Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

বঙ্গবন্ধুসহ ৪ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৫৪

বঙ্গবন্ধুসহ ৪ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বাজেট কিছুটা গতানুগতিকই হয়েছে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটটি কিছুটা গতানুগতিকই হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে করি বাজেট জনবান্ধব এবং ব্যবসাবান্ধব। অনেকে বলেছেন আমরা আগের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছি। আসলে চট করে বিপ্লবী একটা বাজেট দিয়ে দেব, দারুণ একটা রাজস্ব আয় করে ফেলব, তা সম্ভব নয়।’

অর্থ উপদেষ্টা এ–ও বলেন, চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী বাজেট যেহেতু ছোট হচ্ছে, তাই এর বাস্তবায়ন খুব কঠিন হবে না।

কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘তা বিবেচনা করে দেখা হবে। বলছি না যে টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে ভালো কিছু করে ফেলেছি।’

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের পরের দিন মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন অর্থ উপদেষ্টা। এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ ছাড়া সবাই কথা বলেছেন।

সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বঙ্গবন্ধুসহ ৪ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল’
এসব নেতার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ-এমপিএ) মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে প্রকাশ করা অধ্যাদেশে এসব নেতার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

গতকাল রাত ১১টার দিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারই নন, আরও চার শ্রেণির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এর প্রথম শ্রেণিতে রয়েছেন যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন; দ্বিতীয় শ্রেণিতে যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর) অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী বা দূতসহ অন্যান্য সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন; তৃতীয় শ্রেণিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং চতুর্থ শ্রেণিতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০২২’-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ প্রবাসী সরকারের এমএনএ, এমপিএ এবং উল্লিখিত চার শ্রেণির সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন। নতুন অধ্যাদেশে তাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী করা হয়েছে। এর ফলে তাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়ে গেল।

বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে সহজ জীবনযাত্রায় জোর’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নয়, দেশের দায়িত্ব নিয়েছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতি আইসিইউ পর্যায়ে রয়েছে। এই বাস্তবতায় আগামীর বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এবারের বাজেট জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব। সীমিত সম্পদ ও অনেক চাহিদার মধ্যে এবারের বাজেট করা হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রা স্বচ্ছ, সহজ করার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে। গতকাল বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বাজেট-উত্তর এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা দেশের ক্ষমতা নেইনি, বরং দায়িত্ব নিয়েছি। সংসদ না থাকায় জাতির সামনে বাজেট পেশ করেছি এবং এ জন্য আমরা জাতির কাছে দায়বদ্ধ। আমরা এমন এক সময় বাজেট উপস্থাপন করেছি, যখন দেশের অর্থনীতি আইসিইউ পর্যায়ে রয়েছে। এই বাস্তবতায় আমরা একটি বাজেট দিয়েছি, এখন বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। অর্থনৈতিক সংস্কারও চালিয়ে যাচ্ছি। এ কাজে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'এতদিন আমরা প্রবৃদ্ধি, প্রবৃদ্ধি করি। তবে সেই প্রবৃদ্ধি সব পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। এ থেকে বেরিয়ে এসে জীবনযাত্রা যেন ভালো পর্যায়ে নেওয়া যায়। এবারের বাজেটকে কথা ফুলঝুড়ি বাদ দিয়ে বাস্তবভিত্তিক করার চেষ্টা করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক, পুঁজিবাজার, জ্বালানি খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টা করা হয়েছে।'

মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘চার বিষয়ে দলগুলোর হ্যাঁ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, নিম্নকক্ষে নারী আসন, সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিয়েছেন দলগুলো। কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার প্রথম বৈঠকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অধিকাংশ দল এসব ইস্যুতে কাছাকাছি মত দিয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মতভিন্নতা থাকলেও সেটিও সমাধানযোগ্য বলে মনে করছেন তারা।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল, আস্থাভোট ও সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন বলে একমত হয়েছে বিএনপি-জামায়াতসহ অনেক দল। এ ছাড়াও সংসদের স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দল থেকে কতোজন সভাপতি হবেন সে বিষয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয় বৈঠকে। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ দল ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমিটিতে বিরোধী দল থেকে সভাপতি করার ওপর মত দিয়েছে।

বিদ্যমান স্থায়ী কমিটিগুলো ছাড়াও স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রধানও বিরোধী দল থেকে করার প্রস্তাব উঠে আসে বৈঠকে। অন্যদিকে বিএনপি বলেছে, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ৫টি ছাড়াও আরও কয়েকটি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিরোধী দল থেকে দেয়া যেতে পারে। নিম্ন কক্ষে নারী আসন ২৫ শতাংশ করার পক্ষে বেশির ভাগ দলই মত দিয়েছে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিপক্ষে কারও মত আসেনি। 

গতকাল রাজধানীর বেইলী রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে সুনির্দিষ্ট চারটি বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

বণিক বার্তা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘পাঁচ বছরে বিদ্যুতে ভর্তুকি বেড়েছে ৫৯৩%, জ্বালানিতে ৩১১ শতাংশ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সক্ষমতা বাড়াতে দেশী-বিদেশী বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ দুই খাতে ব্যাপকভাবে অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও ভর্তুকি কমানো যায়নি। বিগত পাঁচ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে সরকার ভর্তুকি দিয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুতে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা এবং ৬৮ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে গ্যাস ও জ্বালানির অন্যান্য খাতে। ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর সময়কালে এ পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। অর্থবছর ধরে ভর্তুকির পরিমাণ বিবেচনায় নিলে দেখা যায় এ পাঁচ বছরের ব্যবধানে বিদ্যুতে ভর্তুকি বেড়েছে ৫৯৩ শতাংশ এবং জ্বালানি খাতে ৩১০ শতাংশ।

জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ভুল মহাপরিকল্পনায় একপেশেভাবে এ দুই খাতের অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এ সময় প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে। অন্যদিকে অবহেলিত ছিল জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা। যে কারণে ব্যয়বহুল জ্বালানি আমদানি করে তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি হিসেবে দিতে হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বিদ্যুতে বিপিডিবিকে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে ৮ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভর্তুকি ৩ হাজার ১৮ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেয়া হয় ২৩ হাজার কোটি টাকা, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১১ হাজার ৩৭ কোটি টাকা বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভর্তুকি দেয়া হয় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। আর ২০২৪-২৫ সংশোধিত অর্থবছরে বিপিডিবির ভর্তুকি ছিল ৬২ হাজার কোটি টাকা। বিগত পাঁচ অর্থবছরের হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিদ্যুতের ভর্তুকি পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে ৫৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা বেড়েছে। এ ভর্তুকি বৃদ্ধি বিবেচনা করলে এ সময়কালে বিদ্যুতে ভর্তুকি ৫৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘উপদেষ্টাদের বাজেট সাফাই’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  বাজেটে ব্যবসা ও জনসাধারণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। নেই সঞ্চয় বাড়িয়ে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুবিধার ইঙ্গিত। তবু অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদসহ অন্য উপদেষ্টারা প্রস্তাবিত বাজেটের পক্ষে সাফাই গাইলেন। বললেন, বাজেট জনবান্ধব, ব্যবসাবান্ধব।

তবে তিনি কিঞ্চিৎ স্বীকারও করলেন যে বাজেটকে কখনোই পুরোপুরি ব্যবসাবান্ধব করা সম্ভব নয়। এক দিকে কর কমাতে গেলে আরেক দিকে বাড়াতে হবে। তবে হুট করে রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব নয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা বাজেটে ঘোষণা দেওয়া কথার ফুলঝুরির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এত চ্যালেঞ্জের মধ্যে আমাদের প্রতি একটু সমবেদনা নিয়ে কাজ করেন, একবারেই একপেশে কিছুই হয়নি, গুণগান গাইব সেটাও আমরা চাই না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। মোট কথা আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বাজেট দিয়েছি, যা বিশ্বের অন্য দেশের কাছে যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।’ তিনি বলেন, ‘সীমিত সম্পদ ও অনেক চাহিদার মধ্যে এবারের বাজেট এনেছি।

বিদেশে থেকে সম্পদ আনা, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, পুঁজিবাদের অবস্থা, ব্যাংকের অবস্থা, আইন-শৃঙ্খলা অবস্থা সব মিলিয়ে একটা বিশৃঙ্খলা। এর ভেতরেই আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।’ তাঁর দাবি, কথার ফুলঝুড়ি ছড়িয়ে বাজেট করা হয়নি। অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। যেমন—মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক খাত, জ্বালানি খাত, রাজস্ব আদায়—এসব কিছুর মধ্যেই বাজেট দিতে হয়েছে। তার পরও প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার বাড়েনি।

যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘কালোটাকা সাদার বিধান বাতিলের ভাবনা’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত (২০২৫-২৬) বাজেটে কালোটাকা সাদা করার যে সুযোগ রাখা হয়েছে সেই বিধানটি বাতিল করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। মঙ্গলবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। 'আমরা বলছি না-কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে ভালো কিছু করে ফেলছি'-এমন মন্তব্যও করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, অনেকের বক্তব্য ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এটি ঠিক নয়। কালোটাকা পেলে বাজেট সহায়তার জন্য আইএমএফ'র কাছে যেতে হতো না। 

তিনি বলেন, টাকা পাচারকারীরা অনেক বুদ্ধিমান। তারা বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে এসব টাকা পাচার করেছে। ইতোমধ্যে ১২টি মামলায় শনাক্ত হয়েছে, আরও একটু সময় লাগবে এসব অর্থ ফেরত আনতে। প্রস্তাবিত বাজেটে কথার ফুলঝুরি নেই, এটি জনবান্ধব-ব্যবসাবান্ধব বাজেট বলে উল্লেখ করেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশ খাদের কিনারায় চলে গেছে, আর্থিক অবস্থা খুবই ভঙ্গুর, এমন ক্রান্তিকালে আমরা দেশের দায়িত্ব নিয়েছি, ক্ষমতা গ্রহণ করিনি। সংস্কার কার্যক্রম চলবে, এটি চলমান।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসা এক বাজেটে সম্ভব হবে না। এর জন্য কয়েকটি বাজেটের প্রয়োজন। আমরা শুরুটা করে যাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান অর্থ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যেহেতু কালোটাকা সাদা প্রসঙ্গে কথা উঠছে, আমরা আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে চিন্তা করতে পারি। তিনি বলেন, গত আগস্টে এ সংক্রান্ত একটি বিধান বাতিল করা হয়েছে। একটি বিধানের মেয়াদ শেষ হবে ৩০ জুন। এর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। 

এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর