বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
‘হতাহতের তালিকা নিয়ে কেন এত বিভ্রান্তি’

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:০৪

সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ইসি গঠন প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকবে না, রাজি বিএনপি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন প্রক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখতে রাজি হয়েছে বিএনপি। সরকার নয়, সাংবিধানিক বাছাই কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) এবং অন্য কমিশনারদের নিয়োগ হবে।
স্পিকার, বিরোধীদলীয় ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বাছাই কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। সংবিধান সংশোধন করে ১১৮(১ক) অনুচ্ছেদ যোগ করা হবে এই কমিটি গঠনে।
বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৮তম দিনের সংলাপে এ বিষয়ে একমত হয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল। সাংবিধানিক কমিটির মাধ্যমে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি), ন্যায়পাল এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিয়োগ প্রস্তাবে এখনও রাজি নয় বিএনপি। দলটি আইনের মাধ্যমে নিয়োগ চায়। এতে সরকারের কাছেই থাকবে নিয়োগ। বিএনপি ইসি গঠনেও আইন চেয়েছিল। গতকাল দলটি অবস্থান বদল করে।
প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সরকারের ভেতর আরেক সরকার’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এক বছরে ভালো অভিজ্ঞতা কম, খারাপ অভিজ্ঞতাই বেশি। অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকারের মধ্যে সক্ষমতার অভাব প্রকট। সরকারের ভেতর আরেকটা সরকার আছে।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাদের আলোচনায় মোটাদাগে এমন মতামত উঠে এসেছে। বৈঠকে কেউ কেউ বলেন, এখন দ্রুত নির্বাচনই সমাধান। সেই নির্বাচন করতে হলে সেনাবাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা লাগবে।
গোলটেবিল বৈঠকের শুরুতে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শোক জানানো হয়। সবাই এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ।
অনুষ্ঠানে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বিপ্লবী সরকার গঠনের পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেন। তাঁর মতে, গত বছর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে সবকিছু শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে চলে গেছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করা হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান বহাল তবিয়তে আছে। আমলাতন্ত্র, বিচার বিভাগ, বুদ্ধিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়—সবই আগের জায়গায় আছে, কিছুই পরিবর্তন হয়নি।
বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘মাইলস্টোনের বাইরে কৌতূহলী মানুষের ভিড় : শনাক্ত হয়নি ৬ মরদেহ ঝুঁকিতে ৮ রোগী’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা আজ চতুর্থ দিনে। এখনো স্কুল ও হাসপাতালের সামনে চলছে শোকের মাতম। অভিভাবকদের আহাজারি 'আমার সন্তান যেন বেঁচে থাকে'। গতকাল রাজধানীর বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে এভাবেই আহাজারি করছিলেন আগুনে দগ্ধ হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। এদিনে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন মৃত্যের খবর পাওয়া গেছে। তদের মধ্যে ৮ জনের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষে থকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬৯ জন দগ্ধ রোগী কথা জাননো হয়েছে। বিমান বিধ্বস্ত স্কুলের মূল ফটক বন্ধ থাকলেও ভিতরে দেখা গেছে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতি।
স্কুল কর্তৃপক্ষ নিখোঁজদের তথ্য জানানোর আহ্বান জানিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ৮ রোগী, উন্নতির দিকে ২৩ জন: জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক মো. নাসিরউদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ নিয়ে আমরা বসেছি। বৈঠকে রোগীদের অবস্থা পর্যালোচনা করে তিনটি ভাগ করেছি। এখানে ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে ৮ জন রোগী আছে।
তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তাদের অবস্থা ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিবর্তন হচ্ছে। তাদের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে আছে ১৩ জন রোগী। ইন্টারমেডিয়েট ক্যাটাগরিতে আছে ২৩। তাদের দ্রুত ভালোর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সব মিলে মোট ৪৪ জন রোগী এখানে ভর্তি আছে। রোগীদের এই তিন ক্যাটাগরি আমাদের ডায়নামিক প্রসেস। রোগীদের অবস্থাভেদে এসব ক্যাটাগরি পরিবর্তিত হতে পারে। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এ ক্যাটাগরি করা হয়েছে।
কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘আস্থার সংকট’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। ঘোষিত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাষ্ট্রের সংস্কার, মার্কিন শুল্কনীতির চাপসহ অর্থনৈতিক অবস্থায় গুমট পরিস্থিতি, মব ভীতি, অনাকাঙ্ক্ষিত নিত্যনতুন ইস্যু—এসব নিয়ে সরকারের প্রতি আস্থার সংকট স্পষ্ট হচ্ছে। সরকারের দুজন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে। স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধেও। সংস্কার দৃষ্টান্তমূলক না হলে, একই সঙ্গে নির্বাচনও যদি সুষ্ঠু না হয়, তাহলে প্রধান উপদেষ্টাকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
গত এক বছরে সরকারের কার্যক্রম নিয়ে শক্ত কথা বলার সময় এসেছে বলেও বিশিষ্টজনদের মন্তব্য আসছে। বলা হচ্ছে, এই সরকারের কোনো নৈতিক অবস্থান নেই। এসব মন্তব্য, দাবি, অভিযোগ ও আস্থার সংকটের মধ্যেও জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো এখনো ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে অটুট থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
একই সঙ্গে নির্বাচনপ্রক্রিয়া দ্রুত করার তাগিদও দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ৫ আগস্টের পর যে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠেছিল তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দেশ এক গভীর সংকটে পতিত হওয়ার পথে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নেই। তবে সে নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও নির্ভরযোগ্য।
মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘হতাহতের তালিকা নিয়ে কেন এত বিভ্রান্তি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি কাটছেই না। নিহত ও আহতদের চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশ না হওয়ায় নানা পক্ষ এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা ঘটায় এখানে হতাহতের তথ্য লুকানোর সুযোগ নেই। তবে ঘটনার তিনদিন পরও নিহত এবং আহতদের পুরো তালিকা প্রকাশ করতে না পারায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এছাড়া দুর্ঘটনার উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রমে যুক্ত সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দেয়াও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। এছাড়া পতিত ফ্যাসিবাদের সমর্থক গোষ্ঠীও দুর্ঘটনা নিয়ে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে বলে সরকারের তরফে মনে করা হচ্ছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শুরু থেকেই আহত ও নিহতের বিষয়ে তথ্য দিয়ে আসছে গণমাধ্যমে। তাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৩১ জন। কিন্তু গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক হিসাবে নিহতের সংখ্যা দেয়া হয়েছে ২৯ জন। গতকাল বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিহতদের নাম-পরিচয় দিয়ে শোকবার্তা জানিয়েছে। সেখানেও তারা ২৯ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে। আর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও ২৯ জন নিহতের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ৬৯ জন আহতের হিসাব দেয়া হয়েছে।
আর আইএসপিআর’র সর্বশেষ তালিকায় ১৬৫ জন আহত কোন কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে সেই হিসাব দিয়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী হাসপাতালে এখন ৫৭ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে, আহত-নিহতদের পরিসংখ্যান নিয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঘটনার তিন দিনেও কোনো তালিকা তৈরি করেনি। তবে তালিকা করার জন্য তারা একটি কমিটি গঠন করেছে। তালিকা নিয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকেও বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য আসছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তথ্য গোপন করার ইচ্ছা বা প্রয়াস সেনাবাহিনীর নেই।
যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘নেপথ্যে ক্ষমতাচ্যুত আ.লীগের ইন্ধন’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাঁটি হাঁটি পা পা করে দেশ যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে, তখন নানা ইস্যুতে শুরু হয়েছে অস্থিরতা ও সহিংসতা। নির্বাচনের আগেই দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চক্রান্ত চলছে। এই সহিংসতা, অস্থিরতা ও অরাজকতায় ঘি ঢালছেন কার্যত নিষিদ্ধ পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনেক ঘটনায় তারা নিজেরাই মূল ক্রীড়নকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন। কখনো প্রকাশ্যে, আবার কখনো নেপথ্যে থেকেই দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে কলকাঠি নাড়ছে ক্ষমতাচ্যুত দলটি।
সাম্প্রতিক সময়ে স্পর্শকাতর ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন পরাজিত রাজনৈতিক শক্তির নেতাকর্মীরা। তাদের কাছে নির্দেশ এসেছে বিদেশে পলাতক নেতাদের তরফ থেকে। পলাতক গডফাদারদের বার্তা-দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবেই স্বাভাবিক থাকতে দেওয়া যাবে না, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত-অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে যে কোনো মূল্যে সেখানে সুযোগ নিতে হবে। এ ধরনের বার্তা পাওয়ার পর দলীয় কর্মীরা এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন। তারা বড় ধরনের নাশকতার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি যৌক্তিক-অযৌক্তিক অন্দোলনে আন্দোলনকারী সেজে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরও জানা যায়, উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। হতাহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চালাচ্ছে নানা ধরনের অপপ্রচার। কোমলমতি শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষকে উসকে দিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি মঙ্গলবার শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ের ভেতরে-বাইরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। আহত হন ৮০ জন। ভাঙচুর করা হয় যানবাহন। সেখানেও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা ঢুকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার স্লোগানও দেন। এর আগে ‘টুঙ্গিপাড়ায় কবর ভাঙা হবে’-এমন অপপ্রচার চালিয়ে গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে উসকে দিয়ে সহিংসতা ঘটিয়েছে দলটি।
বণিক বার্তা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘তৃতীয় দফা আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সময় পাওয়ার অপেক্ষা’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রফতানি পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্কে ছাড় পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার পথে হাঁটছে বাংলাদেশ সরকার। এক্ষেত্রে দেশটি থেকে গম, এলএনজি ও উড়োজাহাজ কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। তাছাড়া এলএনজি কেনার চুক্তিও করা হয়েছে, প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ কেনার। পাশাপাশি শুল্ক ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে তৃতীয় দফায় আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনের কাছে সময় চেয়েছে ঢাকা। যদিও এখন পর্যন্ত আলোচনার তারিখ জানানো হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলারের মতো বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। সে ঘাটতি পূরণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া পণ্যে ১ আগস্ট থেকে বাড়তি ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৮ জুলাই এ ঘোষণার পর থেকেই দেশটির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে দুই দফায় আলোচনাও করা হয়েছে। এসব বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো বেশি পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনাসহ বেশকিছু বাণিজ্যিক বাধ্যবাধকতা-সংক্রান্ত শর্ত দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে সব শর্ত মানা সম্ভব না হলেও দেশটি থেকে বেশকিছু পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা সম্ভব। তাছাড়া সামনে তৃতীয় দফায় আলোচনার আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সেটি তুলে ধরার বিষয়ও রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সরকার মার্কিন বাজার থেকে গম, এলএনজি ও উড়োজাহাজ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এমবি