Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

আশ্রয়ণ প্রকল্পে হরিলুট

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১১:০১

আশ্রয়ণ প্রকল্পে হরিলুট

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘রাজনীতি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনোখুনি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নরসিংদীতে খুনোখুনি থামছে না। জেলার একই পরিবারের চারজন সদস্য খুন হয়েছেন প্রতিপক্ষের হাতে। প্রথম খুনের ঘটনা ঘটে ১৯৭২ সালে, সর্বশেষটি ২০২৩ সালে। পাঁচ দশকের ব্যবধানে ঘটা এসব খুনের নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারের জের। এর পাশাপাশি জমিজমা নিয়ে বিরোধ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, পারিবারিক কলহসহ নানা তুচ্ছ কারণেও ঘটছে খুনোখুনি। পুলিশের হিসাবে, গত ২০ বছরে এ জেলায় খুন হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ।

যে পরিবারটি তাদের চার সদস্যকে হারিয়েছে, সেটি শিবপুর উপজেলার খান পরিবার। ২০২৩ সালে খুন হন ওই পরিবারের সদস্য হারুনুর রশিদ খান, তিনি তখন শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে পরিবারটির কোনো সদস্য প্রথম খুন হন। তাঁর নাম মোক্তার খান, যিনি হারুনুর রশিদের চাচাতো ভাই। আশির দশকের মাঝামাঝিতে হারুনুর রশিদের আরও দুই চাচাতো ভাই সাজু খান ও সাবেক সংসদ সদস্য রবিউল আউয়াল খানকে (কিরণ) হত্যা করা হয়। এর মধ্যে সাজু খান ছিলেন দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাঁকে হত্যা করা হয় ১৯৮৫ সালে। পরের বছর হত্যা করা হয় রবিউল আউয়াল খানকে।

প্রথম আলোর অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, চারজনই খুন হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে। যদিও খান পরিবারও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পরিবারটির তিন সদস্যের সঙ্গে প্রথম আলোর আলাদাভাবে কথা হয়। তাঁরা বলেন, রাজনৈতিক কোন্দল ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁদের পরিবারকে বারবার লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ঘটনায় সর্বহারা পার্টির সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁরা এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার পাননি বলে জানান।

সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সরকার বলছে সম্ভাবনা, দলগুলোর সন্দেহ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরে চালু থাকা চারটি কনটেইনার টার্মিনালের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)। ৯৫০ মিটার দীর্ঘ এই টার্মিনালেই গত বছর বন্দরের মোট কনটেইনারের ৪৪ শতাংশ ওঠানামা হয়েছে এককভাবে। একসঙ্গে এতে চারটি সমুদ্রগামী কনটেইনার জাহাজ ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচল উপযোগী একটি ছোট জাহাজ নোঙর করা যায়। বন্দরের অন্য কোনো টার্মিনালে নেই এত সুবিধা। 

জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানামার জন্য এ টার্মিনালে বিশ্বের সবচেয়ে অত্যধুনিক যন্ত্র ‘গ্যান্ট্রি ক্রেন’ রয়েছে ১৪টি। অন্যান্য টার্মিনালে এ সংখ্যা অর্ধেকেরও কম। বছরে ১০ লাখ একক কনটেইনার ওঠানামার সক্ষমতা থাকা এই টার্মিনাল গত বছরও হ্যান্ডল করেছে ১২ লাখ ৮১ হাজার কনটেইনার। এই টার্মিনাল থেকে প্রতি বছর এক হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্বও পাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

‘সোনার হরিণ’ হিসেবে পরিচিত এই টার্মিনাল ঘিরেই এসেছে বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব। এনসিটি ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানিকে যুক্ত করতে সরকারের পরিকল্পনায় পক্ষে-বিপক্ষে সরব হয়েছে বন্দর ব্যবহারকারীসহ বিভিন্ন মহল। বিদেশি বিনিয়োগে নতুন সম্ভাবনা দেখছে সরকার। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো এতে পাচ্ছে ‘ষড়যন্ত্রের গন্ধ’।

বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘পাল্টা শুল্ক কমাতে তোড়জোড়’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ রেসিপ্রোকাল (পাল্টা) শুল্ক স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে চূড়ান্ত বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ৯ জুলাই এই শুল্কের স্থগিতাদেশ শেষ হতে যাচ্ছে। এর আগে চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও ন্যায্য একটি বাণিজ্য চুক্তির আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশে সীমিত রাখার প্রস্তাব তুলে ধরে। আগামী ২৯ জুন এই বিষয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, ১২ জুন দুই দেশের মধ্যে একটি 'নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট' স্বাক্ষরিত হয়, যার আওতায় প্রস্তাবিত রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ চুক্তির খসড়া বাংলাদেশের কাছে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ তার জবাব পাঠিয়েছে ২৫ জুন, যেখানে একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ আইন অনুসরণ না করে যৌথভাবে সুবিধাজনক শর্তে চুক্তি চূড়ান্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে এবং আলোচনায় ইতিবাচক সাড়া পেতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আমদানি বৃদ্ধির বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ইউক্রেন থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি শুরু হয়েছে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানি থেকে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া, জ্বালানি বিভাগ যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি থেকে এলএনজি আমদানিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে যেসব এলএনজি কেনা হয়েছে, তার বড় অংশই এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ স্থগিতাদেশের মেয়াদ ঘনিয়ে আসায় দেশের প্রধান রপ্তানি খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হচ্ছে।

কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পে হরিলুট’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বেশুমার লুটপাট হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধান ছিলেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। জানা গেছে, বিভিন্ন উপজেলায় দরপত্র আহবান না করেই তাঁরা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, শর্ত না মেনে মাটি ভরাট, ঘুষের বিনিময়ে ঘর বরাদ্দসহ নানাভাবে কামিয়েছেন অবৈধ অর্থ।

তাঁদের সঙ্গী ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মিত ঘরগুলোর বেশির ভাগই বছর না যেতেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর, চূয়াডাঙ্গা, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পেয়েছেন, কোথাও ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে, টিনের চালা দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে, কোথাও ঘরের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। কোথাও ঘরগুলোয় ঝুলছে তালা। কোথাও পালন করা হচ্ছে ছাগল।

ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ নামে প্রকল্প নেয়। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় আসার পর আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেয়। ২০২০ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প জোরেশোরে বাস্তবায়ন শুরু হয়।

গত বছর ক্ষমতায় থাকার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রচার করেছিল, ৫৮ জেলা ও ৪৬৪ উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প নেওয়া হয়। আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে ঘর দেওয়ায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছে। এর মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসনের সংখ্যা ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫।

মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘এ কেমন মানবিকতা?’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আনিসা আহমেদ এইচএসসি’র প্রথম পরীক্ষায় বসতে না পারার আক্ষেপ যেন ছুঁয়ে যায় পুরো দেশের মানুষকে। পরীক্ষা দিতে না পারায় তার কান্না আর অসুস্থ মাকে হাসপাতালে রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার বর্ণনা শুনে আহত, ক্ষুব্ধ করেছে বহু মানুষকে। শিক্ষা বোর্ডের নিয়মের জালে মানবতা হেরে যাওয়ার এই ঘটনাকে বড়ই অমানবিক বলছে মানুষ। প্রশ্ন উঠেছে এমন অমানবিক ঘটনার জন্ম দেয়া পুরো শিক্ষা কাঠামো নিয়ে। ঘটনা সংশ্লিষ্টদের দায় এবং দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এ ঘটনায় নেট দুনিয়ায় আলোড়ন ওঠার পর অবশ্য টনক নড়েছে শিক্ষা বিভাগের। ঘোষণা দেয়া হয়েছে আয়েশার পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা নেয়ার।

গত বৃহস্পতিবার সকাল। আনিসা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার। এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। হঠাৎ আনিসার মা সুবর্ণা আহমেদ অসুস্থতা অনুভব করেন। বুকে ব্যথা নিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান। বাবা নেই আনিসার। কী করবেন না করবেন কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। মাকে নিয়ে প্রতিবেশীর সহযোগিতায় যান মিরপুর ১ নম্বরে বাড়ির পাশের একটি হাসপাতালে। এরপর আসেন তার আত্মীয়স্বজনরা। মায়ের পাশে স্বজনদের রেখে তিনি রওনা দেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরি হয়ে যায় কেন্দ্রে পৌঁছাতে। কিন্তু বাদ সাধে শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা। বিলম্বের কারণে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি কেন্দ্রে। পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনেই বসে পড়েন তিনি। দিগ্বিদিক ছুটে বেড়ান। কান্নাভেজা কণ্ঠে আকুতি জানান কেন্দ্রে প্রবেশের। এক হাত মাথায়, আরেক হাতে ফাইল। চোখে পানি। এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত লোকজন বিচলিত হলেও গলাতে পারেনি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরতদের মন। 

আনিসার কান্নার ছবি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। নেট দুনিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে সরকারের তরফে অবশ্য আনিসার পরীক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আনিসার মা সুবর্ণা আহমেদ চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। চিকিৎসকরা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানিয়েছেন তিনি শঙ্কামুক্ত। তবে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। গতকাল টেলিফোনে মানবজমিনের সঙ্গে কথা বলেন সুবর্ণা আহমেদ। তিনি বলেন, আল্লাহ আমার বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে সুস্থ করে দিয়েছেন। আমি ভালো আছি। আমাকে জানানো হয়েছে আনিসা পরীক্ষা দিতে পারবে। 

আজকের পত্রিকা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বিএনপির নজর নির্বাচনে, পা ফেলছে সাবধানে’ 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডন বৈঠকের পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে আপাতত কোনো সংশয় দেখছে না বিএনপি। দলটির বিশ্বাস, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর কথা রাখবেন এবং যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন। তারপরও রাজনীতির মাঠে সব ইস্যুতে সাবধানে পা ফেলছে বিএনপি। পরিবর্তিত সময় ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে চায় দলটি।

দলীয় সূত্র বলছে, ১৬ বছর পর ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা দেখছে বিএনপি। তবে এ জন্য দরকার দ্রুত একটি সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের সুযোগ যাতে কোনোভাবে হাতছাড়া না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা ও যত্ন নিয়ে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে ইশতেহার রচনা, প্রচারসহ সব ক্ষেত্রেই সুচিন্তিতভাবে পদক্ষেপ নিতে চান তাঁরা। এর অংশ হিসেবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি এককভাবে নাকি জোটগতভাবে নির্বাচন করবে, তা নিয়েও চলছে আলোচনা।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোট হতে পারে, এমনটা ধরে নিয়েই নির্বাচনী যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এ জন্য যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে নতুন করে যে আলোচনা শুরু হয়েছে, সেখানে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার কথা বলা হচ্ছে। তবে সেটা কোন কাঠামোতে হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। বিএনপির সঙ্গে বিগত দিনে যুগপৎ আন্দোলন করেছে এমন দলগুলোকে নিয়ে জোট হবে, নাকি তাদের জন্য আসন ছাড় দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘রেলের উন্নয়নে ‘সাগরচুরি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলের ১৫ বছরে রেলের উন্নয়নের নামে রীতিমতো ‘সাগরচুরি’ হয়েছে। বিশেষ করে সাত হাজার কোটি টাকার রোলিংস্টক (ইঞ্জিন কোচ ও যন্ত্রাংশ) কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়। কয়েকজন মন্ত্রী ও রেল মন্ত্রণালয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি চিহ্নিত চক্র নির্বিঘ্নে লুটে নেয় মোটা অঙ্কের অর্থ। বিভিন্ন সময়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর প্রথম নয়, হাসিনা সরকারের আমলেও রেলের অর্থ লোপাটের প্রমাণ পায় দুদক। কিন্তু সে সময় আওয়ামী সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রেলের উন্নয়নের নামে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে ৯৬টি ইঞ্জিন ক্রয়ে ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কোচ এবং যন্ত্রাংশ কেনাকাটায় বাকি ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়। তবে এ সময় নিম্নমানের ইঞ্জিন ও রেলের যন্ত্রাংশ ক্রয় খাতে উচ্চহারে কমিশন বাণিজ্য হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে সাবেক তিন রেলপথমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন নূরুল ইসলাম সুজন। তবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে দুর্নীতির বরপুত্র হিসাবে পরিচিত সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হক ও জিল্লুল হাকিম। তবে মুজিবুল হকের পিএস গোলাম কিবরিয়া গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাবন্দি। এছাড়া স্বল্পসময়ের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেও কমিশনের টাকায় পকেট ভারী করেছেন কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর