Logo

নির্বাচিত

জাতীয় গাদ্দারদের খুঁজতে শুরু করেছে ইরান

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১০:১২

জাতীয় গাদ্দারদের খুঁজতে শুরু করেছে ইরান

বাংলাদেশের খবর
যৌথ ঘোষণা নিয়ে অসন্তোষ
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, গত শুক্রবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এই বৈঠকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সন্তুষ্ট হলেও জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নাখোশ।

দলগুলোর নেতারা বলছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের ভিন্নমত নেই। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এ বিষয়ে সরকারের সমঝোতায়ও তারা অসন্তুষ্ট নন। তাদের প্রশ্ন এক জায়গায়।সেটি হচ্ছে, সরকার এভাবে একটি দলের সঙ্গে নির্বাচনের বিষয়ে যৌথ ঘোষণা দিতে পারে কি না? এটা কতটা নৈতিক।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটি স্বাভাবিক মনে করে জামায়াত। তবে সরকার প্রধান হিসেবে একটি দলের সঙ্গে যৌথ প্রেস ব্রিফিং নৈতিকভাবে কিছুতেই যথার্থ নয়, এটি আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার বিষয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে মনে করে দলটি।

যুগান্তর
জাতীয় গাদ্দারদের খুঁজতে শুরু করেছে ইরান
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ইসরাইলের বিমান হামলায় খুব বেশি কাবু করতে পারেনি ইরানকে। ক্ষতি হয়েছে ইরানের মাটি থেকে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রের ‘টার্গেট কিলিং’ হামলা। বছরজুড়ে তেহরানের নাকের ডগায় বসে ভয়াবহ এই হামলার নীলনকশা করেছে মোসাদ। স্বভাবতই ইরানের কোনো নাগরিকের গোপন যোগাযোগ ছাড়া এত বড় পরিকল্পনা সফল হয়নি। ২০ সেনা কর্মকর্তাসহ ৯ পারমাণবিক বিজ্ঞানীর হত্যাকাণ্ডের পর সবকিছুর আগে দেশের অভ্যন্তরের এই বিশ্বাসঘাতকদের খুঁজতে শুরু করেছে ইরান। ইতোমধ্যেই পাঁচজন ইসরাইলি গুপ্তচরকে আটকও করেছে তেহরান। আলজাজিরা।

অভ্যন্তরীণ এই তল্লাশির মধ্যেই সামনে এলো ইরানের প্রতিবেশী এক রাষ্ট্রের বিশ্বাসঘাতকতার খবর। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী রাষ্ট্র জর্ডান। ইসরাইল-ইরান উত্তেজনার মধ্যে হঠাৎ করেই নিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। বেসামরিক বিমান চলাচলেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটি।

আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কারণ জানানো না হলেও সূত্রের বরাতে অনলাইন সংবাদমাধ্যম দ্য ক্র্যাডল জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে ইসরাইলের জন্য আসা অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণকে সহজতর করা। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনার মাঝেই দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করছে ইরান। শুক্রবার রাতের হামলা জাতীয় গাদ্দারদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে দেশটি। ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইয়াজেদে পাঁচজন ব্যক্তিকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আটককৃত ব্যক্তিরা ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং ইরানের সংবেদনশীল কৌশলগত স্থানগুলোর ছবি তুলছিল ও গোপন তথ্য সংগ্রহ করছিল।

তদন্ত সংস্থার বরাতে জানানো হয়েছে, আটককৃত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরেই ইসরাইলের হয়ে কাজ করে আসছিল এবং তাদের কার্যকলাপের সঙ্গে দেশি ও বিদেশি নেটওয়ার্কের যোগাযোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ অভিযানের সময় একটি গাড়িও জব্দ করা হয়। ইরানের অভ্যন্তরে বিদেশি গোয়েন্দা সরঞ্জাম অনুপ্রবেশের এই ঘটনা দেশটির নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন ইসরাইল সম্প্রতি ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে।

কালের কণ্ঠ
দেশজুড়ে ভোটের হাওয়া
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশজুড়ে এখন প্রধান আলোচনার বিষয় নির্বাচন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথামার্ধেই হতে যাচ্ছে—এমন খবরে জনমনে এক ধরনের স্বস্তি দেশের সর্বত্র। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ বাড়িয়েছেন। শোভাযাত্রাও হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তৎপর অনেকে। কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ভিন্ন কথা বললেও তাদের স্থানীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচারে পিছিয়ে নেই। দল থেকে, বিশেষ করে বিএনপি থেকে কারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন তা নিয়েও কৌতূহলের অন্ত নেই। ছোট দলগুলো বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট গঠনের অপেক্ষায়।

গত শুক্রবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সময় নিয়ে এক ধরনের সমঝোতার পর দেশজুড়ে নির্বাচনী তৎপরতা জোরদার হয়েছে বলে জানা গেছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি সুষুম নির্বাচন দেশবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা। ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের সরকার গঠনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের কোনো সমস্যা হবে না।

সুষুম নির্বাচন করাটাই এখন অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন কমিশনকে ওই সময়ে নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য দ্রুত একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করতে হবে। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় এসে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করার বিষয়টিতে সব রাজনৈতিক দল একমত হবে—এমন আশা করাও ঠিক নয়। বেশির ভাগ দলের সম্মতিটাই গ্রহণযোগ্য। দলগুলোর সবাই নির্বাচন চায়।

তবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল এবং নতুন একটি দল মনে করে, বেশি সময় পেলে তারা তাদের দল গুছিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু তারা যে দল গুছিয়ে নিতে পারবে সে সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। আবার কারো মতে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে সমঝোতার বিষয়টিতে বেশির ভাগ দল সমর্থন জানিয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথামার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অন্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা দরকার।

সমকাল
সরকারের বিষয়ে নমনীয় থাকবে বিএনপি
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদসহ আগের দাবিগুলোর বিষয়ে নমনীয় থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে বিএনপি। সরকারকে রাজনৈতিকভাবে চাপে রাখার জন্য দলটি এসব দাবি সামনে নিয়ে এসেছিল। লন্ডনে ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠকের পর জ্যেষ্ঠ নেতারা এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে নির্বাচনের সময় নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মতৈক্য হয়। সংস্কার ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারে অগ্রগতি হলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে একমত হন তারা।

বিএনপির একাধিক নেতা সমকালকে বলেন, এর মধ্য দিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব যেমন কমে আসবে, তেমনি জনগণও নির্বাচন নিয়ে স্বস্তি অনুভব করবে। অন্তর্বর্তী সরকারও স্বাচ্ছন্দ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ করতে পারবে।

বিএনপি সম্প্রতি যে তিন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিল, তারা হলেন– জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শেষের দু’জন অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের প্রতিনিধি। তরুণরা নতুন দল করায় এবং এ দু’জন সরকারে থাকায় সরকারের নিরপেক্ষতা থাকছে না বলে দাবি করেছিল বিএনপি।

আর করিডোরসহ একাধিক বিষয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় খলিলুর রহমানের পদত্যাগ চেয়েছিল বিএনপি। লন্ডন বৈঠকের প্রথম পর্বে ড. ইউনূসের সঙ্গে খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। হোটেল ডরচেস্টারে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান এবং বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিং করেন এই নিরাপত্তা উপদেষ্টা। বিএনপির সূত্র জানায়, এখন এই তিনজনের বিষয়ে নমনীয় থাকবে দলটি।

বিএনপি নেতাদের প্রত্যাশা, এখন নির্বাচন কমিশন (ইসি) দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার উদ্যোগ নেবে। সরকার সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে কাজ করবে। এর মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়াও এগিয়ে যাবে, দেশ নির্বাচনমুখী হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী বলেন, লন্ডন বৈঠকের পর নির্বাচন নিয়ে সবার মধ্যে স্বস্তি এসেছে। এটিকে ধরে রাখতে হবে। সবাই সবার অবস্থান থেকে করণীয় নির্ধারণ করে এগিয়ে যাবেন। সংস্কার হবে, বিচার হবে, নির্বাচনও হবে। 

মানবজমিন
ইউনূস-তারেক বৈঠক : ময়নাতদন্ত
মানবজিমেনের প্রথম পাতায় ভলা হয়েছে, দূরত্বের মূলে ছিল নির্বাচন প্রশ্নে অবিশ্বাস। দু’পক্ষের মাঝে জমে ছিল ঘন কালো মেঘ। কিছু লোক সরকার ও বিএনপি’র স্বাভাবিক সম্পর্ককে বিষিয়ে তুলছিল পরিকল্পিতভাবে। তাদের টার্গেট ঘোলা পানিতে মাছ শিকার! এ জন্য সেনা নেতৃত্বকেও পক্ষভুক্ত করার অপেচেষ্টা হয়। সব মিলে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে। যার প্রভাব পড়ে সরকারের কাজকর্মে-গতিতে। পুরো বিষয়টিকে বেশ জটিল রূপ দিতে সক্ষম হয় দুরভিসন্ধিতে মত্ত স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। কিন্তু না, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্ব অর্থাৎ দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিচক্ষণতায় যড়যন্ত্রকারীদের কূটকৌশল আপাতত ভেস্তে গেছে।

সরকারপ্রধান এবং বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলোর দাবি- এক ঘণ্টার বেশি সময় স্থায়ী হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তারেক রহমানের মধ্যকার শুক্রবারের একান্ত বৈঠকটি। তার আগে কয়েক মিনিট ছিল দু’পক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ফটোসেশন।  তাতে ক্যামেরার সামনেই তাদের আন্তরিকতাপূর্ণ বাক্য বিনিময় হয়।

আনুষ্ঠানিক বৈঠকে পারস্পরিক জানা-বোঝার সুযোগ হয়েছে জানিয়ে উভয়ের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে- ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের মধ্যকার শুক্রবারের বৈঠকের সিদ্ধান্তটি ‘হুমজিক্যাল’ ছিল না। এটি আয়োজনে অনেককে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। সেই তালিকা দীর্ঘ। সূত্র এটা নিশ্চিত করেছে যে, উভয়ের ঘনিষ্ঠ এবং কল্যাণকামী দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, সরকারের অন্তত দু’জন উপদেষ্টা এবং চূড়ান্ত বিচারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তারেক রহমানের আন্তরিকতায় দূরত্ব ঘুচিয়ে বৈঠকটির আয়োজন সম্ভব হয়েছে।

সূত্রের ভাষ্য ছিল এমন, ‘দৃশ্যত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিএনপি’র তরফে লন্ডন বৈঠকের প্রয়োজনীয় ব?্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এটা অস্বীকারের জো নেই যে, উভয় পক্ষের দূরত্ব ঘোচাতে বিশেষ করে নির্বাচন প্রশ্নে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের একজন সিনিয়র উপদেষ্টা, উভয়ের পছন্দের একজন রাষ্ট্রদূত (চুক্তিতে নিযুক্ত) একজন আন্তর্জাতিক খ?্যাতিসম্পন্ন ফটোসাংবাদিক এবং তারেক রহমানের বিশ্বস্ত সহযোগী একজন ব্যারিস্টার। তারা দিন রাত খেটেছেন। লন্ডন এবং ঢাকার টাইম জোনের ব্যবধানকে বিবেচনায় রেখে তারা উভয়ের মধ্যে বার্তার আদান-প্রদানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার কঠিন সময় পার করেছেন। তারা মিটিং আয়োজনের চেয়ে আউটকামকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। 

যদিও ঐতিহাসিক ওই বৈঠক পরবর্তী যৌথ বিবৃতি প্রচারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিএনপি’র এক সময়ের জোট সঙ্গী জামায়াতসহ অভ্যুত্থানের পক্ষের অনেক রাজনৈতিক দল। একটি বিশেষ দলের সঙ্গে রাষ্ট্রের যৌথ বিবৃতিতে বিষ্ময় প্রকাশ করে তারা বলছে- এটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য মোটেও অনুকূল নয়, বরং এটা নৈতিকতা বিরুদ্ধ। এটি একটি দলের প্রতি সরকারপ্রধানের অনুরাগের বহিঃপ্রকাশ বলেও মন্তব্য এসেছে। 

বণিক বার্তা
হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুমকি ইরানের, এলএনজি সরবরাহ সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের সংঘর্ষে নতুন করে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি। এর জেরে পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালি দিয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও জ্বালানি তেল সরবরাহে ব্যাপক ধাক্কা খাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেননা পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পথটি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা এসেছে তেহরানের পক্ষ থেকে।

যদি সত্যিই বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ এ সামুদ্রিক পথ বন্ধ করে দেয়া হয় তবে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের পাশাপাশি সারা বিশ্বের অর্থনীতির ওপরই পড়বে তীব্র নেতিবাচক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে নতুন করে বাড়িয়ে তুলতে পারে মূল্যস্ফীতি। এর আঁচ এড়াতে পারবে না বাংলাদেশও। কারণ কাতার থেকে কেবল হরমুজ প্রণালি দিয়েই এলএনজি আমদানি করতে হয়।

বিশ্বের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ হরমুজ প্রণালি। ইরানের উপকূল ঘেঁষা সরু এ চ্যানেল সংযুক্ত করেছে জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ পারস্য উপসাগর ও আরব সাগরকে। শুধু ইরানই নয়, পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন ও ইরানের জ্বালানি তেল রফতানির প্রায় পুরোটাই নির্ভর করে এ পথের ওপর। ওমান ও ইরানের মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ এ সামুদ্রিক পথ দিয়ে দৈনিক দেড় কোটি ঘনমিটারের মতো এলএনজি পরিবাহিত হয় বলে ইন্টারন্যাশনাল গ্যাস ইউনিয়নের (আইজিইউ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে এলএনজি আমদানি করে, যার সিংহভাগই আসে এ পথে।

কাতারের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১৫ বছর এবং ওমানের প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। দীর্ঘমেয়াদি এ চুক্তির আওতায় কাতার থেকেই সবচেয়ে বেশি এলএনজি আমদানি করে পেট্রোবাংলা, যা দেশে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় বড় ভূমিকা রাখছে। কাতার থেকে এলএনজি আমদানির একমাত্র পথ হরমুজ প্রণালি। প্রতি বছর এ সমুদ্রপথ ধরে অর্ধশতাধিক এলএনজিবাহী কার্গো আসছে দেশে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হরমুজ প্রণালি ইরান দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশে এলএনজি আমদানির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার বড় শঙ্কা রয়েছে। তাতে প্রভাব পড়বে গ্যাস সরবরাহে। তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে দ্রুত এ বিষয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

এলএনজি আমদানির বিষয়টি দেখভাল করে পেট্রোবাংলা। সংস্থাটির সাবসিডিয়ারি রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) তথ্য অনুযায়ী, কাতার গ্যাসের কাছ থেকে চলতি অর্থবছরে মোট ৪০ কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে এপ্রিল পর্যন্ত ৩৪ কার্গো দেশে এসেছে। সংশ্লিষ্ট কার্গো আমদানির মাধ্যমে কাতার থেকে ২ হাজার ৯৩ মিলিয়ন টন এলএনজি দেশে এসেছে। বাকি কার্গো আমদানির কার্যক্রম চলমান।

  • এটিআর

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর