-6839257fb6f1a.jpg)
আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
শুক্রবার (৩০ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাকে সভাপতি পদে নির্বাচনের অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বোর্ডের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। সূত্রটির দাবি, আজকের এই সভায় সভাপতিত্ব করবেন পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম। সভায় বুলবুলকে প্রথমে বোর্ড পরিচালক হিসেবে মনোনীত করা হবে, এরপরই তাকে সভাপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তাব গৃহীত হবে।
জানা গেছে, বিসিবির আগামী চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মেয়াদে, অর্থাৎ নতুন নির্বাচন পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন বুলবুল।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিসিবির আটজন পরিচালক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে তাকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম, মাহবুব আনাম, ফাহিম সিনহা, সাইফুল ইসলাম স্বপন চৌধুরি, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম আহমেদ, মঞ্জুর আলম ও মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী। তবে এতে সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান স্বাক্ষর করেননি।
এর পরপরই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একইসঙ্গে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে আরও একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়।
সরকারি আদেশে অপসারণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফারুক আহমেদ বলেছেন, তাকে জোরপূর্বক পদচ্যুত করা হয়েছে এবং তিনি তা মেনে নিচ্ছেন না। তিনি বলেছেন, ‘আমি অন্যায়ের শিকার। আমাকে অপসারণের বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। আমি আইসিসিকে জানিয়েছি, এবং এই লড়াই চালিয়ে যাব।’
ফারুক আহমেদ জানান, তিনি বৃহস্পতিবার রাতে আইসিসি সভাপতি জয় শাহসহ অন্তত পাঁচ থেকে সাতজন আইসিসি পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খুব দ্রুতই আইসিসি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।
শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে ফারুক বলেন, ‘দুই বছর আগে শ্রীলঙ্কায় এমন ঘটনার পর আইসিসি পুরো বোর্ড পুনর্বহাল করেছিল। আমি বিশ্বাস করি, বিসিবির ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল সঠিক পদক্ষেপ নেবে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বিসিবিরও পুনর্গঠন হয়। তখন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদকে বিসিবির সভাপতি করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে।