বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
হাজির না হলে পলাতক দেখিয়ে হাসিনার বিচার

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১১:০৪

বাংলাদেশের খবর
পারমাণবিক হুমকিতে কাঁপছে মধ্যপ্রাচ্য
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলা, গুপ্তচরবৃত্তি এবং পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে সংঘাত এখন একটি আঞ্চলিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলায় উভয় দেশেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই অঞ্চলের দুই প্রধান প্রতিপক্ষ, এখন আর প্রক্সি বা ছুপা হামলায় সীমাবদ্ধ নেই। তারা সরাসরি একে অপরের ভূখণ্ডে মারণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, যার ফলে শুধু সামরিক স্থাপনা নয়, বেসামরিক মানুষের জীবনও বিপন্ন হচ্ছে।
সাম্প্রতিক ঘটনায় ইরানের হামলায় ২০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন, ইরান ইসরায়েলের মোসাদ গুপ্তচরদের ফাঁসি কার্যকর করেছে এবং ইসরায়েল ইরানের হামলা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে। এমনকি মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবরও পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মতো উদ্বেগজনক ঘটনা, যা পুরো বিশ্বকে এক অভূতপূর্ব সংকটের সামনে দাঁড় করিয়েছে।
প্রথম আলো
দুই পক্ষই অনড়, ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যেতে অনড় ইসরায়েল ও ইরান। আন্তর্জাতিক মহলের সংযত থাকার আহ্বান আমলে নিচ্ছে না তারা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের বিরতিহীন হামলায় ইরানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ইরানের পাল্টা জবাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়ছে ইসরায়েলও। এদিকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের আরও কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা।
গতকাল সোমবার ছিল ইরান–ইসরায়েল সংঘাতের চতুর্থ দিন। এদিন ইরানের কেরমানশাহ শহরের একটি হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলা হয়েছে ইরানের কুদস ফোর্স ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের কার্যালয় ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায়। গতকাল রাতে ইরান থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
এর আগে রোববার রাতভর ব্যাপক সংঘাতে জড়ায় ইরান–ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) গোয়েন্দাপ্রধান মোহাম্মদ কাজেমিসহ দুই কর্মকর্তা নিহত হন।
চলমান সংঘাতে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ওই হামলা শুরুর পর থেকে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের ২০ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯০ শতাংশই নারী ও শিশুসহ বেসামরিক লোকজন। আহতের সংখ্যা সহস্রাধিক। আর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হিসাবে চার দিনে ইরানের হামলায় নিহত হয়েছেন ২৪ জন ইসরায়েলি।
সংঘাতের শুরু থেকেই ইরানের সামরিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল ইসরায়েলি বাহিনীর মুখপাত্র এফি ডেফরিন বলেন, ইরানের অন্তত ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণব্যবস্থা ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, চার দিনে ইরানের এক–তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। তেহরানের আকাশে ইসরায়েলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে।
নজিরবিহীন ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ার পরও পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশই। গতকাল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, দেশের সব মানুষকে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে হাতে হাত মিলিয়ে ইসরায়েলের হামলার জবাব দিতে হবে। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনালাপের পর প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চায় না ইরান। তবে কোনো আক্রমণ হলে সমানমাত্রায় পাল্টা জবাব দেবে তেহরান। অপর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ইরানের পাল্টা হামলার মূল্য শিগগিরই দিতে হবে তেহরানের বাসিন্দাদের।
সমকাল
ফেব্রুয়ারিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সংস্কারের তাগিদ
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সংস্কারের কাজ এগিয়ে নিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সোমবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সরকারপ্রধান এ নির্দেশ দেন।
লন্ডনে গত শুক্রবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়েও কমিশনকে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সংস্কারে বিএনপির সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের চিন্তা, কথার কথা না। সংস্কার ও বিচারের অগ্রগতি সাপেক্ষে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে।’ সংস্কারের সুপারিশে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য কীভাবে হবে– এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠক সূত্র সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন সরকারপ্রধান। বহুল আলোচিত জুলাই সনদ, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সমকালকে বলেছেন, মঙ্গলবার (আজ) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ ফের শুরু হচ্ছে। কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
লন্ডন বৈঠক নিয়ে আলোচনা
গত বছরের ডিসেম্বরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এ ঘোষণায় অসন্তুষ্ট বিএনপি, নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে সোচ্চার ছিল। রোডম্যাপ না পেলে সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে কিনা– এ বিষয়ে চিন্তা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে সরকারের ওপর চাপ বাড়ায় বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো।
গত ৬ জুন প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানান, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। এ সময়সীমাকেও অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দেয় বিএনপি। সরকারের সঙ্গে দলটির বিরোধ আরও প্রকাশ্য হয়। তবে গত ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকে সরকার ও বিএনপির সমঝোতা হয় নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে। বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সংস্কার এবং বিচারের অগ্রগতি হলে আগামী বছরের রমজানের সপ্তাহখানেক আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে।
গতকাল যমুনায় লন্ডন বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানান ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা ড. ইউনূস। কমিশন সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, তারেক রহমান সরকারপ্রধানকে আশ্বস্ত করেছেন, সংস্কারে সহযোগিতা করবে বিএনপি।
মৌলিক সংস্কারে ঐকমত্য কীভাবে
বিএনপি সংস্কারে রাজি হলেও ভোটের অনুপাতে সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কমাতে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনেরও বিরোধী। এই দুই বিষয়কেই মৌলিক সংস্কার বলছে ঐকমত্য কমিশন। জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ অধিকাংশ দল মৌলিক সংস্কার চায়। সংসদ ও সরকারের ক্ষমতা কমে যাবে– এই যুক্তিতে বিএনপি এতে রাজি হচ্ছে না।
যুগান্তর
হাজির না হলে পলাতক দেখিয়ে হাসিনার বিচার
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৪ জুনের মধ্যে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। নিয়ম অনুযায়ী, এর পরের ধাপে দুই আসামি হাজির না হলে পলাতক দেখিয়ে তাদের অনুপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করা হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অভিযোগের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, মামলাটি এখন বিচারের তৃতীয় ধাপে আছে। এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পাশাপাশি পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি। এই তিন আসামির মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন গ্রেফতার আছেন। তাকে সোমবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
সোমবার পুলিশের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে দেশের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী তাদের হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর। শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বাসা ও অন্যান্য স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু গ্রেফতার করতে পারেননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, এই দুই আসামি ভারতে অবস্থান করে থাকতে পারেন। পরে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বহুল প্রচারিত একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে গত ১ জুন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। তাদের গ্রেফতার করা গেল কি না, সে বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে সেদিন ১৬ জুন দিন ধার্য করা হয়। এ মামলার আরেক আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন অভ্যুত্থানের সময় আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন। সোমবার কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
বণিক বার্তা
বর্ধিত ব্যাংক আমানতের ৮৭ শতাংশই ঋণ হিসেবে নিয়েছে সরকার
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংকগুলোয় ২০২২ সালের জুন শেষে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে তা বেড়ে ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। সে হিসাবে এ সময়ের ব্যবধানে আমানত বেড়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, আড়াই বছরে বর্ধিত এ আমানতের ৮৭ শতাংশই ঋণ হিসেবে নিয়েছে সরকার। তবে সে অর্থ উৎপাদনশীল ও জনকল্যাণমূলক খাতে তেমন অবদান রাখতে পারেনি, বরং সরকারের ঋণের বোঝা আরো বাড়িয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
সরকারের ঋণ পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল ত্রৈমাসিক ডেট বুলেটিন প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। এতে দেখা যায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ১৭১ কোটি টাকায়। এর মধ্যে স্থানীয় উৎস থেকে ১১ লাখ ৭ হাজার ৫১৩ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে সরকার। আর স্থানীয় ঋণের মধ্যে ব্যাংক থেকেই নিয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা। এর আগে ২০২২ সালের জুন শেষে ব্যাংক থেকে নেয়া সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। সে হিসাবে আড়াই বছরের ব্যবধানে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ ২ লাখ ৭০ হাজার ৯৪ কোটি টাকা বেড়েছে।
বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেয়া সরকারের ঋণের বড় অংশই আসে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে। ট্রেজারি বিল-বন্ড তথা সরকারি সিকিউরিটিজের মাধ্যমে এ ঋণ নেয়া হয়। বর্তমানে সরকারি বিলের মধ্যে রয়েছে ১৪, ৯১, ১৮২ ও ৩৬৪ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিল। আর দুই, পাঁচ, ১০, ১৫ ও ২০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেয় সরকার। অর্থ সংকটে পড়ে ২০১৯ সালে এসে সরকার বিশেষ উদ্দেশ্যে ট্রেজারি বন্ড (এসপিটিবি) নামে বন্ড ছেড়েও ঋণ নিতে শুরু করে। বিল-বন্ডের বাইরে সঞ্চয়পত্র, সঞ্চয় বন্ড ও প্রাইজ বন্ডের মাধ্যমে জনগণ থেকে সরাসরি ঋণ নেয় সরকার।
অর্থ বিভাগের তথ্যানুসারে, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে স্থানীয় উৎস থেকে নেয়া সরকারি ঋণের ৬২ শতাংশই এসেছে ব্যাংকের কাছ থেকে। এ সময় ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেয়া ঋণের মধ্যে ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে ১ লাখ ৫২ হাজার ১৭০ কোটি এবং ট্রেজারি বন্ড ও এসপিটিবির মাধ্যমে ৫ লাখ ১১ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। ২০২২ সালের জুন শেষেও ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে ৭৭ হাজার ২০ কোটি এবং ট্রেজারি বন্ড ও এসপিটিবির মাধ্যমে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ঋণ ছিল সরকারের। গত আড়াই বছরে ব্যাংক থেকে সরকারের নেয়া ঋণ যে পরিমাণ বেড়েছে তার মধ্যে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা বেড়েছে পতিত আওয়ামী সরকারের সময়ে। আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বেড়েছে ৩৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।
কালের কণ্ঠ
পাঁচ মাসে ১৫৮৭ হত্যা মামলা
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশে খুনাখুনি বেড়েই চলেছে। পুলিশ সদর দপ্তরের গত পাঁচ মাসের অপরাধসংক্রান্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে দেশের বিভিন্ন থানায় এক হাজার ৫৮৭টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে হত্যা মামলা হয়েছিল এক হাজার ২৬৫টি। এই হিসাবে গত বছরের চেয়ে এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৩২২টি বেশি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
শতকরা হিসাবে তা বেড়েছে ২০ ভাগ। তথ্য বিশ্লেষণ করে এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসের হিসাব ধরে দেখা গেছে, দিনে গড়ে ১০ জন খুন হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে হত্যা মামলা হয় ২৯৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি, মার্চে ৩১৬টি, এপ্রিলে বেড়ে হয় ৩৩৬টি এবং মে মাসে তা আরো বেড়ে হয় ৩৪১টি। এই হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে দেশে ৩১৭ জনকে হত্যা করা হয়।
অন্যদিকে দেশে গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসে হত্যা মামলা হয়েছিল এক হাজার ২৬৫টি। এর মধ্যে জানুয়ারিতে হয় ২৩১টি, ফেব্রুয়ারিতে ২৪০টি, মার্চে ২৩৯টি, এপ্রিলে ২৯৬টি এবং মে মাসে ২৫৯টি। এ হিসাবে গত বছরের একই সময়ে গড়ে মাসে হত্যার শিকার হয় ২৫১ জন করে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসের মামলায় আগের ২৫৫টি মামলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই সংখ্যা বাদ দিলেও গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসের চেয়ে এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে খুনের মামলা বেড়েছে। নিহত বেশি বিএনপির নেতাকর্মী : হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশে ৬৭ ব্যক্তি হত্যার শিকার হয়। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩২৫টি রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয় ৪৭ জন। বাকি ২০ জন এপ্রিল ও মে মাসে নিহত হয়।
বাংলাদেশ প্রতিদিনি
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধ গতকাল চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। এদিনও পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলের অন্যতম শহর তেল আবিবে ইরানের একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মার্কিন দূতাবাস প্রকম্পিত হয়েছে। ইরান চার দিনে ৩৭০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের এক তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্রসহ লঞ্চার ধ্বংস করে দেওয়া হয় এবং ইরানের আকাশসীমাও তেল আবিবের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মার্কিন বিমানবাহী রণতরি মধ্যপ্রাচ্যের দিকে রওনা হওয়ায় যুদ্ধ পূর্ণাঙ্গ এবং নতুন মাত্রায় রূপ নিতে চলেছে বলে পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ইরানও আবার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েলে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আলজাজিরা, এএফপি
এক খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত দ্রুত পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিচ্ছে। দুই দেশের হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহায়তা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস নিমিট্জ মধ্যপ্রাচ্যের দিকে রওনা হয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গতকাল সকালে ইউএসএস নিমিট্জকে নতুন গন্তব্য অভিমুখে দেখা গেছে। আগের গতিপথ অনুযায়ী চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে রণতরিটির ভিয়েতনামের দানাংয়ে থাকার কথা ছিল, শুক্রবার তাকে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হতো। এখন সে আয়োজন বাতিল হয়েছে বলে এক কূটনীতিকসহ দুই সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ইউএসএস নিমিট্জের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধজাহাজের বহর কয়েক দিন আগেও দক্ষিণ চীন সাগরে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, যাকে ‘ইন্দো-প্যাসিফিকে মার্কিন নৌবাহিনীর নিয়মিত উপস্থিতির অংশ’ বলছে মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় বহরের কমান্ডারের ওয়েবসাইট। গতকাল সকালেই একে পশ্চিমে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে অগ্রসর হতে দেখা গেছে বলে মেরিন ট্রাফিকের তথ্য জানিয়েছে। আরেক খবর অনুযায়ী, ইসরায়েলের তেল আবিব শহরে মার্কিন দূতাবাসের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি সমাজমাধ্যম এক্সে পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাস ভবনের কাছে ‘ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে’ সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে অন্য সূত্রগুলো জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণে মার্কিন দূতাবাস বিপজ্জনকভাবে প্রকম্পিত হয়েছে। এরপর দূতাবাসটি সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি বলেন, শনিবারও কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার রাতটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। সমাজমাধ্যমে পোস্টে তিনি জানান, সারা রাত তাঁকে পাঁচবার বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হয়েছে। সুরক্ষিত আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় থাকতে হয়েছে। তিনি জানান, ইরানে ইসরায়েলের হামলার দুই দিন আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিভাগ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত অনেক কর্মীকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে। যেসব কর্মী জরুরি কাজে নিযুক্ত নন তাঁদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা সম্পর্কে জানা গেছে, ইরানের পাল্টা হামলায় গতকাল অন্তত ২৪ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে আবারও তেল আবিব ও হাইফা শহরে আঘাত হেনেছে। এতে অনেক ঘরবাড়ি ও আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে। আরেক খবরে বলা হয়, রবিবার রাতে ইরানি হামলায় চার ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
মানবজমিন
ঝুঁকিতে বাংলাদেশের তেহরান মিশন
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ইরানে কর্মরত বাংলাদেশিরা মোটামুটি নিরাপদ। তবে ইসরাইলি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু তথা টার্গেটের মধ্যে পড়ে গেছে তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সারি কমপ্লেক্স। অন্তর্বর্তী সরকারের বিবেচনায় পাঠানো দূতাবাসের একটি রিপোর্ট হাতে পেয়েছে মানবজমিন। রিপোর্টে বলা হয়- বাংলাদেশ মিশন বিল্ডিংয়ের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইরানের একটি পরমাণু কেন্দ্রসহ কমপক্ষে দু’টি সংবেদশনশীল স্থাপনা রয়েছে, যাতে হামলার ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে ইসরাইল। ফলে বাংলাদেশ মিশন, আশপাশে বসবাসরত কূটনীতিক-স্টাফ এবং তাদের পরিবারের জীবন ও সম্পদ ঝুঁকিতে। তারা এক সেকেন্ডের জন্যও নিরাপদ নয়। সম্ভাব্য হামলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আতঙ্কের মধ্য দিনাতিপাতকারী ওই সব কূটনীতিক ও স্টাফদের পরিবারকে শহরের ৩০-৪০ কিলোমিটার বাইরে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই মিশনে কর্মরতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে বলে রাতে ওই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তেহরানের বাইরে উপযুক্ত নিরাপদ আবাসস্থল খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন তেহরানের বাংলাদশ মিশনের পদস্থ এক কর্মকর্তা।বাংলাদেশি পর্যটন স্থান
সেগুনবাগিচা এবং তেহরান মিশন জানিয়েছে- দেশটিতে থাকা প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশির প্রায় সকলে এখন পর্যন্ত মোটামুটি নিরাপদে রয়েছেন। কারণ তাদের প্রায় সবাই তেহরানের বাইরে চলে গেছেন। ইসরাইল তেহরানকে টার্গেট করেছে এবং স্পর্শকাতর স্থাপনাগুলোকে নিখুঁত নিশানা করা হয়েছে জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, ইসরাইল সেনাবাহিনী তেহরান খালি করার ঘোষণা দিয়েছে।
তারা বলেছে এটাকে তারা বৈরুত বানাবে। তেহরান মিশন বিল্ডিংয়ের কাছাকাছি একটি ভবনে বাংলাদেশি একজন কর্মকর্তা পরিবার নিয়ে থাকেন। মাল্টিস্টোরেজ ওই বিল্ডিংয়ে ২৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২৩টি ফ্ল্যাট এরই মধ্যে খালি হয়ে গেছে। কেবলমাত্র ওই বাংলাদেশির পরিবার এখনো রয়েছেন বলে জানান ওই বাংলাদেশি কূটনীতিক। তবে তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব তাকে পরিবারসহ শহরের বাইরে পাঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। ইরান পরিস্থিতি সরকার পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে সেগুনবাগিচা বলছে- প্রয়োজনে দূতাবাসের কার্যক্রমও অন্যত্র স্থানান্তর করার চিন্তাভাবনা চলছে।
তেহরান মিশনের পাঠানো অপর এক রিপোর্টের বরাতে সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা মানবজমিনকে বলেন- রিপোর্ট যা পাওয়া যাচ্ছে তাতে চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স মোটেও নিরাপদ নয়। ওই ভবনের এক কিলোমিটারের মধ্যে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের অবস্থান। তাছাড়া সেখানে আরও একটি সংবেদনশীল অবকাঠামো রয়েছে। যা ইসরাইলি হামলার সম্ভাব্য টার্গেট। গত ক’দিনে এসব ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, তেহরানের প্রধান দুটি আইটি সেন্টারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেন্টারটি বাংলাদেশ চ্যান্সেরির খুব কাছাকাছি অবস্থিত। ওই অবকাঠামোতেও যেকোনো সময় হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
- এটিআর