Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

বিমানটি চীনে তৈরি, দুর্ঘটনার কারণ ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৮

বিমানটি চীনে তৈরি, দুর্ঘটনার কারণ ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’

বাংলাদেশের খবর
স্বপ্নযাত্রা থেমে গেল পাইলট তৌকিরের
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মাত্র ছয় মাস আগে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন তরুণ পাইলট তৌকির ইসলাম সাগর। কিন্তু একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় হঠাৎ থেমে গেল স্বপ্নযাত্রা। গতকাল দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এফ-৭বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমানটির পাইলট ছিলেন তৌকির। এই দুর্ঘটনায় বহু শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রাণ হারান তিনিও।

সাগরের মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পর রাজশাহীর উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরে তার বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে বাড়ির পরিবেশ। রাজশাহীর উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরে পাইলট সাগরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে আছে। পরিবারের সদস্যদের একমাত্র আশা ছিল সাগরের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, এক নিমিষেই থেমে গেল। পরিবারের সদস্যদের ঢাকায় নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বিমানবাহিনী।

মানবজমিন
ঘনবসতি এলাকায় বিমান ওঠানামা ঝুঁকিপূর্ণ
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে এমন একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থাকা নানা কারণে ঝুঁঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে আকাশ পরিবহন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম মানবজমিনকে বলেন, আমরা আগেও বলেছি, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো একটি বিমানবন্দর ঢাকা শহরের ঘনবসতি এলাকায় থাকাটা ঠিক না। এটা নানা কারণে ঠিক নয়। কারণ উত্তরা, টঙ্গী বা আশুলিয়া ঘনবসতিপূর্ণ। ঘনবসতি এলাকায় প্রতিনিয়ত বিমান উঠানামা করে।

এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনা ঘটলে গ্রাউন্ডে অনেক হতাহতের সম্ভাবনা থাকে। তিনি বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পাকিস্তান আমলে তৈরি করা হয়। এরপর থেকে সেটাই আমরা ব্যবহার করছি। নির্মাণের সময় তো ওখানে বসতি ছিল না, কিন্তু এখন তো অনেক বেড়ে গেছে। এজন্য আমাদের বিমানবন্দর স্থানান্তর করতে হবে। ইতিমধ্যে ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ তাদের বিমানবন্দর শহরের বাইরে সরিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া সামরিক ও বেসামরিক বিমান একসঙ্গে উঠানামা করলে সব সময় রিস্ক থাকেই। কাজেই জাতীয় পর্যায়ে চিন্তাভাবনা করে পরিকল্পনা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এদিকে গতকাল দুর্ঘটনার শিকার প্রশিক্ষণ এয়ারক্রাফট এফ-৭ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি চীনের তৈরি।

এটি ১৫ থেকে ১৬ বছরের পুরনো একটি এয়ারক্রাফট। তবে এমন পুরনো হলেই উপযোগী না, এটা বলা যাবে না। যেকোনো এয়ারক্রাফট ২০ থেকে ২৫ বছর, এমনকি ৩০ বছরও ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, এয়ারক্রাফট মূলত মেইনটেন্যান্সের উপর নির্ভর করে। মেইনটেন্যান্স যদি প্রপার হয়, মেজর চেকগুলো যদি প্রপারলি করা হয়, সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম হয়। এটার মেইনটেন্যান্সে কোনো সমস্যা ছিল কিনা বা ইঞ্জিনে কোনো সমস্যা ছিল কিনা দেখতে হবে। আমরা যতদূর শুনেছি, পাইলট একটি বার্তা দিয়েছিল যে, ইঞ্জিন নিয়ে উনি কিছু সমস্যা ফেস করছেন। কাজেই মেইনটেন্যান্সের বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।

প্রথম আলো
বিমানটি চীনে তৈরি, দুর্ঘটনার কারণ ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গতকাল সোমবার বিমান বিধ্বস্তের পর জানিয়েছে, বিমানটির মডেল ছিল এফটি-৭ বিজিআই। এটি বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু ও ১৭১ জন আহত হয়েছেন। নিহত ও আহতদের বেশির ভাগ শিশু ও মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী। যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত দুজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, যেটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটি দিয়ে প্রশিক্ষণের পর পাইলটদের মূল যুদ্ধবিমান চালাতে দেওয়া হয়।

সামরিক সরঞ্জাম-সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট গ্লোবাল সিকিউরিটিডটকমের তথ্য অনুযায়ী, এফটি-৭ বিজিআই মডেলের বিমানের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন। এটি স্বল্প খরচে নির্মিত, এক ইঞ্জিনচালিত ও দুই আসনবিশিষ্ট একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। মূল সংস্করণ এফ-৭ এর জন্য পাইলটদের প্রস্তুত করতে এফটি-৭ বিজিআইয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ এসব যুদ্ধবিমান কবে কিনেছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। তবে বিমানবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, এফটি-৭ বিজিআই সংস্করণটি বাংলাদেশ ২০১৩ সালে চীন থেকে কিনেছে। গ্লোবাল সিকিউরিটিডটকমের ওয়েবসাইটে এই যুদ্ধবিমান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। তারা জানায়, চীন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এফ-৭ যুদ্ধবিমান তৈরি করে। ১৯৬৫ সালের নভেম্বরে এফ-৭-এর কাঠামোগত পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়। ১৯৬৬ সালের জানুয়ারিতে এর সফল পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করেন চীনা বৈমানিকেরা। ১৯৬৭ সালের জুনে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এটিকে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

পিএলএর নানামুখী চাহিদার ভিত্তিতে এফ-৭-এর বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সংস্করণ তৈরি করে চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন। এর কয়েকটি হলো এফ-৭ ই, এফ-৭ পি, এফ-৭ এম, এফ-৭ বিজিআই। গ্লোবাল সিকিউরিটিডটকমের তথ্য বলছে, বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি এফ-৭ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে পাকিস্তান। তাদের বহরে বর্তমানে ১২০টি এফ-৭ যুদ্ধবিমান আছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক আকাশ প্রতিরক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট এয়ারফোর্স টেকনোলজির তথ্য অনুযায়ী, ইরান, ইরাক, আলবেনিয়া, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও মিসরের এ যুদ্ধবিমান রয়েছে। ২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ যুদ্ধবিমানের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

যুগান্তর
জাতির কাঁধে সন্তানের লাশ
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সোমবার বেলা সোয়া ১টা। ক্লাস ছুটির পর বাড়ি ফেরার অপেক্ষা কোমলমতি খুদে শিক্ষার্থীদের। বাইরে ছিলেন অভিভাবকরা। আবার কোনো কোনো শিক্ষার্থী প্রস্তুতি নিচ্ছিল কোচিংয়ে বসার। অন্যান্য দিনের মতোই কোলাহলপূর্ণ ছিল রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ। হঠাৎ প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক ভবনে আকাশ থেকে আছড়ে পড়ল বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান। বিদ্যুৎগতিতে ঢুকে পড়ল জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ক্লাসভবনে। বিস্ফোরিত হলো বিমানটি। প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠল পুরো এলাকা। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ল আগুনের লেলিহান শিখা।

ওই আগুনে জলসে গেছে বিপুলসংখ্যক কোমলমতি শিক্ষার্থীর দেহ। পুড়ে অঙ্গার হয়েছে কেউ কেউ। ভবনের ভেতরে পড়েছিল অনেকের ছিন্নবিচ্ছিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। এরপর হতাহতদের নিয়ে ছুটেছে সবাই রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে। এ খবর নিমেষেই ছড়িয়ে পড়ল সারা দেশে। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি কেউ। শুধু অভিভাবক ও শিশুদের স্বজন নয়, কান্নার রোল পড়ে ঘরে ঘরে। স্কুল প্রাঙ্গণ ও হাসপাতালগুলোতে হতাহতের স্বজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে আকাশবাতাস। শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা দেশ। এ ঘটনায় সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিমানটির পাইলটসহ ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৬৯ জন। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। হঠাৎ এত সংখ্যক মানুষের সেবা দিতে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিল। পাশাপাশি ঘাটতি দেখা গেছে রক্ত ও চিকিৎসাসামগ্রীর। তবে স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে হাসপাতালগুলোতে ছুটে গেছেন বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এদিকে যেসব পোড়া লাশ শনাক্ত করা যাচ্ছে না, সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার পর স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

কালবেলা
যেন আকাশ ভেঙে পড়ল!
কালবেলার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সোমবার দুপুর, সূর্য ঠিক মাথার ওপর। উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপরে তখন হেলেদুলে উড়ছিল একটি উড়োজাহাজ। ততক্ষণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ছুটির ঘণ্টা বেজেছে, বাসায় ফেরার অপেক্ষায় থাকা খুদে শিক্ষার্থীরা অবাক বিস্ময়ে দেখছিল খুব নিচ দিয়ে ছুটে আসা সেই উড়োজাহাজটি। ঘোর না কাটতেই যমদূত হয়ে সেটিই আছড়ে পড়ে ঠিক দোতলা একাডেমিক ভবনের সিঁড়ির সামনে। সঙ্গে সঙ্গেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ থেকে সেই আগুন স্কুল ভবন হয়ে ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের শরীরে। এ যেন হঠাৎই আকাশ ভেঙে পড়া।

স্কুলে ছুটির ঘণ্টা বাজলেও অভিভাবকের হাত ধরে এই শিক্ষার্থীদের অনেকেরই আর বাড়ি ফেরা হয়নি। আগুন জড়ানো শরীর নিয়ে বাঁচার জন্য দৌড়াদৌড়ির পর কারও নিথর দেহ গেছে মর্গে, কেউ চামড়া পোড়া দগদগে ক্ষত নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ঘটনাস্থল থেকে শুরু করে উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতাল হয়ে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট পর্যন্ত আহাজারি আর স্বজন হারানোর বিলাপ। মর্মন্তুদ এমন ঘটনায় শোকের সাগরে ভাসছে পুরো দেশের মানুষ। দুচোখের অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি কোনো বিবেকবান মানুষই।

বিপুল এই হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ভিডিও বার্তায় আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘এরকম এক কাণ্ড ঘটতে পারে, আমরা কেউ কল্পনা করিনি, কারও ধারণার মধ্যে ছিল না। কিন্তু অবিশ্বাস্য জিনিস আমাদের হঠাৎ করে গ্রহণ করতে হয়েছে।’ এ ছাড়াও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। স্থগিত করা হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির রাষ্ট্রীয় এবং দলীয় নানা কর্মসূচি।

গতকাল সোমবার দুপুরে বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এবং ফায়ার সার্ভিস। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম। আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০৪ জন। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। যারা প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল।

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর