বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা কেন

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ০৯:৫২

বাংলাদেশের খবর
যুদ্ধ থামলেও শান্তি আসেনি
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর, অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতা এবং কাতারের সহযোগিতায় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়ে এসেছে। তবে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও উভয় পক্ষের মধ্যে কিছু উত্তেজনা ও অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের ঘটনা ঘটেছে, যা এই চুক্তির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এদিকে গত দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই সংঘাতে, ইরানে অন্তত ৬০৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তেহরান।
অন্যদিকে, ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও সামরিক অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও উভয় পক্ষ একে অপরকে লঙ্ঘনের অভিযোগ করছে, যা অঞ্চলটিতে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কাকে বাড়িয়ে তুলছে। যুদ্ধবিরতির পটভূমি:- গত ১৩ জুন থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে।
ইসরায়েল ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তেহরানের কেন্দ্রীয় সরকারি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়, যার মধ্যে ছিল ইরানের বাসিজ মিলিশিয়া বাহিনী এবং একজন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীর হত্যাকাণ্ড। ইসরায়েলের দাবি, তারা ইরানের সামরিক নেতৃত্বের ওপর গুরুতর আঘাত হেনেছে এবং তাদের উদ্দেশ্য অর্জিত হয়েছে। ইরানের পক্ষ থেকেও পাল্টা হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়, যাতে চারজন নিহত হন। এছাড়া, ইরান কাতারে
সমকাল
আমের বাজার ভালো না
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, শহরের অলিগলি, রাস্তাঘাট, গ্রামগঞ্জ– সবখানেই এখন আম আর আম। যেদিকে চোখ পড়ে, সেখানেই আম নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। তবু আমের এই ভরা মৌসুমে সংকটে চাষিরা। ভালো ফলন হলেও তারা কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। বাজারে চলছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, আছে কেনাবেচায় ওজন-সংক্রান্ত অনিয়ম। রপ্তানিতে নেই আশানুরূপ সাফল্য। ঈদের দীর্ঘ ছুটিসহ নানা কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নওগাঁ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এখন আমের ভরা মৌসুম। চাষি পর্যায়ে এবার আমের দাম গত বছরের তুলনায় বেশ কম। যদিও রাজধানীর বাজারে আম বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ থেকে ১০০ টাকা। তবে উৎপাদন এলাকাগুলোতে দাম ২০ থেকে ৩০ টাকার ওপরে উঠছে না। কোনো কোনো দিন মোকামে দাম ২০ টাকার নিচেও নেমে যাচ্ছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
উৎপাদনে রেকর্ড, দাম তলানিতে
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলায় ২ লাখ ২৫ হাজার ৩৪ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। এ বছর ২৭ লাখ ৩৫ হাজার টন আম উৎপাদনের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে আম উৎপাদনের পরিমাণ ২৮ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মোট উৎপাদনের মধ্যে রাজশাহী বিভাগের চার জেলা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোরে প্রায় ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষিসংশ্লিষ্টরা।
এবার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি, ৫ জুলাই থেকে বারি আম-৪, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা, ১৫ জুলাই থেকে গৌড়মতী সংগ্রহ করা যাবে। এ ছাড়া কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছরই পাকা সাপেক্ষ পাড়া যাবে। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে এবার একসঙ্গে সব জাতের আম পেকে গেছে। ঈদের ছুটিতে বাজারে আমের সরবরাহ হলেও পর্যাপ্ত ক্রেতা ছিল না। এতে বাজারে চাহিদা কমে দরপতন হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ঢাকা ও অন্য বড় শহরে চাহিদা কম থাকায় অনেক পাইকারই আমের চাষের এলাকায় যাননি।
নওগাঁর সাপাহারের আম হাটে প্রতি মণ হিমসাগর ১৪০০-১৬০০ টাকা, ল্যাংড়া ১২০০-১৫০০, নাকফজলি ১৩০০-১৮০০, ব্যানানা ম্যাঙ্গো ৩৫০০-৪২০০, হাঁড়িভাঙা ১৫০০-২৫০০ এবং আম্রপালি ১৮০০-৩৫০০ টাকা মণ বিক্রি হয়। নওগাঁর সাপাহারের ওড়নপুর গ্রামের আমচাষি মাহমুদুর রহমান বলেন, এ বছর আমের দাম খুবই কম। গত বছর এই বাগানের আম প্রতি মণ বিক্রি করেছি ৪২০০-৪৫০০ টাকা। এবার বিক্রি করছি ২০০০-২৫০০ টাকা। যে দামে আম বিক্রি করলাম, তাতে খরচও উঠবে না। সাপাহার হাটে আম বিক্রি করতে আসা পত্নীতলার আমচাষি অজি উল্যাহ জানান, তিনি ১০ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আম্রপালির বাগান করেছেন। দাম গত বছরের তুলনায় অর্ধেক। এটা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজি।
যুগান্তর
অবশেষে হার মানল ইসরাইল
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ইরাক যুদ্ধের সেই টানা ৮ বছরের দম নিয়ে যুদ্ধে নেমেছিল ইরান। ১৩ জুন ইসরাইলের অতর্কিত হামলার পর থেকেই সেই ইতিহাসই বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। তেল বাজারে মন্দা, মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা, যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে গেলেই সর্বাত্মক যুদ্ধের দামামা-সবমিলিয়ে আঁতকে উঠেছিল পুরো বিশ্ব। কিন্তু দিনশেষে ঘটল ঠিক উলেটোটা-বছর দূরের কথা এক মাসও ধোপে টিকল না ‘মরুডাকাত’ ইসরাইল। মাত্র ১২ দিনেই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়ে গেল। মুখে জয়ের ফেনা তুললেই বস্তুত ইরানের শর্ত মেনে (মঙ্গলবার সকালে) নিজেই যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি মেনে নেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
এর ঠিক দুদিন আগেই (১০ দিনে) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে খবর বেরিয়েছিল-যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দপ্তরে জোর তদবির শুরু করেছে ইসরাইল। সে হিসাবে যুদ্ধবিরতির কয়েকদিন আগে থেকেই যে হার মেনে বসে ছিল ইসরাইল তা নিঃসন্দেহ। রাজপথ ভেসে যাওয়া ইরানিদের বাঁধভাঙা খুশির জোয়ারই তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। যুদ্ধবিরতি পাকাপোক্ত হতেই ইরানজুড়ে এদিন বিজয় মিছিল করে দেশটির সর্বস্তরের মানুষ। উলটোদিকে ইসারইলেরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সকাল থেকে সর্বশেষ রাত পর্যন্ত ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হয়েছে বলে বারবার ইসরাইলের গণমাধ্যমে শোরগোল তুললেও জনমনে তার বিন্দুমাত্র প্রভাব নেই। জয়োল্লাস নেই, বিজয়-পার্টি নেই। পশ্চিমা গণমাধ্যমের কোথাও তাদের খুশির ঝলক আসেনি। তবে স্বস্তি এসেছে তা নিশ্চিত। কারণ যুদ্ধবিরতির পরপরই স্কুলগুলো আবার খুলে দেওয়ার নোটিশ দিয়েছে তেল আবিব। চূড়ান্ত নির্দেশনা দিয়েছে বাংকারের বাইরে আসারও। বিবিসি, সিএনএন, এএফপি।
টানা ১২ দিনের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, হাজারো প্রাণহানি ও বিপর্যয়ের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় মধ্যপ্রাচ্যের দুই বৈরী শক্তি-ইরান ও ইসরাইল। মঙ্গলবার সকালে (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার কিছু পর) এই ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ঘাঁটিতে হামলার পরপরই কাতারের মধ্যস্থতায় কার্যকর হলো এই যুদ্ধবিরতি। ইরান-ইসরাইল দুপক্ষই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতি হলেও আস্থার সংকট এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা থেকে যাচ্ছে আগের মতোই।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, শর্ত সাপেক্ষে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল। শর্ত হলো, ইরানকে ইসরাইলে হামলা চালানো বন্ধ করতে হবে। ইসরাইলের দেওয়া এই শর্তে সম্মত হয়েছে ইরান। হোয়াইট হাউজের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সিএনএনকে এই তথ্য জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরই এ ঘোষণা দেন ট্রাম্প। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও ইসরাইলের বীরসেবায় ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। তছনছ করে দিয়েছে বীরসেবার বেশ কয়েকটি অবকাঠামো। কয়েক ঘণ্টা পরে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার পর আর হামলা চালায়নি ইরান। ট্রাম্পের ঘোষণার পর ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বেশকিছু এলাকাতেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সেই সময় মেহর নিউজ জানিয়েছে, তেহরানের বাইরে আরও কিছু শহরেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সেসব শহরের নাম প্রকাশ করা হয়নি। বিপরীতে ইরানও ইসরাইলে হামলার জবাব দিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ আবদুলরহিম মুসাভি দাবি করেছেন, গত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তেহরান ইসরাইলের দিকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়েনি। এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ইরান ইসরাইলে হামলা চালিয়েছে বলে যে খবরটি প্রকাশ হয়েছে তা মিথ্যা। এদিকে ইউরোপে ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে রওয়ানা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা লঙ্ঘন করায় তিনি ইসরাইল ও ইরান দুপক্ষের ওপরই ক্ষুব্ধ। তবে ইরানের বিরুদ্ধে আর কোনো সামরিক হামলা চালানো হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার নিজস্ব মালিকানাধীন সামাজিকমাধ্যম সোশ্যাল ট্র–থে তিনি লেখেন, ‘ইসরাইল আর ইরানকে আক্রমণ করবে না। যুদ্ধবিমানগুলো ‘বন্ধুত্বসূচক প্রদর্শন’র মাধ্যমে ইরানকে শান্তির বার্তা দিয়ে ফিরে যাবে।’
কালের কণ্ঠ
সবার মাথায় হাত, মালেকের বাজিমাত
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জাহিদ মালেক। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। শেখ হাসিনার আশীর্বাদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে যাঁর কপাল খুলে যায়! করোনার সময় যেখানে মানুষ আয়হীন-কর্মহীন, চরম আর্থিক দুর্দশায়; সেবা ও শিল্প খাত যখন মারাত্মক ক্ষতির মুখে তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ‘টাকার কুমির’ হয়ে ওঠেন। করোনার টিকা বাণিজ্য, টেস্ট কিট, নকল মাস্কের ভুয়া আমদানি, হাসপাতালের কেনাকাটা, ওষুধ ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও অবকাঠামো উন্নয়নকাজে বেপরোয়া অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে জাহিদ মালেক গড়ে তোলেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।
এর বাইরে জমি দখল, বালুমহাল, পরিবহন খাত ও নিয়োগ বাণিজ্যেও সমান পারদর্শী জাহিদ মালেক মন্ত্রিত্বকে ব্যবহার করেন টাকা বানানোর হাতিয়ার হিসেবে। অবৈধ টাকার বেশির ভাগই তিনি বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বৈধভাবে ৬৮ কোটি টাকা থেকে রাতারাতি তিনি বনে যান এক হাজার ২২৪ কোটি টাকার মালিক। তিনি অন্তত এক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখন জাহিদ মালেকের এই বিপুল সম্পদের উৎসর খোঁজে অনুসন্ধান করছে। দুদক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, জাহিদ মালেকের বিদেশে এক হাজার কোটি টাকা পাচার ও দেশে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অসাধু উপায়ে অর্জিত এসব সম্পদের বেশির ভাগেই তিনি নিজ নামে ও আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামে বিদেশে পাচার করেছেন। েদুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেন, অনুসন্ধান দল এ বিষয়ে দালিলিক প্রমাণাদি সংগ্রহ করছেন।
প্রথম আলো
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা কেন
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২১ জুন বি২ বোমারু বিমান পাঠিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালান। তখন তিনি বলেছিলেন, দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে না জড়ানোর পুরোনো অঙ্গীকার বজায় রেখে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করতে মিত্র ইসরায়েলকে সাহায্য করতে চান। বাংকার-বিধ্বংসী ওই বোমা হামলার ঠিক কয়েক দিন পর গত সোমবার রাতে ট্রাম্প সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তাঁর এই ঘোষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তিনি হয়তো তেহরানের শাসকদের আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনতেই বোমা নিক্ষেপ করেছেন।
কিন্তু বড় বড় অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি। বিশেষ করে এই প্রশ্ন নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে, ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে আদৌ কোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে কি না বা টিকবে কি না। দুই শত্রু দেশের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলা ছায়াযুদ্ধ সম্প্রতি আকাশযুদ্ধে গড়িয়েছে। ১২ দিন ধরে দেশ দুটি একে অপরের ভূখণ্ডে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও দুই পক্ষের মধ্যে কী শর্তে সমঝোতা হয়েছে; যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ব্যর্থ পারমাণবিক আলোচনা আবার শুরু করবে কি না কিংবা ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুতের ভবিষ্যৎ কী হবে—সেসব বিষয় উল্লেখ করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে বিষয়টি এখনো অজানাই রয়ে গেছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলা করলেও ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম নিরাপদে রয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা জনাথন প্যানিকফ বলেন, ইসরায়েল তাদের যুদ্ধ লক্ষ্যের অনেকটাই পূরণ করেছে। আর ইরান সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজছিল।
জনাথন প্যানিকফ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করছে যে এটিই শেষের শুরু। তবে এরপর কী হবে, তা নিয়ে কোনো কৌশল আছে কি না—এটাই এখন চ্যালেঞ্জ। দুই দেশ আসলে কী সমঝোতা করেছে, তা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়ে গেছে। এরপরও ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা সংঘাতের অবসান নিয়ে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে। ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর। উভয় দেশকে তা লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানান তিনি। সর্বশেষ গতকাল তিনি তাঁর মালিকানাধীন সোশ্যাল ট্রুথে এক পোস্টে ইরানে হামলা না চালাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে একজন ইরানি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছিলেন, তেহরান যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে। কিন্তু দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ইসরায়েল হামলা না থামালে সংঘাত বন্ধ হবে না। কিন্তু এ কথা ট্রাম্প ও তাঁর অনুগতদের আটকে রাখতে পারেনি। তাঁরা এটিকে এমন এক পররাষ্ট্রনীতির ঐতিহাসিক অর্জন হিসেবে প্রচার করছেন, যেটিকে তাঁরা শক্তির মাধ্যমে শান্তি বলে অভিহিত করেন। ইসরায়েল লম্বা সময় ধরে বলে আসছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে আছে। যদিও তেহরান বরাবরের মতোই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ বছরের শুরুতে বলেছিল, তাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না। আর মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র গত সপ্তাহে রয়টার্সকে জানিয়েছে, সেই মূল্যায়ন এখনো পরিবর্তন হয়নি।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
মনোনয়ন পেতে বিএনপিতে দৌড়ঝাঁপ
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতি আসনে গড়ে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন আটজন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতি আসনে ১০-১২ জন করে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে নেমেছেন। এরই মধ্যে নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় তারা গণসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন লাভে তাঁরা কেন্দ্রেও দৌড়ঝাঁপ করছেন।
এ অবস্থায় দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতামত ও জনমত জরিপকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা, দলীয় নেতাদের মতামত, দলের জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা, বিগত দিনের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা, দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে থাকা, সততা, শিক্ষাগত যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এসব মানদণ্ড যাচাই করেই বিএনপি প্রার্থী বাছাইপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রার্থীর জনপ্রিয়তাসহ যাঁকে মনোনয়ন দিলে আসনটি নিশ্চিত হবে, তাঁকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে। কারণ সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় একটা আসন জয়লাভের ওপর সরকার গঠন নির্ভর করে। বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ফ্যাসিস্টমুক্ত পরিবেশে ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে। বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম ও সংগঠন পরিচালনা করে নির্বাচন করার জন্য। ফলে নির্বাচনের জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নেওয়ার কিছু নেই। ‘সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে আগামী বছরের রমজান মাসের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে’-লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে এমন ঘোষণার পর পূর্ণ উদ্যমে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনগুলোতে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে একাধিক জরিপ সম্পন্ন করেছে বিএনপি। গত দেড় দশকে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটিতে অংশ নিলেও দুটি নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। এই দীর্ঘ সময়ে দলটির নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থাকলেও নির্বাচনি চ্যালেঞ্জে ঘাটতি রয়েছে। প্রার্থী নির্বাচনে এবার সেদিকটিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ের ঘাটতি পোষাতে তাই প্রার্থী বাছাইয়ে একাধিক বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি।
বিএনপিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিএনপি এমন কাউকে প্রার্থী করবে না, যিনি মনোনয়ন নিয়ে এলাকায় গেলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের রোষের শিকার হবেন। নির্বাচনি আসনে যিনি বেশি জনপ্রিয়, যাঁকে জনগণ চাইবে, যাঁকে দিয়ে আসন উদ্ধার হবে, দলটি এবার তাঁকেই মনোনয়ন দিতে চাইছে। এবারের নির্বাচনে ত্যাগী, অভিজ্ঞ ও নবীন-প্রবীণদের সমন্বয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নির্বাচনি এলাকার ভোটারদের মাঝে নিজেদের জনপ্রিয়তা প্রমাণে সব ধরনের তৎপরতা শুরু করেছেন। প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ, উঠান বৈঠকসহ নির্বাচনি গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, তিনি বরিশাল-৫ (সদর) আসনে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। কেন্দ্রের সব কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিয়েছেন। এলাকায় সিংহভাগ সময় দিচ্ছেন। তাঁর মতে, অতীত কর্মকাণ্ড এবং এলাকার জনপ্রিয়তা বিবেচনা করা হলে তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী। সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির উপদেষ্টা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নিয়মিত এলাকায় কাজ করছি। যেসব যোগ্যতায় মনোনয়ন দেওয়া হবে, সে হিসেবে প্রার্থীদের মধ্যে আমিই যোগ্য। আওয়ামী লীগ আমলে দীর্ঘদিন কারাবরণ করে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে মাকে দাফন করেছি। স্ত্রীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গত ৪ জুলাই তাড়াশে কঠোর আন্দোলন গড়ে ওঠে আমার পরিবারের সদস্যদের নেতৃত্বেই। আশা করি, এবার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান তাড়াশ থেকে আমাকেই দলের প্রার্থী করবেন।’
বণিক বার্তা
১২ দিন পর যুদ্ধবিরতি, লড়াই করে টিকে গেল ইরান
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের রক্তাক্ত দাবার ছকে গত এক সপ্তাহজুড়ে যেভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুটেছে, ঘাঁটি জ্বলেছে আর আন্তর্জাতিক সীমারেখা লঙ্ঘিত হয়েছে—তা শুধু যুদ্ধ নয়, বরং এক ভয়ংকর কৌশলগত প্রতিযোগিতা। এখন তেহরান আর তেলআবিবের আকাশে আগুনের গোলা ধীরে ধীরে সরছে, সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, ইসরায়েল—তিন পক্ষই নিজেদের বিজয়ী দাবি করছে। ইরান আঘাত পেয়েছে প্রবলভাবে, কিন্তু ভেঙে পড়েনি। ইসরায়েল যুদ্ধ চালিয়েছে নিখুঁত নিশানায়, তবু শেষান্তে কূটনৈতিক চাপের মুখে।
বলা হচ্ছে ইরানে একরকম ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল। চাপের মুখে পড়েই বাধ্য হয়েছে যুদ্ধবিরতিতে। আর যুক্তরাষ্ট্র? বরাবরের মতোই শুরুতে মধ্যস্থতাকারী, মাঝে অপারেশন মিডনাইট হ্যামার আর শেষে শান্তির বার্তাবাহক। সার্বিকভাবে এ যুদ্ধে দৃশ্যত লড়াই করে টিকে গেল ইরান। ১২ দিনের লড়াইয়ে বার্তা দিয়েছে প্রবল শক্তিশালী আক্রমণের মুখে টিকে থাকতে পারে তারা। লড়াই চালিয়ে গেছে মাথা নত না করেই। ইরানের জন্য বড় স্বস্তির জায়গা আছে আরেকটি। পাশ্চাত্য শক্তিগুলো স্বীকার করেছে, ইরানের ৪০০ কেজির ইউরেনিয়াম মজুদ অক্ষত রয়েছে। পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরও তারা জানেন না ইরানের ইউরেনিয়াম মজুদ কোথায় রয়েছে? পরমাণু স্থাপনার ক্ষতি হলেও তাদের পরমাণু কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে সে দাবি করতে পারছে না কেউই, যা ইঙ্গিত দেয় ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
জয়ের গল্প আর ক্ষতির হিসাব: বলা হয়, ইতিহাস বিজয়ীদের লেখা—কিন্তু এ যুদ্ধের শেষে প্রত্যেকেই যেন কলম হাতে দাঁড়িয়ে, নিজ নিজ বিজয়ের গল্প লিখছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা কোনো মার্কিন প্রাণ হারানো ছাড়াই একটি পারমাণবিক হুমকি নিষ্ক্রিয় করেছে। ইসরায়েল বলছে, তারা ইরানের সামরিক কাঠামোয় বড় ধরনের আঘাত হেনেছে এবং তাতে ইরান ‘নরম’ হয়েছে। আর ইরান বলছে, তারা টিকে আছে, প্রতিশোধ নিয়েছে—যদিও সেই প্রতিশোধ ছিল সংযত, প্রতীকী। তবে এ শান্তিপূর্ণ রূপাবরণ ছিল এক ভয়ংকর নাচের মুখোশ, যেখানে একটিমাত্র ভুল কদম থেকেই শুরু হতে পারত এক বিস্ফোরক আঞ্চলিক যুদ্ধ, এমনকি উঁকি দিয়েছিল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কাও।
পরিস্থিতি এমন যে তিনটি রাষ্ট্রই দাবি করছে, ‘আমরা জয়ী হয়েছি’। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা চূর্ণ করে দিয়েছে। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।’ তবে কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের পাল্টা হামলার পরও ট্রাম্প প্রতিশোধ না নিয়ে উল্টো বলেন, ‘ধন্যবাদ ইরান, আগাম জানিয়ে দেয়ার জন্য।’
ইসরায়েলও চুপ নেই। তারা বলছে, যুদ্ধ শুরুর আগেই তারা ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও গোয়েন্দা কাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে ইরানও বলছে, তারা মাথা নত করেনি। তাদের বক্তব্য, তারা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছে, লড়েছে এবং নিজেদের শর্তে যুদ্ধ থামিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে আগাম বার্তা দিয়েই কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে, যাতে কোনো প্রাণহানি না ঘটে। এটা ছিল এক ধরনের ‘কৌশলগত প্রতিরোধ’, যা ক্ষতি না করেও নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের কৌশল। এ হামলার পর দৃশ্যত বিজয়ী ইরান।
মানবজমিন
জাপা’র অন্দরে কী হচ্ছে?
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ফের আলোচনায় জাতীয় পার্টি (জাপা)। নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় থাকা জাপা’র অন্দরমহলে চলছে নানা তৎপরতা। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্ব চালেঞ্জের মুখে পড়েছে। দলের একটি অংশ বিকল্প নেতৃত্ব সামনে আনার চেষ্টা করছেন। এতে দলটিতে ফের বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দলীয় চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা খর্ব করতে চাইছে একটি পক্ষ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সহযোগীর তকমা পাওয়া জাতীয় পার্টি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে আছে নানা আলোচনা। দলটির নেতারা মামলা ও বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন এমন আলোচনাও আছে। এই অবস্থায় দলের ভেতরের বিভক্তি নেতাকর্মীদের নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলেছে।
বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় পার্টির অবস্থা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শোচনীয় অবস্থায় পড়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা হামলা ও মবের শিকার হয়েছে। মামলাও হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। দলটির এমন অবস্থার পেছনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্ত ও নিজেদের স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়াকে বড় কারণ মনে করছেন নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে ’২৪-এর নির্বাচনে তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করেই নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দল এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ১৫ বছরের শাসনামলে জাতীয় পার্টি পুরো সময়টাতেই ছিল সুবিধাবাদী ভূমিকায়। সরকারের ভেতরে ও বাইরে থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পর বদলে গেছে পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে দলটিকে নিষিদ্ধ করা, নেতাদের বিচারের দাবি তোলা হয় বিভিন্ন পক্ষ থেকে। এমন দাবির প্রেক্ষিতে মামলাও হয়েছে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন স্থানে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে তিনি বাধার মুখে পড়েছেন।
আসছে ২৮শে জুন দলটির কাউন্সিল আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন চেয়ারম্যান জি এম কাদের। কিন্তু নেতৃত্ব নিয়ে নতুন মেরুকরণ তৈরি হওয়ায় শেষ মুহূর্তে এই সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদ হারানোর আশঙ্কায় কাউন্সিল বাতিল করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন শীর্ষ দুই নেতা। দলটির তরফে জানানো হয়, চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র ভেন্যু হিসেবে না পাওয়ায় আপাতত সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু নেতারা বলছেন, চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র না পাওয়া গেলে কাকরাইলে দলীয় কার্যালয়ে সম্মেলন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
দলীয়ভাবে কাউন্সিল বন্ধ ঘোষণা করার পর সিনিয়র নেতা কো- চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এককভাবে কাউন্সিল করার ঘোষণা দেন। তারা চেয়ারম্যান ও মহাসচিব হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। পরে অবশ্য তারা এমন অবস্থান থেকে সরে আসেন। অন্যদিকে জিএম কাদের নিজের পদ ধরে রেখে মহাসচিব করতে চান বর্তমান মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বা কো-চেয়ারম্যান শামিম হায়দার পাটোয়ারীকে। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের এটি একটি বড় কারণ।
দলের কয়েকজন নেতা গঠনতন্ত্রের ২০ এর ১ (ক) ধারা বাতিল করতে চান। এই ধারার ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যান কোনো কারণ ছাড়াই কাউকে বহিষ্কার করতে পারেন। তারা বলছেন, এই ক্ষমতাবলে দলের চেয়ারম্যান ‘স্বৈরাচার’ হয়ে ওঠেন। তারা এই সুযোগ বন্ধ করতে চান। এমন দাবি নিয়ে মাঠে থাকা নেতাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন রওশন এরশাদের সঙ্গে থাকা নেতারাও। এরমধ্যে রয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলা, কাজী মামুনুর রশীদ।
- এটিআর