Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

মূল্যস্ফীতির চাপ ঠেকাতে নতুন বেতন কমিশন

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০:০১

মূল্যস্ফীতির চাপ ঠেকাতে নতুন বেতন কমিশন

বাংলাদেশের খবর
তৃণমূল গণতন্ত্রে নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা হলো। ব্যাপক আলোচনা ও পর্যালোচনার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি যদি আন্তরিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয় এবং নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করে, তবে রাজনীতির বিকেন্দ্রীকরণ, স্থানীয় নেতৃত্বের বিকাশ এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচনি পরিবেশ গঠনে এটি হবে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। তৃণমূল থেকে জাতীয় রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণে এই সিদ্ধান্ত এক নতুন সূচনা এনে দেবে।

সভা শেষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, 'স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক। উপদেষ্টা

বাংলাদেশ প্রতিদিন
ঐক্য না হলে সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন
বাংলাদেশে প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্র সংস্কারে মৌলিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা না হলে সিদ্ধান্ত জানাবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরই মধ্যে সে উদাহরণ তৈরি হয়েছে। বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখছেন সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো। কোনো কোনো দল এ ধরনের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করছে।

আবার কোনো দল কমিশনের পরবর্তী বৈঠক বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। এ কমিশন জনগণের একক কোনো দলের নয়। কিন্তু কমিশন একটি-দুটি দলের হয়ে কাজ করছে। তাদের দিকে হেলে পড়ছে, সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এভাবে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না। কমিশন যদি সিদ্ধান্ত জানিয়ে থাকে তাহলে দিনের পর দিন এ আলোচনার অর্থ কী? তাদের বক্তব্য- যেসব ইস্যুতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হবে না সেগুলো বাদ যাবে। আর যেগুলোতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হবে সেগুলোই জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

কমিশন যে ভূমিকা পালন করছে তা অনেকটা রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা হতে পারবেন কি না সে বিষয়ে একমত হতে ব্যর্থ হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। পরে কমিশনের পক্ষ থেকে এনিয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলা হয়েছে- প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান থাকতে পারবেন না। কমিশনের এ ধরনের সিদ্ধান্তে সরাসরি অসন্তোষ জানিয়েছে বিএনপি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিশনের এক সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আমাদের এ সিদ্ধান্ত অনেকটা টেস্ট কেস। দলগুলোর পক্ষ থেকে তীব্র বিরোধিতা না পেলে অন্যান্য ইস্যুর ক্ষেত্রেও কমিশন তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে। তখন দলগুলো চাইলে নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারে। রাজনীতিবিদরা বলছেন, কমিশন যদি মৌলিক ইস্যুগুলোর ক্ষেত্রেও একই পলিসি গ্রহণ করে তবে সেটা ভুল হবে। সে ক্ষেত্রে জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করা থেকে হয়তো বিরত থাকতে পারি।

যুগান্তর
শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে জীবন উৎসর্গ, মাহেরীন-মাসুকা জাতীয় বীর
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ পঙ্ক্তিমালা যেন হৃদয় দিয়ে ধারণ করেছিলেন মাইলস্টোনের দুই শিক্ষক-মাহেরীন চৌধুরী ও মাসুকা বেগম। জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন অগ্নিকুণ্ডে। রীতিমতো মৃত্যুকূপে ডুব দিয়ে আটকে পড়া শিশুদের একের পর এক তুলে আনেন পরম মমতায়। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের প্রাণ রক্ষা হয়নি। নিষ্পাপ ফুলগুলো বাঁচানোর তাগিদে মৃত্যুকে দুহাতে আলীঙ্গন করেন তারা।

সোমবার বিমান বিধ্বস্তের পর মৃত্যুমিছিলের শোক ছাপিয়ে দুই শিক্ষকের বীরত্বগাথা ছড়িয়ে পড়ে। ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাসতে থাকে তাদের ছবি। দুই মহৎপ্রাণের চর্চা শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। বিশেষ করে মাহেরীনের আত্মত্যাগের প্রশংসা করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। অবশেষে তাদের এই মহৎ আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দিতে এগিয়ে আসে রাষ্ট্র। ইতোমধ্যে তাদেরকে জাতীয় বীর হিসাবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠক শেষে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

প্রথম আলো
মূল্যস্ফীতির চাপ ঠেকাতে নতুন বেতন কমিশন
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, এক দশক পর সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণ করতে বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের প্রধান করা হয়েছে সাবেক অর্থসচিব ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানকে। কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ১০ বছর পর বেতন কমিশন হলো। গত সরকারের সময়ে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্ক ছাড়িয়ে গিয়েছিল। যদিও এটিকে গত মাসে ৮ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতনের সমন্বয় এখনো ঠিকমতো হয়নি। সে জন্যই সরকার মনে করছে, একটি বেতন স্কেল হওয়া উচিত।

বেতন কমিশন গঠন করায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

তবে রাজস্ব আদায়ে নিম্নগতি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান কম, পাল্টা শুল্কের কারণে রপ্তানি–বাণিজ্যে ঝুঁকি, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দুরবস্থা—অর্থনীতিতে এত সমস্যা থাকার পরও নতুন বেতন কমিশন গঠন অগ্রাধিকারে রাখা কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ। তাঁদের মতে, এর ফলে বাজেটে পরিচালন খরচ বাড়ানোর ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে, যা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর থেকে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ২০২৪ সালের নভেম্বরে। চলতি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার জন্য একটি কমিটি কাজ শুরু করে। এ নিয়ে বিরূপ সমালোচনা শুরু হলে সরকার পিছিয়ে যায়। পরে চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা চালু হয়। এতে বেতন আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।

সমকাল
বেতন সমন্বয় করতে পে কমিশন গঠন
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো করতে পে কমিশন গঠন করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য পে কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের প্রধান করা হয়েছে সাবেক অর্থ সচিব ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানকে। কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ ন্যাশনাল পে কমিশনে অনুমোদন দিয়েছে। সরকারি, আধাসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পে স্কেল ২০১৫ সালে হয়েছিল। ১০ বছর পর নতুন পে স্কেল হচ্ছে।’ প্রেস সচিব বলেন, গত সরকারের সময় মূল্যস্ফীতি দুই সংখ্যার ঘর অতিক্রম করেছিল। গত মাসে ৮ শতাংশে এসেছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতির কারণে বেতনের যে সমন্বয়, সেটা ঠিকমতো হয়নি। 

কমিশনপ্রধানের সঙ্গে কর্মচারীদের সাক্ষাৎ
নতুন পে কমিশনের প্রধান জাকির আহমেদ খান গতকাল বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন নিষ্পত্তি কমিটির সভায় অংশ নেন। এ সময় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের (একাংশ) সভাপতি মো. বাদিউল কবীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। জাকির আহমেদ খান কর্মচারীদের বলেন, সবার সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করবেন তিনি। 

বণিক বার্তা
৩১ বাগানে শ্রমিক অসন্তোষ, নড়বড়ে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের চা খাত এখন বহুমুখী সংকটে। নগদ অর্থ সংকটে ৩১টি চা বাগানে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও সুবিধা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। যার ফলে দেখা দিয়েছে শ্রমিক অসন্তোষ। একই সঙ্গে গোটা চা উৎপাদন ব্যবস্থাপনাই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এছাড়া অর্থনৈতিক দৈন্যদশা ও প্রশাসনিক জটিলতায় এরই মধ্যে পাঁচটি বাগান তাদের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। আর যেসব বাগান এখনো চালু, সেগুলো দেনায় ডুবে আছে, চলছে স্বল্প উৎপাদনক্ষমতা নিয়ে।

কৃষি ও শিল্প উভয় মাধ্যমে চা উৎপাদন হলেও দেশের চা বাগানগুলো রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে। শ্রমঘন খাতটির উদ্যোক্তারা শিল্পের মতো ঋণ সুবিধা পেলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উৎপাদন খরচের সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের বড় পার্থক্যে লোকসানে রয়েছে অধিকাংশ বাগান। পাঁচটি বাগান উৎপাদন বন্ধের পাশাপাশি ৩১টি বাগান শ্রমিকদের মজুরিসহ বিভিন্ন সুবিধা দিতে পারছে না। চা খাতের উৎপাদন পদ্ধতির একটি অংশ কৃষি ধাঁচের হওয়ায় শিল্প প্রকৃতির ঋণ পদ্ধতির কারণে তীব্র তারল্য সংকটে রয়েছেন বাগান মালিকরা। আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে প্রায় শতভাগ দেশীয় চাহিদা মেটানো চা খাতের এ সংকট নিরসনে ঋণ পদ্ধতি সহজীকরণ ছাড়াও কৃষি ঋণ সুবিধার দাবি তুলেছেন বাগান মালিকরা।

দেশে প্রতি বছর বিক্রি হওয়া (শুল্ক-কর ব্যতীত) চায়ের মূল্য ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সরাসরি দেড় লাখ ও পরোক্ষভাবে মোট পাঁচ লাখ শ্রমিক চা খাতে কর্মরত। দেশের ১৭০টি চা বাগান ও ক্ষুদ্র আকারের উদ্যোক্তারা বছরে ১০ কোটি কেজির বেশি চা উৎপাদন করেন। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে টানা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে নিলামে চা বিক্রি করতে হচ্ছে বাগানগুলোকে। এমন পরিস্থিতিতে ঋণ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না পাওয়া, তারল্য সংকটে শ্রমিকদের মজুরি, পিএফ, রেশন বকেয়া রাখতে বাধ্য হচ্ছে বাগানগুলো। ৮০টি বাগান আর্থিক সংকটে শ্রমিকদের ভবিষ্য তহবিলের চাঁদা নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না।

চা সংসদের সদস্যরা জানিয়েছেন, চা খাতে কৃষি ব্যাংকই ৬৫-৭০ শতাংশ ঋণ দেয়। বিপুল বিনিয়োগের খাতটিতে ঋণ প্রদান নিরাপদ হলেও বর্তমানে মোট ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার মতো। অন্য খাতে বিপুল খেলাপি ঋণের কথা জানা গেলেও দেশের চা খাতের উদ্যোক্তাদের খেলাপি ঋণ মাত্র ১০ কোটি টাকার মতো। কিন্তু অপরাপর শিল্প ও উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদানে কড়াকড়ি আরোপের নিয়মটি চায়ের মতো নিরাপদ খাতেও আরোপ হওয়ায় সংকটে পড়েছে বাগানগুলো। সাম্প্রতিক সময়ে চা খাতের এসব সংকট নিরসনে নিয়ম শিথিল করার পাশাপাশি আলাদা নীতিমালা প্রণয়ন, সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ফান্ড প্রদানেরও প্রস্তাব দিয়েছেন চা বাগান মালিকরা।

মানবজমিন
মার্কিন শুল্ক, ১৩০০ কারখানা ঝুঁকিতে
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত পাল্টা শুল্ক কমানোর দরকষাকষিতে সরকারের প্রস্তুতিতে ব্যবসায়ীরা হতাশ। তবে শেষবারের মতো চেষ্টা করছেন সরকার। ইতিমধ্যেই আলোচনার জন্য আগামী রোববার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কাছে ফের ই-মেইল পাঠিয়ে সময় চেয়েছে ঢাকা। অবশ্য বৈঠকের সময় এখনো জানায়নি ওয়াশিংটন। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন আশা করছেন শিগগিরই ওয়াশিংটনের ডাক পাবো। 

ওদিকে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক আগামী ১লা আগস্ট কার্যকর হওয়ার কথা। এতে বিদ্যমান ১৫ শতাংশের সঙ্গে নতুন ৩৫ শতাংশ যুক্ত হলে অর্থাৎ মোট ৫০ শতাংশ শুল্কহার দাঁড়াবে। এই হার কমিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে যথাযথ আলোচনা ও দরকষাকষি করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে পুরোপুরি আশা ছেড়ে দেননি ব্যবসায়ীরা। তারা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নেয়া হলে এখনো ভালো কিছু হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকার প্রধানের যত ধরনের যোগাযোগের উৎস আছে, সব কাজে লাগিয়ে শেষবারের মতো চেষ্টা করা উচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কমানোর দরকষাকষির শুরু থেকে বেসরকারি খাত, অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে শুল্ক কমানোর বিষয়ে এখন খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না দেশের রপ্তানিকারকরা। তারা বলছেন, শেষ পর্যন্ত শুল্ক না কমলে তার ভুক্তভোগী হবেন রপ্তানিকারকরা।

আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশের ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে- বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আগে কখনো সে ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েনি। এ ধরনের বেকায়দায় পড়েনি।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর