বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
নানামুখী চাপে আটকে আছে জেলা প্রশাসক পদায়ন

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ০৯:৪৮

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সংস্কার প্রশ্নে দলগুলোর ঐকমত্য নিয়ে সংশয়’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিন দফা আলোচনা করেও কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ ছাড়া বেশির ভাগ মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়েও এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান এই আলোচনার অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। রোববার বৈঠকের শুরুতে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতে (১৬ জুলাই) সবাই মিলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা সম্ভব হবে, তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। এ বিষয়ে আমাদের এখন খানিকটা শঙ্কাও রয়েছে।’
সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘নানামুখী চাপে আটকে আছে জেলা প্রশাসক পদায়ন’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাড়ে পাঁচ মাস আগে শুরু হলেও জেলা প্রশাসক বা ডিসি নিয়োগের বাছাই প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। পছন্দের কর্মকর্তা খুঁজতে ও ত্রিমুখী রাজনৈতিক চাপ সমন্বয় করতে গিয়ে ডিসি পদায়নে দেরি হচ্ছে বলে জনপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ডিসি নিয়োগের তালিকা তৈরি করা হয়। এ তালিকায় বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৪, ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন ১০৬ জন। এর মধ্যে ৬৪ জনকে ডিসি করার পর বাকি ৪২ কর্মকর্তা অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকলেও তাদের নানা কারণে এখন গ্রহণযোগ্য মনে করছে না মন্ত্রণালয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব কর্মকর্তাকে ডিসি পদে পদায়ন না করার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে চার মাস পর গত ১১ জানুয়ারি নতুন তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। এখনও সেই সাক্ষাৎকার চলছে।
এ অবস্থায় ২১ জন ডিসি তিন মাস আগে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেলেও তাদের জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়নি। আবার সম্প্রতি শরীয়তপুরের ডিসিকে নারীবিষয়ক ঘটনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হলেও সেখানে নতুন ডিসি পদায়ন করা হয়নি।
বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, বিএনপি ছাড়া একমঞ্চে সবাই : ‘রাজনীতিতে বিকল্প পথের ছায়া-নকশা’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনীতিতে নানা সমীকরণ ও মৈত্রী গড়ে উঠছে। এরই মধ্যে সবচেয়ে চমকপ্রদ এবং আলোচিত ঘটনা হয়ে উঠেছে, চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (ইআবা) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ। তবে এই বিশাল জমায়েতে অংশ নেননি বর্তমান রাজনীতির অন্যতম প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি। মহাসমাবেশ থেকে একটি বাস্তবতা সামনে এসেছে- বিএনপি ছাড়া প্রায় সবাই এখন পিআর পদ্ধতিকে কেন্দ্র করে একমঞ্চে। এমনকি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পিআর পদ্ধতির পক্ষে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সমাবেশ ইসলামী দলগুলোর মধ্যে নতুন মোর্চা গঠনের প্রথম ধাপ হতে পারে। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বে ছোট দলগুলোর এই সমন্বয় বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার কৌশলও হতে পারে। সোহরাওয়ার্দীতে ঐক্যের মহড়া:- ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অতীতে বহু রাজনৈতিক উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছে, তবে শনিবারের চিত্রটি ছিল ভিন্নমাত্রার। ইসলামী আন্দোলনের ডাকা এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই সারা দেশ থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে।
দুপুর নাগাদ পুরো উদ্যান এবং তার আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এই সমাবেশকে সাম্প্রতিককালের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক সমাবেশ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন অনেক বিশ্লেষক। কিন্তু সংখ্যার চেয়েও বেশি মনোযোগ কেড়েছে মঞ্চে উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর বৈচিত্র্য। মঞ্চে যারা ছিলেন, তাদের তালিকাটিও ছিল চমকপ্রদ। ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃত্ব। নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এই সমাবেশে যোগ দিয়ে পিআর পদ্ধতির প্রতি তাদের জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেন। জামায়াতের পাশাপাশি খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, নেজামে ইসলাম পার্টি এবং খেলাফত আন্দোলনের মতো প্রতিষ্ঠিত ইসলামপন্থী দলগুলোর মহাসচিব ও শীর্ষ নেতারাও মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। এটি ছিল ইসলামপন্থী দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের ঐক্য প্রদর্শনের মঞ্চ।
যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় কর্মসূচি প্রত্যাহার : ‘হার্ডলাইনে মিলল সমাধান’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবশেষে ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় ‘শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে আন্দোলনরত এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। সরকার হার্ডলাইনে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তারা পিছু হটতে বাধ্য হলেন। রোববার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার।
এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এনবিআরের আওতাধীন সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। যা অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন ২০২৩-এর অধীনে কার্যকর হবে। এই আইনের বিধান অনুযায়ী, সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে চাকরিরত কোনো ব্যক্তি ধর্মঘট শুরু করতে বা চলমান রাখতে পারবেন না। এটি অমান্য করলে দায়ী ব্যক্তি ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘দেশব্যাপী অপরাধ বাড়ছেই’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীসহ দেশজুড়ে হত্যা, ডাকাতি, অপহরণ ও ছিনতাই, ধর্ষণ, মব সৃষ্টি করে নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। যৌথ বাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সাঁড়াশি অভিযানেও থামানো যাচ্ছে না এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড। ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুকন্যা থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত। আবার লাশবাহী অ্যাম্বুল্যান্স থামিয়ে ডাকাতির মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনাও ঘটছে। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, সব ধরনের অপরাধ বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে, দেশে পটপরিবর্তনের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হয়েছিল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা তা এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। ফলে অপরাধ কর্মকাণ্ড থামছে না। প্রায়ই চাঞ্চল্যকর অপরাধের ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হচ্ছে। এসব চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করলেই দেখা যায়, দিন দিন হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, ডাকাতি, দস্যুতা ও চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে দেশে এক হাজার ১৩৯টি ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা হয়েছে, যা গড়ে প্রতি মাসে ২২৮টি। গত বছর প্রতি মাসে এই সংখ্যা ছিল গড়ে ১৫৮। এই পাঁচ মাসে হত্যা মামলা হয়েছে এক হাজার ৫৮৭টি, যা গড়ে প্রতি মাসে ৩১৭টি।
বণিক বার্তা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আয়ের প্রায় ৬৪ শতাংশই ক্যাপাসিটি চার্জ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাগেরহাটের রামপালে নির্মিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
বিপরীতে কেন্দ্রটি আয় করে ৫ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনার্জি চার্জ (জ্বালানি ও আনুষঙ্গিক) হিসেবে পায় ২ হাজার ১৪২ কোটি টাকা, আর ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে আসে ৩ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ওই অর্থবছরে যে আয় করেছে তার প্রায় ৬৪ শতাংশই এসেছে ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) পরিচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্বাভাবিক উৎপাদনে থাকলে ক্যাপাসিটি চার্জ কোনোভাবেই এত বেশি হওয়ার কথা নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই কেন্দ্রটির প্রকৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা যাচাইসহ আর্থিক নানা অসংগতি খতিয়ে দেখার আহ্বান তাদের। কেননা ক্যাপাসিটি চার্জ এখন বিদ্যুৎ খাতের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় হচ্ছে ঢাকায়’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনারের ঢাকা মিশন তিন বছরের জন্য চালু করতে খসড়া সমঝোতায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন। ওনাদের সঙ্গে সরকারের অনেকদিন ধরে আলোচনা চলছিল। সংস্থাটি বাংলাদেশে একটি অফিস খুলতে চাচ্ছে। এই আলোচনায় একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি খসড়া সমঝোতা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। এটা আমরা কয়েকজন উপদেষ্টা মিলে পরীক্ষা করবো। ফাইনাল খসড়া করে মানবাধিকার কমিশনার কার্যালয়ের প্রধান ভলকার তুর্কের কাছে পাঠাবো। আসিফ নজরুল বলেন, এটা করার পর আশা করি, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমঝোতা সই করতে পারবো। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অফিস হবে। এই অফিস হবে প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য। চুক্তির দ্বিতীয় বছরে দুই পক্ষের সম্মতিতে নবায়ন পর্যালোচনা করা হবে। আমরা আশা করি, আগামীতে এবং আমাদের সরকারের আমলেও যদি কোনো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমাদের যে মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো আছে, তার পাশাপাশি জাতিসংঘের এই অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
এমবি