Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

‘আন্দোলনে স্থবির এনবিআর আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত’

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ১০:১১

‘আন্দোলনে স্থবির এনবিআর আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত’

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘নির্বাচন নিয়ে নতুন করে সংশয়ে বিএনপি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল লন্ডন বৈঠকের পর সেটা কেটেছে বলে মনে করা হচ্ছিল; কিন্তু দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই নতুন করে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংশয় তৈরি হয়েছে বিএনপিতে। বিশেষ করে ভোটের বিষয়ে সরকারের দিক থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট কোনো বার্তা না দেওয়ায় এ নিয়ে জল্পনাকল্পনা বাড়ছে।

বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, লন্ডন বৈঠকের কোনো প্রতিফলন নির্বাচনের কমিশনের কার্যক্রম তারা দেখছেন না। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচনসহ কিছু বিষয় নতুন করে সামনে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এটাকে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার উপাদান বলে মনে করছে বিএনপি।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তাঁরা দীর্ঘ সময় একান্তে কথা বলেন। বিএনপির নীতি–নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা ধারণা করেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার যমুনায় এই বৈঠকে সিইসিকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরুর কথা বলবেন; কিন্তু সরকারের দিক থেকে এই বৈঠককে শুধু সৌজন্য সাক্ষাৎ বলা হয়েছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনও কোনো বক্তব্য দেয়নি। ফলে বিএনপি মনে করছে, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের বিষয়ে সিইসিকে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি। যার ফলে প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির সাক্ষাতে কী আলাপ হয়েছে, তা পরিষ্কার করার আহ্বান জানায় বিএনপি। এ বিষয়ে গত শুক্রবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যদি উভয় পক্ষ থেকে জাতির সামনে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়, তাহলে আমরা আশ্বস্ত হই।’

সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘আন্দোলনে স্থবির এনবিআর আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ও চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের অপসারণের দাবিতে সারাদেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘শাটডাউন’ এবং রাজধানীতে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল শনিবার এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলনের কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে স্থবিরতা দেখা দেয়। রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

চলমান পরিস্থিতিতে ১২টি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন উদ্বেগ জানিয়েছে। তাদের দাবি, আন্দোলনের কারণে শুধু পোশাক খাতেই দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।

এদিকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, তাদের শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি রোববারও চলবে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মসূচির বাইরে থাকবে।

গত ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্বনীতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে বিভক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর পর থেকে এনবিআর বিলুপ্তি রোধসহ কয়েকটি দাবিতে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করছেন। গত ২৫ মে অর্থ মন্ত্রণালয় ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অধ্যাদেশটি সংশোধন করার আশ্বাস দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। এর পর ২২ জুন থেকে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।

বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, এনবিআর কমপ্লিট শাটডাউন : ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অশনি সংকেত’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব পক্ষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতের সংস্কার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে গতকাল 'মার্চ টু এনবিআর' কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল থেকে এনবিআরের ঢাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মকর্তারা রাজধানীর এনবিআর ভবনের সামনে সমবেত হয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ কারণে এনবিআরের সব সেবা বন্ধ। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল, ঢাকা কাস্টম হাউসসহ দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কার্যক্রম বন্ধ। এতে আমদানি-রপ্তানিতে সব ধরনের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ আছে।

গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে কাজ হয়নি। সব টেবিল-চেয়ার ফাঁকা পড়েছিল। প্রায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারী লাগাতার শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন। এনবিআরের সামনের রাস্তায় কয়েক শ কর্মকর্তা-কর্মচারী অবস্থান নেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতিও ছিল। তারা কাউকে এনবিআরের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি, বের হতেও দেয়নি। গতকাল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন হয়।

এদিকে গতকাল দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন ব্যবসায়ী নেতারা। তারা জানান, এনবিআরের চেয়ারম্যানকে অপসারণ কোনোভাবে কাম্য নয়। একই সঙ্গে তারা একটি দক্ষ ও হয়রানিমুক্ত এনবিআর প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্থাটির সংস্কারের পক্ষে জোরালো সমর্থনের কথা তুলে ধরেন। জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষস্থানীয় ১৩টি সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ী নেতারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সরকারের প্রতি দাবি জানান। তারা বলেন, এই আন্দোলনের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সরকারের তরফ থেকে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘পিআর পদ্ধতিতে ভোট ঐকমত্য না হলে গণভোট’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। গতকাল রাজধানীর সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। সমাবেশে ১০ রাজনৈতিক দল এবং কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিও অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে অংশ নেয়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি করেন। সকাল থেকে শুরু হওয়া দুইপর্বের সমাবেশ শেষ হয় সন্ধ্যায়। এতে আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে অংশ নিতে ভোর থেকেই দলটির নেতাকর্মীরা সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন। সকালেই সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান  নেতাকর্মীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। ১৯৭২ সালের সংবিধান জনগণের বিশ্বাস ও আশা-আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি। এই সংবিধান মেনেই স্বৈরাচার তৈরি হয়েছে। আজ দরকার রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। জুলাই অভ্যুত্থান শুধুমাত্র শাসক পরিবর্তনের জন্য ছিল না, এটি ছিল একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠনের আন্দোলন। তিনি বলেন, ২৪’র জুলাইয়ের ঘটনার সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল, তাদের বিচার না করে নির্বাচন করা চলবে না। গণহত্যা, গুম, লুটপাটের জন্য ফ্যাসিস্ট চক্রের কাউকে ছাড় দেয়া যাবে না। 

কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, রাজস্বকর্মীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলছে : ‘সারা দেশে অচল ব্যবসা-বাণিজ্য’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমনিতেই সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা চলছে। উদ্যোক্তারা হতাশায়, আস্থাহীনতায়। বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানে স্থবিরতা। পুরো অর্থনীতি যখন কঠিন সংকটময় পরিস্থিতি পার করছে, তখনই রাজস্বকর্মীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা কঠিন আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে সারা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য।

আমদানি পণ্য খালাস হচ্ছে না, জাহাজে উঠছে না রপ্তানিমুখী পণ্যও। নেই বন্দরে হাঁকডাক, ব্যস্ততা। শুল্ক-কর আদায় হচ্ছে না। সারা দেশের কর অফিসেও নেই কোনো কার্যক্রম। জমা হচ্ছে না আয়কর রিটার্ন। ভ্যাটের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অর্থবছরের শেষ সময়ে বিপুল অঙ্কের বকেয়া রাজস্ব আদায়ের কথা থাকলেও আদায় হচ্ছে না তা-ও। মোট কথা পুরো রাজস্ব ব্যবস্থাপনা স্থবির।

এদিকে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা অবিলম্বে এই সংকটের সমাধান চেয়েছেন। তাঁদের দাবি, রাজস্বকর্মীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ দিনে অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ক্ষতির অঙ্ক বাড়তেই থাকবে। এতে টান পড়বে পণ্যের সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহব্যবস্থায়। তাই সরকারকে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করতে হবে। আর কর্মকর্তাদেরও দেশের স্বার্থে কাজে ফিরে যেতে আহবান জানিয়েছেন তাঁরা।

বণিক বার্তা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘আবারো ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারিতে ৭৬৪ জনকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। গত দেড় দশকে বঞ্চিত আরো সাত শতাধিক কর্মকর্তার পদোন্নতির আবেদন পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিটের রায় বাস্তবায়নে আরো অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির বিষয়ে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বঞ্চিত আরো ৭৭৬ কর্মকর্তার ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সরকার। দুই-একদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। হাইকোর্টে রিটের রায় বাস্তবায়নে বিবেচনা করা হচ্ছে আরো ৫১ কর্মকর্তার বিষয়টিও। এ কার্যক্রম অবশ্য চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয়েছে, যা শেষ হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।

জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির আবেদন কমিটির মাধ্যমে রিভিউ করা হচ্ছে। এ-সংক্রান্ত দুটি কমিটি হয়েছে। একটির কাজ শেষ, আরেকটি কাজ শুরু করেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এখানে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করছে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা প্রজ্ঞাপন আকারে তালিকা প্রকাশ করব।’

আজকের পত্রিকা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বাতিল হচ্ছে ৫ হাজার অস্ত্রের লাইসেন্স’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেওয়া ৫ হাজারের বেশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব লাইসেন্সের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও দলটির সমর্থক ব্যবসায়ীদের নামে। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে জমা পড়া ও জমা না পড়া অস্ত্রের লাইসেন্সের তথ্য যাচাইয়ে এগুলোর কাগজপত্রে অসংগতি পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অস্ত্র জমা না দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে। সূত্র বলেছে, সব লাইসেন্স স্থগিত করে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনো ৭ হাজারের বেশি লাইসেন্সের অস্ত্র জমা পড়েনি। বাড়ি বাড়ি গিয়েও পুলিশ এসব লাইসেন্সধারী বা লাইসেন্সের বিপরীতে থাকা অস্ত্র পায়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁদের অনেকে বিদেশে চলে গেছেন।

জানতে চাইলে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ) খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ৪৯ হাজার ৬৭১টি লাইসেন্স রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সাড়ে ৪৬ হাজার লাইসেন্স ব্যক্তির নামে। বাকিগুলো প্রতিষ্ঠানের নামে। ব্যক্তির নামে থাকা লাইসেন্সগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে আছে অন্তত ৮ হাজার ২০০টি লাইসেন্স। বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে লাইসেন্স আছে প্রায় ২ হাজার ৫০০টি। অন্যান্য দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নামে আছে মাত্র ৭৯টি লাইসেন্স। বিভাগভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে ঢাকা বিভাগে, ১৪ হাজার ৬৮৩টি। সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে, ২ হাজার ১১৮টি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে থাকা লাইসেন্সগুলোর অধিকাংশ দলটি গত ১৫ বছরে ক্ষমতায় থাকাকালে দেওয়া।

এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর