Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মোড়

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১০:০৫

বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মোড়

বাংলাদেশের খবর
নির্বাচন পদ্ধতিতে অনৈক্য
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলই ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে পিআর বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক পদ্ধতির বিষয়ে কেউ নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছে না। এ অবস্থায় জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্ব অনুভব করার তাগিদ দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পিআর পদ্ধতি (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) আটকে যাওয়াটা বৈষম্য হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি।

এছাড়া দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট নিয়েও দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। এমন অবস্থায় গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৪তম দিন শেষ হয়েছে।

বণিক বার্তা
অর্থনৈতিক আকর্ষণে বিশ্বের ১ হাজার শহরের মধ্যে ঢাকার স্থান ৪৮২
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, শেনজেন শহরকে বলা হয় চীনের সিলিকন ভ্যালি। এক সময়ের মৎস্য গ্রাম থেকে এটি আজ বিশ্বের অন্যতম দ্রুতবর্ধনশীল মেট্রোপলিটন শহর। এখানে পরিকল্পিত বিনিয়োগের জন্য রয়েছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এছাড়া শহরটি বর্তমানে উচ্চপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস, টেলিযোগাযোগ ও আর্থিক প্রযুক্তি খাতের একটি কেন্দ্র। এ শহরের জিডিপি ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যা অনেক দেশের অর্থনীতির চেয়েও বড়।

মানবসম্পদের গুণগত মানও এ শহরে অত্যন্ত উচ্চ। কারণ এখানে আছে অনেকগুলো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ও বিপুল তরুণ কর্মশক্তি। পরিবেশ রক্ষায় শহরটি সবুজ নগরায়ণ, বৈদ্যুতিক বাস ও স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম চালু করেছে। সুশাসনের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন প্রযুক্তিনির্ভর সেবা ও নগর পরিকল্পনা নিশ্চিত করছে। সব মিলিয়ে চীনের শেনজেন এখন বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে আকর্ষণীয় ও উচ্চ জীবনমানের শহরগুলোর মধ্যে উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

অর্থনৈতিক আকর্ষণে বিশ্বের সমৃদ্ধ শহরগুলোর জন্য উদাহরণ বিবেচিত হলেও যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাধীন অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের গবেষণা অনুযায়ী বিশ্বের এক হাজার শহরের মধ্যে চীনের শেনজেনের অবস্থান ১৩৪। একই ইনডেক্স বা সূচকে ভারতের দিল্লির অবস্থান ২৭৩। আর বাংলাদেশের ঢাকার অবস্থান ৪৮২। গত মে মাসে অক্সফোর্ড ইকোনমিকস: গ্লোবাল সিটিজ ইনডেক্স ২০২৫ শীর্ষক প্রতিবেদনে ঢাকার এ অবস্থান উঠে এসেছে।

গ্লোবাল সিটিজ ইনডেক্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরগুলোর অর্থনীতির আকর্ষণীয়তার একটি সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করে। এটা করা হয় বিভিন্ন পরিমাপযোগ্য সূচকের মাধ্যমে, যা বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।

মানবজমিন
লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু, সংশ্লিষ্টরা দায়সারা
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সারা দেশে প্রায় ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী। এবার রাজধানীর বাইরে বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি সবচেয়ে বেশি। আক্রান্তদের কেউ হাসপাতালে  গেলে তিনি ডেঙ্গু রোগীর তালিকায় উঠছেন। আর তাতেই হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের চেষ্টা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। এসব সংস্থাগুলোর ঘুমিয়ে থাকার কারণেই ডেঙ্গুতে ভুগছেন সাধারণ জনগণ। সরকারি হিসাবে চলতি বছরে সাড়ে ১৫ হাজারের অধিক ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৮ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি হবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। জুনের চেয়ে জুলাইয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। তারা বলছেন, ডেঙ্গুর এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪ হাজার ৩৪৫ জন। এরপর মাত্র এক মাসে অর্থাৎ জুনের ৩০ দিনে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৫১ জনে। আগের ৫ মাস মিলে যত জন ভর্তি হয়েছিল জুনে এক মাসেই তার চেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই মাসে মৃতের সংখ্যাও অনেক বেশি। আগের ৫ মাসে মারা গেছে ২৩ জন আর এই এক মাসে মারা গেছে ১৯ জন। এ ছাড়া, জুলাইয়ের ১৫ দিনে মৃতের সংখ্যা ১৬-তে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ মৃত্যুহার দিন দিন বাড়ছে। ডেঙ্গুর এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। তারা বলছেন, এই ভয়াবহ পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যা নয়, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সক্ষমতার জন্য সংকেত। যা আরও গভীর চিন্তার কারণ। ডেঙ্গুর সংক্রমণ ও মৃত্যু যেমন বাড়ছে, তেমনি এটি ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে। কারণ, এই সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পিক টাইম বা সর্বোচ্চ সময়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন এডিস মশার বিস্তারকে আরও ত্বরান্বিত করছে। অস্বাভাবিক বৃষ্টি, তাপমাত্রার ওঠানামা ও আর্দ্রতার তারতম্য মশার জীবনচক্রে সহায়তা করছে এবং ভাইরাস সংক্রমণ আরও দ্রুত হচ্ছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে অল্প সময়ের বৃষ্টিতে যখন বিভিন্ন ছোট-বড় পাত্রে পানি জমে থাকে, তখন তা দ্রুত মশার প্রজননস্থলে রূপ নেয়। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যদি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে ২০২৫ সালের আগস্টে আমরা ২০২৩ সালের চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছি।

প্রথম আলো
মৃত্যু বেশি ছিল ঢাকার পাঁচ এলাকায়
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে রাজধানী ঢাকায়। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও রামপুরা—শুধু এই পাঁচ এলাকাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩২৪ জন।

প্রাণহানির এই চিত্রই বলে দিচ্ছে গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর পরিস্থিতি কতটা ভয়ংকর ছিল। প্রথম আলোর হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ২১ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪২৬ জন।

গণ–অভ্যুত্থানের পুরোটা সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আক্রমণাত্মক ছিলেন। নির্বিচার গুলিতে তখন যাত্রাবাড়ীতে নিহত হন ১১৭ জন, উত্তরায় ৭০ জন, মিরপুরে ৬২ জন, মোহাম্মদপুরে ৪৩ জন ও রামপুরায় ৩২ জন। এর বাইরে বাড্ডা, ভাটারা, নিউমার্কেট, বংশালসহ রাজধানীর ২২টি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০২ জনের।

রাজধানীর বাইরে সাভার, চট্টগ্রাম, নরসিংদী, ফেনী ও রংপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ব্যাপক মাত্রায় বলপ্রয়োগ করা হয়েছিল। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছাত্র–জনতার ৩৬ দিনের (১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট) আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই এবং ৪ ও ৫ আগস্টে। এর মধ্যে ১৮ জুলাই ৫৩ জন, ১৯ জুলাই ১৭৭ জন, ২০ জুলাই ৬৫ জন, ৪ আগস্ট ১০৮ জন এবং ৫ আগস্ট ৩৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ এই পাঁচ দিনেই মৃত্যু হয়েছে ৭৪৭ জনের।

সরকারি গেজেট অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন ৮৪৪ জন। এর মধ্যে ৮০২ জনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছে প্রথম আলো। এই ৮০২ জনের মধ্যে ৭০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে গুলিতে। অর্থাৎ ৮৮ শতাংশই মারা গেছেন গুলিতে। অধিকাংশেরই গুলি লেগেছিল বুকে, পিঠে ও মাথায়। ওই সময়ে বাসাবাড়িও নিরাপদ ছিল না। বাসাবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নারী–শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছিল,যা জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। পুলিশের পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের (এখন কার্যক্রম নিষিদ্ধ) বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীকে গুলি করতে দেখা গেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, শেখ হাসিনার সরকার ক্রমাগত নৃশংস পদক্ষেপ নিয়ে পদ্ধতিগতভাবে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করেছিল। ওই সময়ে (১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে) ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিক্ষোভ চলাকালে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ মিলিটারি রাইফেলসে (এমন অস্ত্র সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহার করে), ১২ শতাংশ শটগানের গুলিতে এবং ২ শতাংশ পিস্তলের গুলিতে প্রাণ হারান।

কালবেলা
বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মোড়
কালবেলার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এক বিশেষ মুহূর্তের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ে থাকা দলটি অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে গত সপ্তাহে পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা নিয়ে ‘অপপ্রচার’-এর বিরুদ্ধে একযোগে সোচ্চার হয়েছে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনায় তাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ‘অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে।

এ ঘটনায় রাজনীতির নতুন মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। এমন প্রেক্ষাপটে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে গত সোমবার রাজপথে নতুনভাবে দলের কঠোর অবস্থান জানান দিয়েছেন তারা। সেদিন ঢাকাসহ সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও বিশাল জমায়েত আয়োজন করে দলের পক্ষ থেকে এ অবস্থান তুলে ধরা হয়। কর্মসূচির মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীরা তাদের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলায় গুরুত্ব দেন। আগামী দিনে এমন প্রতিবাদ ও জনস্বার্থে কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে তারা। দলটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, জনগণই তাদের আসল শক্তি। সেজন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সংকট কাটাতে চান।

এদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা ও সাংগঠনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বিশৃঙ্খল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এবার হার্ডলাইনে বিএনপির হাইকমান্ড। মূলত ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় সংগঠনের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, তদবির বাণিজ্য ও প্রভাব বিস্তারের নামে অপতৎপরতার অভিযোগ ওঠায় দলটির হাইকমান্ড কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বিএনপির পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরাসরি হস্তক্ষেপে বিষয়টি নতুন মাত্রা পেয়েছে। অতীতে দলের ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে চলা নানামুখী বিশৃঙ্খলা ও জনবিচ্ছিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা থাকলেও এবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—‘দল দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়স্থল হতে পারে না। চাঁদাবাজ ও উচ্ছৃঙ্খল নেতাদের কোনো ছাড় নেই। প্রয়োজনে প্রকাশ্যে বহিষ্কার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হবে।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যেসব নেতাকর্মী অবৈধ দখল, চাঁদাবাজি ও বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

যুগান্তর
পুলিশ পরিদর্শক জাকিরের গুলিতে শহীদ হন তায়িম
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, রক্তাক্ত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। ২০ জুলাই বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কাজলা ও শনির আখড়া, রায়েরবাগসহ বিভিন্ন এলাকা তখন বিক্ষোভে উত্তাল। ওইদিন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ডিসি ইকবাল হোসেনের নির্দেশে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিক্ষোভ দমনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করে। আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, বেপরোয়া গুলি ও হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালায়। প্রাণভয়ে আন্দোলনকারীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। একপর্যায়ে জাকির হোসেন খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে শিক্ষার্থী ইমাম হাসান তায়িম ভূঁইয়াকে (১৯)।

নিহত তায়িম নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এমডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তায়িম রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। রাজধানীর চানখাঁরপুলে পুলিশের গুলিতে ৬ আন্দোলনকারীকে হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে যাত্রাবাড়ীর এমন তথ্য উঠে এসেছে। অভিযোগপত্রটি চানখাঁরপুলের সিক্স মার্ডারকে কেন্দ্র করে দেওয়া হলেও প্রাসঙ্গিক কারণে এতে যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীজুড়ে পুলিশের তাণ্ডবের বেশকিছু চিত্র বেরিয়ে আসে।

এদিকে এ মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনকে আসামি করে ২১ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ২৫ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ দাখিল করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। মামলাটি বর্তমানে অভিযোগ গঠন শেষে সূচনা বক্তব্যের জন্য ১০ আগস্ট দিন ধার্য আছে।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর