Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

লঙ্কানদের হারিয়ে সাত বছর পর টাইগারদের স্বপ্নপূরণ

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩১

লঙ্কানদের হারিয়ে সাত বছর পর টাইগারদের স্বপ্নপূরণ

বাংলাদেশের খবর
রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি উত্তপ্ত দিনের সাক্ষী হয়ে রইল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) 'মার্চ টু গোপালগঞ্জ' কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহর। এই সহিংসতায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশ, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

এদিন সকাল থেকেই নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় হামলা চালায়। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ও পুলিশের গাড়ি এবং সমাবেশ মঞ্চে ভাঙচুর- অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশ-সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে শহরজুড়ে এক চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে এবং সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

সন্ধ্যায় কারফিউ জারি করা হয়। এনসিপির এই কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই গোপালগঞ্জে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দিনের প্রথমভাগে, সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের গান্দিয়াসুর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসানের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। ইউএনও রকিবুল হাসান জানান, এনসিপির পদযাত্রা

প্রথম আলো
অসহনীয় গরমে বাড়ছে মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আবহাওয়ার বৈরী আচরণে বর্ষাকালে স্বাভাবিকের তুলনায় কখনো বেশি বৃষ্টি, আবার কম। আবার স্বাভাবিকের তুলনায় গরমের তারতম্যও দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিকে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রভাব হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের এমন প্রভাব প্রাণ–প্রকৃতি থেকে শুরু করে এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও ছাপ ফেলছে। যেমন এ বছর গ্রীষ্ম মৌসুমে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় এখন জীবনযাপনের নানা উপকরণ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ও পরিবহনের মতো ক্ষেত্রগুলোতে বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রায় ৫০টি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচণ্ড গরমের কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে। ফ্যান ও এসি বেশি সময় ধরে চালানোর ফলে বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসছে। আবার বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর বা আইপিএস ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে বাড়তি খরচ যোগ হচ্ছে। অনেকে সাধারণ গণপরিবহন এড়িয়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস বা ট্রেনে যাতায়াত করছেন।

খাবার সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটর কিংবা স্বস্তি পেতে ফ্যান বা এসি কেনার পেছনেও মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় হচ্ছে। আবার প্রচণ্ড গরমে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে বিভিন্ন রোগ বাড়ছে। বিশেষ করে ডেঙ্গুর প্রকোপ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বণিক বার্তা
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর : কর্ণফুলী টানেল থেকে ১৭০ কোটি টাকা লোকসানের লক্ষ্য
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্মিত ব্যয়বহুল কর্ণফুলী টানেল চালুর পর থেকেই রয়েছে লোকসানে। টোল বাবদ যা আয় হচ্ছে, তা দিয়ে টানেলটির পরিচালন ব্যয়ই উঠছে না। ব্যয় মেটাতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ গুনতে হচ্ছে নির্মাণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরও এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। সেতু কর্তৃপক্ষের প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর টানেল থেকে লোকসান গুনতে হতে পারে ১৬৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত টানেলের ভেতর রাখতে হয় কৃত্রিম অক্সিজেন ও আলো সরবরাহ, সামগ্রিক নিরাপত্তা ও সার্বক্ষণিক জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ কারণে টানেলটি পরিচালনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। প্রকল্পটির জন্য করা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নির্মাণের পর টানেলটিতে দুই ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ দরকার। একটি হলো প্রতিদিনকার রক্ষণাবেক্ষণ—বিদ্যুৎ সরবরাহ, কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারণ করে অক্সিজেন সরবরাহসহ দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ এতে অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে প্রতি পাঁচ বছর পর একবার বড় ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ। এছাড়া কর্মীদের বেতন, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ আনুষঙ্গিক পরিচালন ব্যয়। বিপরীতে আয়ের প্রধান খাত ওই পথে চলাচল করা যানবাহন থেকে আদায় হওয়া টোল।

কর্ণফুলী টানেল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে চীনের বহুজাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। চুক্তিমূল্য ৯৮৪ কোটি টাকা।

টানেলটি ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, উদ্বোধনের পর ২০২৩-২৪ অর্থবছর টানেল রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা বাবদ ব্যয় হয় ১৭৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। একই অর্থবছর প্রায় ৮৭ লাখ টাকা টোল অব্যাহতি দেয় সংস্থাটি। সব মিলিয়ে পরিচালন ব্যয় হয় ১৭৫ কোটি টাকার বেশি। বিপরীতে টোল আদায় হয় কেবল ২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ হিসাবে কর্ণফুলী টানেল চালুর পর প্রথম অর্থবছরই লোকসান গুনতে হয় প্রায় ১৪৭ কোটি টাকা।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর্ণফুলী টানেল রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা বাবদ ব্যয় হয় ২২২ কোটি ২২ লাখ টাকা। এ অর্থবছর টোল অব্যাহতি দেয়া হয় ৭৮ লাখ টাকার বেশি। টানেলের বাইরে রাস্তা ও মহাসড়ক সংস্কারে ব্যয় হয় আড়াই কোটি টাকা। এর বাইরে স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য ব্যয় হয় আরো ৯০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ২২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। বিপরীতে মাত্র ৩৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ হিসাবে গত অর্থবছরে কর্ণফুলী টানেল লোকসান করেছে প্রায় ১৮৯ কোটি টাকা।

কালবেলা
খাদ্যপণ্যের মান যাচাই করেন দেশের পরমাণু বিজ্ঞানীরা : পরমাণু শক্তি কমিশন
কালবেলার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিশ্ব যখন পরমাণু গবেষণায় অগ্রগতি দেখিয়ে এগিয়ে চলছে ভবিষ্যতের পথে, তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পরমাণু বিজ্ঞানীরা ব্যস্ত খাদ্যপণ্যের মান যাচাইয়ে। যাদের প্রত্যেকের জন্য গবেষণায় বার্ষিক বরাদ্দ মাত্র ৫০ হাজার টাকা। আমদানীকৃত খাদ্যে তেজস্ক্রিয়তা আছে কি না, তা পরীক্ষায় নিয়োজিত এসব বিজ্ঞানী। অন্যদিকে, বিপরীত চিত্র কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে। গবেষণা সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা নন, বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ পান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। যাদের কেউ-ই বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট নন, সাধারণ কোনো বিষয়ের ছাত্র।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের এমন বাস্তবতায় হতাশ একাধিক গবেষক বলেন, ‘আমরা খেয়ে-পরে বেঁচে আছি, গবেষণা হচ্ছে টেবিলের কোণে কিছু সংখ্যার হিসাব রাখা পর্যন্ত।’ দেশের সাড়ে ছয়শ পরমাণু বিজ্ঞানীর মধ্যে দেড়শ জনই পিএইচডি ডিগ্রিধারী। তাদের অনেকেই পৃথিবীর বিখ্যাত গবেষণা সংস্থাগুলোয় কাজ করেছেন বা আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তারা বর্তমানে নিয়োজিত খাদ্য পরীক্ষার কাজে, যা মূলত বন্দর ও বিমানবন্দরে আমদানীকৃত পণ্যের তেজস্ক্রিয়তা ও রেডিওআইসোটোপ শনাক্তের জন্য বাধ্যতামূলক।

যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এই পরীক্ষাও প্রশ্নের মুখে। ব্যবসায়ী সংগঠনের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খাদ্য পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা বাতিলের চিন্তা করছে। ১৩ মে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গত ১২ বছরের পরীক্ষার প্রতিবেদন চায়। পরে ২৬ জুন কমিশনের কাছে চাওয়া হয় গত পাঁচ বছরে কত পণ্যে তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে তার হিসাব।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বার্ষিক বাজেট প্রায় ২৫০ থেকে ২৮০ কোটি টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। অথচ এর প্রায় অর্ধেকই যায় বেতন ও ভাতা খাতে। পরমাণু শক্তি কমিশনের গত পাঁচ বছরের বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই সময়ে মোট বাজেট ছিল ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা, যার প্রায় ৫০ শতাংশই (৪৮৬ কোটি টাকা) ব্যয় হয়েছে বেতন-ভাতায়। উল্লিখিত সময়ে গবেষণায় বরাদ্দ ছিল ২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত গবেষণায় বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি টাকা করে। পরের ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিজ্ঞানীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পরও বিশেষভাবে ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়; কিন্তু সেই টাকাও ঠিকমতো ছাড় না করার অভিযোগ আছে।

পরমাণু শক্তি কমিশনের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ২৪১ কোটি এবং গবেষণার জন্য বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি, ২০২১-২২ অর্থবছরে পুরো প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৪৮ কোটি ও গবেষণার জন্য বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ২৫০ কোটি ও গবেষণায় বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ২৭০ কোটি ও গবেষণা বাবদ বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ২৭৯ কোটি ও গবেষণায় বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি এবং পরবর্তী সময়ে বিশেষ বিবেচনায় গবেষণার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় আরও ৯ কোটি টাকা। কিন্তু গবেষণার বাড়তি সেই টাকা ছাড়ের নামেও টালবাহানা করে মন্ত্রণালয়।

দেশ রূপান্তর
অর্থনীতিতে আশা কফি-কাজুতে
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশে কাজুবাদাম ও কফির ভোক্তা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। ভোক্তা বাড়লেও চাহিদার অধিকাংশই এখনো পূরণ করতে হয় আমদানির মাধ্যমে। দেশে উৎপাদন নামমাত্র। অথচ কাজুবাদাম ও কফি উৎপাদনের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের পরিবেশ উপযোগী হলেও এখনো ব্যাপকভাবে চাষের আওতায় আনা যায়নি।

কৃষি বিভাগ বলছে, পার্বত্য অঞ্চল হিসেবে পরিচিত রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে এ দুটি পণ্যের। সম্ভাবনা থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে কফি কাজুবাদামের চাষ। শুধু এ দুটি পণ্যই নয়, পাহাড়ে এখন সমতলের কৃষিরও প্রসার ঘটছে।

বান্দরবানের কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের গা ঘেঁষে চাষ হচ্ছে আনারস। নিচু স্থানে পেঁপে, কলা, ড্রাগন, আদা, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। আদা সহ নানা পদের মসলার পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে মাশরুমের। কম খরচে ভালো দাম ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় এসব ফসলের চাষ হচ্ছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। অথচ এ অঞ্চলের মানুষের এক সময়ের ভরসাই ছিল জুমচাষ।

কৃষি বিভাগ বলছে, লাভজনক ও চাষ উপযোগী হওয়ায় পাহাড়ের কৃষিতে বৈচিত্র্য তৈরি করেছে কাজুবাদাম ও কফির চাষ। কৃষি বিভাগ ২০২১ সাল থেকেই কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তবে কাজুবাদাম ও কফির চাষ পাহাড়ে শুরু হয় সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়নের আগেই।

নয়া দিগন্ত
লঙ্কানদের হারিয়ে সাত বছর পর টাইগারদের স্বপ্নপূরণ
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ইতিহাসে কেবল একবারই পিছিয়ে পড়ার পর ২০১৮ সালের আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে সমতা। সাত বছর পর গতকাল শ্রীলঙ্কার মাটিতে সেই সুখস্মৃতি ফেরানোর হাতছানি ছিল টাইগারদের সামনে। অবশেষে ৮ উইকেটের জয়ে হলো স্বপ্নপূরণ। বাংলাদেশ সিরিজ জিতে নিলো ২-১-এ।

গতকাল চারিথ আসালাঙ্কা টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ম্যাচ সেরা শেখ মাহেদীর ঘূর্ণিতে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৩২ রান করে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। টোটাল রান হতে পারতো আরো কম, যদি না শরিফুল শেষ ওভারে ২২ রান না দিতেন। জবাবে তানজিদ হাসান তামিমের অপ্রতিরোধ্য ৭৩* রান, অধিনায়ক লিটন দাসের বীরোচিত ৩২ এবং তৌহিদ হৃদয়ের হার না মানা ২৭ রানে ২১ বল বাকি থাকতে ২ উইকেট হারিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা। ফলে ৮ উইকেটের জয়ে প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ।

এ নিয়ে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলেছে ২২টি। যার মধ্যে মাত্র সাতটিতে জিতেছে, হেরেছে ১৪টিতে। ড্র হয়েছে বাকিটি। এই ছয়টি সিরিজ জয়ের তিনটিতে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডকে, ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডকে ও ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। অন্য তিনটিতে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ও ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সাত বছর পর এবারো সিরিজ জিতল ২-১ ব্যবধানে।

জবাবে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হন পারভেজ হোসেন ইমন। নুয়ান থুসারার ইনসুইং ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ০ রানে বিদায় নেন। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি। শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়লেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লিটন দাস। তানজিদ নিয়ে দেখেশুনে বুঝে স্কোরবোর্ডে রান বাড়াতে থাকেন অধিনায়ক। পাওয়ার প্লে’তে দু’জনে মিলে লঙ্কান বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩২ রানে কামিন্দু মেন্ডিসকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে কুশল পেরেরাকে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন লিটন দাস। ২৬ বলে ৩২ রান করেন এই অধিনায়ক।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০তে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন তানজিদ হাসান তামিম। লেগ স্পিনার জেফ্রি ভ্যান্ডারসের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে ছক্কা মেরে ৪৮ রানে পৌঁছান তিনি। পরের বলে চার মেরে ২৭ বলে এক চার ও পাঁচ ছয়ে তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। তখনি মূলত জয়ের আশা করতে থাকে টাইগাররা। বাংলাদেশ ১০০ রান করে ১২.১ ওভারে। তানজিদকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন তৌহিদ হৃদয়। শেষ পর্যন্ত ১৬.৩ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তানজিদ ৭৩ রানে এবং তৌহিদ ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। লঙ্কানদের হয়ে দু’টি উইকেট নেন নুয়ান থুসারা ও কামিন্দু মেন্ডিস।

এর আগে টি-২০তে স্থায়ী অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই টস জিততে পারেননি লিটন দাস। আরব আমিরাতের পর পাকিস্তান সফরেও তিন ম্যাচের সব ক’টিতেই টস হেরেছিলেন। চলমান শ্রীলঙ্কা সফরেও তিন টি-২০-এর সব টস হেরেছেন। এ নিয়ে টানা ৯ ম্যাচে টস হেরেছেন লিটন।

কালের কণ্ঠ
নতুন রাজনৈতিক দল গড়লেন ইমরানের প্রাক্তন স্ত্রী
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী রেহাম খান নতুন রাজনৈতিক দল গড়েছেন। তাঁর দলের নাম পাকিস্তান রিপাবলিক পার্টি। গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী করাচিতে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের নাম ঘোষণা করেন রেহাম। তিনি বলেছেন, তাঁর রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের পার্লামেন্টে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।

বিবিসির সাবেক সাংবাদিক রেহাম আরো বলেন, পাকিস্তানের নারী ও কৃষকদের উপকারে আসে, এমন সব রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দাবি নিয়ে এগোবে পাকিস্তান রিপাবলিক পার্টি। সাধারণ জনগণ প্রতিদিন যে বাস্তবতার মুখোমুখি হন, পাকিস্তান সরকারের নীতিতে তার প্রতিফলন থাকা জরুরি বলেও মনে করেন রেহাম। তাঁর ভাষায়, ‘পুরো পাকিস্তান আমার সংবিধান; আর আমাদের এই নতুন দলের লক্ষ্য কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল নয়, বরং পাকিস্তানের শান্তি ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনা এবং জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।’ সূত্র : ডন

বাংলাদেশ প্রতিদিন
রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই সোহাগ হত্যায়
বাংলাদেশ প্রতিদিনে বলা হয়েছে, পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যায় কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। এর নেপথ্যে ছিল পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ। হত্যায় জড়িতরা ও ভিকটিম সোহাগ ছিলেন পূর্বপরিচিত। হাজি সেলিমের ভাগনের ছত্রছায়ায় চোরাই তারের ব্যবসা করতেন সোহাগ। গত বছর ৫ আগস্টের পর স্বার্থগত দ্বন্দ্বের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সোহাগ হত্যার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এদিকে সোহাগ হত্যা মামলায় আরও তিন আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির কমিশনার বলেন, ঘটনাটি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে চকবাজার থানার ওসি সংবাদ পাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

সেখানে গিয়ে দেখেন অভিযুক্তরা মবের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন। হত্যাকাণ্ডের সময় ‘চাঁদাবাজদের জায়গা নাই, ব্যবসায়ীদের ভয় নাই’ এমন স্লোগান দিচ্ছিলেন অভিযুক্তরা। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন মাহমুদুল হাসান মহিন ও ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে তারেক রহমান রবিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাথর নিক্ষেপকারী দুজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সোহাগকে একাধিকবার কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে আঘাত করা মো. রিজওয়ান উদ্দিন অভিকে মঙ্গলবার পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর