আইপিএলের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স হায়দারাবাদের মালিক কালানিথি মারানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিস্ফোরক এই অভিযোগ এনেছেন তারই আপন ভাই, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দায়ানিধি মারান। শুক্রবার (২০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন উর্দু।

দায়ানিধির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার সূচনা ২০০৩ সালে। সে সময় দয়ানিধিদের বাবা মরসোলি মারান গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। সেই সুযোগে কালানিথি মারান পারিবারিক মিডিয়া সাম্রাজ্য সান টিভি নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেন পরিকল্পিত শেয়ার জালিয়াতি। অভিযোগ অনুযায়ী, মাত্র ১০ রুপিতে নিজের নামে বরাদ্দ করান ১২ লাখ শেয়ার, যার প্রকৃত বাজারমূল্য ছিল ২৫০০ থেকে ৩০০০ রুপি।

এর ফলে পারিবারিক শেয়ার মালিকানা এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ থেকে কমে যায় ২০ শতাংশে। এতে পরিবার প্রায় ৩৪৯৮ কোটি রুপির আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে—এমনটাই দাবি দায়ানিধির।

আইনি নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, কালানিথি মারান অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে একাধিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সান ডিরেক্ট, ক্যাল এয়ারওয়েজ, ক্যাল রেডিও, সান পিকচার্স, স্পাইসজেট ও সাউথ এশিয়ান এফএম-এর মতো প্রতিষ্ঠান। এমনকি সানরাইজার্স হায়দরাবাদসহ দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যের কয়েকটি টি-টোয়েন্টি দলের মালিকানাও কিনেছেন তিনি।

দায়ানিধির ভাষ্যে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির কেনাকাটা ও পরিচালনায় যে অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে। তা এসেছে অবৈধ উৎস থেকে। অর্থাৎ, আইপিএলের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি সরাসরি জড়িত ভারতের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধের সঙ্গে।

তিনি এও দাবি করেন, ২০২৪ সালে তাদের বোন অম্বিকা মারানকে ৫০০ কোটি রুপি দিয়ে চুপ রাখার চেষ্টা করেন কালানিথি, যেন তিনি আদালতে না যান।

এই পরিস্থিতিতে দায়ানিধির সাফ হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০০৩ সালের শেয়ার মালিকানা এবং সব বেআইনি আয়সহ সম্পত্তির হস্তান্তর না হলে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা করব।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে নড়েচড়ে বসেছে বিভিন্ন মহল। বিশ্লেষকদের মতে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে শুধু সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নয়, চাপের মুখে পড়তে পারে আইপিএল কর্তৃপক্ষ এবং বিসিসিআই।

• এটিআর