Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

ঈদের পর চালের বাজার চড়ছেই, কেজিতে বেড়েছে ৮-১০ টাকা

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৫

ঈদের পর চালের বাজার চড়ছেই, কেজিতে বেড়েছে ৮-১০ টাকা

বাংলাদেশের খবর
বন্ধ হচ্ছে না মব, পাঁচ মাসে ৫২ প্রাণহানি
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বন্ধ হচ্ছে না মব সন্ত্রাস। চলতি বছরের শুরুর পাঁচ মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৪১টি মব হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ১৪১টি মব হামলায় ২৮৯ জন আহত হয়েছেন। ৫২ জন মারা গেছেন। এই পাঁচ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মব হামলার ঘটনা ঘটেছে মার্চে। মৃত্যুও এই মাসে বেশি ছিল। মার্চে ৩৯টি ঘটনায় উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে নিহত ১৩ ও আহত ৯৬।

মাস অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে ২১টি মবের ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে নিহত ৮ ও আহত ৩৪ জন। মার্চে ৩৯টি ঘটনায় উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে নিহত ১৩ ও আহত ৯৬। এ ছাড়া এপ্রিলে ২৭টি মবের ঘটনায় ১০ জন নিহত ও আহত ৫৩। আর মে মাসে মবের বিশৃঙ্খলার ঘটনা ৩৬টি এবং নিহত ৯, আহত ৬৮ জন। অন্তর্বর্তী সরকার মব সামাল দিতে ব্যর্থ বলে অভিযোগ উঠেছে অনেক পক্ষ থেকে।

বণিক বার্তা
অন্তর্বর্তী সরকারের খসড়া টেলিকম নীতিমালা নিয়ে শুরু হলো বিতর্ক
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে গত এপ্রিলে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের লাইসেন্স কাঠামোর পুনর্বিন্যাসের জন্য একটি খসড়া নীতিমালা করা হয়। এটি প্রকাশের পরই অংশীজনদের পক্ষ থেকে আপত্তি ওঠে। এ নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে টেলিকম খাতের স্থানীয় উদ্যোগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন তারা। অন্যদিকে সরকারের দিক থেকে বলা হচ্ছে, গ্রাহকের ভয়েস কল ও ডাটার খরচ কমানোর জন্যই নতুন নীতিমালা করা হচ্ছে। অতীতে বহুস্তরের লাইসেন্স কাঠামোর সুবিধা নিয়ে যারা লাভবান হয়েছেন তারাই মূলত এর বিরোধিতা করছেন।

দেশকে একটি আধুনিক, প্রতিযোগিতামূলক ও টেকসই ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ খাতে রূপান্তরের লক্ষ্যে নতুন টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রেজিম রিফর্ম পলিসি-২০২৫-এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে বলে সরকারের দাবি। জটিল ও পুরনো লাইসেন্সিং কাঠামো সরলীকরণ; উদ্ভাবন, বিনিয়োগ ও প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করা; সাশ্রয়ী মূল্যে ও গুণগত মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত; টেকসই ও নিরাপদ ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলা এর মূল্য উদ্দেশ্য।

খসড়ায় তাই টেলিকম খাতের লাইসেন্স কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে সেলুলার মোবাইল সার্ভিস ও ফিক্সড টেলিকম সার্ভিসের জন্য পৃথক একটি অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডার (এএনএসপি) লাইসেন্স দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এএনএসপিগুলো গ্রাহক পর্যায়েও সেবা দেয়ার জন্য দায়বদ্ধ থাকবে। জাতীয় পর্যায়ে অবকাঠামো ও ট্রান্সমিশন সেবা যেমন ফাইবার, টাওয়ার ও নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন পরিচালনার জন্য ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড কানেক্টিভিটি সার্ভিস প্রোভাইডার (এনআইসিএসপি) লাইসেন্স দেয়া হবে। আন্তর্জাতিক ভয়েস, ইন্টারনেট ও ডাটা সংযোগের জন্য নিতে হবে ইন্টারন্যাশনাল কানেক্টিভিটি সার্ভিস প্রোভাইডার (আইসিএসপি) লাইসেন্স। স্যাটেলাইট, নন-টিরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্কস (এনটিএন) ও হাই-অলটিটিউড প্লাটফর্মস (এইচএপি) ভিত্তিক সেবার জন্য নন-টিরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্কস অ্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডার (এনটিএনএসপি) লাইসেন্স নিতে হবে। তাছাড়া এসএমএস এগ্রিগেটর, ওটিটি ইত্যাদি সেবার জন্য টেলিকম এনাবলড সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে হবে। নতুন এ পলিসি কার্যকর হওয়ার পর আইজিডব্লিউ, আইআইজি, আইসিএক্স, এনআইএক্স, এমএনপি লাইসেন্সগুলো ধীরে ধীরে বাতিল হয়ে যাবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসা করতে হলে ২০২৭ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নতুন কাঠামো অনুসারে লাইসেন্স নিতে হবে।

সমকাল
পুলিশের ভোটের প্রস্তুতি শুরু দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পুলিশ। নির্বাচনে পুলিশের কর্মপরিধি, নির্বাচনী আইন ও বিধি সম্পর্কে ধারণা দিতে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। আগস্ট থেকে দেশব্যাপী সব পুলিশ সদস্য ধারাবাহিকভাবে এর আওতায় আসবেন। বলে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।

এবারই প্রথম এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে নেওয়া হয়েছে এদিকে এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভা থেকে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের সমন্বয়ে দুটি মহড়া দিতে বলা হয়েছে। প্রথম মহড়া সেপ্টেম্বরে, অন্যটি নির্বাচনের আগে।

আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশকে সব প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত মার্চে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সভায় অংশ নেন। তখন প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে

মানবজমিন
ইসি’র শতাধিক কর্মকর্তা দুদকের নজরে
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মানহীন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনে রাষ্ট্রের অর্থ অপচয়ের অভিযোগে একটি অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে চলমান এই অনুসন্ধানে নির্বাচন কমিশনের সাবেক ও বর্তমান অনেক কর্মকর্তা এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। দুদক সূত্র বলছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মানহীন ইভিএম ক্রয় করে অতি উৎসাহ দেখিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা। বিশেষ করে এই প্রকল্প থেকে বড় ধরনের লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে কিনা সে বিষয়েও চলছে অনুসন্ধান। 

দুদক কর্মকর্তারা জানান, নিম্নমানের ইভিএম মেশিন ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত অন্তত শতাধিক ইসি কর্মকর্তাকে ঘিরে অনুসন্ধান করছে দুদক। এর মধ্যে সাবেক প্রকল্প পরিচালক, সাবেক সিইসি কেএম নূরুল হুদা, সাবেক একাধিক ইসি সচিবসহ ইসি’র সাবেক বর্তমান কর্মকর্তারা রয়েছেন। এ ছাড়া একটি বিশেষ বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও অনিয়ম রয়েছে কিনা তা খোঁজা হচ্ছে দুদকের অনুসন্ধানে। অন্যদিকে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থছাড় না পাওয়া প্রকল্পের ছক কষা ইসি কর্মকর্তাদেরও দুদকের অনুসন্ধানের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে চেয়েছিল ইসি। সে সময় সংস্থাটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। ওই নির্বাচনে  দেড়শ’ আসনে ইভিএম ব্যবহারের লক্ষ্যে মেশিন কেনার জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার  প্রকল্প প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়। কিন্তু তৎকালীন সরকার শেষ পর্যন্ত সেই অর্থছাড় দেয়নি। কিন্তু ইসি’র বেশকিছু উৎসাহী কর্মকর্তা ইভিএম প্রকল্প বাস্তবায়নের পক্ষে ছিলেন। দুদক বলছে, উৎসাহ দেখানো কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। যদি ওই প্রকল্পটির জন্য অর্থছাড় হতো তাহলে আবারও রাষ্ট্রে নয় হাজার কোটি টাকা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থেকে যেত। 

যুগান্তর
শুয়ে-হাঁটু গেড়ে গুলি চালায় পুলিশ
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানে উত্তাল ও ভয়াবহ দিন ছিল ৫ আগস্ট। এদিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে ছাত্র-জনতার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ গুলি চালায় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রমনা জোনের সাবেক এডিসির নির্দেশে পুলিশ শুয়ে, বসে, কখনো হাঁটু গেড়ে, কখনো দাঁড়িয়ে একের পর এক গুলি চালিয়ে আন্দোলনকারীদের হত্যা করে। এদের গুলিতে শহীদ হন আন্দোলনকারীরা। হত্যার পর পুলিশ সদস্যরা উচ্চৈঃস্বরে বলেন- ‘গুলি লাগছে, লাগছে’ ‘শেষ’ ‘মরছে, মরছে’ বলে মৃত্যু নিশ্চিতের পর উল্লাস করেন। এদিন চানখাঁরপুল এলাকায় শহীদ হন শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া। এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রে গুলি করে হত্যার ভয়াবহ সব তথ্য উঠে এসেছে। মামলায় কনস্টেবল অজয় ঘোষকে অন্যতম সাক্ষী করা হয়েছে।

জানা গেছে, সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিল আটকাতে চানখাঁরপুল এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। তখন চাইনিজ রাইফেল হাতে অন্যদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন কনস্টেবল অজয় ঘোষ। ঊর্ধ্বতনের নির্দেশ সত্ত্বেও তিনি অপ্রয়োজনে গুলি চালাতে অস্বীকার করেন। এতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম আখতারুল ইসলাম কনস্টেবল অজয় ঘোষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং হুমকি দেন। এরপরও কনস্টেবল অজয় ঘোষ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না করলে, তার কাছ থেকে চাইনিজ রাইফেলটি কেড়ে নেন আখতারুল।

কালের কণ্ঠ
ঈদের পর চালের বাজার চড়ছেই, কেজিতে বেড়েছে ৮-১০ টাকা
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চালের বাজারে অস্থিরতা চলছেই। রাজধানীর খুচরা বাজারে চিকন চালের (মিনিকেট) দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।মাঝারি ও মোটা চালও কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। চট্টগ্রামেও চালের বাজার অস্থির।

৫০ কেজির বস্তায় ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। লাগামহীন এই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ‘ভাতের পাতে স্বস্তি ফেরাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ গতকাল বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেছে। এদিকে সবজিতেও স্বস্তি নেই। প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এতে বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন ভোক্তা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল পর্যায়ে চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এর প্রভাবে খুচরা ও পাইকারিতেও দফায় দফায় দাম বাড়ছে। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, সবজির মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে, যার প্রভাব পড়ছে দামে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর খুচরা বাজারে মিনিকেট চাল মানভেদে প্রতি কেজি ৮২ থেকে ৯০ টাকা যা ঈদের আগে ছিল ৭২ থেকে ৮২ টাকা। ব্রি-২৮ ও পাইজাম চাল কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের মেসার্স মান্নান রাইস এজেন্সির মালিক আব্দুল মান্নান তালুকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই ভরা মৌসুমে মিলাররা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর মিনিকেট চাল কেজিতে ১৪ টাকা বেশি। এক বছরে মোটা চাল ব্রি-২৮ প্রতি কেজিতে আট টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চালও কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

মিলারদের কারসাজিতে দাম বেড়েছে। সরকারকে এখনই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।’ কারওয়ান বাজারের মেসার্স ঢাকা রাইস এজেন্সির ব্যবসায়ী মো. সায়েম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত চিকন চালের দাম বস্তায় ৪০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন মিলাররা। মোটা চালের দাম বস্তায় ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।’

বাংলাদেশ প্রতিদিন
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে ওই সময়ের মধ্যে সংস্কার এবং জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন। তবে এখন পর্যন্ত মৌলিক কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় হিমশিম খাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিষয়গুলো সমাধান না হলে আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় কাটছে না। তা ছাড়া নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এদিকে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো লন্ডন বৈঠকের যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী সরকারের দৃশ্যমান উদ্যোগ চায়। এ নিয়ে শঙ্কা থাকলেও ফেব্রুয়ারি ঘিরেই নির্বাচনি প্রস্তুত নিচ্ছে দলটি।

নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা : বিএনপির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৩ জুন অনুষ্ঠিত লন্ডন বৈঠকের কোনো প্রতিফলন নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছে না। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি ও সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে অনেক দলের ঐকমত্যকে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার উপাদান বলে মনে করছে বিএনপি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও আইনসভায় সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দাবিটি সম্প্রতি ঢাকায় এক সমাবেশে জোরালোভাবে তুলেছে সংশ্লিষ্ট দলগুলো। ইসলামী আন্দোলনের আয়োজনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ সমমনারা এ দাবি তোলে। এ দাবির বিপক্ষ অবস্থানে থাকায় বিএনপি ও তার সমমনাদের সেখানে আমন্ত্রণ করা হয়নি। ২৩টি দল নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন চায়।

চলতি জুলাইয়ের মধ্যে মৌলিক বিষয়গুলোয় ঐকমত্যে পৌঁছানো গেলে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী মাসের শুরুর দিকে ‘জুলাই সনদ’ অথবা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর একটি দেওয়া যেতে পারে, এমন আশা দেখিয়েছিল সরকার। বাস্তবে অনেক বিষয়ে দলগুলোর অনড় অবস্থানের ফলে জুলাই সনদ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘জুলাই সনদ’ সইয়ের আশা ছিল ঐকমত্য কমিশনের।

প্রথম আলো
৮০% মামলায় অভিযোগপত্র জমা
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে এক বছরে মোট ৩৯৯টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ এক হাজারের বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। দুদক বলছে, ক্ষমতার অপব্যবহার, বড় বড় প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি করে অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দ নেওয়া ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত

সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এসব মামলা করা হয়েছে। কারও কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলের অভিযোগ রয়েছে। আসামিদের কেউ কেউ টাকা পাচার করে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও কানাডায় একাধিক বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, এমন অভিযোগেও মামলা হয়েছে। শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের হাজার কোটি টাকা লোপাট, প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১২ মাসে ৭৬৮টি অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। এ সময় মামলা হয়েছে ৩৯৯টি। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে। তদন্ত শেষে ৩২১টি মামলায় (৮০ শতাংশের বেশি) অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

দুদকের তথ্যমতে, গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ৭১টি মামলা হয়েছে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে একই সময়ে সবচেয়ে বেশি মামলা (১৪৪টি) হয়েছে বিগত সরকারের প্রভাবশালী আমলা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ৪৪ জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।

দুদকের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সঠিকভাবে অনুসন্ধান না করে তাড়াহুড়া করে মামলা করতে গিয়ে কিছু ভুলও হয়েছে। এসব ভুলের কারণে অপরাধ প্রমাণ করতে বেগ পেতে হতে পারে। তাঁরা মনে করেন, আরেকটু সময় নিয়ে ভালোভাবে অনুসন্ধান করে মামলা করলে অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর