Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

তারিক সিদ্দিক ও তাঁর স্ত্রীর বিপুল সম্পদের খোঁজ

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৪

তারিক সিদ্দিক ও তাঁর স্ত্রীর বিপুল সম্পদের খোঁজ

বাংলাদেশের খবর
যে জাগরণে কেঁপেছিল মসনদ
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ঠিক এক বছর আগে জুলাইয়ের শুরুতে জ্বলে উঠেছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগুন। ক্যালেন্ডারের পাতায় জুলাই মাস ৩১ দিনের। কিন্তু বাঙালির ইতিহাসে গত বছরের জুলাই ছিল ৩৬ দিনের। এটি শুধু একটি প্রতীকী তারিখ নয়। এটি একটি প্রজন্মের বিপ্লবের নাম। এটি রক্ত দিয়ে নতুন ইতিহাস লেখার নাম। এক বছর পর সেই ঐতিহাসিক জাগরণের বার্ষিকীতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।

একদিকে শহীদদের স্মরণ আর বিজয়ের গৌরঝাংলাদেশের অন্যদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের সনদ নিয়ে ঐক্যের সংকট। যেভাবে জ্বলেছিল আগুন: সবকিছুর শুরু হয়েছিল একটি রায়কে কেন্দ্র করে। ২০২৪ সালের ৫ জুন। হাইকোর্ট সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফুঁসে ওঠেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা এটিকে 'বৈষম্যমূলক' বলে আখ্যা দেন। প্রথম প্রতিবাদের মিছিলটি বের হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরদিন সেই প্রতিবাদ আরও বড় আকার ধারণ করে। স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে দেশের সব বড় ক্যাম্পাসে। রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর- সবখানেই ধ্বনি ওঠে।

কোটা নয়, মেধা চাই কছুটা বিরতি আসে। কিন্তু ১ জুলাই ক্যাম্পাস খুলতেই আন্দোলন ফেরে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে। শিক্ষার্থীরা 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করেন। এই ব্যানারেই আন্দোলন একটি জাতীয় রূপ পায়। কোনো নির্দিষ্ট নেতা ছিলেন না। সম্মিলিত অংশগ্রহণই ছিল এর মূল শক্তি।

বণিক বার্তা
জমি বন্ধক রেখে ১১ লাখ কোটি টাকার ঋণ, এখন সম্পদের ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না ব্যাংক
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সহায়ক জামানত হিসেবে জমি বা ফ্ল্যাটের মতো স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে দেশের ব্যাংকগুলো। গ্রাহক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে বন্ধকি এ সম্পদ বিক্রি করে সেটি আদায়ের কথা। কিন্তু ব্যাংকের কাছে জামানত হিসেবে থাকা এসব সম্পদের বেশির ভাগই এখন আর বিক্রি করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে প্রভাবশালী ও বড় ঋণখেলাপিদের সম্পদ কেনায় কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে ক্রেতা খুঁজে পেলেও নিবন্ধন করতে চাচ্ছেন মৌজা দরে। এতে সম্পত্তির বাজার মূল্যের সঙ্গে মৌজা দরের বিস্তর ব্যবধান তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রদর্শিত বা সাদা টাকা না হওয়ায় সম্পত্তি বিক্রির অর্থে ব্যাংক ঋণও পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সম্প্রতি সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ নেয় দেশের বৃহৎ একটি শিল্প গ্রুপ। ওই গ্রুপটির দ্বিতীয় প্রজন্ম চাচ্ছে, জমি বিক্রি করে হলেও ব্যাংক ঋণের ভারমুক্ত হতে। রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশে নিজেদের মালিকানায় থাকা ভবন ও জমি ৪০০ কোটি টাকায় বিক্রির জন্য ক্রেতাও খুঁজে পেয়েছেন তারা। কিন্তু গোল বেঁধেছে সম্পত্তি মূল্যের প্রদর্শিত অর্থ নিয়ে। ক্রেতা চাচ্ছেন, মৌজা দরে সম্পদের ক্রয় মূল্য ১০০ কোটি টাকা দেখাতে। এ টাকা ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে পরিশোধ করা হবে। বাকি ৩০০ কোটি টাকা দেয়া হবে নগদে।

খাদ্য, পানীয়, দুগ্ধ ও নির্মাণ খাতের অন্যতম বৃহৎ ওই গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বণিক বার্তাকে জানান, ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের জন্য সম্পত্তি বিক্রি করতে চাচ্ছি। বহু চেষ্টার পর বাজার দরের চেয়েও কম মূল্যে একজন ক্রেতা খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু ক্রেতা সম্পত্তি মূল্যের মাত্র এক-চতুর্থাংশ প্রদর্শিত অর্থ হিসেবে দিতে চাচ্ছেন। বাকি অর্থ পরিশোধ করতে চাচ্ছেন নগদে। অপ্রদর্শিত এ অর্থ দিয়ে আমি কীভাবে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করব। আমার মতো দেশের অনেক ব্যবসায়ী একই ধরনের সংকটে পড়েছেন। আবার ব্যাংকগুলোও সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণ আদায় নিয়ে বিপদে আছে। খেলাপি ঋণ কমানোর পাশাপাশি অর্থনীতির স্বার্থে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া দরকার।

মানবজমিন
উপদেষ্টা আসিফের দু’টি অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু হয় কুমিল্লা থেকে
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দু’টি অস্ত্রের লাইসেন্স‘ নিয়েছেন। কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার নামে এই দু’টি অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। পিস্তলের লাইসেন্স নং-১২৫৪। এটি গত বছরের ১৫ই ডিসেম্বর ইস্যু হয়েছে। আর শটগানের লাইসেন্স নং-১৬৯১।  এটিও গত বছরের ৩রা ডিসেম্বর ইস্যু করা হয়। অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যে ক’টি যোগ্যতা দরকার সেগুলো আসিফের না থাকলেও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও উপদেষ্টা ক্যাটাগরিতে তিনি লাইসেন্স পেয়েছেন। 

অস্ত্র আইনে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য বয়স ৩০ থেকে ৭০ বছর থাকতে হবে। কিন্তু আসিফ মাহমুদের বয়স ২৫ বছর ১১ মাস ১৮ দিন। এছাড়া পিস্তল, রিভলবার ও রাইফেলের ক্ষেত্রে আবেদনের আগের তিন অর্থ বছর ধারাবাহিকভাবে তিন লাখ টাকা আয় কর দিতে হয়। আর শটগানের ক্ষেত্রে ১ লাখ টাকা আয় কর দিতে হয়। এছাড়া অস্ত্র আইনে বলা হয়েছে, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সমমর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আয়কর পরিশোধে বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তাদের ক্ষেত্রে বয়সের বাধ্যবাধকতাও থাকবে না।  

রোববার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ মারাক্কেশ ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২৫ অনুষ্ঠানে যোগদান করতে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে-৭১৩ নম্বর ফ্লাইটে ঢাকা থেকে তুরস্ক হয়ে মরক্কোতে যাচ্ছিলেন। হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রি-বোর্ডিং স্ক্রিনিং করার সময় তার সঙ্গে থাকা পাউচের (ছোট ব্যাগ) মধ্যে অ্যামোনেশন ম্যাগাজিন পাওয়া যায়।  শনাক্তের পর ব্যাগ থেকে ম্যাগাজিনটি বের করে তিনি তার প্রোটোকল অফিসারের কাছে জমা দেন এবং নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন (আইকাও), বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অ্যারোনটিক্যাল পাবলিকেশন ইনফরমেশন (এআইপি), হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইএটিএ)   ডেঞ্জারাস গুড রেগুলেশনের মধ্যে কেবিন ব্যাগেজে ম্যাগাজিন বহন নিষিদ্ধ।  তবে লক্‌ড প্যাকেজে ও প্যাকিং নীতি মেনে আগে ঘোষণা দিয়ে চেক-ইন লাগেজে গুলি ও ম্যাগাজিন নেয়া যায়। 

কালের কণ্ঠ
জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ইনসার্টজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় স্বার্থে ‘ঐক্যের’ ডাক দিয়েছেন। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এক হওয়ার আহবান জানান তাঁরা। তবে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থার দাবি ঐক্যে বিভক্তি তৈরি করছে কি না—এ প্রশ্নও তোলেন তারেক রহমান।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনাসভা এবং শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠানে দলের দুই শীর্ষ নেতা জাতীয় ঐক্যের এই আহবান জানান। এর মাধ্যমে চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে ৩৬ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি শুরু করল বিএনপি। খালেদা জিয়া তাঁর গুলশানের বাসভবন থেকে এবং তারেক রহমান লন্ডন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত ‘জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবার, আহত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, বুদ্ধিজীবী, সিনিয়র সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। শহীদ পরিবারকে অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট ও সম্মাননা দেওয়া হয়। গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে শহীদ পরিবারের সদস্যদের কয়েকজন বক্তব্য দেন।

যুগান্তর
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাই ঐক্য বজায় রাখুন
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ‘ঐক্য বজায় রাখা’র আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, যেকোন মূল্যে বীরের এই রক্তস্রোত, মায়ের অশ্রুধারা যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আসুন সবাই মিলে শহীদ জিয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি, বাস্তবায়িত করি কোটি মানুষের নতুন বাংলাদেশের নির্মাণের স্বপ্ন। 

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির বিশেষ অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনি ব্যবস্থা দেশের ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তিমূলক সমাজ এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণ হয়ে উঠতে পারে কিনা তা গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখার জন্য সব রাজনৈতিক নেতাদের অনুরোধ জানান। 

ভিডিওবার্তায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের সামনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার, তা আমাদের দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে।

প্রথম আলো
তারিক সিদ্দিক ও তাঁর স্ত্রীর বিপুল সম্পদের খোঁজ
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও তাঁর স্ত্রী শাহিদ সিদ্দিকের বাগানবাড়ি, ফ্ল্যাট ও বিপুল জমির খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের এসব সম্পদ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে।

দুদকের কর্মকর্তারা বলছেন, অনুসন্ধান এখনো চলছে। আরও সম্পদ পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। ব্যাংকে তারিক সিদ্দিক ও তাঁর স্ত্রীর টাকা আছে কি না, কত লেনদেন হয়েছে, সেই তথ্য পাওয়া এখনো বাকি। দুদকের নথি অনুযায়ী, তারিক সিদ্দিকের নামে গাজীপুরে বাগানবাড়ি আছে দুটি। ঢাকার গুলশানে রয়েছে একটি সাততলা বাড়ি। ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তিনটি প্লট রয়েছে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর।

বারিধারায় রয়েছে চারটি ফ্ল্যাট ও একটি ফ্ল্যাটের একাংশ। গাজীপুরে আরেকটি সাততলা বাড়ির চার ভাগের এক ভাগের মালিকানা তারেক সিদ্দিকের নামে। এর বাইরে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তারিক সিদ্দিক ও তাঁর স্ত্রীর নামে প্রায় ৪৮ বিঘা জমি রয়েছে। বাগানবাড়ি, জমি ও ফ্ল্যাট মিলিয়ে তারিক সিদ্দিকের সম্পদের দলিলমূল্য দেখানো হয়েছে ৩৮ কোটি টাকার বেশি। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সেখানে যে দামে সম্পদের দলিল দেখানো হয়েছে, বাজারমূল্য তার কয়েক গুণ।

দুদক জানিয়েছে, তারা ২৪ বিঘা জমি এবং ৪টি ফ্ল্যাট ও ১টি ফ্ল্যাটের একাংশ আদালতের আদেশে জব্দ করেছে। বাকি সম্পদও জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদেশে তারিক সিদ্দিকের সম্পদ আছে কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার পরিবারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক একটি আলাদা দল করেছে। সেই দলের সদস্যরা এই অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তারেক সিদ্দিক, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে প্রায় শতকোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর বিদেশে সম্পদ রয়েছে কি না, সেই তথ্য জানতে বিএফআইইউকে (বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন তারিক সিদ্দিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ধারণা করা হয়, তাঁরা দেশ ছেড়েছেন। তারিক সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জুলাই হত্যাকাণ্ড ও শেখ হাসিনার আমলে গুমের ঘটনায় মামলা এবং দুর্নীতির একাধিক মামলা রয়েছে। মামলাগুলোতে তাঁদের নিয়োগ করা কোনো আইনজীবীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফলে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সম্পর্কে তারেক সিদ্দিক বা তাঁর স্ত্রীর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

কালবেলা
নিজেকে নিরাপত্তাহীন ভাবেন অর্ধেক মানুষ
কালবেলার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ নিজেকে অনিরাপদ মনে করেন। একই সঙ্গে তারা নিজ সম্পদ, মূল্যবান সামগ্রী, বসতবাড়ি নিয়েও নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন। এ শঙ্কা পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি। সম্প্রতি সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে’ বা নাগরিক অভিমত। জুলাই বিপ্লবের পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে জরিপটি পরিচালনা করা হয়, যার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে গত ১৯ জুন।

জরিপের ফল সম্পর্কে জানতে চাইলে বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) রাশেদ-ই মাসতাহাব কালবেলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যে তথ্য দিয়েছে, তাই শুধু আমরা তুলে ধরেছি। এখানে আমাদের নিজস্ব কোনো মতামত বা মন্তব্য নেই।’

প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন ছিল। সেই বেসামাল পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তার পরও দেশের প্রায় অর্ধেক নাগরিক নিজের মূল্যবান সম্পদ চুরি, খোয়া যাওয়া, লুটপাট ও বাড়িঘর এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর আতঙ্কে রয়েছেন। এ আতঙ্ক পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে বেশি। প্রায় ৫০ শতাংশ নারী মূল্যবান সম্পদ হারানোর আশঙ্কা করছেন। শারীরিক আঘাত পাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন ৩৪ শতাংশ মানুষ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিপূর্ণ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মব ভায়োলেন্স বন্ধ করা না গেলে নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক কাটবে না। সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা প্রশাসনের প্রতি জনআস্থা ফেরানো সম্ভব না হলে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। সাধারণ মানুষও নিজেদের নিরাপদ মনে করবে না।

সিটিজেন পারসেপশন (সিপিএস) জরিপের জন্য বিবিএস চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশব্যাপী সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) পরিচালনা করে। ৬৪ জেলার ১ হাজার ৯২০টি প্রাইমারি স্যাম্পলিং ইউনিট (পিএসএল) থেকে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী ৮ লাখ ৩১ হাজার ৮০৭ নারী-পুরুষ উত্তরদাতার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

জরিপে নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার এবং বৈষম্যবিষয়ক এসডিজি-১৬-এর ছয়টি সূচকের অগ্রগতি বিষয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছে। জরিপের প্রশ্নপত্র জাতিসংঘের নির্ধারিত। এ জরিপ থেকে এসডিজি-১৬-এর ৬ সূচকের তথ্য পাওয়া গেছে। বিবিএসের জরিপে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকরা বসবাসের জন্য নিরাপত্তার প্রশ্নে কতটা নিরাপদ বা তার আবাসস্থল, কর্মস্থল বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মূল্যবান দ্রব্যাদি সুরক্ষায় কতটা নিরাপদে আছেন, ওই অবস্থা উঠে এসেছে।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ‘মূল্যবান সম্পদ চুরি বা লুটের কোনো আতঙ্কে আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ৪৭ দশমিক ১৭ শতাংশ নাগরিক বলছেন, তারা মূল্যবান সম্পদ চুরি বা লুটপাটের আতঙ্কে রয়েছেন। শহর এলাকার অর্ধেকের বেশি নাগরিক এমন আতঙ্কে ভুগছেন। শহর এলাকায় ৫০ দশমিক ৫৫ শতাংশ নাগরিক জানিয়েছেন, তারা মূল্যবান সম্পদ চুরি বা লুটপাটের আশঙ্কা করছেন। যেখানে গ্রাম এলাকায় এ হার ৪৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষ বেশি নিরাপত্তাহীনতার কথা প্রকাশ করেছেন।’

বাড়িঘর ভাঙচুর বা সম্পদ বা মূল্যবান দ্রব্যাদি চুরি-ডাকাতির আশঙ্কা রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে দেশের ৪১ দশমিক ৭৪ শতাংশ নাগরিক মত দিয়েছেন তারা এমন আশঙ্কায় রয়েছেন। শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়িঘর ভাঙচুরের আতঙ্ক বেশি বলে জরিপের ফলে বেরিয়ে এসেছে। জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী শহরের ৪৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ মানুষ বলছেন, তারা বাড়িঘর ভাঙচুর ও চুরি-ডাকাতির আতঙ্কে ভোগেন। এ ক্ষেত্রে গ্রাম এলাকার ৪০ দশমিক ৪৩ শতাংশ এমন ভয়ের কথা জানিয়েছেন। অর্থাৎ শহরের তুলনায় গ্রাম এলাকায় বাড়িঘর ভাঙচুর বা চুরির ভয় তুলনামূলক কম।

নয়া দিগন্ত
আ.লীগ অলিগার্ক তদন্ত টিমের ৮০ ভাগই ফ্যাসিবাদ ঘনিষ্ঠ
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, পতিত সরকারের আনুকূল্য প্রাপ্ত অলিগার্ক ব্যবসায়ীদের অর্থপাচার ও অন্যান্য মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয় তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের গঠিত ১১টি টাস্কফোর্সের মধ্যে ৯টিই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সদস্য অথবা সুবিধাভোগীর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে আবার যাদের মানিলন্ডারিং তদন্তের জন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে সে প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠজনরাও টাস্কফোর্সে স্থান পেয়েছে। সরকারের একটি শীর্ষ গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বসুন্ধরা গ্রুপ ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তদন্তের জন্য মানিলন্ডারিং শাখার উপপরিচালক শেখ গোলাম মাওলার নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুসারে, এই টাস্ক ফোর্সের টিম লিডারের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলছে। ২০১৪ সালের ব্যাচের এই কর্মকর্তার বাড়ি ময়মনসিংহে। তিনি বঙ্গবন্ধু ও হাসিনা পরিবারের প্রতি বিশেষভাবে সহানুভূতিশীল ও আস্থাবান। তার সাথে ২০২২ সালের আওয়ামী লীগের বাছাই করা দলবাজ কর্মকর্তা মো: সাজিদ-উর-রোমান ও মো: মাহমুদুল হাসান ভূইয়াকে সদস্য হিসেবে দেয়া হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারবর্গ আর তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয় তদন্তে বিশেষ তদন্ত-২ শাখার উপপরিচালক মো: সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সের এই টিমের দলনেতা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ আমলে কমিশনের চাকরিতে এসেছেন। চাকরিতে যোগদানকালে তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগপন্থী হিসেবে জাহির করতেন। বর্তমানে তিনি বিএনপিপন্থী হয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে একজন অসৎ মানুষ এবং একাধিক বিয়ে করার কারণে তিনি নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলার আসামি। তিনি দুদকের ঘুষের টাকায় এই মামলা মোকদ্দমা নিষ্পত্তি করেছেন বলে জানা যায়। বিএনপিপন্থী অফিসার গোলাম ফারুকের অতি আস্থাভাজন হিসেবে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে নিজেকে প্রকাশ ও প্রচার করতে পেরেছেন। তার দলের সদস্য আফনান জান্নাত কেয়া। তিনি একমাত্র নারী সদস্য এই টাস্কফোর্সে স্থান পেয়েছেন। ৩৪ জন অফিসারের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠিত হলেও তিনিই একমাত্র নারী অফিসার। আফনান জান্নাত কেয়ার স্বামী একজন ব্যবসায়ী। তার মাধ্যমে দুদক কর্মকর্তারা মানিলন্ডারিং করেছেন। তিনি হলেন অঘটন ঘটনপটিয়সী। টিমের অন্য দু’জন সদস্য ২০২২ সালে যোগদান করেছেন। তাদের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

আজকের পত্রিকা
নিরাপত্তাহীনতায় ট্রেনযাত্রীরা
আজকের পত্রিকায় বলা হয়েছে, ট্রেন দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ গণপরিবহন। অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের মানুষসহ বিশাল জনগোষ্ঠী এর ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সাম্প্রতিককালে এতে ভ্রমণকালে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। নিয়মিত যাত্রীদের অভিযোগ, চলন্ত ট্রেনে প্রায়ই ঘটছে চুরি, ছিনতাই। কখনো কখনো ঘটছে ধর্ষণ এবং ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার মতো গুরুতর অপরাধও। এতে যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। প্রশ্ন উঠেছে ট্রেনে যাত্রীর নিরাপত্তায় কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে।

গত কয়েক বছরে ট্রেনে ধর্ষণের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ২৫ জুন সকালে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় রংপুর এক্সপ্রেসের টয়লেটে এক নারী যাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রেলওয়ের অস্থায়ী কর্মচারী সাইফুল ইসলামকে (২৮) আটক করা হয়েছে।

ট্রেনে ধর্ষণের এ পর্যন্ত সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের ২৬ জুন। এদিন চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসে এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হন। অভিযুক্তরা রেলের খাবার সরবরাহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত ট্রেনে ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে অন্তত ১০টি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ছিলেন রেলকর্মী বা রেলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। এসব ঘটনায় মামলা হলেও বিচারপ্রক্রিয়ার গতি ধীর। অনেক ক্ষেত্রে বিচারের মুখ দেখেননি ভুক্তভোগীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটে ট্রেনের টয়লেটে। এরপর খাবার বগিতে। অনেক নারীই সম্মানহানির ভয়ে যৌন হয়রানির বিষয়টি চেপে রাখার চেষ্টা করেন। তবে কেউ কেউ আবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। সে ঘটনাগুলোই মূলত সামনে আসছে।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর