বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
বিতর্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির দিকেই এগোচ্ছে সরকার

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৪

বাংলাদেশের খবর
চলতি মাসেই আসছে দুই স্তরের পদোন্নতি, ভাগ্য খুলছে তিন শতাধিক কর্মকর্তার
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ফের দুই স্তরের পদোন্নতির তোড়জোড় চলছে। প্রথমে সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি, যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির দ্বার খুলছে। এরই মধ্যে পদোন্নতিযোগ্য সাত শতাধিক কর্মকর্তার চাকরিজীবনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ শুরু করেছে সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)।
ইতোমধ্যে পদোন্নতির জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে এসএসবি। বৈঠকে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের কর্মজীবনের সব নথি, প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরিজীবনের শৃঙ্খলা, দুর্নীতিসহ সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করা হয়। আরও দু-একবার বৈঠকের পর পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তার তালিকা চূড়ান্ত।
সমকাল
গোপালগঞ্জে তিনটি মামলায় আসামি ২৬০০, গ্রেপ্তার ১৬৭
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জে গত দু’দিনে করা তিনটি মামলায় ২ হাজার ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। একই সময়ে অন্তত ১৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করার তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৪৮ জনকে গতকাল শুক্রবার সদর থানায় করা একটি মামলায় প্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটক হওয়া অনেকের খোঁজে তাদের স্বজন গতকাল শুক্রবার সদর থানার সামনে ভিড় জমান। তাদের মধ্যে ১৬ জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে সমকাল। এর মধ্যে ছয়টি পরিবার দাবি করেছে, তাদের ‘শিশু সন্তান’কে ধরে আনা হয়েছে।
আটক অন্যদের বেশির ভাগই তরুণ-যুবা। কেউ কারখানার শ্রমিক, কেউ রিকশাচালক, কেউ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কাজ করেন। সবার স্বজনই দাবি করেছেন, তাদের স্বামী-সন্তানরা নির্দোষ। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অভিযান) ড. রুহুল আমিন সরকার সমকালকে বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে আটকদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। অপরাধসংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হলেই কেবল তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থল ও নেতাদের গাড়িবহরে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। আরও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওই দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিতে চারজন নিহত হন। আহত একজন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ। নিহতরা সবাই বয়সে তরুণ।
বুধবার রাত ৮টা থেকে এই জেলা শহরে কারফিউ চলছে। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কারফিউ কয়েক ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়। আবার কারফিউ বলবৎ হলে শহরে জনশূন্য হয়ে পড়ে। শহরের ছোট-বড় রাস্তাগুলো ছিল যানবাহনশূন্য।
মানবজমিন
সাভারে চারদিনে ২৪ হাজার রাউন্ড গুলি
মানবজমিনে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে রাজধানী ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে সাভারে। পুলিশ, র্যাব, আনসার ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের গুলিতে সাভার পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় পথচারী, দিনমজুর, রিকশাচালক, দোকানি ও শিক্ষার্থী শহীদ হন। ১৮ থেকে ২১শে জুলাই চারদিনে শহরের ৬টি স্থানে স্পেশাল পারপার্স অটোমেটিক শটগান (স্পার্স) দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর অন্তত ২৪ হাজার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছোড়া এসব গুলির অধিকাংশই এইম অন ফায়ার লক্ষ্যবস্তু টার্গেট করে করা হয়। কিছু জায়গায় শিক্ষার্থীদের ওপর প্রাণঘাতী সাব মেশিনগান এসএমজি রাইফেল ব্যবহারেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাভার থানা পুলিশের করা ১৭টি মামলার এজাহার পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এজাহারে পুলিশের কোন সদস্য কোথায় কতো রাউন্ড গুলি ছুড়েছে তারও তথ্য মিলেছে। ব্যবহৃত অস্ত্রের অধিকাংশই প্রাণনাশক। ২০ থেকে ২৫ মিটারের মধ্যে কারও শরীরে এসব অস্ত্রের গুলি লাগলে মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খোদ পুলিশের এক সদস্যই এমন তথ্য দিয়েছেন।
অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিশেষজ্ঞ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. নাজমুল হুদা মানবজমিনকে বলেন, স্পেশাল পারপার্স অটোমেটিক শটগান (স্পার্স) আন্দোলনে এই অস্ত্রটি ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হয়। এটা নামে শটগান হলেও আদতে প্রাণঘাতী অস্ত্র। কারণ এতে এন্ট্রি বুলেট ব্যবহার করা যায়। মেটাল ফরিং বুলেট, যেটা গাড়ি ছিদ্র্র করে বের হয়ে যাবে। এই বুলেট যদি কারও শরীরে লাগে, তার কী হবে তা সহজেই অনুমেয়। এই অস্ত্র নিয়ে রাবার বুলেট, ছররা গুলিও ছোড়া যায়। এজন্যই এর নাম হয়েছে স্পেশাল পারপার্স অটোমেটিক শটগান। তিনি বলেন, ৭৫ মিটারের মধ্যে কাউকে এসএমজি দিয়ে গুলি করা হলে মৃত্যু নিশ্চিত।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৮ই জুলাই বিকালে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে শটগানের গুলিতে শিক্ষার্থী শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন নিহত হন। নিহতের পরে তার বুকে পিঠে অসংখ্য ছররা গুলির ক্ষত দেখা যায়। ২০শে জুলাই সাভার জিকে গার্মেন্টসের সামনে রিকশাচালক রনি প্রমাণিক পুলিশের গুলিতে নিহত হন। গুলি রনির বুকভেদ করে বেরিয়ে যায়। এই দু’জন নয়, চারদিনের আন্দোলনে সাভারে পুলিশের শটগানের গুলিতে আরও ৯ জন মারা যান। ১৯শে জুলাই রেডিও কলোনিতে মো. আলামিন। ২০শে জুলাই জ্বালেশ্বর মহল্লায় শরবত বিক্রেতা শেখ শামীম, সাভার রাজ্জাক কাঁচাবাজারে কুরবান শেখ, আমিন টাওয়ারের সামনে রাজমিস্ত্রি মেহেদী হাসান, বাজার বাসস্ট্যান্ডে শুভশীল মণ্ডল, মাছ বিক্রেতা নবী নূর মোড়ল ও মাদ্রাসাছাত্র সায়াদ মাহমুদ খানও পুলিশের শটগানের গুলিতে নিহত হন। ২১শে জুলাই গুলিতে মারা যান দোকানি ফারুক হোসেন ও বাসের হেলপার মহিবুল হাসান। গুলিতে নিহত প্রত্যেকের চোখে-মুখে, বুকে, পিঠে ও হাতে-পায়ে শতাধিক ভারী সিসা বল কার্তুজ ছররা গুলির ক্ষত পাওয়া যায়। এ ছাড়া চারদিনে শটগানের গুলিতে সাভারে দেড় হাজারের অধিক মানুষ আহত হন। অনেকে গুলিতে চোখও হারিয়েছেন।
বণিক বার্তা
বিতর্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির দিকেই এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মহলে নানা উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির দিকেই এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর সেটি এমন সময় হচ্ছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন আগের তুলনায় বাণিজ্যে কঠোর শুল্কনীতি অনুসরণ করছে, বিশেষত এশীয় দেশগুলোর ওপর। দরকষাকষির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম তুলনামূলক কম শুল্ক সুবিধা পেতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানিপণ্য পড়ছে ৩৫ শতাংশ শুল্কের মুখে। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, বাণিজ্য চুক্তিটি দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ এবং ভবিষ্যৎ রফতানি প্রবৃদ্ধির জন্য এক কৌশলগত পদক্ষেপ।
রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ এগ্রিমেন্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় দফা আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্টের কারণে চুক্তির শর্তগুলোর বিষয়ে যদিও কেউ উন্মুক্তভাবে কোনো কথা বলছেন না। তবে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, চুক্তিতে শুল্কের বিষয় ছাড়াও অনেক উপকরণ রয়েছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেগুলো নিয়ে তর্ক-বিতর্কের সুযোগ রয়েছে।
চুক্তির বিষয়বস্তু সম্পূর্ণভাবে আলোচনা না করলেও খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একান্ত আলোচনায় সরকার জানিয়েছে, যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে তার ৮০-৮৫ শতাংশের বিষয়ে সম্মত হয়েছে তারা। বাকি ১৫-২০ শতাংশ নিয়ে আলোচনা চলছে। সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, অমীমাংসিত বিষয় সবগুলো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছা যাবে কিনা এখনো নিশ্চিত না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করবে বাংলাদেশ।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ এগ্রিমেন্টে আসতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ খুব আকর্ষণীয় কোনো দেশ না। তারা দেখছেন, বাণিজ্য ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব বড় না হলেও তা কমিয়ে আনতে বাংলাদেশের সামগ্রিক ক্রয় সক্ষমতায় ঘাটতি রয়েছে।
প্রথম আলো
জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন চালু হচ্ছে ঢাকায়
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মিশন চালু হতে যাচ্ছে। তিন বছর মেয়াদি মিশন চালুর জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে দুই পক্ষ। ২৮টি ধারা সংবলিত সমঝোতা স্মারকটি সই করেছেন বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের পক্ষে হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।
জেনেভা থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর গতকাল শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় মিশন চালুর বিষয়ে সমঝোতা স্মারকটি সই হয়।
সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গতকাল প্রথম আলোকে জানান, বাংলাদেশ গত সোমবার সমঝোতা স্মারকটি সই করে জেনেভায় পাঠায়। আর জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের দপ্তর গত বৃহস্পতিবার এতে সই করে। সমঝোতা স্মারকের শর্ত অনুযায়ী সইয়ের পর থেকে তিন বছর মেয়াদি মিশন চালু বলে গণ্য হবে। ভবিষ্যতে এর মেয়াদ বাড়াতে হলে সময়সীমা শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে জানাতে হবে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের যুক্ততা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এবং গণ-অভ্যুত্থানের নৃশংসতার বিরুদ্ধে একটি সমন্বিত তথ্যানুসন্ধান পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কাজ করে চলেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বলেন, চলমান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে মানবাধিকারকে মূল ভিত্তি হিসেবে নিয়েছে, এই সমঝোতা স্মারক সেটারই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে আসা সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে আমার দপ্তরের জন্য সহায়ক হবে। পাশাপাশি এটি বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার, নাগরিক সমাজ এবং অন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরাসরি আমাদের অভিজ্ঞতা ও সহায়তা বিনিময়ে যুক্ত হতে সহায়তা করবে।’ নতুন এই মিশন মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে নানা ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করবে।
কালের কণ্ঠ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৭ কারাগারে বিদ্রোহ ও হামলা, হদিস নেই ৭০০ বন্দির
কালের কণ্ঠে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময়ে গত বছর জুলাই-আগস্ট মাসে দেশের ১৭টি কারাগারে বাইরে থেকে হামলা ও বন্দিদের বিদ্রোহের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় জঙ্গি থেকে শুরু করে সব শ্রেণির বন্দিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা গুলিও চালান। এতে গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি ও জামালপুর কারাগারে ১৩ জন বন্দি নিহত হন। ১৭টি কারাগারে আহত হন ২৮২ জন কারারক্ষী।
ওই সময়ে পাঁচটি কারাগার থেকে দুই হাজারের বেশি বন্দি পালিয়ে যান। পরে পালিয়ে যাওয়া অনেক বন্দি কারাগারে ফিরে আসেন। আবার অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ওই ঘটনার পর এক বছর পার হলেও এখনো পালিয়ে যাওয়া ৭০০ বন্দিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
পালিয়ে যাওয়া এসব বন্দির মধ্যে হলি আর্টিজানে হামলাকারীসহ ৯ জন দুর্ধর্ষ জঙ্গিও রয়েছেন। হামলা ও বিদ্রোহের ঘটনার পর দেশের সব কারাগারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বন্দিদের পালিয়ে যাওয়া রোধ করতে দেশের সব কারাগারের সীমানাপ্রাচীর আরো উঁচু করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। কারাগার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বাংলাদেশ প্রতিদিনে বলা হয়েছে, শিগগিরই বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান শুরু হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে এ অভিযান চালানো হবে। দলে যত বড় নেতাই হোন বা পদ-পদবি যত ভারীই হোক না কেন- শৃঙ্খলা ভঙ্গে কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি, দখলসহ খুনের মতো গুরুতর অভিযোগের কারণে দল ও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিব্রত। আগামী নির্বাচনে এসব ঘটনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এজাতীয় অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে সবার আগে তাদের এ অভিযানের আওতায় আনা হবে।
সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি অপরাধের মাত্রা ভেদে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে- সারা দেশে মবতন্ত্রের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বিএনপির তিনটি অঙ্গসংগঠন। জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে এ মবতন্ত্র রুখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও তিন অঙ্গসংগঠনের সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দলের চেইন অব কমান্ড ঠিক রাখতে অচিরেই জেলা/মহানগর থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত শুদ্ধি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগরিই এটা শুরু হবে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কেন্দ্রীয় নেতারাও বাদ যাবেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থান ছিল ডেমোক্রেসির জন্য। কিন্তু আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি সারা দেশে মবোক্রেসির রাজত্ব হচ্ছে। তিনি বলেন, চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, হয়ে যাচ্ছে মবোক্রেসি।
সরকারের নির্লিপ্ততার কারণে সারা দেশে এ মবোক্রেসি হচ্ছে। যারা গণ অভ্যুত্থানের শক্তিকে এ চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে, তারা কারা? কেন করছে? তিনি এ মবোক্রেসি রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান সবার প্রতি। জানা গেছে, আজীবন বহিষ্কারসহ কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরও লাগাম টানা যাচ্ছে না বিএনপির একশ্রেণির নেতা-কর্মীদের। এ অবস্থায় দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে এ অভিযানে ৫ আগস্টের পর দলে আসা সুবিধাভোগী নেতা-কর্মীদের চিহ্নিত করা হবে। এ ছাড়া যারা দলের সর্বোচ্চ সতর্কতা উপেক্ষা করে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন, তাদের বিষয়ে সাংগঠনিকব্যবস্থা নেওয়া হবে।