Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫, ১১:১৭

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘রাজনৈতিক’ ট্রেনে খরচ ওঠে না, বন্ধের উদ্যোগ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে সবচেয়ে কম যাত্রী নিয়ে চলাচল করা ট্রেনগুলোর একটি বিজয় এক্সপ্রেস। ২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর চালুর সময় এটি ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত চলাচল করত। ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনটির যাত্রার স্থান পরিবর্তন করে জামালপুরে নেওয়া হয়। এতে বেড়ে যায় যাত্রার সময়। কমতে থাকে যাত্রীর সংখ্যা। এখন ট্রেনটি চালিয়ে যে আয় হয়, তা দিয়ে খরচই তোলা যাচ্ছে না।

রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, বিজয় এক্সপ্রেসের যাত্রার স্থান পরিবর্তনের আগে কোনো সমীক্ষা করা হয়নি। ফলে লাভ-লোকসানের বিষয়টি বিবেচনায় আসেনি। মূলত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার দলের নেতাদের আবদারের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেনটির যাত্রার স্থান পরিবর্তন করে।

রেলওয়ে সূত্রমতে, জ্বালানি খরচ, লোকবল ও অন্যান্য খরচ বিবেচনায় শতভাগ যাত্রী পরিবহন করার পরও আন্তনগর ট্রেনে লোকসান হয়। এ ছাড়া আছে ইঞ্জিন-কোচের সংকট। এ পরিস্থিতিতে যাত্রীর চাহিদা বেশি না থাকলে নতুন ট্রেন চালু করতে চায় না কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও রাজনীতিকদের চাপে নতুন নতুন ট্রেন চালু, ট্রেনের গন্তব্যস্থল সম্প্রসারণ, নতুন নতুন স্টেশনে ট্রেন থামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবই করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির কথা বলে।

সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বিএনপিকে আনুপাতিক উচ্চকক্ষে রাজি করাতে পিআর পদ্ধতির চাপ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির ওপর চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে ভোটের অনুপাতে (পিআর) সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল। আনুপাতিক নির্বাচন না চাইলেও এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টিও এ দাবিতে সমর্থন দিচ্ছে। ভোটের অনুপাতে প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের প্রস্তাবে বিএনপিকে রাজি করাতেই এই চাপ তৈরি করা হচ্ছে বলে দলগুলোর সূত্রে জানা গেছে।

সংস্কারের চলমান সংলাপে দরকষাকষির কৌশল হিসেবে সংসদের নিম্নকক্ষে প্রচলিত আসনভিত্তিক নির্বাচনের পরিবর্তে পিআর পদ্ধতির দাবি তুলেছে তারা। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের প্রস্তাব বিএনপি মেনে নিলে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্য দলগুলো নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতির দাবি থেকে সরে আসবে। আনুপাতিক উচ্চকক্ষ না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি না হওয়া কিংবা নির্বাচন বর্জনের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে দলগুলোর। 

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছে। এতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল রাজি হয়েছে।

বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘পিআর বনাম এফপিটিপি : দ্বিধাবিভক্ত রাজনীতি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের ১১ মাসের মাথায় এখন সবচেয়ে বড় বিতর্ক, নির্বাচন পদ্ধতির কাঠামো কেমন হবে? সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে 'দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ' এবং পিআর পদ্ধতি চালুর সুপারিশে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভক্তি আরও স্পষ্ট হয়েছে। একপক্ষ সরাসরি ভোট চায়, অন্যপক্ষ চায় প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর)। এই দ্বন্দ্বের পেছনে রয়েছে গভীর রাজনৈতিক কৌশল, গাণিতিক বাস্তবতা এবং ক্ষমতার ভারসাম্যের খেলা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে ছোট দলের উত্থান ও বহুত্ববাদের সুযোগ থাকলেও রয়েছে অস্থিরতাসহ সরকার ও দলীয় নিয়ন্ত্রণ বাড়ার ঝুঁকি। সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষে 'আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব' পদ্ধতি প্রবর্তনের সুপারিশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আলোড়ন ও স্পষ্ট বিভাজন। দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপি ও তার মিত্ররা প্রচলিত 'ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট' (এফপিটিপি) বা সরাসরি ভোটের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কিছু ইসলামপন্থি ও বাম দল পিআর পদ্ধতির জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে। এই বিতর্কের গভীরে নিহিত রয়েছে রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির জটিল হিসাব, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার প্রশ্ন।

মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘নির্বাচন প্রশ্নে জামায়াত ইসলামী আন্দোলন মতৈক্যে পৌঁছেছে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক আদর্শে বেশ অমিল, ধর্মীয় আকিদা এবং ত্বরিকায়ও পার্থক্য অনেক। তারপরও ভোটের রাজনীতিতে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে বৃহৎ দুই ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ইসলামী সমমনা আরও অন্তত ৮টি দল। তাদের লক্ষ্য আসন্ন নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের ভোট এক বাক্সে আনা। যার মাধ্যমে বিএনপি’র বিপরীতে শক্তিশালী রাজনৈতিক বলয় তৈরি করা। ইতিমধ্যে জামায়াতের আমীর ও ইসলামী আন্দোলনের আমীরের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়েছে এ নিয়ে।  আর গত ২৮শে জুন প্রকাশ্য জনসমাবেশে বিষয়টি প্রকাশও করা হয়। ওইদিন রাজধানীর সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল সমাবেশে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের প্রথম সারির একাধিক নেতা আগামীতে ইসলামপন্থিদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার কথাও বলতে শোনা যায়।

ওই সভায় ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, যদি কেউ মোনাফেকি না করি, তবে আগামীতে ক্ষমতায় যাবে ইসলামী শক্তি। তিনি বলেন, এই সমাবেশ সাক্ষী কেউ মোনাফেকি করলে জাতি তাদের চিহ্নিত করবে। এই সমাবেশে বিএনপি ছাড়া ইসলামী সমমনা ১০ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

এ বিষয়ে জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, একটি নির্বাচনী সমঝোতার বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলমান। এক্ষেত্রে কেবল ইসলামী আন্দোলন নয়- জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক যে কোনো দলকে আমরা সঙ্গে নিতে চাই। সেভাবে আমরা অগ্রসর হচ্ছি।

কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। একদিকে দাবি আদায়ে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঠ পর্যায়ে আন্দোলন, অন্যদিকে শিল্প-কারখানায় শ্রমিকপক্ষের অসন্তোষ। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও এখনো সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। পুলিশ প্রশাসনেও ফেরেনি ভেঙে পড়া মনোবল। মব সন্ত্রাসে দূর হয়নি সামাজিক অস্থিরতা। রয়েছে আসন্ন নির্বাচন নিয়েও শঙ্কা। সব মিলিয়ে আস্থাহীনতায় পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ। 

দেশি বিনিয়োগের অবস্থাও নাজুক। এতে কমেছে শিল্পের উৎপাদন। ব্যবসায় চলছে মন্থরগতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিপরীতে বাড়ছে বেকারত্বের হার। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা মনে করছেন, দেশে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে দীর্ঘমেয়াদি নীতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। তখন বিনিয়োগে মনোযোগী হবেন উদ্যোক্তারা।   

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, সদ্যোবিদায়ি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমেছে। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ ৯১ কোটি ডলারে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ে (জুলাই-এপ্রিল) ছিল ১২৭ কোটি ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল ১৪১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার।

যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় দলের নাম করে চাঁদাবাজি, দখলসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের কিছুসংখ্যক নেতাকর্মী। এর মধ্যে ‘হাইব্রিড’ ও ‘নব্য বিএনপির’ নামধারীরাই বেশি বেপরোয়া। এমনকি তারা তৃণমূল বিএনপিতে কোন্দল ও গ্রুপিংয়েও সম্পৃক্ত। ফলে কয়েকটি জেলায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ পর্যন্ত হয়েছে। কোনো কোনো ঘটনায় বিব্রতও হতে হচ্ছে বিএনপিকে। এ অবস্থায় দলের নাম করে অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হচ্ছে দলটির হাইকমান্ড। তালিকা করা হচ্ছে অপকর্মকারীদের। তালিকা ধরে চলবে শুদ্ধি অভিযান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।

দলটির নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র জানায়, অফিশিয়ালি বিষয়টি বলতে চাচ্ছি না। তবে হাইকমান্ডের নির্দেশে ইতোমধ্যে শুদ্ধি অভিযানের কাজ শুরু হয়ে গেছে। একেবারে ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, জেলাসহ সব পর্যায়ের কমিটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিটি এলাকায় বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের যেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে জনমনে নেতিবাচক পারসেপশন শুরু হয়েছে সে বিষয়টিকে বেশি আমলে নেওয়া হচ্ছে। জনগণ যাদের ওপর রুষ্ট তাদের সতর্ক করাসহ অনেককে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। মোদ্দা কথা, যারা দলের সুনাম নষ্ট করবে এবং দলের জন্য এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের ছেঁটে ফেলতে হাইকমান্ড এতটুকু দ্বিধা করবে না।

এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর