Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

‘নগদ’ পরিচালনা নিয়ে কেন এই অস্থিরতা?

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৯:৩৪

‘নগদ’ পরিচালনা নিয়ে কেন এই অস্থিরতা?

বাংলাদেশের খবর
নির্বাচনি চাপে জাতীয় স্বার্থ
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশের শক্ত অবস্থান গড়ার যে সুযোগ ২০২৪-এর ৫ আগস্ট সৃষ্টি হয়েছিল সেই জায়গাটা সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্যের বন্ধন জুলাই গণঅভ্যুত্থান তৈরি করেছিল তা এখন দুর্বল হয়ে গেছে। এখান থেকে ফিরে আবার দেশের জন্য শক্ত অবস্থান তৈরি হওয়ার পথ দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, এর পেছনে মূল কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর আলাদা আলাদা চিন্তার বহিঃপ্রকাশ নেতাদের মন্তব্যে স্পষ্ট হচ্ছে।

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অন্য দলগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। দলগুলোর মধ্যে কাজ করছে নানা সমীকরণ। কিছু বিষয় অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রীয় নানা পক্ষকে বৈরিতার পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

দেশের বর্তমানে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ নেতাকর্মীদের বক্তব্য এখন রাজনৈতিক বিভাজনটা প্রকাশ্যে এসেছে। তবে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যের পেছনে যুক্তি এবং বাস্তবতা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

দেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা একটি জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশের সেনাবাহিনী বলছে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, অন্যদিকে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিও তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কণ্ঠে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চান। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছর জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে এমন কথাই বলছেন।

এ ধরনের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য শুধু সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে না, বরং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক আস্থাহীনতাকেও আরও বাড়িয়ে তুলছে। এ অবস্থায় বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব রাজনৈতিক দলই চায় ডিসেম্বরে নির্বাচন হোক। তারা মনে করছেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই সঠিক সময়ে বর্তমান সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে। যদি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হয় তবে দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা থাকবে না।

দেশ রূপান্তর
বিলাসহীন চমকহীন বাজেট আজ
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট আজ ঘোষণা হচ্ছে, যা হবে অনেকটাই বিলাসবিহীন ও চমকহীন। অন্তর্বর্তী সরকার একটি সংকোচনমূলক বাজেট উপস্থাপন করছে, যা স্বাধীনতার পর প্রথমবার বাজেটের আকার কমিয়ে সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে। আগের বাজেট কাঠামোর ধারাতেই এটি তৈরি। সংসদ না থাকায় বাজেট ঘোষণা করা হবে টেলিভিশন ও বেতার মাধ্যমে, এবং পরে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে কার্যকর হবে। ২০০৮ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো এবারও সংসদের বাইরে বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। বাজেটে উচ্চাভিলাষী জিডিপি ও রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

যেখানে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাত শতাংশে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে কম। ঘাটতি পূরণে ব্যাংক ঋণ, সঞ্চয়পত্র এবং বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা থাকবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট ঘোষণা করবেন এবং পরদিন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন।

প্রথম আলো
অর্থনীতির গতি মন্থর, বিনিয়োগ ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে। কোভিড বাদ দিলে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি গত ২৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন (তিন দশমিক ৯৭%)। বিনিয়োগও ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। মূল্যস্ফীতি টানা তিন বছর ধরে ১০ শতাংশের কাছাকাছি, যা ১৯৮৬ সালের পর প্রথম। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, আয় কমেছে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে।

কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে কর্মসংস্থান কমেছে, শ্রমবাজার দুর্বল। প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে, আয়বৈষম্য বেড়েছে, ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে চরম দারিদ্র্যে পড়তে পারে। অর্থনীতির কিছু সূচকে স্থিতিশীলতা এলেও সাধারণ মানুষের উপকারে আসেনি। ডলার রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে, টাকা কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে, রেমিট্যান্স বেড়েছে। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, জ্বালানিসংকট, ও ব্যাংক খাতের দুর্বলতা বিনিয়োগে বড় বাধা। সরকারি বিনিয়োগ কমেছে, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহও কম।

অর্থনীতিবিদদের মতে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যক্তি বিনিয়োগ বাড়ানোই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। নতুন বাজেট বাস্তবায়নের সময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাফল্যের ওপর।

যুগান্তর
কর অব্যাহতিতে লাগাম
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট একটি কঠিন অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যেখানে মূল্যস্ফীতি, নিম্ন প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ আস্থাহীনতা বিদ্যমান।

বাজেটের আকার সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ঘাটতি প্রায় দুই লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানো, কর অব্যাহতি সংস্করণ এবং কর কাঠামো যৌক্তিক করাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বাজেটে করপোরেট কর ও ভ্যাট হার বাড়ানো হচ্ছে, ফলে সাধারণ মানুষের ব্যয় বাড়বে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশি শিল্প বিকাশ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও শিল্প খাতে কর অবকাশ সুবিধা তুলে নেওয়া হচ্ছে।

বাড়ছে গৃহস্থালি পণ্যে ভ্যাট, অনলাইনে পণ্য বিক্রির ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স বা গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী, রেফ্রিজারেটর, সিমেন্ট শিটসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়বে। তবে কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাস করে দাম কমানো হচ্ছে, যেমন আইসক্রিম, বাস-মাইক্রোবাস, লবণ, চিনি, মাখন ও কিছু বিদেশি খাদ্যপণ্যে।

প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ ধরা হলেও তা অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ বাজেট বাস্তবভিত্তিক দাবি করা হলেও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী, যা আদায়ে ব্যর্থতা দেখা দিতে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

সমকাল
মূল্যস্ফীতি কমানো, রাজস্ব বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আজ (সোমবার) অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করছে। বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ দুটি। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন বাজেট বক্তৃতায় মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেবেন, যদিও বাস্তবায়ন কঠিন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আয়কর ও ভ্যাটে ছাড় না দিয়ে বরং কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে, যা মূল্যস্ফীতি আরও বাড়াতে পারে। সরকার ব্যয় সংকোচন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি এবং বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। তবে সানেম নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, মুদ্রানীতি, রাজস্ব নীতি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় সমন্বয় ছাড়া এটি সম্ভব নয়। একইসঙ্গে তিনি করমুক্ত আয়সীমা না বাড়ানো এবং সামাজিক সুরক্ষায় গুণগত পরিবর্তনের অভাবের সমালোচনা করেন।

রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এনবিআরের ওপর চাপ সবচেয়ে বেশি। তবে গত অর্থবছরে এনবিআর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম আদায় করেছে। এ পরিস্থিতিতে আয় বাড়াতে কর কাঠামো সংস্কার ও ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণের কিছু প্রস্তাব থাকলেও বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে। কালো টাকা সাদা করার সম্ভাব্য সুযোগ নিয়েও সমালোচনা উঠছে।

কালের কণ্ঠ
অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত রবিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ও দলীয় বাহিনী ব্যবহার করে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, সহিংসতা ও নির্যাতন চালানো হয়, যা ছিল একটি পরিকল্পিত ও পদ্ধতিগত আক্রমণ। এই মামলায় পাঁচটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হত্যার নির্দেশ, বাস্তবায়ন, উসকানি, সহায়তা ও অপরাধ প্রতিরোধে ব্যর্থতা। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিশেষভাবে অভিযোগ, তিনি গণভবন থেকে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন। মামলার শুনানিতে ৮১ জন সাক্ষী ও আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়।

আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক, তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ই জুন। আদালতের এই কার্যক্রম প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। প্রসিকিউশনের দাবি, ন্যায়বিচারের স্বার্থে এদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ আদায় করা হোক।

নয়া দিগন্ত
ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলেই নির্বাচন
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।

এই বিষয়ে পাঁচ বা ৬ই জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে ড. ইউনূসের, যেখানে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ও রোডম্যাপ তুলে ধরা হতে পারে। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করে আসছে এবং জুন পর্যন্ত সময় দিয়ে রোডম্যাপের অপেক্ষায় রয়েছে।

তারা মনে করছে, নির্বাচন বিলম্বের মাধ্যমে সরকার বিএনপিকে চাপে রাখতে এবং অন্যান্য দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে আনতে চায়। এছাড়া এনসিপির মতো নতুন রাজনৈতিক দলকে প্রস্তুতির সুযোগ দিতেও নির্বাচন পেছানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে বিএনপির অভিযোগ।

বিএনপি বলছে, সংস্কারের নামে দীর্ঘসূত্রতা ও বিভ্রান্তিকর প্রচার তাদের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তারা স্পষ্ট করেছে, যদি ঈদের আগেই নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না আসে, তবে ঈদের পর থেকে রাজপথে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। এ অবস্থায় ড. ইউনূস দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আজ ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আজকের পত্রিকা
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধনের ইঙ্গিত
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন সরকারের তিন উপদেষ্টা।

তারা জানিয়েছেন, অধ্যাদেশটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে এবং কিছু ধারা সংশোধনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কর্মচারীরা দাবি করছেন, এ অধ্যাদেশে এমন কিছু ধারা রয়েছে যার অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে এবং এটি তাঁদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে। ফলে তাঁরা অধ্যাদেশটি সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা তিনজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেন এবং বিক্ষোভ করেন। উপদেষ্টারা জানান, আইনটির ত্রুটি তাঁরা অবগত আছেন এবং এই আইন সংস্কারযোগ্য কি না, তা বিবেচনায় নেওয়া হবে। তারা আরও বলেন, এককভাবে নয়, সম্মিলিতভাবে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আলোচনা চালু রাখা হবে।

কর্মচারী নেতারা আইনটি দাসত্বে পরিণত করার পাঁয়তারা বলে উল্লেখ করেন এবং জানান, ঈদের আগে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না এলে আন্দোলন আরও জোরালো হবে। দেশের ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারীর পক্ষে তাঁরা নতুন কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন। উপদেষ্টারা আশ্বাস দেন, কর্মচারীদের উদ্বেগ বিবেচনায় নিয়ে সমাধানের পথ খোঁজা হবে।

বণিক বার্তা
কাস্টমসের কলমবিরতি ও ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কলমবিরতি ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটিতে দেশে শিল্প ও ব্যবসা খাতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ১৪ই মে থেকে শুল্কায়নসহ সব কাস্টমস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে পড়ে। এর রেশ কাটার আগেই শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা শুল্ক পরিশোধ করে পণ্য খালাস নিতে পারছেন না, ফলে গুনতে হচ্ছে চার গুণ বাড়তি ড্যামারেজ। প্রধানত গার্মেন্টস, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিক, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণসহ নানা শিল্পখাতে কাঁচামাল বন্দরে আটকে যাচ্ছে, যা উৎপাদন ব্যাহত করছে। ব্য

বসায়ীরা বলছেন, একটি ছোট অ্যাকসেসরিজও আটকে গেলে পুরো উৎপাদন লাইন বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে রফতানি আদেশ বাস্তবায়নে বিঘ্ন ঘটছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে শুধু বন্দর খোলা রাখলেই চলবে না, কাস্টমস, ব্যাংক, বন্ড কমিশনারেটের কার্যক্রমও চালু রাখতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরে ইতিমধ্যে ৪৩ হাজারের বেশি কনটেইনার জমে গেছে, যা স্বাভাবিক সীমার অনেক বেশি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি হবে। উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ৪০ লাখ ডলার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে দেশ।

মানবজমিন
বাজারে দেশীয় পশু: দাম নিয়ে হতাশ বিক্রেতারা
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে কোরবানির পশুর বাজার জমে উঠলেও বিক্রেতারা গরুর দাম নিয়ে হতাশ। ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ থাকায় এবার সম্পূর্ণভাবে দেশীয় গরুর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ১ কোটি ২৪ লাখেরও বেশি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ২০ লাখ উদ্বৃত্ত। ফলে পশুর ঘাটতির সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে খামারিরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়া ও পরিবহন সমস্যার কারণে পশু সময়মতো হাটে না পৌঁছালে বাজারে সংকট দেখা দিতে পারে। রাজধানীসহ বিভিন্ন খামারে ইতিমধ্যে বেশিরভাগ গরু বিক্রি হয়ে গেছে। দেশি গরুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি, এবং দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, ৭০ হাজার থেকে শুরু করে ২০ লাখ টাকার মধ্যে গরু বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন, এবার পশুর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় দাম খুব একটা বাড়বে না। সরকার আমদানির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় উৎপাদনেই গুরুত্ব দিচ্ছে, যাতে খামারিরা লাভবান হন এবং দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়। খামারিরা বলছেন, ভারতীয় গরু না আসায় দেশীয় গরু পালনের প্রবণতা ও উৎপাদন বেড়েছে, যা ভবিষ্যতে দেশের পশু শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

ইত্তেফাক
‘নগদ’ পরিচালনা নিয়ে কেন এই অস্থিরতা?
ইত্তেফাকের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস 'নগদ' পরিচালনা নিয়ে বর্তমানে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ডাক বিভাগের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। যদিও আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেছে, ব্যাংকটি এখনো নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায়। অপরদিকে, ডাক বিভাগ দাবি করছে, তারা ৫১ শতাংশ রাজস্ব পায়, তাই পরিচালনার অধিকারও তাদের। এ পরিস্থিতিতে ৯ কোটির বেশি গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, এবং সরকারী ভাতা বিতরণেও ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

চিঠিতে আইসিটি উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আচরণে স্বার্থের সংঘাত রয়েছে, এবং নগদের অডিটে নিরপেক্ষতা মানা হয়নি। তিনি বিকাশের বাজার দখল নিয়ে এসএমপি আরোপের পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ বিকাশ বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করছে।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নগদ কার্যত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং তাদের ই-মানি ব্যালেন্সে ৭০০ কোটিরও বেশি টাকার গরমিল পাওয়া গেছে, যা অবৈধ। তবে ডাক বিভাগ চাইছে, তারা পরিচালনা করুক আর বাংলাদেশ ব্যাংক তদারকি করুক। কেউ চায় না প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হোক। সবপক্ষ নিরপেক্ষ তদন্ত ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে 'নগদ'কে চালু রাখার পক্ষে।

  • এটিআর

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর