বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
মার্কিন শুল্ক কমানো সম্ভব না হলে ভিয়েতনামের চেয়ে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৮

বাংলাদেশের খবর
অর্থনীতিতে বড় ঝুঁকি
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, যা আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত তিন মাস ধরে চলা আলোচনা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক কমানোর কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি বাংলাদেশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক শুল্ক চুক্তিতে চুক্তিতে সফলতা পেতে ব্যর্থ হওয়ার পেছনে ধীরগতির কৌশল, যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রহণযোগ্য শর্ত এবং লবিংয়ের অভাব মূল ভূমিকা পালন করেছে। এই শুল্ক বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে, যা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
তবে, ৯-১০ জুলাইয়ের বৈঠক এবং পরবর্তী আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এখনো শুল্কহ্রাসের আশা করছে। সঠিক কৌশল এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে বলে আশা করা যায়। আর এই শুল্ক বহাল থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন মাসের টানা আলোচনা ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বণিক বার্তা
মার্কিন শুল্ক কমানো সম্ভব না হলে ভিয়েতনামের চেয়ে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিশ্বে তৈরি পোশাক রফতানিতে চীনের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যদিও গত বছর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১ শতাংশেরও কম। অন্যদিকে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ শতাংশের বেশি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশটির বাজারে ভিয়েতনামের পণ্য রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের জন্য এ হার ৩৫ শতাংশ। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে শুল্কহারে ছাড় না পেলে তৈরি পোশাক রফতানিতে ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালে ১৬৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানির মাধ্যমে শীর্ষে রয়েছে চীন। দেশটির তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৩০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ এ সময়ে ৩৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দশমিক ২১ শতাংশ। তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিযোগী ভিয়েতনাম গত বছরে ৩৩ দশমিক ৯৪ ডলার রফতানি করেছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অন্য প্রতিযোগীদের মধ্যে গত বছর শুধু তুরস্কের ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। এ সময়ে ভারত, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে ভারত ১৬ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। দেশটির রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। কম্বোডিয়া ২০২৪ সালে ৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। এক্ষেত্রে দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। পাকিস্তান এ সময়ে তৈরি পোশাক রফতানিতে ২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। দেশটির রফতানির পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। ইন্দোনেশিয়া গত বছর ৮ দশমিক ৭৩ ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। এক্ষেত্রে দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
মানবজমিন
একা হয়ে পড়ছেন জিএম কাদের
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ফের ভাঙনের মুখে জাতীয় পার্টি। সিনিয়র তিন নেতাকে বহিষ্কারের পর নতুন করে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। বহিষ্কৃত নেতারা বলছেন, তাদের বহিষ্কার অগণতান্ত্রিক। মুজিবুল হক চুন্নুই দলের বৈধ মহাসচিব। বহিষ্কৃত নেতারা দলের ঐক্য দাবি করে জানিয়েছেন প্রয়োজনে তারা নিজেরা কাউন্সিল করে নতুন কমিটির ঘোষণা দেবেন। তাদের এই ঘোষণা কার্যত জাপা’র আরও একটি ব্রাকেটবন্দি অংশের যাত্রার ইঙ্গিত দিচ্ছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বহিষ্কৃত নেতারা কাউন্সিল আয়োজনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন। এর আগে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে যে অংশটি আলাদা হয়েছিল তারাও বহিষ্কৃত নেতাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন বলে আভাস মিলেছে। এই প্রক্রিয়াটি সফল হলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আরও একা এবং কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারেন বলে নেতাকর্মীরা মনে করছেন।
আওয়ামী লীগের তিনটি মেয়াদে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর থেকেই চাপে আছে। দলটিকে ফ্যাসিবাদের সহযোগী দাবি করে বিচার ও নিষিদ্ধ করার দাবি করে আসছে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া বিভিন্ন পক্ষ। সর্বশেষ দলের কাউন্সিল ঘোষণা নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়। কাউন্সিল ঘোষণার পরপরই ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে একটি প্যানেল দেয়ার তথ্য প্রকাশ করলে নিজের নেতৃত্ব নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন জিএম কাদের। এরপরই কাউন্সিল স্থগিত করা হয়। একের পর এক বহিষ্কার করা হয় নেতাদের।
দলীয় তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ এক সপ্তাহে অন্তত ১১ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার সিনিয়র তিন নেতাকে বহিষ্কার এবং তরুণ নেতা শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে নতুন মহাসচিব নিয়োগ দেয়ার পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে। এই বহিষ্কারের পর গতকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তিন নেতা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, মুজিবুল হক চুন্নুই দলের বৈধ মহাসচিব। বহিষ্কারের প্রক্রিয়াটি গণতান্ত্রিক নয়। ওদিকে নতুন মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন সব কিছু গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে। বহিষ্কৃতরা মিথ্যাচার করে দলের ক্ষতি করছেন।
যুগান্তর
পোশাকশিল্পে অশনিসংকেত
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শেষ পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট। ১ আগস্ট থেকে এটি কার্যকর হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার চিঠি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এদিকে অতিরিক্ত এ শুল্কহার কার্যকর হলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে দেশের পোশাকশিল্পসহ রপ্তানি খাত। বিশেষ করে পোশাক খাতে বড় ধরনের অশনিসংকেত দেখা দিতে পারে। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অনেকটা কমিয়ে দেবে। যুক্তরাষ্ট্র হলো বাংলাদেশের পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় বাজার। এছাড়া এর প্রভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এমনটিই মনে করেন বিশেষজ্ঞ ও পোশাকশিল্পের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল থেকে আশা প্রকাশ করে বলা হচ্ছে, এ শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনো আলোচনা অব্যাহত আছে। আজ আরেক দফা আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বৈঠক করবেন। এছাড়া নতুন শুল্কহার নিয়ে ১০, ১১ ও ১২ জুলাই ইউএসটিআর-এর সঙ্গে নিগোসিয়েশন বৈঠক রয়েছে বাংলাদেশের। বৈঠকগুলোর পর শুল্কহার আরও কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের ওপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ পালটা শুল্ক আরোপ করে। দুই শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের জন্য এখন ৩৫ শতাংশ করায় সব মিলিয়ে ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়াবে ৫০ শতাংশ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ১ আগস্ট আসতে বাকি মাত্র ২২ দিন। এ সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে ভালোভাবে দরকষাকষি করতে পারলে শুল্কহার কমতে পারে। অন্যথায় ঘোষিত হারই কার্যকর হবে। সেক্ষেত্রে বিপদের শেষ থাকবে না।
কালের কণ্ঠ
ঘুষের খনি ছিল ওয়াসা-এলজিইডি
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মো. তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বা এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক লুটপাট ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়েছেন। নিজ নির্বাচনী এলাকায়ও কায়েম করেছিলেন দুর্নীতি-সন্ত্রাসের রাজত্ব। ব্যতিক্রম ছিল তাঁর মন্ত্রণালয়ের অধীন দুটি সংস্থা। দুটি সংস্থার প্রাত্যহিক কাজে তাজুল হস্তক্ষেপ করতেন না। এগুলোর সঙ্গে তাঁর ছিল অভিনব মাসিক লেনদেনের হিসাব। দুই সংস্থার দুই প্রধান ছিলেন ‘সম্পূর্ণ স্বাধীন’। দুই সংস্থা প্রধান মাসিক ভিত্তিতে খুশি করতেন তাজুলকে। একটি ছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর- এলজিইডি, অন্যটি ওয়াসা।
এই দুটির যাঁরা প্রধান হতেন, তাঁদের সঙ্গে মন্ত্রীর স্থায়ী চুক্তি ছিল। চুক্তি অনুযায়ী তাঁরা অর্থ সরবরাহ করতেন তাজুল ইসলামকে। তাজুলের যখন যা প্রয়োজন হতো, সেটা দিতে তাঁরা বাধ্য থাকতেন। এই শর্তে দুটি সংস্থায় তাজুল ইসলাম হস্তক্ষেপ করতেন না।
এলজিইডি মূলত দেশজুড়ে গ্রামীণ সড়ক, সেতু নির্মাণ-সংস্কারের কাজ করে থাকে। ড. কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠিত এই অধিদপ্তরের প্রতি উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। সারা দেশে গ্রামীণ অবকাঠামো ও সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই অধিদপ্তরের ঐতিহাসিক অবদান আছে। কিন্তু পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের বেশি সময়ে সীমাহীন দুর্নীতির কারণে এই অধিদপ্তর দুর্নীতির আখড়ায় রূপ নেয়। এখানে বহু প্রকল্প থাকে ও এগুলোর বাস্তবায়নের এক পর্যায়ে এলজিইডির ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর বিদায়ের পর থেকে এটিতে দুর্নীতি ভর করতে থাকে। আর তার সর্বোচ্চ প্রকাশ ঘটে যখন মো. তাজুল ইসলাম ২০১৮ সালে এলজিআরডিমন্ত্রী হন। তাজুল ইসলাম মন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমদিকে এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্প ও কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা সব ধরনের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১ আগস্ট থেকে এ বাড়তি শুল্ক কার্যকর হবে। তবে এ শুল্ক আরোপ ‘চূড়ান্ত নয়’ বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প, রেখেছেন আলোচনার সুযোগ। এ ঘোষণার পরপরই শুরু হয়েছে কূটনৈতিক তৎপরতা এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনা।
সোমবার ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে প্রকাশিত চিঠিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জানান, ‘২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো সব বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, যা খাতভিত্তিক বিদ্যমান শুল্কের পাশাপাশি প্রযোজ্য হবে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘উচ্চ শুল্ক এড়াতে যদি কোনো পণ্য ঘুরপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে, সেগুলোর ওপরও একই হারে শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনকারী বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে শুল্কছাড় দেওয়া হবে এবং দ্রুত অনুমোদন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা হবে।’
ট্রাম্প চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি দীর্ঘমেয়াদি ও একতরফা এবং এ শুল্ক তা সংশোধনেরই একটি পদক্ষেপ।’ তবে তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত পুরোপুরি চূড়ান্ত নয়। যদি কেউ বিকল্প প্রস্তাব দেয় এবং সেটি আমাদের ভালো লাগে, তাহলে তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।’
আমার দেশ
আমদানি-রপ্তানিতে রেকর্ড তবু হাপিত্যেশ ব্যবসায়ীদের
আমার দেশের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে বছরে ২৬ লাখ টিইইউএস কনটেইনার ওঠানামার সক্ষমতা থাকলেও চলতি অর্থবছরে হয়েছে ৩২ লাখ ৯৬ হাজার টিইইউএস। ১২ কোটি টন খোলা পণ্য হ্যান্ডলিং করার সক্ষমতা সম্পন্ন বন্দরের বহির্নোঙরে সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে খালাস হয়েছে ১৩ কোটি ৭২ লাখ ৪ হাজার ৭৮৩ টন। ১৮টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে রপ্তানি হয়েছে ৭ লাখ ৭৭ হাজার টিইইউএস কনটেইনার। আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার টিইইউএস। এসব পরিসংখ্যানের মাধ্যমে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এ বছর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস রাজস্ব আদায় করেছে ৭৫ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ৬৮ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা।
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সবচেয়ে বড় এই তিন সূচক অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। অথচ ব্যবসায়ী সংগঠন ও তাদের নেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে, সরকারের বিভিন্ন নীতিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না বলে প্রতিনিয়ত উষ্মা প্রকাশ করছেন তারা। এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলে আতঙ্কিত হয়ে বিনিয়োগে সাহস হারাচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। বিদেশি বিনিয়োগও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ক্রমাগত অপপ্রচারের কারণে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতায় সরকার পতনের পরপরই বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। বছরজুড়ে নানা দাবিতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অপ্রত্যাশিত আন্দোলনের কারণে আগের বছরের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা নিয়েই চিন্তিত ছিলেন সবাই।
প্রথম আলো
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জটিলতার অবসান কবে
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশসংক্রান্ত জটিলতা এখনো কাটেনি। তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) দেওয়া প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড থাকলেও অনেক পেশাদার সাংবাদিক সেই কার্ড দেখিয়ে সচিবালয়ে ঢুকতে পারছেন না। যদিও একটি অস্থায়ী তালিকায় নাম থাকা সাংবাদিকেরা প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে—তাহলে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড থাকার মানে কী?
সাংবাদিকেরা বলছেন, মাসের পর মাস ধরে এই জটিলতা চললেও এর কার্যকর সমাধান হচ্ছে না। এতে সাংবাদিকেরা পেশাগত কাজে প্রতিবন্ধকতায় পড়ছেন। কবে এ সমস্যার সমাধান হবে, সেটাও স্পষ্ট করে বলছে না সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর। সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন পিআইডি। তাদের তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার। যদিও পরে আওয়ামী লীগ সরকার তখন মূলধারার প্রতিটি গণমাধ্যমের কার্ডের কোটা কমিয়ে দিয়েছিল। পরে বৈধ কার্ডের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২ হাজার ৯০০।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিন দফায় মোট ১৬৭ জনের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে পিআইডি। ঢালাওভাবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের পদক্ষেপ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের অন্তরায় বলে প্রতিবাদ জানায় সম্পাদক পরিষদ। সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (নোয়াব) সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনও উদ্বেগ প্রকাশ করে।
ঢালাওভাবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা এবং অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দিয়ে সচিবালয়ে ঢুকতে না দেওয়াকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এর কারণ তিনি বুঝতে পারছেন না। অতীতে ব্যক্তিগতভাবে কারও কারও কার্ড বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এভাবে ঢালাও কার্ড বাতিল কখনো হয়নি। এই প্রবণতা মুক্ত ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। অবশ্যই এর দ্রুত সমাধান দরকার।