Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

অভিযোগ তুলে আপসের পথে হাঁটছে অন্তর্বর্তী সরকার

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ০৯:৩৫

অভিযোগ তুলে আপসের পথে হাঁটছে অন্তর্বর্তী সরকার

বাংলাদেশের খবর
রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি তৃতীয় কোনো দেশ
বাংলাদেশের খবেরর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কক্সবাজারে আসার আট বছর হতে চলল। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ এবং ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে বাস্তুচ্যুত হয়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বনভূমিতে আশ্রয় নেয়। আর আগে থেকে আশ্রয় নেওয়া সাড়ে তিন লাখসহ বর্তমানে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে কক্সবাজারে বসবাস করছে। কিন্তু এ বিপুল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে স্থানীয় মানুষের টানাপোড়েন কমেনি।

শরণার্থী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা সহজে কমে না। এর জন্য ধারাবাহিকভাবে সংহতি বাড়াতে কাজ করতে হয়। নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার ও মিয়ানমারের ওপর চাপ বৃদ্ধি করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে এসব বলেন তনি।

বণিক বার্তা
অভিযোগ তুলে আপসের পথে হাঁটছে অন্তর্বর্তী সরকার
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, কোনো দেশের স্বৈরাচার বা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার যখন জনগণের উপকারের কথা মাথায় না রেখে দুর্নীতি ও লুটপাটের উদ্দেশ্যে বিদেশী ঋণ নেয় তা-ই ‘অডিয়াস ডেট’ বা ‘বিতর্কিত বিদেশী ঋণ’ হিসেবে পরিচিত। এ ঋণ নেয়া হয় স্বৈরাচার বা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের অনিয়ম, দুনীতি ও লুটপাটের স্বার্থে। ‘অডিয়াস বা বিতর্কিত বিদেশী ঋণের’ তাত্ত্বিক ধারণা অনুসারে, কোনো সরকার যদি জনকল্যাণের বাইরে নিজের ক্ষমতা, দমন নীতি, দুর্নীতি ও লুটপাটের উদ্দেশ্যে ঋণ নেয়, তবে তার বোঝা জনগণের ওপর চাপানো ন্যায়সংগত নয়। আন্তর্জাতিক আইন এখনো এ ধরনের ঋণকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় না, তবে একে ‘অডিয়াস ডেট’ বিবেচনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মওকুফ বা ঋণ পুনর্গঠনের উদাহরণ রয়েছে।

গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। পতিত স্বৈরাচার সরকারের শাসনামলে এমন অনেক মেগা প্রজেক্ট নেয়া হয়েছিল যেগুলো দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষার চেয়ে উল্টো বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাড়িয়েছে। কর্ণফুলী টানেল, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প যার অন্যতম উদাহরণ। ক্ষমতায় আসার পর পর রাশিয়ার ঋণে নেয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বড় প্রকল্পগুলোর ঋণ চুক্তি পর্যালোচনার বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা চলছিল। তবে এতে সংশ্লিষ্ট দাতাদেশ ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের একধরনের টানাপড়েন দেখা দিতে পারে—এমন আশঙ্কা করা হয়। এরপর এসব প্রকল্পে ঋণ চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ মহল অনেকটা নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে। বিদেশী ঋণদাতাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতিও নেই।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনেও মেগা প্রকল্পগুলো থেকে দুর্নীতি ও লুটপাটের বিষয় উঠে আসে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রো রেল, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দেশের সাতটি মেগা প্রকল্পের কোনো কোনোটির ব্যয় প্রায় ৯০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের সাত মেগা প্রকল্পে শুরুতে যে ব্যয় ধরা হয়েছিল, চূড়ান্তভাবে তার চেয়ে ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়েছে। অর্থাৎ এসব প্রকল্পের উদ্দেশে নেয়া ঋণের বড় একটি অংশই লোপাট করা হয়েছে।

শ্বেতপত্র কমিটি-প্রধান ও সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে শুধু মেগা প্রকল্প থেকেই লুটপাট হয়েছে তা নয়, সব খাত থেকেই লুটপাট হয়েছে। মেগা প্রকল্পের লুটপাটের ব্যয় এ সরকারকে বহন করতে হচ্ছে, এক্ষেত্রে সবার আগে মধ্যমেয়াদি মূল্যায়ন করা দরকার। বিষয়টি আমরা শ্বেতপত্রে তুলে ধরেছি। আমাদের বার্ষিক কত বিলিয়ন ডলার সুদ পরিশোধে ব্যয় করতে হয় এবং কত ডলার আমাদের সক্ষমতা রয়েছে সেটিও বিবেচনা করতে হবে। শুধু যে বিগত সরকারের ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে তা নয়, বর্তমান সরকার বাজেটের জন্যও বিদেশী ঋণ নিয়েছে। সেটিও আগের ঋণের সঙ্গে যুক্ত হবে। মধ্যমেয়াদি মূল্যায়নের মাধ্যমে এটির সমাধান করতে হবে।’

কালের কণ্ঠ
টাকা পাচার চলছেই
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর প্রভাবশালীদের অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, দুবাইসহ অনেক দেশে বাড়ি-গাড়ি ও সম্পদ কিনেছেন। সাবেক এমপি-মন্ত্রী, নেতাদের অনেকে দেশের অবৈধ সম্পদ বিক্রি করে তা হুন্ডিতে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। বিদেশি বাংলাদেশি মিশন থেকে সম্পদ বিক্রির জন্য অনেকের ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ নেওয়ার হিড়িক পড়েছে।

সবশেষ তথ্য বলছে, মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও ব্যাংকের টাকার পরিমাণ ৩৩ গুণ বেড়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ১৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা এক লাফে পৌঁছেছে ৫৮৯.৫৪ মিলিয়ন ফ্রাঁতে, যার বাংলাদেশি মূল্য প্রায় আট হাজার ৯৭২ কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যখন বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে তখন সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানতের উল্লম্ফন খুবই উদ্বেগের।

তাঁদের মতে, দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্ষমতার পালাবদল, বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের সুযোগের ফলে সুইস ব্যাংকগুলোতে টাকা জমা রাখায় আবারও আগ্রহ বেড়েছে।

বিশেষ করে ব্যাংক পর্যায়ের আমানতের এতটা উল্লম্ফন বৈদেশিক বিনিয়োগ বা আমদানি-রপ্তানির নামে অর্থ পাচারের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেও মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশ থেকে অর্থপাচার না হলে সেই অর্থ কোথাও না কোথাও বিনিয়োগ হতো। কেউ টাকা বিনিয়োগ না করলেও ব্যাংকে রাখত। ব্যাংকে রাখলে ব্যাংক সেই টাকা দিয়ে ঋণ দিত।

যুগান্তর
ঢাকায় থেকেও অধরা ৩ সিইসি ও ইসি
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঢাকাতেই আছেন। প্রত্যেকেই নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। অভিযোগ আছে, তিনটি নির্বাচনে বিগত সরকারকে টানা জয় এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে এরাই মূল কারিগর। এদের সহায়তায় একের পর এক জয় পেয়েই ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠার সহযোগীই ছিলেন এই তিন নির্বাচন কমিশনের সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা। ৫ আগস্টের পর তিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কিন্তু এরপরও তারা এখন পর্যন্ত অধরা। ‘বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচন’ আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে সোমবার কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে গতকাল পর্যন্ত তিনটি নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিজ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ পর্যন্ত কোনো কমিটিও গঠন হয়নি।

‘বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচন’ তদন্তে নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো নথিপত্র চায়নি সরকারের কোনো বিভাগ বা সংস্থা। জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ মঙ্গলবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, আমার জানা মতে কেউ তদন্তের বিষয়ে কোনো নথিপত্র চায়নি। তদন্তে কোনো নথিপত্র বা তথ্য চাওয়া হলে তখন বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ‘একতরফা বিনা ভোটের’ নির্বাচন আয়োজনের অন্যতম কারিগর কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বারিধারায় তার নিজ বাসভবনে রয়েছেন। স্ট্রোক করায় তিনি গুরুতর অসুস্থ। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ‘রাতের ভোট’র অন্যতম কারিগর কেএম নূরুল হুদা উত্তরায় নিজ বাসায় আছেন। বই লিখে সময় কাটছে তার। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ‘আমি-ডামি’ ভোটের কারিগর কাজী হাবিবুল আউয়াল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিভৃতে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি বাসা থেকে খুব একটা বের হন না। তাদের সন্তানরা অবস্থান করছেন বিদেশে।

প্রথম আলো
১০ বছরে ৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ট্রেন যাওয়া-আসার জন্য পাশাপাশি দুটি রেললাইন। একটি লাইনে দাঁড়িয়ে অন্য লাইনে আসা চলন্ত ট্রেনের ভিডিও করছিলেন এক তরুণ। তিনি যেখানে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিলেন, হঠাৎ সেখান দিয়ে আরেকটি ট্রেন চলে আসে। এতে কাটা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ওই তরুণের।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ মে ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায়। নিহত তরুণের নাম ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন। খিলক্ষেতে খালার বাসায় তিনি বেড়াতে এসেছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছিল ইশতিয়াকের খালাতো ভাই মুস্তাফিজুর রহমানের সামনে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইশতিয়াক যে রেললাইনে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিলেন, হঠাৎ দেখি সেখান দিয়ে একটি ট্রেন আসছে। বারবার চিৎকার করে ডাকলেও ইশতিয়াক সেটি শুনতে পাননি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।’

অসতর্কভাবে রেললাইনে অবস্থান করে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর একটি ঘটনার উদাহরণ এটি। রেললাইনে এমন মৃত্যু প্রতিনিয়তই ঘটছে। রেলওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে অসতর্কতা ও অসচেতনভাবে রেললাইন ব্যবহারের কারণে ৯ হাজার ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত তিন বছরে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৪০ জনে, অর্থাৎ এ সময়ে প্রতিদিন গড়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

রেললাইনে কাটা পড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় কাউকে দায়ী করা হয় না। রেলওয়ে আইন-১৮৯০ অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া রেললাইন ব্যবহার অবৈধ। এ কারণে রেললাইনে মৃত্যু হলে নিহত ব্যক্তিকেই দায়ী করা হয়। রেললাইন সরকারিভাবে সাধারণ চলাচলের জন্য নয় বলে সার্বক্ষণিক ১৪৪ ধারা জারি থাকে। আইন ভঙ্গ করে রেললাইনে প্রবেশে দুর্ঘটনা ঘটলে তা ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর দায়ভার কারও ওপর বর্তায় না।

মানবজমিন
নিম্নমানের বই ছাপা, ২৫৫ কোটি টাকা লুটে ৪৬ প্রতিষ্ঠান
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, নানা চেষ্টা থাকলেও নিম্নমানের পাঠ্য বই সরবরাহকারীদের চক্র থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। চলতি শিক্ষা বছরেও অন্তত ৩৩ শতাংশ নিম্নমানের বই হাতে পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। আর বইয়ের মান কমিয়ে অন্তত ২৫৫ কোটি টাকা লোপাট করেছে ৪৬টি প্রতিষ্ঠান। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবিসহ সংশ্লিষ্টদের তদন্তে এসব অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

প্রাপ্ত হিসাবে দেখা যায়, ৪০ কোটি পাঠ্য বইয়ের মধ্যে ১৩ কোটি পাঠ্য বই নিম্নমানের। যার মাধ্যমে লোপাট করা হয়েছে ২৫৫ কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলের পুরনো সিন্ডিকেটের দখলেই রয়েছে পাঠ্য বই ছাপানোর কাজ। আগামী শিক্ষাবর্ষে এসব সংকট কাটিয়ে ওঠার কথা বলছে পাঠ্য বই ছাপানোর তদারকির দায়িত্বে থাকা এনসিটিবি। কিন্তু কতোটুকু লক্ষ্য অর্জন করা যাবে এনিয়ে রয়েছে সংশয়। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এনসিটিবি একটি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে বিনামূল্যে বই ছাপাতে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে, যা নিয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

বিগত বছরগুলোতে শেষ মুহূর্তে পাঠ্য বই ছাপানোর কাজ শুরু করার কারণে না চাইলেও অনেক বিষয়ে ছাড় দিতে হয় এনসিটিবিকে। এবার সময়মতোই ছাপানোর কাজ শুরু করেছে। উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি’র আওতায় কর্মকাণ্ড পরিচালনার। প্রায় এক থেকে দেড় মাস এগিয়ে এনে মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই আহ্বান করা হয় দরপত্র। যা পর্যাক্রমে চলবে জুলাই পর্যন্ত। অতিরিক্ত না ছাপাতে সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ করেছে এনসিটিবি। আগামী বছরের জন্য প্রায় ৩৩ কোটি পাঠ্য বই ছাপানো হবে। সঠিক চাহিদা বিশ্লেষণ করে এবার প্রায় ৭ কোটি বই কম ছাপানো হচ্ছে।

এতে অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি ছাপাতেও কম সময় লাগবে। এবার ছাপাখানাগুলোর সক্ষমতার ৮০ শতাংশ কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বেশ কিছু নতুন শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। যেমন, ছাপাখানাগুলোর থাকতে হবে অন্তত দুটি ওয়েব মেশিন, জমা দিতে হবে পেপার মিলের সঙ্গে চুক্তির কাগজ, থাকতে হবে অটো-বাইন্ডিং সক্ষমতা। এ ছাড়াও ছাপাখানায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও টয়লেট থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ সপ্তাহ পেরিয়ে গতকাল অষ্টম দিনে গড়িয়েছে। এদিনও উভয় পক্ষ একে-অপরের ওপর দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদেশি নাগরিক ও কূটনীতিকদের রাজধানী তেল আবিব ও তেহরান ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে। এদিকে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র একদিকে ইরানকে বারবার সমঝোতার প্রস্তাব পাঠানোর পাশাপাশি ওই অঞ্চলে বিপুল সামরিক প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে। সূত্র : আলজাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি, টাইমস অব ইসরায়েল, রয়টার্স ও বিবিসি।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এক সপ্তাহ ধরে চলমান হামলা-পাল্টা হামলার মাঝে ইরানের রাজধানী তেহরানের আরেকটি হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান এক বিবৃতিতে বলেন, এ নিয়ে তৃতীয় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রও নির্মমভাবে ইহুদিবাদী শত্রুদের হামলার শিকার হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তেহরান এবং অন্যান্য শহরে ১২৫ মিনিটব্যাপী বিমান অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। আইএএফের ৫০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান এ অভিযানে অংশ নিয়েছে। অভিযানে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস এবং সামরিক বাহিনীর এক কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কোথাকার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র এবং ইরানি সামরিক বাহিনীর কোন কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে তা আইডিএফ জানায়নি।

ইসরায়েলের অভিযান নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি তেহরান। তবে পাল্টা আক্রমণের কথা উল্লেখ করে তেহরান বলেছে, গতকাল ভোর থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংবাদ সূত্রগুলোর তথ্যানুযায়ী, ভোর থেকেই দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি হামলা চালাতে থাকে।তেহরানের ভাষ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত তারা কোনোরকম অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করেনি। তবে প্রয়োজনে এগুলো ব্যবহারে দ্বিধা করা হবে না।

গতকালের আক্রমণেও তারা সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এতে ইসরায়েলের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুপুরের দিকে পাওয়া এক খবরে জানা গেছে, ইরান এবার ১৭তম বারের মতো ৩৯টি নতুন মিসাইল ছুড়েছে ইসরায়েলে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র সারা দেশের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, প্রায় ৩৯টি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। এক্স পোস্টে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করে, ইরান থেকে একগুচ্ছ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। আকাশ প্রতিরক্ষা এসব হামলা ঠেকাতে সক্রিয় হয়েছে। ইরানের তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস এবং সামরিক বাহিনীর এক কমান্ডারকে হত্যার দাবি করার পর ইসরায়েলে এ হামলা চালানো হয়েছে।

কালবেলা
নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে অনৈক্য
কালবেলার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আগামী সংসদ নির্বাচনে নারীদের জন্য ১০০টি আসন সংরক্ষিত রাখার বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দল একমত পোষণ করেছে। দু-একটি দল বিপক্ষেও মতামত জানিয়েছে। তবে কোন পদ্ধতিতে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে, সেটি চূড়ান্ত হয়নি। অন্যদিকে এখনই সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটের বিপক্ষে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দল দুটির মতে—সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এখনই নির্বাচনের মাধ্যমে সেটি কঠিন; বরং সামনে আরও অনুশীলনের মাধ্যমে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আবার চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বলেছে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশন জাতীয় সংসদে নারীদের আসন বৃদ্ধি নিয়ে চাপাচাপি করছে। বরং বর্তমান নিয়মে ৩০০ আসনেই নারীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ আছে। তা ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট চায়। নারী নেত্রী শিরিন পারভীন হক মনে করেন, ১০০ আসনে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি বাস্তবায়নের চেয়ে ৩০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে আরও বিশদভাবে পর্যালোচনা করেই সব পক্ষকে একমত হতে হবে। যদিও নারী আসন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি ১০০ আসন সংরক্ষিত কোন নির্বাচনে কার্যকর হবে, সেটিও অমীমাংসিত। আগামী রোববার আবারও দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

গত মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মূলত সংস্কার প্রশ্নে অমীমাংসিত বিষয়ে দলগুলোর মতামত নিয়েছে কমিশন। প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে দলগুলো একমত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। গত মঙ্গলবার সকালে প্রথম দিনের বৈঠকে পূর্বেকার অসমাপ্ত আলোচনা সমাপ্তিকরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচ্যসূচির মধ্যে ছিল সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন, নারী প্রতিনিধিত্ব, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া।

ওই বৈঠক শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে ১০০ নারী সদস্যের সংরক্ষিত আসনের ব্যাপারে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একমত পোষণ করেছে। নারী আসন নিয়ে দু-একটি রাজনৈতিক দল বাদে কারও কোনো দ্বিমত নেই। তবে কোন পদ্ধতিতে সংরক্ষিত আসনে নারীরা সংসদে আসবেন, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, নারী আসনের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা শেষে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

বর্তমানে জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন আছে ৫০টি। তবে এই আসনগুলোতে সরাসরি নির্বাচন হয় না। সংসদ নির্বাচনে অর্জিত আসন সংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সংখ্যক নারী প্রার্থীকে আসন প্রদান করে রাজনৈতিক দলগুলো। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের দাবি ওঠে সর্বত্র। এর পরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠন করেন। এরই মধ্যে অধিকাংশ কমিশন তাদের প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দিয়েছে। সেই আলোকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা সংলাপ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দলগুলো এরই মধ্যে বেশিরভাগ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। দু-একটি দল কিছু বিষয়ে দ্বিমতও পোষণ করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এপ্রিলে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৩০০ করার প্রস্তাব করেছিল, যেখানে সব আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করার কথা বলা হয়েছে। তা ছাড়া সংসদের এক-চতুর্থাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা এবং এসব আসনে সরাসরি নির্বাচনের সুপারিশ করেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। পাশাপাশি কমিশন সংসদের আসন সংখ্যা ১০০ বাড়িয়ে ৪০০-তে উন্নীত করার সুপারিশও করা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুপারিশগুলো উত্থাপন করেন কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সংরক্ষিত নারী আসনের ক্ষেত্রে জনসমর্থনের বদলে নিজের রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুকূল্যের ওপর একজন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ভর করে। যে কারণে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরা প্রকৃত ক্ষমতায়ন থেকে বঞ্চিত হন এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব প্রতীকী হিসেবেই সীমাবদ্ধ থাকে। ফলে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, এসব সংরক্ষিত আসনের জন্য নারী প্রার্থীদের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ৪০০ আসনের মধ্যে নারীদের জন্য নির্ধারিত ১০০ আসনে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিধান করারও সুপারিশ করেছে কমিশন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও নারীদের জন্য আসন সংরক্ষিত রাখার এবং সেখানেও ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্বাচনের সুপারিশ করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নারী আসনের সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করার বিষয়ে সবার ঐকমত্য হয়েছে। বিদ্যমান মনোনয়ন পদ্ধতিতে আমরা নারী আসনের বিষয়টি বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছি। এ ছাড়া অন্যান্য দল নির্বাচন ও ৩০০ আসনে দলীয় মনোনয়নের কথা বলেছে। তিনি বলেন, আমাদের ৩১ দফায় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ছিলই। নারী আসন সংখ্যা হবে ১০০। বেশিরভাগ দল এ বিষয়ে একমত। এর নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। পাওয়ার অ্যান্ড ফাংশন নিয়েও আলোচনা চলমান রয়েছে।

  • এটিআর

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর