Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আঘাতে দেশে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক উদ্বেগ

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৭

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আঘাতে দেশে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক উদ্বেগ

বাংলাদেশের খবর
দেশজুড়ে বন্যার পদধ্বনি
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অকল্পনীয় সক্রিয়তা এবং উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের জোড়া আঘাতে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। শহর-গ্রাম সব সড়কই পানির নিচে। তলিয়ে আছে ফসলি জমি, আমনের বীজতলা। ভেসে গেছে পুকুর ও খামারের মাছ। বিশেষ করে ফেনী জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১৪টি স্থানে ভাঙন দেখা দেওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর উন্মত্ত স্রোতে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ৩০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত। হাজার হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি। খুলনা, কুমিল্লা এবং শুধু ফেনী নয়, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় রেকর্ড বৃষ্টিপাতে বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জনদুর্ভোগ।

আবহাওয়াবিদরা আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়ায় দেশজুড়ে বড় ধরনের বন্যার শঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে।

ফেনীর বিপর্যয় প্রকৃতির রোষানলে যেন লণ্ডভণ্ড ফেনী। সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বর্ষণ এবং ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে জেলার নদীগুলো ফুঁসে উঠেছে। ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, মঙ্গলবার রাত ১০টায় পরশুরাম পয়েন্টে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১.৩৭ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল, যা সাম্প্রতিককালের মধ্যে একটি রেকর্ড। মাত্র ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে নদীর পানি প্রায় ৭ মিটার বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো তা আর সহ্য করতে পারেনি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা চলতি বর্ষা মৌসুমের সর্বোচ্চ। এই বিপুল জলরাশির চাপে মুহুরী, কহুয়া এবং সিলোনিয়া নদীর বাঁধগুলো জঙ্গলঘোনা, অলকা, শালধর, সাতকুচিয়া, বেড়াবাড়িয়াসহ অন্তত ১৪টি পয়েন্টে ভেঙে যায়। চোখের পলকে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে ফুলগাজী ও পরশুরামের ঘরবাড়ি, ফসলের মাঠ এবং মাছের ঘেরে। পরশুরামের

আমার দেশ
রাতের ভোটের ২০৮ কুশীলব লাপাত্তা
আমার দেশের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, নিশিরাতের ২০১৮ সালের নির্বাচনে শতভাগ ভোট কাস্ট হওয়া দেশের ২১৩টি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। চলতি বছরের ১৩ মার্চ এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুদকের পক্ষ থেকে ওইসব কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে।

নির্বাচন কমিশন থেকে ২৫ মার্চ চিঠি পাঠানো হয় ৪৩ জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা বা জেলা প্রশাসকদের কাছে। কিন্তু জেলা প্রশাসকরা এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য দিতে পারেননি। ফলে তিন মাসেও নিশিভোটের কারিগরদের চিহ্নিতই করতে পারেনি কমিশন। ইতোমধ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে তথ্য দিতে দুই দফায় জেলা প্রশাসকদের কাছে তাগিদ দিয়ে চিঠিও দিয়েছে ইসি।

নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, জেলা প্রশাসকরা তাদের অফিসে এ ধরনের কোনো ফাইল খুঁজে পাননি। তাই তথ্য ও সহযোগিতা চেয়ে নির্বাচন অফিসগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে তারা। কিন্তু জেলা নির্বাচন অফিসেও কোনো তথ্য নেই। নিয়মানুযায়ী কেন্দ্রগুলোতে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে প্রিসাইডিং অফিসারের নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়। নির্বাচনের পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়োগপত্রসহ নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত সব যন্ত্রাংশ ও ডকুমেন্ট স্ব-স্ব নির্বাচন অফিসে সংরক্ষণের জন্য প্রেরণ করার কথা। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনে এ নিয়ম মানা হয়নি। কোনো রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রিসাইডিং অফিসারদের তথ্য নির্বাচন অফিসে পাঠাননি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
ফের ভয়ংকর রূপে বন্যা
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, টানা বৃষ্টিতে সারা দেশের জনজীবনে বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায়ই তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। দেশের নিচু এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছে। এসব জায়গার কোথাও হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে, কোথাও জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ ছাড়া তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, মৎস্য ঘের। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ফেনী : ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪টি স্থান ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ৩০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, পরশুরামের মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমা ১২.৫৫ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ১০টায় সর্বশেষ ১৩.৯২ মিটার উচ্চতায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় নদীর পানিপ্রবাহ ছিল ৭.০০ মিটার উচ্চতায়। রাত ১০টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টায় মুহুরী নদীর পানি বেড়েছে ৬.৯২ মিটার। অর্থাৎ ২২ ফুট ১০ ইঞ্চি বেড়েছে।

পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনায় দুটি, অলকায় তিনটি, শালধর এলাকায় একটি, ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর এলাকায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সিলোনিয়া নদীর পরশুরামের গদানগর এলাকায় একটি ও ফুলগাজীর দেড়পড়া এলাকার দুটি স্থানে ভেঙেছে। এ ছাড়া কহুয়া নদীর পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়ায় দুটি, বেড়াবাড়িয়ায় একটি ও ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থানে ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। এতে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে ফেনীর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ ও ফেনীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, শহরে ও পরশুরাম এবং ফুলগাজীর অনেক বাসা, বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক মিটার এবং সাব-স্টেশন পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে এর পরিধি বাড়তে পারে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

যুগান্তর
দরকষাকষিতে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, তিন কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষিতে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। প্রথমত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অন্তর্ভুক্ত না করা, দ্বিতীয়ত, স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বিজিএমইএসহ রপ্তানিকারকদের অন্ধকারে রাখা এবং তৃতীয়ত, ইউএসটিআরের (ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ) সঙ্গে আলোচনায় বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ না রাখা। বাংলাদেশের এসব দুর্বলতার সুযোগে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাড়তি শুল্ক মাত্র ২ শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী মহলসহ সংশ্লিষ্টরা এমনটি মনে করছেন।

যদিও এই শুল্ক আরোপের আগে দেশটির সঙ্গে ২৮ দফা বৈঠক ও যোগাযোগ হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারকদের। তবে এসব আলোচনায় অংশীজনদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত বড় কোনো সাফল্য আসেনি। এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে আলোচনার জন্য দেশের কূটনৈতিক চ্যানেলগুলোকে এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়নি। এতে আলোচনার টেবিলে নেগোসিয়েশনে মুনশিয়ানা দেখাতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের অভাব ছিল। অনেক জায়গায় সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে বলে তারা মনে করেন। অথচ আলোচনার মাধ্যমে শুল্কহার কমাতে না পারলে, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে যোগ করেন বিশেষজ্ঞরা।

মানবজমিন
জুলাই ফাউন্ডেশন, তহবিল সংকটে অর্থ পাচ্ছেন না আহতরা
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, তহবিল সংকটে ভুগছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। আন্দোলনে নিহত পরিবার ও আহতদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার জন্য প্রয়োজন ২৫০ কোটি টাকা। কিন্তু ফাউন্ডেশনটির ফান্ডে রয়েছে ৮ কোটি টাকা। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও কামাল আকবর ও জিএস সামসি-আরা-জামানের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ফান্ড সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চলছে চিঠি চালাচালি। ফান্ড সংগ্রহে কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের চেষ্টা চলছে। নতুন কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পরে কাউকেই আর অর্থ সহায়তা দেয়া হয়নি।

কিন্তু কয়েকবার ঘুরে দ্বিতীয় ধাপের সহায়তার টাকা না পেয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অফিস কক্ষ ভাঙচুর করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের কয়েকজন জুলাই যোদ্ধা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে ফাউন্ডেশনটির অফিস কক্ষে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গতকাল সরজমিন দেখা যায়, নিরাপত্তার স্বার্থে অফিসের ভাঙচুর হওয়া অংশ মেরামত করে ফেলা হয়েছে। মিডিয়া রুমের ভেঙে ফেলা কাঁচের দেয়ালটি আর প্রতিস্থাপন করা হয়নি। সরিয়ে নেয়া হয়েছে ভেঙে ফেলা বিভিন্ন চেয়ার ও কাঁচের জিনিসপত্র। 

জুলাই আন্দোলনে আহতরা বলছে, ফাউন্ডেশন থেকে দ্বিতীয় ধাপের টাকা দেয়ার কথা বলে ৩ থেকে ৪ বার ঘোরানো হয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুত তারিখ অনুযায়ী টাকা দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার টাকা দেয়ার কথা বললে, আমরা সেখানে যাই। কিন্তু  জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল আকবর আমাদেরকে বলেন, এখনো সব চেকে স্বাক্ষর করা হয়নি। তাছাড়া চেকে সিইওসহ  মোট ৩ জন কর্মকর্তার স্বাক্ষর লাগলেও বর্তমানে বাকি কর্মকর্তারা উপস্থিত নাই। ফলে টাকা দেয়ার জন্য আগামী রোববার অর্থাৎ ১৩ই জুলাই নির্ধারণ করেন সিইও। পরবর্তীতে ক্ষুব্ধ হয়ে আহতরা অফিসে তালা লাগিয়ে দেন। এর মধ্যে ফাউন্ডেশনের আগত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ’বইঠা’ এর মালিক তাহসিন আহমেদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটে।

তাহসিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, আগামী ৪ঠা আগস্টে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠান হবে। সেখানে আহতদের বিভিন্ন উপহার দেয়া হবে। তারা অনলাইনে গিফটের আইডিয়া চাইলে আমি আমার কিছু প্রোডাক্টের ক্যাটালগ নিয়ে ফাউন্ডেশনে আসি। আমি পড়াশুনার পাশাপাশি ফেসবুক পেইজ ‘বইঠা’-এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করি। কিন্তু আমার ক্যাটালগের বক্স দেখে সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষারত জুলাই যোদ্ধারা ভুল বোঝেন। তারা ভাবেন আমি পিৎজা ডেলিভারি দিতে এসেছি। তখন তারা বলে আমরা আহতারা টাকা পাই না আর জুলাই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা পিৎজা পার্টি দিচ্ছে। তখন তারা আমাকে ‘পিৎজা বয়’ সম্মোধন করলে আমি এর প্রতিবাদ জানাই। এতে ফাউন্ডেশনের কেউ আমার পক্ষ ধরে কথা বললে আহতরা উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর চালান।

প্রথম আলো
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে হতে যাচ্ছে। এ জন্য সব প্রস্তুতি, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক প্রস্তুতিগুলো আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন রকমের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

রাত আটটায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই বৈঠকের আলোচনা ও নির্দেশনার বিষয় তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। এ সময় প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে হবে। এর অর্থ হলো নির্বাচনের জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দরকার, সেটি প্রস্তুত করতে যা কিছু প্রয়োজন, তা এখন থেকেই শুরু করতে হবে।

গত জুনে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা আসে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে আগামী বছরের পবিত্র রমজান মাসের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে।

এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রক্রিয়ার কথা জানাল সরকার। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে বৈঠকটি মূলত আইনশৃঙ্খলা বিষয় নিয়ে হলেও তাতে নির্বাচন–সংক্রান্ত নানা প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বণিক বার্তা
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আঘাতে দেশে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক উদ্বেগ
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রফতানিতে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আঘাতে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে শুল্কহারের চেয়েও বড় চিন্তার বিষয় পারস্পরিক বাণিজ্য চুক্তি। কেননা এর মধ্যে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যার প্রভাব দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি। সেটি নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।

তার ঘণ্টাখানেক আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গতকাল রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

ত্রয়োদশ নির্বাচন নিয়ে অগ্রগতি জানাতে গতকাল রাত ৮টার দিকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম জানান, সব প্রস্তুতি শেষ আর সংস্কারের কাজ হয়ে গেলে রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রস্তুতির মধ্যে অনেকগুলো বিষয় আছে। যেমন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে (পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড) ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেয়া হচ্ছে। তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ যেন এ সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচন সামনে রেখে অনেক পাঁয়তারা হয়, যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে নির্বাচন সামনে রেখে আগামী মাসগুলোয় কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর