Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে মরিয়া ঢাকা

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১০:১৬

যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে মরিয়া ঢাকা

বাংলাদেশের খবর
ঘরে ঘরে ডেঙ্গু আতঙ্ক
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বর্ষার আগমনী বার্তা কেবল স্বস্তি নিয়ে আসে না, সঙ্গে নিয়ে আসে এক নীরব ঘাতকের পদধ্বনি। সেই ঘাতকের নাম ডেঙ্গু। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর চরিত্র বদলেছে। এখন আর এটি শুধু মৌসুমি রোগ নয়, বরং বছরব্যাপী এক আতঙ্কের নাম। বিশেষ করে এই বছর, মৌসুমের শুরুতেই ডেঙ্গুর যে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার দেখা যাচ্ছে, তা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য এক অশনি সংকেত। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে ডেঙ্গুআক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনই যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে ঘরে ঘরে ডেঙ্গু আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে সাধারণত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সর্বশেষ গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুআক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ৪৯২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ নিয়ে ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮ জন। চলতি বছরের মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১২ হাজার ৭৬৩ জনে। এদের মধ্যে পুরুষ ৭,৫৫৮ এবং নারী ৫,২০৫ জন। আক্রান্তদের বড় অংশই রাজধানী ঢাকার বাইরের, যা ডেঙ্গুর ব্যাপক বিস্তারের ইঙ্গিত দেয়।

মানবজমিন
যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে মরিয়া ঢাকা
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে সিরিজ মিটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা। অন্তিম মুহূর্তে ‘যারপর নাই’ চেষ্টা করছেন তারা। সময় যত গড়াচ্ছে আশার আলো ততই কমছে এমনটা দাবি করে দরকষাকষিতে যুক্ত দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে- পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রভাব কমাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করার বিষয়ে পূর্ণ মনোযোগী বাংলাদেশ। দরকষাকষির সূচনা থেকেই হস্ত এবং হৃদয় দুটো খোলা রেখেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ কারণে এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন লাখ টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। টন প্রতি ২০-২৫ ডলার বেশি দিয়ে ওই গম কেনা হচ্ছে কেবলমাত্র ট্রাম্প প্রশাসনের মন পেতে। 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন- মার্কিন প্রশাসন যেন বাংলাদেশের প্রতি একটু সদয় থাকে এজন্য লোকসান স্বীকার করে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের অনকূলে কিছু বাণিজ্য বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। ওই উদ্যোগের অংশ হিসেবে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক’টি উড়োজাহাজ (বোয়িং) আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির পরিমাণ বাড়ানোরও চেষ্টা  চলছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত বেশির ভাগ পণ্য ‘শূন্য শুল্ক’ করে দেয়া হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে। স্মরণ করা যায়- ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হয়েছে ২২১ কোটি ডলারের পণ্য। আর যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৮৩৬ কোটি ডলার। সূত্র মতে, শর্তগুলোর বিষয়ে ঐকমত্য  না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত শুল্ক চুক্তি আটকে গেছে। ৯ই জুলাই’র আগে এ নিয়ে আলোচনায় কাক্সিক্ষত অগ্রগতির সম্ভাবনা কম। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন চুক্তি হলে ট্রাম্প প্রশাসনের বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপ করা বাড়তি ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের হার কিছুটা কমতো। সূত্র মতে, মার্কিন প্রশাসন বিশেষত বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে এ নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে এই ক’দিনে। সেই আলোচনার বিভিন্ন পর্বে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেন। ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের ভাষ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রস্তাবিত শুল্ক চুক্তিতে অনেক শর্ত যুক্ত। বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতা বিবেচনায় যেসব শর্ত মানা সম্ভব তাতে ওয়াশিংটনের সায় মিললেই চুক্তিতে উপনীত হবে দুই দেশ। সে পর্যন্ত নেগোসিয়েশন চলবে।

প্রথম আলো
তরুণেরা চান শিক্ষা-স্বাস্থ্যে সংস্কার, ‘মব’ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মব (সংঘবদ্ধ বিশৃঙ্খলা) নিয়ে উদ্বিগ্ন তরুণেরা। তাঁরা চান সাধ্যের মধ্যে আধুনিক শিক্ষা ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা। সংস্কারের ক্ষেত্রেও তাঁরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শ্রমবাজারকে অগ্রাধিকারে দেখতে চান।

তরুণদের এই মনোভাব উঠে এসেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও একশনএইডের একটি জরিপে। জুলাই অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তরুণদের ভাবনা–সম্পর্কিত এই জরিপ গতকাল সোমবার প্রকাশ করা হয়। জরিপে তরুণদের কাছে একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, ‘নিচের আর্থসামাজিক অবস্থা জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে—আপনি কি একমত?’ জবাবে বারবার অগ্নিসংযোগ, দস্যুতা (ছিনতাই) ও চুরি নিয়ে উদ্বেগের ক্ষেত্রে একমত পোষণ করেছেন ৮০ শতাংশ তরুণ উত্তরদাতা। দ্বিমত পোষণ করেছেন ৮ শতাংশের কম। বাকিদের মতামত ছিল না।

‘মব’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রায় ৭২ শতাংশ উত্তরদাতা। জনপরিসর নিরাপত্তাহীন (বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে)—এ বিষয়ে একমত ৬১ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা। বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন ১৬ শতাংশ। অন্যায্য ও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট গ্রেপ্তার ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ

প্রকাশ করেছেন ৫৬ শতাংশ তরুণ। এ প্রশ্নে দ্বিমত পোষণ করেছেন ১৫ শতাংশ। জরিপে উঠে এসেছে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর ৭৮ শতাংশ তরুণের ব্যক্তিগতভাবে সুনির্দিষ্ট প্রত্যাশা ছিল। সাধ্যের মধ্যে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রত্যাশা ছিল প্রায় ৭৩ শতাংশ তরুণের। ৬৭ শতাংশ তরুণের প্রত্যাশা সাধ্যের মধ্যে উন্নত ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা। এরপর রয়েছে রাজনৈতিক দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি দূর করা। এই প্রত্যাশার কথা বলেছেন ৬৫ শতাংশের বেশি তরুণ। তরুণদের প্রত্যাশার মধ্যে শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা, জনপরিসর ও অনলাইনে নিরাপত্তা, সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনীতি, ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ ইত্যাদিও রয়েছে।

দেশের আট বিভাগের ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২ হাজার তরুণের (নারী ও পুরুষ) ওপর জরিপটি করা হয়েছে। গত ২০ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জরিপে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে গ্রাম ও শহরাঞ্চল থেকে উত্তরদাতা নেওয়া হয়েছে।

যুগান্তর
৫৮৭ প্রস্তাবের ৪৩৬টিতে একমত বিএনপি
যুগান্তরে প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বেশির ভাগ সংস্কার প্রস্তাবেই একমত হয়েছে বিএনপি। চারটি কমিশনের মোট ৫৮৭ প্রস্তাবের মধ্যে ৪৩৬টিতেই একমত দলটি। এর মধ্যে দুদক সংস্কার কমিশনের ৪৭ সুপারিশের ৪৬টিতে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ২০৮ সুপারিশের ১৮৭টিতে, বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের ৮৯ সুপারিশের ৬২টিতে এবং নির্বাচনিব্যবস্থা বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ২৪৩ সুপারিশের মধ্যে ১৪১টিতে একমত বিএনপি। এছাড়া আরও ২৮টি প্রস্তাবে আংশিক একমতও পোষণ করেছে।

ছয়টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশনের বিষয় এখনো চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। তবে এ কমিশনের প্রস্তাবে থাকা র‌্যাব বিলুপ্তিসহ প্রায় সব বিষয়েই ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আর সংবিধান সংস্কার কমিশনের ১৩১টি সুপারিশে বিএনপি দফাওয়ারি মতামত দিয়েছে। এতেও অধিকাংশ সুপারিশে একমত দলটি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৭০ অনুচ্ছেদ ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, জাতীয় সংসদে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ বিরোধী দলকে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটিসহ আসন সংখ্যার অনুপাতে সভাপতির পদ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাসংক্রান্ত আর্টিকেল ৪৯ পরিবর্তনে একমত দলটি।

আরও একমত পোষণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, ন্যায়পাল আইন যুগোপযোগী করা, জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা বিন্যাসে সংস্কার আনার জন্য সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ সংশোধন ও আইনের মাধ্যমে বিশেষায়িত কমিটি গঠন, উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ, জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিধান পরিবর্তন ও সংশোধনও। বিএনপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কালের কণ্ঠ
সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সরকারের কোনো ডাকদোহাই, হুঁশিয়ারি শুনছে না মবকারীরা। করোনা-ডেঙ্গুর ভয়ও করছে না। সেনাবাহিনী যে মাঠে আছে, তা-ও যেন গায়ে মাখার বিষয় নয়। এমনকি মব সম্বোধন করলে অপমানিত হয়, মাইন্ড করে।

আরো বেশি উদ্যমে হামলে পড়ে। সেনাবাহিনীর কয়েকটি অ্যাকশনের মাঝে কিছুদিন দম নিলেও মবেরা আসলে দমেনি। সম্প্রতি নতুন তেজে নামছে। আজ এখানে, কাল ওখানে। নিত্যনতুন স্টাইলে।  ঘটনা বিশ্লেষণে এখন আর ধারণা নয়, জনমনে বিশ্বাস, সেনাবাহিনীর বিশেষ অ্যাকশন ছাড়া মব নামের এ বিপদ রোখা যাচ্ছে না। এ প্রশ্নে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই। ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে মাঠে থাকা সেনাবাহিনী এর আগে মব বিষয়ে তাদের ম্যাসেজ পরিষ্কার করেছে।

তাতেও কাজ হচ্ছিল না। ঢাকা-রংপুরসহ কয়েক জায়গায় অন দ্য স্পটে কয়েকটি অ্যাকশন নিলে কয়েক দিন পরিস্থিতির একটু উন্নতি হয়। সরে সরে থাকে মবপাণ্ডারা। এতে আশাবাদী হয়ে ওঠে মানুষ। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আবার বাজে বার্তা দিচ্ছে।

রোগদৃষ্টে সচেতনদের বোধগম্য যে বিচ্ছিন্ন অ্যাকশন নয়, আর হুমকি-ধমকির মেডিসিনও নয়। বিশেষায়িত সেনা পদক্ষেপের বিকল্প কোনো দাওয়াইতে মব রোগ সারবে না। আবার এ কথাও সত্য, সেনা সদস্যরা মাঠে থাকাতেই মব সন্ত্রাসীরা কিছুটা হলেও এদিক-ওদিক চেয়েচিন্তে এগোয়। বেশিদিন এভাবে চলতে দিলে ওরা তা-ও করবে না। তখন রোখা কঠিন হবে। এর আগেই সাঁড়াশি অ্যাকশন জরুরি। মবের বিরুদ্ধে সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারির মর্যাদা রক্ষাও জরুরি। মব বরদাশত না করার কথা সেনাপ্রধান কঠোর ভাষায় অনেক আগেই দিয়েছেন। সেনা সদর থেকেও ‘মব ভায়োলেন্স’-এর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে রাখা হয়েছে। হুমকি-ধমকি বা কঠোর ভাষার সঙ্গে এখন দরকার আর পেছনে না তাকিয়ে কড়া পদক্ষেপ। মানুষ সেই অপেক্ষাই করছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়
বাংলাদেশে প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টিতে (জাপা) চলছে চরম অস্থিরতা। গতকাল মুজিবুল হক চুন্নুকে বাদ দিয়ে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মহাসচিব পদে নিয়োগ দেন পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এ সিদ্ধান্তের পরপরই পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার যৌথ বিবৃতিতে জানান, এ নিয়োগ অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। চুন্নু দলের বৈধ মহাসচিব। এমন বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে আসার পরপরই জি এম কাদের আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হক চুন্নুকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেন। জি এম কাদেরের এমন সিদ্ধান্তের পর আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ফের গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এর প্রতিবাদ করে বলেন, এটা জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের অপব্যবহার। সব মিলিয়ে জাতীয় পার্টিতে এখন চলছে অস্থিরতা।

জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের অপব্যবহার ও নেতৃত্ব সংকটে : ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার যৌথ বিবৃতিতে বলেন, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নুকে কোনো কারণ ছাড়াই অব্যাহতি দিয়ে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের একক সিদ্ধান্তে মহাসচিব নিয়োগ চরম অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং গঠনতন্ত্রের সরাসরি লঙ্ঘন। এটি একটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ যা পার্টির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে জাতীয় কাউন্সিল ঘোষিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো প্রকার নিয়োগ, অব্যাহতি বা বহিষ্কার সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ।

এ ধরনের সিদ্ধান্ত দলের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙে ফেলছে। দায়িত্বশীল প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নিয়মিত চাঁদা প্রদান সত্ত্বেও মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে যেভাবে অব্যাহতির চিঠি দেওয়া হয়েছে, তা শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, বরং নীতিহীন ও সম্মান হানিকর আচরণ। মুজিবুল হক চুন্নুই জাতীয় পার্টির বৈধ ও সম্মানিত মহাসচিব। ঘোষিত কাউন্সিলের আগে চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে কোনো নিয়োগ বা বহিষ্কার কার্যকর নয়। জাতীয় পার্টি কারও ব্যক্তির নয়, গঠনতন্ত্র ও আদর্শে পার্টি পরিচালিত হতে হবে। গণতন্ত্র, শৃঙ্খলা ও সম্মিলিত নেতৃত্ব ফিরিয়ে আনাই এখন সময়ের দাবি। জাতীয় পার্টির ত্যাগী, আদর্শবান নেতা-কর্মীদের প্রতি আমাদের আহ্বান- এই অন্যায় ও একনায়কতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন। আসুন আমরা সবাই দলকে সুসংগঠিত করি, ব্যক্তিকে নয়, গঠনতন্ত্র ও ন্যায়ের পথে ফিরিয়ে আনি।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর