
৪৩ বছর পর এশিয়া কাপ হকির মঞ্চে থাকছে না বাংলাদেশ। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠেয় এএইচএফ কাপে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ হারিয়েছে লাল-সবুজরা। এই ব্যর্থতার কারণ খুঁজে বের করতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
রোববার (৪ মে) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক আদেশে কমিটির গঠনের কথা জানানো হয়।
এতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন এনএসসির পরিচালক (ক্রীড়া) মো. হুমায়ুন কবীর। সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলামকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া) সাজিয়া আফরিনকে।
এর আগে, ‘জায়গা হয়নি জিমির, এশিয়া কাপে নেই বাংলাদেশ, ব্যর্থতার দায় কার’—শীর্ষক একটি প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নজরে আসার পরই তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ হকির অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমিকে এএইচএফ কাপের স্কোয়াডে না রাখার বিষয়টি শুরু থেকেই ছিল আলোচনায়। বয়স ৩২ পার হওয়ায় তাকে ডাকা হয়নি ফিটনেস টেস্টেও। অথচ জাতীয় দলে খেলোয়াড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বয়স নয়, পারফরম্যান্স, ফিটনেস ও শৃঙ্খলাকে বিবেচনায় নেওয়ার কথা।
হকি ফেডারেশনের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তখনই ক্রীড়া অঙ্গনে সমালোচনা শুরু হয়। সাবেক খেলোয়াড় থেকে শুরু করে ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা একে ‘অদূরদর্শী’ সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেন।
টুর্নামেন্টের আগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকা, বিদেশি দলের সঙ্গে অনুশীলন ম্যাচ না খেলা এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাব—সব মিলিয়ে ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে অনেক বিষয়ই উঠে আসছে আলোচনায়। অথচ এত বড় ব্যর্থতার পরও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে কোনো ‘পোস্টমর্টেম’ উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের গঠিত তদন্ত কমিটি এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ পেশ করবে। ক্রীড়া অঙ্গন এখন তাকিয়ে আছে এ কমিটির রিপোর্টের দিকে।
- এটিআর