচ্ছে।

এসব দিক বিবেচনা করলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের চার পাশ ঘিরে ভারতের এ ধরনের অবকাঠামো সামরিক আগ্রাসনে ব্যবহার হতে পারে কি না সে প্রশ্নেরও গুরুত্ব রয়েছে। উল্লেখ্য, কূটনীতির প্রেক্ষাপটে, 'এন-সার্কেল' বলতে এমন একটি ধারণাগত কাঠামোকে বোঝায় যেখানে দেশ বা রাজনৈতিক নেতাদের একটি নির্দিষ্ট জাতির স্বার্থের ঘনিষ্ঠতা এবং গুরুত্বের স্তরের উপর ভিত্তি করে সমকেন্দ্রিক বৃত্তে বিভক্ত করা হয়।

প্রথম আলো
নির্বাচনের সময়সীমা জুন কেন, সন্দেহ বিএনপির
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, এত আলোচনা ও দাবির পরও জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন ডিসেম্বরের মধ্যে নয়, কেন সেটি প্রাকৃতিক বৈরী মৌসুম জুন পর্যন্ত নিতে হবে, সেটা বুঝে উঠতে পারছে না বিএনপি।

দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, এ নিয়ে সংশয়-সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। বিএনপি মনে করছে, নানাভাবে নির্বাচন বিলম্ব করার জন্য কিছু দৃশ্যপট তৈরি করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির নেতারা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সে ঘোষণা না আসায় তারা হতাশ।

এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকারের কাছে নির্বাচন বিষয়ে আমরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলাম। সেটি হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনার বিষয়ে তার প্রেস সচিবের মাধ্যমে সরকারের যে বক্তব্য পাওয়া গেছে, তাতে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনও রোডম্যাপের ঘোষণা না থাকায় বিএনপি হতাশ হয়েছে।’

আজকের পত্রিকা
দুই আতঙ্ক এক ডেরায়
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি থাকা পলাতক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলীকে গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

তার সঙ্গে একই বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদকেও। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর হাতিরঝিলে অভিযান চালিয়ে সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও গাড়িচালক শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দেড় মাস আগে কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুরে একটি তিনতলা বাড়ির নিচতলায় গোপনে বসবাস করছিলেন সুব্রত বাইন ও তার সহযোগীরা। ওই বাড়ির ওপরতলায় ছাত্রদের মেসবাড়ি।

নিচতলার ভাড়াটেদের চালচলন ছিল রহস্যজনক। প্রয়োজন ছাড়া বের হতেন না। দরজা- জানালা খোলা রাখতেন না। তবে ওপরতলায় ছাত্ররা থাকায় কারও মনে সন্দেহ জাগেনি।

বণিক বার্তা
শিক্ষায় সংস্কার স্থিতিশীলতা না এলেও রাষ্ট্রীয় ব্যয় আগের মতোই

বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশের শিক্ষা খাতের ব্যয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ আছে।বিশেষত বিগত সরকারের সময়ে পরিচালন ব্যয়ে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনকে চাঁদা দেয়া, আপ্যায়নসহ বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা, প্রকল্পের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বেশি মূল্যে কাজ নেয়া, কেনাকাটায় বাজারমূল্যের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি মূল্য দেখানোর মতো বিষয়গুলো ছিল অনেকটা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

এ ধরনের অনিয়মের জেরেই বৃদ্ধি পেত শিক্ষা খাতের মোট ব্যয়। শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ছিল, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে শিক্ষা খাতে বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে। কিন্তু অভ্যুত্থানের প্রায় নয় মাস পেরিয়ে গেলেও স্থিতিশীলতাই ফেরেনি। শিক্ষা খাতের সংস্কারে নেয়া হয়নি কোনও উল্লেখযোগ্য উদ্যোগও।

অথচ এ খাতের ব্যয় প্রায় অপরিবর্তিতই আছে। অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ১০ মাসে শিক্ষা খাতে মোট ব্যয় ছিল ৩৮ হাজার ৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৩১ হাজার ৪৩ কোটি এবং ৬ হাজার ৯৪৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা উন্নয়ন ব্যয়। অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের একই সময়ে মোট ব্যয় হয়েছে ৩৬ হাজার ৯৫০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যেখানে পরিচালন ব্যয় ছিল ৩০ হাজার ৬৭৬ কোটি এবং উন্নয়ন ব্যয় ৬ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা।

যুগান্তর
তদন্ত চলছে সাত দেশে
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বহুমুখী তদন্ত শুরু হয়েছে।

বিএফআইইউ, দ্য স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি (এসটিএআর), ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি করাপশন কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (আইএসিসিসি), যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাসেট রিকভারি (আইসিএআর) তদন্ত করছে।

তাদের তদন্তে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জে সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এক লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে শেখ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে দেশে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ আটক করা হয়েছে।

দেশ রূপান্তর
কর্মীদের রোষে ১০০ নেতা
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের ১০০ নেতাকে খুঁজছেন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরাই। তারা বলছেন, দলকে স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদী তকমা নিতে হয়েছে ওই ১০০ নেতার কারণে। কর্মী-সমর্থকরা মনে করেন, দলকে ডোবানোর কারিগর মূলত ১০০ নেতা। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের একচ্ছত্র রাজনীতিও দলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে দাঁড় করিয়েছে।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অন্তত ৩৫০ যোগাযোগমাধ্যম খুলেছেন। এর মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইমো, টেলিগ্রাম, সিগন্যালও রয়েছে। এসব যোগাযোগমাধ্যমে চিহ্নিত ওই ১০০ নেতার নামের তালিকা ভেসে বেড়াচ্ছে। এসব গ্রুপে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও যুক্ত রয়েছেন।

১০০ নেতার বিরুদ্ধে থাকার পেছনে মূলত যেসব কারণ উল্লেখ করেছেন কর্মী-সমর্থকরা। তার মধ্যে রয়েছে আর্থিক লেনদেনে দলীয় পদ বিক্রি করা, কর্মী-সমর্থকদের মূল্যায়ন না করা, টাকার বিনিময়ে বিএনপি-জামায়াতের অনুসারীদের দলে ভেড়ানো এবং ব্যবসা-বাণিজ্য-চাকরিতে সুযোগ করে দেওয়া। সম্মেলন বাদ দিয়ে প্রেস রিলিজনির্ভর কমিটি দেওয়া। বেফাঁস কথা বলা।

ইত্তেফাক
সচিবালয়ের ভেতরে-বাইরে ক্ষোভ
ইত্তেফাকের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে টানা চতুর্থ দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবারও দিনভর সচিবালয়ের ভেতরে বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

এ সময় সচিবালয়ের বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ছিল। প্রধান ফটকে বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াটও মোতায়েন ছিল। গতকাল সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এদিকে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান সংকট নিরসনে আট সদস্যের সচিব কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির প্রধান করা হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদকে। এই কমিটি বিক্ষোভরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে গতকাল বৈঠক করে। বৈঠকে আশ্বাস পেয়ে আজ বুধবার একদিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা।

অন্যদিকে 'সচিবালয় ও এনবিআরসহ প্রশাসনের সব স্তর থেকে দুর্নীতিবাজ ও 'ফ্যাসিবাদের দোসর' আমলাদের উৎখাতে ফ্যাসিবাদ উৎখাতযাত্রা' নামের একটি কর্মসূচি নিয়ে সোমবার মধ্য রাত থেকে সচিবালয়ের উলটো দিকে ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তন সংলগ্ন ফুটপাতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে জুলাই মঞ্চ ও বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলন।

সেখানে আওয়ামী লীগের চরম দোসর হিসাবে ৪৪ জন আমলার নামের তালিকা ছবিসহ প্রকাশ করে প্রদর্শন করা হয়। তাদের অপসারণে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে সংগঠন দুটি।

  • এটিআর

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর