-683d1dca538b8.png)
৪৬ বলে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে দারুণ জয় এনে দেন মোহাম্মদ হারিস। ছবি : সংগৃহীত
শেষমেশ হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে পারলো না বাংলাদেশ। পাকিস্তানের সঙ্গে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০-তে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ হারলো টানা ৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে।
এবার পাকিস্তান থেকে লিটনরা ফিরছে খালি হাতে। টানা দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে আগেই। শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ নিয়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। রোববার (১ জুন) টাইগাররা মাঠে নামে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে। তবে তা আর হয়নি, শেষ টি-টোয়েন্টিতেও টাইগাররা হেরেছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ পুঁজি নিয়ে বোলিং শুরু করেছিল বাংলাদেশ, পরিসংখ্যানও ছিল পক্ষে। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পরে ব্যাট করে ১৭৭ রানের বেশি করতে পারেনি কেউ। তবে আজ পেরেছে পাকিস্তান।
মোহাম্মদ হারিসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ১৭.২ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। তাতে ৩ ম্যাচ সিরিজে ৩-০-তে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে হারলো টানা ৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে।
অবশ্য প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সাহিবজাদা ফারহানকে (১) থিতু হবার আগেই ফেরান মেহেদী মিরাজ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে সাইম আইয়ুবকে নিয়ে হারিস যোগ করেন ৫৩ বলে ৯২ রান।
সাইম ২৯ বলে ৪৫ রান করে থামলেও থামানো যায়নি হারিসকে। ২৫ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। তাতেই ক্ষান্ত হননি, এগিয়ে যেতে থাকেন শতকের দিকে। মাঝে হাসান নাওয়াজ ফেরেন ১৩ বলে ২৬ করে।
এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে আগা সালমানকে নিয়ে হারিস পূর্ণ করেন নিজের সেঞ্চুরি । প্রথম ফিফটিটাকে ৪৫ বলে রূপ দেন সেঞ্চুরিতে। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের সন্নিকটে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
শেষ পর্যন্ত ৮ চার ও ৭ ছক্কায় ৪৬ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন হারিস। সাথে আগা সালমান অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ১৫ রানে। মিরাজ ২৬ রানে ২ ও সাকিব ৩৬ রানে নেন ১ উইকেট।
এর আগে লাহোরে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের ব্যাটে রান আসতে থাকে দ্রুতগতিতে। পাকিস্তানের মাঠে প্রথম বিদেশী দল হিসেবে উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ রানের কীর্তি গড়ে টাইগাররা।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে রেকর্ডগড়া শতকের পর পরের চার ম্যাচে আর দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি পারভেজ ইমন। তবে আজ জ্বলে উঠলেন, শুরু থেকেই আগ্রাসন চালিয়ে মাত্র ২৭ বলে তুলে নিলেন ফিফটি।
আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন আজও। প্রথম দুই ম্যাচের মতো সাবলীল ব্যাট করতে থাকেন তিনি। তাদের সৌজন্যে ১১তম ওভারেই ১০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।
১৮ ইনিংস পর উদ্বোধনী জুটিতে আসে শতাধিক রান। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১০৮ রান যোগ করেছিলেন সৌম্য সরকার ও তানজিদ। টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে পঞ্চমবার জুটিতে পঞ্চমবার শতরান দেখল বাংলাদেশ।
তবে এরপর আর জুটি বড় হয়নি, একই ওভারে থামতে হয় তামিমকে। ফাহিম আশরাফের বলে ফিরেন ৩২ বলে ৪২ করে৷ ১১ ওভার শেষে স্কোর ১ উইকেটে ১১০ রান।
পরের ৩ বলে আর মাত্র ৩ রান যোগ করতেই পারভেজ ইমনের উইকেটও হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শাদাব খানের শিকার হবার আগে ৭ চার আর ৪ ছক্কায় করেন ৩৪ বলে ৬৬ রান৷
লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয় মিলে পরিস্থিতি সামলে নেয়ার চেষ্টা করেন। পরের ৩১ বলে ৪৯ রান যোগ করেন দু’জনে। তবে দুই জনের কেউ পারেননি ইনিংস বড় করতে। লিটন ১৮ বলে ২২ ও সমান ১৮ বলে ২৫ করেন হৃদয়।
শামিম পাটোয়ারীও সুবিধা করতে পারেননি। ৫ নম্বরে নেমে ফেরেন ৪ বলে ৮ করে। আর সাতে নেমে মেহেদী মিরাজ করেন ৩ বলে ১। তবে জাকের আলি ৯ বলে ১৫ ও তানজিম ৩ বলে ৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।
সুবাদে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশ। যা পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের সর্বোচ্চ পুঁজি। আগের সেরা ছিল ৬ উইকেটে ১৭৫, ২০১২ বিশ্বকাপে পাল্লেকেলেতে।
হাসান আলি ও আব্বাস আফ্রিদি নেন জোড়া উইকেট।
ডিআর/এএ