বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
ভয়াবহ যুদ্ধের মুখে মধ্যপ্রাচ্য

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১০:১০

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে না’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট ও ভবনে বিনিয়োগ করে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখেনি অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) জন্য বাজেট ঘোষণার সময় এ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে বাজেট চূড়ান্ত করার সময় সুযোগটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গতকাল রোববার সকালে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বাজেটে সম্পত্তি হস্তান্তরের করহার কমানো, সরকারি চাকরিজীবী ও অবসরভোগীদের জন্য বিশেষ সুবিধা সামান্য বাড়ানো এবং কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক–কর কমানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে।
বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট; চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট; নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং নির্দিষ্টকরণ অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুমোদিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর গতকাল বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব অনুমোদন ও পরিবর্তনের কথা জানান। এ সময় আরও কথা বলেন অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘যুদ্ধের গতিপথ পাল্টে যাচ্ছে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবশেষে ইরানে হামলা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতে সরাসরি নিজেকে জড়াল যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার মধ্যরাতে বোমা ফেলে দেশটির তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের ঘোষণা দেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেহরান দ্রুত শান্তির পথে না এলে আরও হামলা চালানো হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। এ হামলার মাধ্যমে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে ‘চিরস্থায়ী পরিণতি’ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। এরই মধ্যে গতকাল রোববার বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। তবে ইরান মার্কিন নৌবহর কিংবা সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করবে কিনা, তা নিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর বিশ্লেষণ অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মাটি থেকে ইরানে হামলা করায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় আছে তেহরান। কারণ, তাদের যে কোনো পাল্টা পদক্ষেপের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। বিশেষ করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা চালাতে পারে, যা ইরানের জন্য আরও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এ অবস্থায় দেশটি প্রতিক্রিয়া জানাতে কিছুটা সময় নিতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। এ সময়ে তারা তাদের অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিতে চায়। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গতকালই রাশিয়ায় গেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। আজ সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে দলগুলোর ভিন্নমত’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুইবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুইবারের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে। এ অবস্থায় জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার এখানে কিছু কিছু দল একবারে নিজেদের অবস্থানো অনড়র নুরুল হক নুর রাজনৈতিক দলগুলোকে আরেকটু ছাড়ের জায়গায় আসার আহ্বান আলী রীয়াজের অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দুদিন বিরতির পর গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার প্রথমার্ধে এই প্রস্তাব উত্থাপিত হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'গণতান্ত্রিক প্র্যাকটিস বন্ধ করা ঠিক হবে না। আলাদা আলাদা আলোচনা করে সমাধানে আসা কঠিন। আমরা তো সংস্কার প্রধানমন্ত্রীর বার ও মেয়াদ নিয়ে একটি সমস্যার জায়গা তৈরি হয়েছে -জোনায়েদ সাকি চাই। তবে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রের কোনো একটি বিভাগকে দুর্বল করে ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে না। একজন স্বৈরাচার হয়েছিল সেটি চিন্তা করে সংস্কার করে হাত-পা বেঁধে দেওয়া হলে সেটি ঠিক হবে না। দুই মেয়াদ হোক বা ৫ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হোক বরং প্রধানমন্ত্রী কত বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন সেটা আলোচনা করা যেতে পারে।'
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, পারস্পরিক আলোচনা করে তিনটি দল ছাড়া আমরা সবাই একমতে এসেছি, বার বা টার্মের হিসাব বাদ দিয়ে একজন ব্যক্তি তার হোল লাইফটাইমে দশ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, এর বেশি নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এই মত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। পৃথিবীর অনেক দেশে এ ধরনের বিধানের উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দুনিয়ার অনেক দেশে এমন নজির আছে।
কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ইরানে যুদ্ধে জড়াল যুক্তরাষ্ট্র’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ভোররাতের সময়টুকু গড়াতে গড়াতে সোজা ইতিহাসে ঢুকে গেল। যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরীয় যুদ্ধে জড়াবে কি না সেটা খোলাসা করতে স্বঘোষিত ‘শান্তির দূত’ ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘দুই সপ্তাহ’ সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ‘দুই সপ্তাহ’ যে মাত্র ‘দুই দিন’-এর সমান, এটা এই গ্রহবাসী এরই মধ্যে জেনে গেছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ট্রাম্প যেদিন ‘দুই সপ্তাহের’ সময় চেয়ে নিয়েছিলেন, সেদিনই যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমানগুলো দেশটির মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড়াল দিয়ে ফেলেছে এবং টানা প্রায় ৩৮ ঘণ্টা উড়ে গিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
উল্লেখ্য, মার্কিন বিমানবাহিনী এই প্রথম কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বাংকারবিধ্বংসী বোমা জিবিইউ-৫৭ ব্যবহার করল। এই হামলার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। গতকাল রবিবার দেশটির পার্লামেন্টে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে, হরমুজ প্রণালি বন্ধের বিষয়ে ইরানের পার্লামেন্ট প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে।
বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালি দিয়েই পরিবহন করা হয়। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ বন্ধের সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয়।
মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘যুদ্ধে জড়ালো যুক্তরাষ্ট্র’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোরের আলো তখনো ঠিকমতো ফোটেনি। অনেক মানুষ গভীর ঘুমে। ঠিক এমন সময় বিকট শব্দ। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী তেহরান, কোম নগরী আর ইস্ফাহান। তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় থর থর করে কেঁপে ওঠে চারদিক। সঙ্গে সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য তো অবশ্যই, তার বাইরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এক হিম শিহরণ। এক অজানা আতঙ্ক গ্রাস করে সবাইকে। অপারেশন মিডনাইট হ্যামার নামের হামলার মধ্যদিয়ে ইরান যুদ্ধে ইসরাইলের সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে পড়লো যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলায় ইরান আক্রান্ত হলেও সেই ইরানকেই পাল্টা জবাব দেয়ার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বৃটেন।
প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার বলেছেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেয়া হবে না। তাদেরকে সংযত থেকে কূটনৈতিক ব্যবস্থায় সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান দমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত একাধিক দেশ। একই সঙ্গে রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা লিওনিদ স্লুটস্কি বলেছেন, সহিংসতার পরিণতি এ অঞ্চলের বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। দেখা দিতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এ অবস্থায় আজ সোমবার রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে পাল্টে যাচ্ছে। ফলে যেকোনো একটি ছোট্ট ভুলের কারণে মধ্যপ্রাচ্য জ্বলে ছারখার হয়ে যেতে পারে। বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে উদ্বেগ, সতর্কতা দিলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া মিশ্র। তারা অবস্থান পরিষ্কার করছে না।
বণিক বার্তা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘অর্থ উপদেষ্টা স্বীকার করলেন বাজেট হয়েছে চিরাচরিতভাবেই’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এবারের বাজেটে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এছাড়া আয়কর, মূল্য সংযোজন কর ও শুল্কের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন এসেছে। অন্যদিকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রফতানিতে প্রণোদনা কমানোর ঘোষণা এসেছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। সংসদ না থাকায় ২ জুন রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বিটিভিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। প্রস্তাবিত এ বাজেট নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১৯ জুন পর্যন্ত নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করা হয়। এরপর কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে বাজেটের খসড়া চূড়ান্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করার পর আগামী ১ জুলাই এ বাজেট কার্যকর হবে।
যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ভয়াবহ যুদ্ধের মুখে মধ্যপ্রাচ্য’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শান্তি পুনরুদ্ধারে তার ‘দুই সপ্তাহ’ সময়ের দুদিন না যেতেই হামলা চালালেন ইরানে। শান্তিদূতের মুখোশে নিজেই হয়ে উঠলেন ‘মধ্যপ্রাচ্যের অসুর’। ছড়িয়ে দিলেন যুদ্ধের আগুন। ভয়াবহ হুংকার ছেড়ে গর্জে উঠেছে ইরানও। ছুটে গেছে বিশ্ব রাজনীতির দ্বিতীয় পরাশক্তি রাশিয়ার কাছে। ইতোমধ্যে বিশ্ব বাণিজ্যের পথ ‘হরমুজ প্রণালি’ বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। সবমিলিয়ে ভয়াবহ যুদ্ধের মুখে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্য। এখনই ঠেকাতে ব্যর্থ হলে চলতে পারে বছরের পর বছর।
শনিবার মধ্যরাতের পর ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ফর্দো, নাতনজ ও ইস্পাহান। পরপর ১২টি হামলা চালিয়েছে তিন কেন্দ্রে। হোয়াইট হাউজের ‘সিচুয়েশন রুম’ থেকে সে হামলা পর্যবেক্ষণ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমানগুলো দেশটির মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। টানা প্রায় ১৮ ঘণ্টা উড়ে গিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে ১১ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকর্তা বলেন, হামলায় অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমানগুলো মাঝ আকাশে একাধিকবার জ্বালানি নিয়েছে। মার্কিন বিমানবাহিনী এই প্রথম কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বাংকারবিধ্বংসী বোমা জিবিইউ-৫৭ ব্যবহার করল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বি-২ বোমারু বিমান ইরানের ভূগর্ভস্থ ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের এক ডজন বাংকারবিধ্বংসী বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে মার্কিন নৌবাহিনীর সাবমেরিন থেকে ইরানের নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় ছোড়া হয়েছে ৩০টি এলএএম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।
এমবি