বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
হাসিনার বিচার শেষ হতে পারে ডিসেম্বরে

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৩

সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে ধীরে চলছে জেলা কমিটি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার কার্যক্রমে ধীরে চলছিল জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বাধীন কমিটি। অনেক জেলায় সাড়ে ৯ মাস ধরে মামলার যাচাই-বাছাই চলছিল। এ অবস্থায় নতুন নিয়োগ পাওয়া জেলা ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরদের (পিপি) সরাসরি মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখন পিপির মাধ্যমে আবেদন পেয়ে মামলা প্রত্যাহারের সরকারি আদেশ (জিও) জারি করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে জেলা কমিটির অজান্তে অনেক মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে।
আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ডিসি ও পিপিরা গত সাড়ে ৯ মাসে ১৬ হাজার ৯৪০টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন পাঠিয়েছিলেন। পরে আইন মন্ত্রণালয় ২১টি সভা করে ১৫ হাজার ৬০০টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করে। এর মধ্যে ডিসিদের পাঠানো মামলার সংখ্যা প্রায় এক হাজার। বাকি ১৪ হাজার ৬০০টি মামলা পিপি ও রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করা হয়। এসব মামলার মধ্যে ১৭তম সভা পর্যন্ত জিও জারি করা হয়েছে ১১ হাজার ১৫৫টির।
প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘দর-কষাকষিতে দুর্বল সরকারের সফলতা কম’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক শুধু বাণিজ্যের বিষয় নয়। এটি ভূরাজনৈতিক, ভূ-অর্থনৈতিক ও ভূকৌশলগত বিষয়। আগামী ১ আগস্ট কার্যকর হওয়ার কথা বিদ্যমান ১৫ শতাংশের সঙ্গে নতুন ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ মোট ৫০ শতাংশ শুল্কহার। এ হার কমিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে যথাযথ আলোচনা ও দর-কষাকষি করতে পারেনি বাংলাদেশ। এসব কথা তুলে ধরে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা বলেছেন, কোনো দুর্বল সরকার সফল দর-কষাকষি করেছে—ইতিহাসে এমন নজির খুব কম।
তবে পুরোপুরি আশা ছেড়ে দেননি ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হলে এখনো ভালো কিছু হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারপ্রধানের যত ধরনের যোগাযোগের উৎস আছে, সব কাজে লাগিয়ে শেষবারের মতো চেষ্টা করা উচিত।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এই বক্তব্য উঠে এসেছে। প্রথম আলো আয়োজিত এ বৈঠকে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও গবেষকেরা অংশ নেন।
বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ক্ষমতা বাড়ছে ইসির, কঠিন হচ্ছে প্রার্থীদের পথ : নির্বাচন ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানসম্মত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাবনায় এবার ইসি, বিনাভোটে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচনের পথ পুরোপুরি বন্ধ করতে চায়। পাশাপাশি ইভিএম বাদ দেওয়া, সশস্ত্র বাহিনীকে সংজ্ঞায় আনা, নির্বাচনি অনিয়মে সম্পূর্ণ আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়াসহ নানা প্রস্তাব রয়েছে খসড়ায়।
ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় অনুষ্ঠিত, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতেই বিনাভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ এবং নির্বাচনি ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর আমূল সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রস্তাবিত এই সংশোধনীতে কেবল বিনাভোটের সুযোগ বন্ধ করাই নয়, বরং নির্বাচনে অনিয়ম রোধে কমিশনের ক্ষমতা পুনরুদ্ধার, প্রার্থীদের যোগ্যতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ এবং জোটবদ্ধ নির্বাচনের পুরনো চর্চায় পরিবর্তন আনাসহ বেশ কিছু যুগান্তকারী বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই উদ্যোগকে নির্বাচনি বিশেষজ্ঞরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পথে একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘রাজনীতিতে বিভক্তি স্পষ্টতর’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের রাজনীতিতে বিভক্তি স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়ে উঠেছে। সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইস্যু, বিশেষ করে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের ইস্যুতে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের দলগুলোর মধ্যে দূরত্বে এখন আর কোনো রাখঢাক নেই। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশ করে কুরুচিপূর্ণ এবং অশ্লীল মন্তব্য এবং তার প্রতিক্রিয়ায় সভামঞ্চ ভেঙে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই বিভাজন বাড়ছে। স্পষ্ট হচ্ছে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ।
গত শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদসহ ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ ডান ও ধর্মভিত্তিত দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানায় জামায়াতে ইসলামী। তবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিএনপি ও তাদের সমমনা দল এবং বামপন্থী দলগুলোকে। বেশ কয়েকটি দল আমন্ত্রণ পেলেও সমাবেশে যোগ দেয়নি।
এই সমাবেশের অন্যতম দাবি ছিল সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন। বিএনপিকে আমন্ত্রণ না জানানোর কারণ হিসেবে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, পিআর পদ্ধতির পক্ষে না থাকায় বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি।
মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ছিনতাইয়ে দাদন ব্যবসা’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাদন। উপকূলীয় জেলেদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এক মহাজনী ব্যবসা। হাতে যখন কাজ থাকে না, তখন মহাজনদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে জীবনধারণ করেন জেলেরা। মৌসুমে তারা সাগরে মাছ ধরেন। দাদনের বিনিময়ে ওই মাছের বড় অংশ দিয়ে দিতে হয় মহাজনদের। এভাবেই দাদন ব্যবসায়ীর কবলে পড়ে জীবনচক্র আবর্তিত হয় জেলেদের। এমন দাদন ব্যবসা আছে আরও নানা স্থানে, নানা পেশা ঘিরে। কিন্তু ছিনতাইয়ের মতো জঘন্য অপরাধে এই দাদন দেয়ার মতো তথ্য মিলেছে খোদ রাজধানীতে।
উপকূলীয় জেলেদের মতো ছিনতাইকারীরাও এখন ‘দাদন’ পদ্ধতিতে ছিতাইয়ের সরঞ্জাম ও টাকা যোগাড় করছে। মোটরসাইকেল, চাপাতি, সামুরাইসহ ধারালো অস্ত্র আগাম টাকা ছাড়াই ভাড়া পায় ছিনতাইকারীরা। এমনকি, ছিনতাই করতে গিয়ে কেউ যদি ধরা পড়ে, সেক্ষেত্রেও ছাড়িয়ে আনার জন্য দাদনের ব্যবস্থা রয়েছে। দ্রুত জামিনের জন্য আগাম টাকাও দাদন হিসেবে পাচ্ছে তারা। ছিনতাইয়ের মালামাল বিক্রি করতে হয় ‘দাদন’ ব্যবসায়ীদের কাছে। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজন ছিনতাইকারী এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।
আজকের পত্রিকা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার : হাসিনার বিচার শেষ হতে পারে ডিসেম্বরে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারকাজ শেষে রায় ঘোষণা হতে পারে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই। একই সময়ে আরও কয়েকটি মামলার বিচারকাজ শেষ হতে পারে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সূত্র এসব কথা জানিয়েছে। সূত্র বলেছে, দুই ট্রাইব্যুনালের চলমান গতিপ্রকৃতি বিবেচনায় এমন আশা করা হচ্ছে।
ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যে দুটি মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়েছে। এর একটিতে পাঁচটি অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হওয়া অপর মামলাটি রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা। এই মামলায় আসামি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের আট সদস্য।
এ ছাড়া সাভারের আশুলিয়ায় গুলি করে হত্যার পর পাঁচজনের মরদেহ ও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা এবং রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মামলা দুটিতে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আদালত অবমাননার এক মামলায় ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার ছয় মাসের কারাদণ্ড হয়েছে ট্রাইব্যুনালে।
যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘অপরাধের পারদ ঊর্ধ্বমুখী’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পথচারীর ব্যাগ ছিনতাইয়ের পর উদ্যত চাপাতি হাতে পুলিশের সামনে দিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যাচ্ছে ছিনতাইকারী। এ দৃশ্য দেখেও রাস্তায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্য নির্বিকার। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সামনে ছিনতাই ও ধারালো চাপাতি প্রদর্শনের এমন একটি ভিডিও গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের রাসেল স্কয়ারে ঘটে আতঙ্কে গা হিম হওয়া এই ছিনতাইয়ের ঘটনা।
প্রকাশ্যে ধারালো ও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে রাজধানীর পথচারীদের ওপর ছিনতাইকারীদের হামলে পড়ার এমন দৃশ্য হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে। ঢাকার বাইরেও চাঁদাবাজি, খুন, ছিনতাই, চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। নানা ধরনের অভিযানেও অপরাধীরা বেপরোয়া। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে গতি আসছে না। সারা দেশে অপরাধের পারদ ঊর্ধ্বমুখী। প্রেস উইংয়ের সরবরাহ করা অপরাধ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ছয় মাসে দেশে খুনের ঘটনা ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। জানুয়ারিতে খুনের মামলা হয়েছে ২৯৪টি। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ৩০০টি। এরপর মার্চে খুন ৩১৬টি, এপ্রিলে ৩৩৮টি, মে মাসে ৩৪১টি। আর গত জুনে খুনের মামলা হয়েছে ৩৪৪টি।
এ বছর বেশি খুন হয়েছে ঢাকা মহানগর, ঢাকা রেঞ্জ ও চট্টগ্রাম রেঞ্জে। অনেক খুনের পেছনে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের মতো ঘটনা কাজ করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া খুনের পাশাপাশি সারা দেশে ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্যাতন এবং অপহরণের মতো অপরাধও সংঘটিত হচ্ছে। এদিকে নগরবাসীর আতঙ্কের কেন্দ্রে এখন সশস্ত্র ছিনতাইকারী। সব মিলে এই ঘোলাটে পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। অথচ সন্ত্রাসীদের ধরতে দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অব্যাহত। নতুন করে শুরু হয়েছে ‘চিরুনি অভিযান’। এরপরও গত ছয় মাসের অপরাধ পরিসংখ্যানের কোনো ক্ষেত্রেই তেমন স্বস্তির খবর নেই। এ অবস্থার মধ্যেও শুধু মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে।
এমবি